কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমি আপনাদের দোয়ায় মোটামুটি অনেক ভালো আছি। সকলকে শুভকামনা জানিয়ে শুরু করছি নতুন একটি পোস্ট। আজকে আমি আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি মাছের সুন্দর একটি রেসিপি নিয়ে। আশা করি আমার এই রেসিপি আপনাদের অনেক অনেক ভালো লাগবে। চলেন এখনই আমার রেসিপির কাজ শুরু করে দেই।
ক্রমিক নম্বর | উপাদান | পরিমান |
১. | ঝাল | ১৫ পিচ |
২. | লবণ | পরিমাণ মতো |
৩. | পেঁয়াজ | ১ পিচ |
৪. | রসুন | ১ পিচ |
৫. | গরম মসলা | চার খন্ড |
৬. | মসলা বাকলা | ছয় খন্ড |
৭. | ধনিয়া পাতা | সামান্য কিছু |
৮. | তেজপাতা | ২ পিচ |
৯. | পানি | পরিমান মত |
১০. | চিংড়ি মাছ | ৫ পিচ |
১১. | ফলুই মাছ | ৫ পিচ |
১২. | তেল | পরিমাণ মতো |
ধাপ 1️⃣
রান্নার শুরুতেই রান্নাঘরে আমি মসলা জাতীয় উপাদানগুলো পাশাপাশি চিংড়ি ও ফুলুই মাছ সুন্দরভাবে পরিষ্কার করে একটি পাত্রের মধ্যে নিয়ে উপস্থিত হলাম। এবার আমার রান্নার কার্যক্রম শুরু করে দিলাম।
ধাপ 2️⃣
এবার মাছগুলো ঝাল হলুদ এর গুড়া ও লবণ দিয়ে একটি গামলার মধ্যে মাখিয়ে নিলাম। এদিকে বিশেষ নজর রাখতে হবে যেন খুব ভালোভাবে মসলাগুলো মাছের সাথে লেগে যায়।
ধাপ 3️⃣
এরপর আমি আমার চুলা অন করলাম রান্নার কাজ শুরু করার জন্য। চুলার উপর তরকারি রান্নার কড়াইতে বসিয়ে দিলাম। এরপর তার মধ্যে পরিমাণ মতো সয়াবিন তেল ঢেলে দিলাম। এবার তেলের মধ্যে একের পর এক মাছগুলো দিয়ে দিলাম। মাছ দেওয়ার সাথে সাথে কড়াইয়ের মধ্যে তেল ও মাছ টগবগ করে ফুটতে থাকল। কিছুটা সময় ধরে আমি চুলাতে জ্বাল দিতে থাকলাম।
ধাপ 4️⃣
এরপর মাছগুলো উল্টে পাল্টে মুচমুচে করে ভাজার চেষ্টা করলাম। মাছগুলো যখন মাছ ভাজা হয়ে গেল, একটি গামলার মধ্যে তুলে নিলাম।
ধাপ 5️⃣
এবার কড়াইয়ের মধ্যে আবার পরিমাণ মতো তেল দিলাম। এরপর তেলের মধ্যে ঝাল পেঁয়াজের কুচিগুলো দিয়ে দিলাম। সেগুলো ভালোভাবে সিদ্ধ করতে থাকলাম। এরপর কড়াইয়ের মধ্যে যাবতীয় মসলাগুলো দিয়ে দিলাম। মসলা গুলো ভালোভাবে সিদ্ধ করে নিলাম।
ধাপ 6️⃣
এবার কড়াইয় এর মধ্যে গরম মসলার উপর ভাজা মাছ গুলো দিয়ে দিলাম। মাছগুলো সুন্দরভাবে ফুটতে থাকল। এরপর হাফ কাপ পরিমাণ পানি ঢেলে দিলাম ঝোল করার উদ্দেশ্যে। তারপর একটি ঢাকনা দিয়ে কড়াইটা ঢেকে দিলাম। কয়েক মিনিট পর ঢাকনা তুলে দিয়ে ভালোভাবে চামচ দিয়ে নাড়তে থাকলাম কড়াইয়ের মধ্যে।
শেষ ধাপ
কিছুটা সময় ধরে চুলায় জ্বাল দেওয়ায় আর কড়াইয়ের মধ্যে চামচ দিয়ে নাড়তে থাকায় সমস্ত মসলাগুলো মাছের সাথে যুক্ত হয়ে সুন্দর রান্নার কাজ শেষের দিকে চলে আসলো। এরই মধ্যে সুন্দর বাসনা ও নাতি আসতে লাগলো আমি চামচ দিয়ে কিছুটা পরিমাণ ঝোল উঠিয়ে পরীক্ষা করে দেখে নিলাম সুস্বাদু কেমন হয়েছে। রান্না শেষে কড়াই থেকে একটি গামলার মধ্যে সমস্ত তরকারি নামিয়ে নিলাম। এভাবে আমার রান্না সম্পূর্ণ হলো।
শেষ কথা
খাবার টাইমে পরিবারের সকল সদস্যের মাঝে আমার রান্না এই মাছ পরিবেশন করলাম। যেহেতু চিংড়ি মাছ আমাদের পরিবারের সবাই পছন্দ করে রান্নাটা সুন্দর হওয়ায় অনেকেই প্রশংসা করলো। আর এভাবে পরিবেশনের মধ্য দিয়ে আমার কার্যক্রম সম্পন্ন হল। আমার মাছ রান্না কেমন লেগেছে আপনাদের সেটা অবশ্যই জানাবেন।
পোস্ট বিবরণ
আমার পরিচিতি | কিছু বিশেষ তথ্য |
আমার নাম | @simransumon |
ফটোগ্রাফি ডিভাইস | মোবাইল |
ব্লগিং মোবাইল | itel vision 1 |
ক্যামেরা | 8mp |
আমার বাসা | মেহেরপুর |
আমার বয়স | ২০ বছর |
আমার ইচ্ছে | আমার বাংলা ব্লগে ব্লগ করা |
ব্লগটি ভিজিট করার জন্য ধন্যবাদ।
আমি মোছাঃ সিমরান জারা। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সদস্য সুমন জিরো নাইন এর পরিবার। আমার বাসা গাংনী মেহেরপুর। আমি একজন গৃহিণী। আমি ফটোগ্রাফি এবং রেসিপি করতে বেশি পছন্দ করে থাকি। পাশাপাশি বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাঘুরি করতে ভালো লাগে। আমি এসএসসি পাশ করেছি। গাংনী ডিগ্রী কলেজে অধ্যায়ণরত রয়েছি।
চিংড়ি মাছ এবং পাবদা মাছের মিশ্রণে মজাদার একটি রেসিপি প্রস্তুত করেছেন।
আসলে চিংড়ি মাছ আমার খুবই প্রিয় যেকোনোভাবে রেসিপি প্রস্তুত করা হোক না কেন খেতে অনেক ভালো লাগে।
আপনার রেসিপি প্রস্তুতপূরনালে এবং ফটোগ্রাফি দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে খুব সুস্বাদু হবে।
চিংড়ি মাছ আমারও খুব প্রিয় ভাই
চিংড়ি মাছ ও পাবদা মাছের মিশ্রণে খুবই সুস্বাদু একটা রেসিপি তৈরি করে ফেলেছেন৷ এরকম সুন্দর ও সুস্বাদু রেসিপি দেখতে পেরে খুবই ভালো লাগলো৷ চিংড়ি মাছ এমনিতেই অনেক সুস্বাদু হয়ে থাকে। যেভাবে আপনি এই দুই মাছ একসাথে রান্না করে ফেলেছেন তা নিঃসন্দেহেই সুস্বাদু বলা যায়৷
আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম ভাইয়া
চিংড়ি মাছের রেসিপি গুলো আসলেই অনেক ভালো লাগে। আপনি তো দেখছি একই সাথে চিংড়ি মাছের সাথে ফলুই মাছ রান্না করেছেন। আপনি নিজে রান্না করে পরিবারের সবাইকে পরিবেশন করেছেন এটা দেখে খুবই ভালো লাগলো।
আমার জন্য সুবিধা হয়েছে খালা রান্নাও করছি ফটো তুলছি।
চিংড়ি মাছের মজাদার রেসিপি দেখলেই আমার খুবই লোভ লেগে যায়। আপনি মজাদার মাছের রেসিপি তৈরি করেছেন দেখেই অনেক বেশি লোভনীয় লাগতেছে। এরকম মজার মজার রেসিপি গুলো দেখলে খুবই খেতে ইচ্ছে করে। মাছ খেতে পছন্দ করে না এরকম মানুষ খুব কম রয়েছে। আমি তো সব রকমের মাছ খুব পছন্দ করি। আপনি এখানে যে মাছগুলো রান্না করেছেন, এগুলো সবগুলোই আমার পছন্দের।
জ্বি ভাইয়া, মাছ আমার খুবই প্রিয়।
বর্তমান সময়ে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে অনেকেই মাছ রান্নার রেসিপি শেয়ার করছে প্রতিনিয়ত। মাছের সাথে যদি আলু এবং বেগুন যুক্ত করা হয় সেই সাথে এখন যেহেতু শীতের মৌসুম ফুলকপি দিয়ে মাছ রান্না করলে খেতে অনেক বেশি সুস্বাদু লাগে। মজাদার এই রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
একদম ঠিক বলেছেন ফুলকপির সাথে মাছ খেতে ভালো লাগে
চিংড়ি মাছ ও ফলুই মাছ এর মিশ্রণ খুব সুস্বাদু একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। আপনার রেসিপিটি দেখে খুবই লোভনীয় লাগছে। চিংড়ি মাছ আমার খুবই প্রিয়। যেকোনো রেসিপিতে আমার চিংড়ি মাছ বা ইলিশ মাছ দিলে খেতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত রান্নার প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে দেখিয়েছেন। সুস্বাদু ও মজাদার একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
আপনাদের পোস্টগুলো দেখেই তো শিখতে পারছি।
আপনি আজকে দেখছি সুস্বাদু মাছ রান্না করেছেন। এটি তো আমার ভীষণ ভালো লাগলো। এই মাছগুলি খেতে অনেক ভালো লাগে গরম ভাতের সাথে। আপনি প্রয়োজনীয় উপকরণগুলি সঠিক মাত্রায় তুলে ধরেছেন, প্রতিটি ধারা খুব সুন্দর করে উপস্থাপনা করেছেন। আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইল। দারুন ছিল আপনার উপস্থাপনা
আপনাদের এক একজনের পোস্ট দেখে শিখছিলাম।
বেশ লোভনীয় একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার রেসিপি দেখেই বোঝা যাচ্ছে এটি অনেক সুস্বাদু হয়েছে। আপনি আপনার রান্নার পদ্ধতি আমাদের মাঝে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন। শুভকামনা রইল আপনার জন্য
দোয়া করবেন যেন আরো সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে পারি।
আপনি দেখছি দু প্রকার মাছ একসাথে রান্না করেছেন। খুব লোভনীয় লাগছে দেখতে।সুস্বাদু হয়েছিল নিশ্চয়ই। ধাপে ধাপে খুব সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন। সব মিলিয়ে অসাধারণ সুন্দর হয়েছে রেসিপিটি। ধন্যবাদ সুন্দর লোভনীয় রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।
জি আপু আমাদের পরিবারে এভাবে রান্না করা হয়ে থাকে
কয়েক ধরনের মাছ একসাথে রান্না করেছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো। মাছ রান্না প্রতিটি ধাপ খুবই সুন্দরভাবে আপনি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য
আপনাকেও জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ আপু, খুবই ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য দেখে।