গ্রামের পার্ক থেকে তোলা কিছু ফটোগ্রাফি

in আমার বাংলা ব্লগ3 months ago


আসসালামু আলাইকুম




কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমি আপনাদের দোয়ায় আলহামদুলিল্লাহ অনেক ভালো আছি। সকলকে শুভকামনা জানিয়ে শুরু করছি আজকের একটি পোস্ট। আজকে আমি আমাদের গ্রামের পার্কের কিছু বর্ণনা আপনাদের মাঝে তুলে ধরব। আশা করি আমার এই পোস্ট আপনাদের ভাল লাগবে। তাহলে চলুন আর দেরি না করে শুরু করি।


IMG_20240405_145943.jpg




আমার শ্বশুরের গ্রামের নাম জুগীরগোফা। এই গ্রামটি গাংনী মেহেরপুরে অবস্থিত। বিবাহের আগে শুনেছিলাম এই গ্রামে একটি পার্ক রয়েছে। পার্ক টি পুকুরকে কেন্দ্র করে। তার আগেই শুনেছিলাম এই গ্রামে অনেক পুকুর। গ্রামটা দেখার খুবই ইচ্ছে হতো আমার। আমাদের গ্রাম থেকে হেমায়েতপুর বাজার। এরপর হেমায়েতপুর বাজার থেকে গাংনী কলেজে যাওয়া আসা করতাম। আর এই যাওয়া আসার হাইরোড দিয়ে গ্রাম এর রাস্তা। ঠিক এমনই হাই রোডের পাশ দিয়ে এই গ্রামের রাস্তা। এই গ্রামে আমাদের দূর সম্পর্কের আত্মীয় ছিল। কোন এক অনুষ্ঠানে আমার ছোট ভাই বোন এবং আব্বা এই গ্রামে দাওয়াত খেয়ে গেছে। বিশেষ বিশেষ প্রয়োজনে আমার আব্বা আসা-যাওয়া করে। তবে আমার খুব ইচ্ছে হতো গ্রামটা পার্ক রয়েছে,কোন এক বিশেষ দিনে বান্ধবীদের সাথে ঘুরতে যাব। কিন্তু মনের আশা মনেই থেকে যেত আবার মাঝেমধ্যে এক একজনের মুখে গ্রামটার পার্ক সম্পর্কে অনেক কিছু শুনে খুব আগ্রহ জাগত।


IMG_20231121_154119.jpg

IMG_20231121_160108.jpg

IMG_20231121_160103_1.jpg



তবে আসবো আসবো করে আসা হতো না, আফসোস লাগতো মনে। তবে ভাগ্যের কি খেলা এই গ্রামের বাসিন্দা হয়ে গেলাম। এখন মায়ের বাসায় যেতে আসতে পার্কটা চোখের সামনে। আরো বড় সুবিধা এ গ্রামের মানুষের জন্য পার্কে প্রবেশ করার কোন টিকিট লাগেনা। তাই যখন ইচ্ছা তখন কিন্তু সুযোগ করে পার্কে যাওয়া যায়। ঠিক তেমনি বাবু হওয়ার অনেক আগে ঘুরে এসেছিলাম। পার্ক দেখতে বেশ চমৎকার ছিল। পুকুরের পাড়ের উপরে চারি পাশ দিয়ে বিভিন্ন প্রকার ফুলের গাছ। এমন কিছু গাছ রয়েছে যেগুলো আমি স্বচক্ষে এই কুড়ি ২২ বছর বয়সে দেখি নাই। তবে সে নাম না জানা অচেনা অনেক গাছ এখানে দেখেছি। আমার ফটো গুলোর মধ্যে আপনারা বিভিন্ন প্রকার ফুলের গাছ ও অন্যান্য গাছ দেখতে পারছেন, এগুলোর কিন্তু নাম আমি খুব কম জানি।


IMG_20231121_154320.jpg

IMG_20231121_153932.jpg

IMG_20231121_154310.jpg



তবে পার্কের মধ্যে যখন প্রবেশ করেছিলাম তখন যেন দীর্ঘ অনেক বছরের ইচ্ছে, পা ফেলার সাথে সাথে পূরণ হতে থাকলো। আর নতুন কোন একটি দেখার মত জায়গায় প্রবেশ করার মজা আলাদা। শুনেছি পার্কটা অনেক বছর আগে তৈরি হয়েছে কিন্তু তত বেশি উন্নত হয়নি পুকুরপাড় বলে। কারণ বর্ষার সময় পাড় ভেঙ্গে যায়। সব সময় মাছের গাড়ি বহন করা হয় এইজন্য অনেক ফুলের গাছ নষ্ট হয়। আরো অন্যান্য কারণে সেভাবে সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে পারেনি। কৃত্রিম সৌন্দর্য বৃদ্ধি না হলেও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অনেক। মানুষের বসার জন্য জায়গা খুব কমই তৈরি করা হয়েছে কিন্তু বসার জায়গার অভাব নেই। পুকুরের পাড় গুলো অনেক উঁচা এবং মোটা করে বাধা। বিভিন্ন প্রকার দেশি-বিদেশী গাছ রয়েছে গাছের পাশে বসার ও জায়গা রয়েছে। আর সুন্দর সুন্দর সব নাম না জানা-অজানা ফুলের গাছ এমনভাবে সারিবদ্ধ ভাবে লাগিয়েছে যে কোন জায়গায় বসে গল্প করা যায় প্রিয়জনের সাথে সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করা যায়।


IMG_20231121_154038.jpg

IMG_20231121_154100.jpg

IMG_20231121_154153.jpg



আগে জানতাম বাইরের প্রেমিক-প্রেমিকারা এখানে এসে আড্ডা দিত। কয়েকজন আবোল-তাবোল কাজে লিপ্ত হতো কিন্তু সেগুলা কঠোর ভাবে দমন করা হয়েছে। তাই ফ্যামিলি নিয়ে এখন স্বাচ্ছন্দ্যবোধে সেখানে ঘুরতে যাওয়া যায় বা কিছুটা সময়ের জন্য রিলাক্সে বসে থাকা যায় গল্প করা যায়। কোন প্রকার অশ্লীলতা চোখে পরবে না। আমি মনে করি এমন সুন্দর একটি পার্ক গ্রামে থাকার প্রয়োজন রয়েছে,তবে অবশ্যই নিয়ম শৃঙ্খলা এভাবেই কঠোর ভাবে বজায় রাখতে হবে। যেন ছোট ছোট বাচ্চাদের নিয়ে যেয়ে বিভিন্ন ফুলের সাথে পরিচয় করে দেওয়া, প্রাকৃতিক পরিবেশের মাঝে নিজেদের সুস্থ মন মানসিকতা বজায় রাখার এমন কিছু সুযোগ সুবিধা সৃষ্টি হয় এখানে। আমিও শুনেছি দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে এই পার্ক ভ্রমণে অনেক মানুষ এসে থাকে, শিক্ষার সফল বা বনভোজনের জন্য। গ্রামে যদি এমন সুন্দর কিছু প্রতিষ্ঠান সৃষ্টি হয় সত্যি সে গ্রামের জন্য সৌভাগ্য। যাহোক আমি কিছুটা সময়ের জন্য বিকেল মুহূর্তে হাজবেন্ডের সাথে এখানে উপস্থিত ছিলাম এবং বেশ ফটো ধারণ করেছিলাম।


IMG_20231121_153910.jpg

IMG_20231121_154003_1.jpg

IMG_20231121_153950.jpg

IMG_20231121_160143_1.jpg

IMG_20231121_160204.jpg
Camera: Huawei P30 Pro-40mp
লোকেশন

কিছু তথ্য

ফটোগ্রাফিপার্ক
ফটোগ্রাফি ডিভাইসমোবাইল ফোন
ক্যামেরাHuawei P30 Pro-40mp
লোকেশনLocation
ফটোগ্রাফারসিমরান
দেশবাংলাদেশ


সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

received_434859771523295.gif

আমার পরিচয়

আমি মোছাঃ সিমরান জারা। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সদস্য সুমন জিরো নাইন এর পরিবার। আমার বাসা গাংনী মেহেরপুর। আমি একজন গৃহিণী। আমি ফটোগ্রাফি, রেসিপি পাশাপাশি ব্লগ করতে বেশি পছন্দ করে থাকি। এছাড় বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাঘুরি করতে ভালো লাগে। আমি এসএসসি পাশ করেছি। গাংনী ডিগ্রী কলেজে অধ্যায়ণরত রয়েছি।

Sort:  

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

 3 months ago 

আসলে গ্রামের দিকে যেতে আমার মনটা সব সময় চায়। যদিও গ্রাম বাংলার অলিগলি সবকিছুই মানুষের খুবই প্রিয়। আর এই গ্রামের দিকে গেলে দেখবেন যে মনটা যেন আপনা আপনি ভালো হয়ে যায়। যাইহোক আপনি গ্রামের পার্কে গিয়ে যেসব ছবি তুলেছেন সেগুলো সত্যিই খুব ভালো ছিল। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

Posted using SteemPro Mobile

 3 months ago 

আপনি খুব সুন্দর মন্তব্য করেছেন দেখে খুশি হয়েছি ভাইয়া।

 3 months ago 

পার্ক থেকে তোলা বিভিন্ন দৃশ্যের চমৎকার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে আমার খুবই ভালো লেগেছে। একই সাথে প্রত্যেকটি ফটোগ্রাফির খুবই সুন্দর ভাবে বর্ণনা উপস্থাপন করেছো। আর সত্যিই বর্তমানে আমাদের গ্রামের পার্কের পরিবেশটা অত্যন্ত মনোরম সার্বিক দিক থেকে। যাহোক আমাদের গ্রামের পার্কের চমৎকার ফটোগ্রাফি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

Posted using SteemPro Mobile

 3 months ago 

হ্যাঁ এখন খুব সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে

 3 months ago 

আপনি আজকে আমাদের মাঝে বেশ দারুন একটি ফটোগ্রাফি পোস্ট শেয়ার করেছেন। আপনার শেয়ার করা প্রত্যেকটি ফটোগ্রাফি দেখতে আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। আসলে এই পার্ক দেখে মনে হচ্ছে আমার বেশ চেনা চেনা। আমার কাছে সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে রঙ্গন ফুলের ফটোগ্রাফি। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।

Posted using SteemPro Mobile

 3 months ago 

হ্যাঁ আপনি তো আগে থেকে চিনবেন

 3 months ago 

গ্রামের পার্কের খুব সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন। প্রতিটা ফটোগ্রাফি বেশ ভালো লাগলো। ফ্যামিলি নিয়ে এ রকম একটি জায়গায় ঘুরতে যেতে পারলে ভালোই লাগে। পার্কের পরিবেশটা খুবই সুন্দর ছিল। ফুলের ফটোগ্রাফি গুলো আমার কাছে সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ আপনাকে।

 3 months ago 

পুকুরপাড় হাওয়াই সুন্দর্য বেশি

 3 months ago 

এই পার্কটি আমাদের গ্রামের পাশে আর আপনি এত এক্সাইটেড ছিলেন পার্কটি নিয়ে এবং সৃষ্টিকর্তা কি ইচ্ছা আপনাকে ওই গ্রামে বিয়ে দিয়ে দিল।আপনাদের হয়তো টিকিট লাগেনা কিন্তু আমাদের জন্য টিকিট লাগে 🥺সামান্য কিছুক্ষণ থাকলেই ৫০ টাকা চাই। ৫০ টাকা চাইলেও ভিতরে বেশ সুন্দর সুন্দর দৃশ্য। পুকুর, ফুল সবমিলিয়ে দারুন একটা মুহূর্ত উপভোগ করা যায়। আস্তে আস্তে অনেক সুন্দর করে তৈরি করতেছে। আগে কিছু শোনা যায় তো ওখানে খারাপ কাজ হতো। এখন খুব একটা হয় না, বেশ কড়া ভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। ফটোগ্রাফি গুলো বেশ সুন্দর ছিল আপনার।

Posted using SteemPro Mobile

 3 months ago 

তাহলে আপনারাও এখানে আসেন ভাইয়া?

 3 months ago 

হুম আপু।মাঝেমধ্যে ওখানে যাওয়া হয়।

 3 months ago 

গ্ৰাম আমার কাছে বরাবরই ভীষণ ভালো লাগে। আপনি গ্ৰামের পার্ক থেকে বেশ কিছু চমৎকার ফটোগ্রাফি করেছেন। ফটোগ্রাফি গুলো দেখে আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। আসলে পরিবার নিয়ে এমন মনোমুগ্ধকর জায়গায় ঘুরতে গেলে ভীষণ ভালো লাগে। ধন্যবাদ এতো সুন্দর কিছু ফটোগ্ৰাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

 3 months ago 

জি ভাইয়া, সুন্দর একটি মুহূর্ত ছিল আমাদের।

 3 months ago 

আপনার ভাষাগত দক্ষতার আরো উন্নতি প্রয়োজন। কমিউনিটিতে যারা ভালো মানের জেনারেল রাইটিং পোস্ট লেখে আপনি সেই পোস্টগুলো বেশি করে পড়বেন। তাহলে আশা করি আপনার ভাষাগত দক্ষতার উন্নয়ন হবে। ধন্যবাদ আপনাকে।

 3 months ago 

আমি অন্যান্যদের পোস্ট পড়ার চেষ্টা করি ভাইয়া। ইনশাল্লাহ আস্তে আস্তে ঠিক হয়ে যাবে।

Coin Marketplace

STEEM 0.20
TRX 0.14
JST 0.030
BTC 64155.87
ETH 3422.91
USDT 1.00
SBD 2.59