স্বামীর সহযোগিতায় কাপড় কাচার অনুভূতি
কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমি আপনাদের দোয়ায় আলহামদুলিল্লাহ অনেক ভালো আছি। সকলকে শুভকামনা জানিয়ে শুরু করছি আজকের একটি পোস্ট। আজকে আমি আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি স্বামী স্ত্রী দুইজন মিলে কাপড় কাচার অনুভূতি নিয়ে। পরিবারে একে অপরের সহযোগিতা সবার জন্যই কাম্য। তেমনি আমার এই ব্লগটি।
পেটে বাবুর বয়স যখন সাত মাস পার হয়ে যাচ্ছে, তখন আব্বা আমাকে নিতে আসবে। এমন মুহূর্তে আমি আমার স্বামীকে বললাম তোমার ময়লা জামা কাপড় গুলো কেচে দিয়ে যায়, নাই আর কাচা হবে না অনেকদিন। সে আমাকে বলে বসলো তোমার এই অবস্থায় কাঁচতে হবে না, আমি নিজেই কাচতে পারি। হঠাৎ প্রশ্ন করেছিলাম, 'আমি যখন ছিলাম না তোমার কাপড় কেচে দিত?' সে উত্তর দিয়েছিল যখন অম্মা দিয়েছে দিয়েছে পাশাপাশি আমি সুযোগ পেলে নিজেই কত কাপড় কেচেছি। সিঙ্গেল লাইফের কাপড় কাচার অনুভূতি দিয়ে পোস্ট করে সাই-ফক্স এর সাপোর্ট নিয়েছি, আবার সেই সাপোর্টের টাকা দিয়ে পাউডার কিনে এনে আবার কাপড় কেচেছি। কথাটা ইন্টারেস্টিং মনে হয়েছিল।
সে তার অতীতের একাধিক কাপড় কাচার ব্লগ পোস্টগুলো আমাকে দেখালো। এরপর পুকুর পাড়ে চলে গেল। আমি ভাবলাম আমিও এমন একটা ব্লগ দিব। তার ময়লা জামা কাপড় কাচা শুরু করলাম। আমার বড় জা @jannatul01 কে বলেছিলাম কিছু ফটো ধারণ করে দিতে। সবে মাত্র কয়েকটা ফটো সে তুলেছে এর মধ্যে আমার স্বামী এসে উপস্থিত। আমার কাপড় কাচতে দেখে দ্রুত আমার হাত থেকে কাপড় দিয়ে দিল। সে বলল এই মুহূর্তে ভারী কাপড় তোমার কাচা ঠিক হবে না। এরপর দুইজন মিলেই কাপড় কাচার কাজ শুরু করলাম। পাতলা জামাকাপড় গুলো আমি আর ভারিগুলো সে।
তার উপস্থিতিতে জান্নাতুল আপুর আর কামাই হয়ে ফটো তুলতে হলো না। সে কাজ শুরু করলো, আমি সহযোগিতা করতে থাকলাম আর ফটো তুললাম।
শীতকালীন পোশাক থেকে শুরু করে অনেকগুলো জামা কাপড় এনেছিলাম কাচার উদ্দেশ্যে। আমার কিছু জামাকাপড় আর তার কিছু। দুইজন মিলে নিজেদের সুবিধামতো পরিষ্কার করতে থাকলাম। সে রাগ দেখিয়ে বলতে থাকলো, এখন তোমার কাপড় কাচার সময় না। আর আমারও সময় নেই, কিসের জন্য অযথা এতকিছু কাচতে হবে। আমি তার রাগ কমানোর জন্য বারবার ছাই-ফক্সে সাপোর্টের কথা বলছিলাম। আর এভাবেই দুজনা হাসাহাসি আনন্দ রাগারাগির মধ্য দিয়ে আমাদের কাজ চলতে থাকলো।
এভাবেই তার সহযোগিতায় শীতকালীন জামাকাপড় স্বাভাবিক জামা কাপড় এমনকি দুইটা কাঁথা কাচা হয়ে গেল। এরপর তার সহযোগিতায় রোদে শুকাতে দিলাম। অতঃপর শুকানো হয়ে গেলে ঘরে ওঠালাম। তার সহযোগিতা আমাকে অনেক উপকৃত করেছিল। হয়তো টানে টানে অনেক কাপড় ভিজিয়ে ফেলেছিলাম কিন্তু এতগুলো একলা কাচতে গেলে আমার সমস্যা হতে পারতো। তার সহযোগিতার পরেও আমি বেশ ব্যথা অনুভব করেছিলাম। যাই হোক, এভাবেই দুইজন মিলে একটা দিন কাপড় কাচলাম।
আমি মোছাঃ সিমরান জারা। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সদস্য সুমন জিরো নাইন এর পরিবার। আমার বাসা গাংনী মেহেরপুর। আমি একজন গৃহিণী। আমি ফটোগ্রাফি, রেসিপি পাশাপাশি ব্লগ করতে বেশি পছন্দ করে থাকি। এছাড় বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাঘুরি করতে ভালো লাগে। আমি এসএসসি পাশ করেছি। গাংনী ডিগ্রী কলেজে অধ্যায়ণরত রয়েছি।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
বিশ্বে যা কিছু মহান সৃষ্টি তা চিরকল্যাণকর অর্ধেক যার করিয়াছে নারী অর্ধেক তার নর।
এমন বর ঘরে ঘরে দরকার। এই পোস্টটি যারা পড়বে তারা বুঝবে যে আমার দেবরটা কত হেল্পফুল। খুব ভালো লাগলো তোমার সুন্দর পোস্ট দেখে।
সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ
ভীষণ ভালো লাগলো সুন্দর একটি অনুভূতি শেয়ার করলেন আপু। আসলেই প্রেগনেন্সিতে ভারি কাজ গুলো না করা উচিত। ভাইয়া আপনাকে বেশ সহযোগিতা করলো দেখে বুঝতে পারছি। এমন সহযোগী মানুষ পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার। আশা করি আপনার পোস্টে ও ভালো সাপোর্ট পাবেন সে কামনা করছি। একটা বিষয় খুবই মজার ছিল কাপড় কাচার ব্লগ শেয়ার করে সাইফক্সের ভোট পেয়েছিল। সেই টাকা দিয়ে পাউডার কিনেছিল ভীষণ ইন্টারেস্টিং ঘটনা।
জি আপু সুযোগ পেলে সে আমার অনেক সহায়তা করে
প্রেগ্ন্যাসিরর এমন হাই টাইমে আপনি মোটেও বিচক্ষণের মতোন কাজ করেন নি আপু এতগুলো কাপড় ভিজিয়ে! না হয় থাকতো পরে কয়েক মাস! তাই বলে আপনি বেশ বড় সর রিক্স ই নিয়ে ফেলেছিলেন। তবে সুমন ভাই বেশ দ্বায়িত্ববান মানুষের মতোন কাজ করেছেন।
হ্যাঁ আপু সেসব দিকে খেয়ালী
মামার সহযোগিতায় আপনি অনেক সুন্দর ভাবে কাপড় কাচার সুন্দর একটি মুহূর্ত আপনি শেয়ার করেছেন। আপনার পোস্ট পড়ে বেশ ভালো লাগলো। এরকম পোস্ট এই প্রথম আমি দেখলাম। যাইহোক পোস্টটি দেখে বেশ ভালো লাগলো ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ, বিভিন্ন কাজে বেশ সহযোগিতা করে সে।