কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমি আপনাদের দোয়ায় আলহামদুলিল্লাহ অনেক ভালো আছি। সকলকে শুভকামনা জানিয়ে শুরু করছি আজকের একটি পোস্ট। আজকে আমি আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি আমাদের গ্রামের বাড়িতে ঘুরতে গিয়ে রাস্তার পাশ থেকে বাপ চাচাদের ফসলের মাঠ ফটোগ্রাফি করেছিলাম, সেই ফটো নিয়ে। শীতকালীন এই ফসলের মাঠ দেখতে বেশ ভালো লাগে, আশা করি ফটো গুলো ভালো লাগবে আপনাদের।
মন মানসিকতা যখন ভালো থাকে না, তখন প্রাকৃতিক পরিবেশের মধ্যে যদি একটু ঘোরাফেরা করা যায়; তাহলে অবশ্যই মন ভালো হয়ে যায়। আর আমাদের এখানে ঘর থেকে বের হলেই শুধু পুকুর আর পুকুর। প্রাকৃতিক পরিবেশের অভাব নেই এই জায়গায়। কয়েক মিনিট পুকুরপাড়ে হাঁটাচলা করলেই মনটা ভালো হয়ে যায়। শীত পেরিয়ে গেছে বললেই চলে তবে শীতল হাওয়া যেন ফালগুণের আগমন। প্রিয় মানুষটা যখন পুকুর পাড়ের দিকে চলছিল। ওই মুহূর্তে ফেলে যাওয়া জিনিসটা হাতে দিতেই কিছুটা পথ অগ্রসর হতে হয় আমার। আর ঠিক সেই মুহূর্তেই ক্যামেরাবন্দি করতে পারি বেশ সুন্দর প্রাকৃতিক পরিবেশের অপরূপ দৃশ্যগুলো আর অনুভব করি তার কমল হওয়া।
আমাদের এখানে রয়েছে বেশ বিভিন্ন পর্যায়ের প্রজেক্ট। যেখানে ফসল উৎপাদন, শাকসবজি উৎপাদন, এমন কলার বাগান পুকুর পাড়ে। ঠিক এমন সুন্দর পরিবেশের মাঝে যদি একটু শীতল হাওয়া গায়ে লাগে আর শীতের সময়ের মিষ্টি রোদের ছোঁয়া গায়ে লাগে তাহলে ক্ষতি কিসে। দেখলাম আমাদের দাদীরা তাদের পুকুর পাড়ের কলা বিক্রয় করছে। কিসটা সময় ধরে সুন্দর এই দৃশ্য উপভোগ করার চেষ্টা করলাম। আমাদের পুকুর পাড়েও এমন গাছ রয়েছে। তবে অতদূর যাওয়ার এই মুহূর্তে আমার প্রক্রিয়ার সম্ভাব হয়ে উঠল না। দেখলাম আমাদের ছোট আন্টির নামে এই প্রজেক্ট গড়া হয়েছে।
দুইজন ভাই যে কলা গুলো পরিপুষ্ট হয়েছে সেগুলো কেটে ক্রয় করে নিয়ে যাচ্ছে। আমরা দুইজন কিছুটা সময় সেখানে দাঁড়িয়ে দেখার চেষ্টা করেছিলাম। এরপর সেখানে বেশ বিস্তারিত কথা শুরু হলো অনেক কষ্ট করে বিভিন্ন স্থানে তার জাল দিয়ে পাশের বাসার আঙ্কেল রা তাদের পুকুরপাড় ঘিরে ছিল। এরপর এই সুন্দর কলাবাগান তৈরি করেছিল পুকুর পাড়ে কিন্তু বর্তমান পাড়ার অনেক মানুষ অত্যাচার করে ছাগল গরু দিয়ে নাকি তাদের কাজগুলো নষ্ট করে দিচ্ছে। অবশ্য বাস্তব দৃশ্য গুলোও দেখলাম সেখানে আমি। তাই দেখলাম আমাদের সেই দাদি বলাবলি করছিল কলা গুলো যখনই ফুরিয়ে যাচ্ছে পাশের গাছগুলো ছাগলে হতে দিচ্ছে না এরপরে কলা আর হবে কোথা হতে। তাই দাদিমা বললো আবারও সুন্দর করে ঘিরতে হবে পুকুরপাড়ের শাড়ি পাশ। অবশ্য আমাদের পুকুর পাড়ের চারিপাশ খুব সুন্দর করে সে ঘিরে রেখেছে। তাই ছাগল গরুর কোন অত্যাচার নেই আমাদের ওখানে। সত্যি এটা কিন্তু একটি লাভজনক ফসল কিন্তু মানুষের ছাগল গরু দিয়ে অথবা ছাগল গরুর খাবার হিসেবে পাতা কেটে নিয়ে গাছগুলো নষ্ট করে যায় এটাই খুবই কষ্টদায়ক।
হঠাৎ এই বিষয় নিয়ে যখন গল্প চলছিল। কলা ক্রয় করছিল যারা তারা বলে বসলো, আপনারা কলা উৎপাদন করতে পারলেই আমাদের জন্য লাভ, আমাদেরও বেচাকেনা করে কিছুটা আয় উপার্জন করতে পারব। আপনাদের কিছুটা আর্থিক লাভ হবে পাশাপাশি একটা সিস্টেম বজায় থাকবে দেশের জন্য। কিন্তু যারা এই সমস্ত ফসল বা পরিকল্পিত একটা খামার নষ্ট করে দেয় তাদের শাস্তির ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। যাইহোক এভাবে বেশ কিছু কথা শুনেছিলাম। আর ফটোগ্রাফি করেছিলাম সেখানে।
Camera: Huawei P30 Pro-40mp
সোর্স
কিছু তথ্য
ফটোগ্রাফি | প্রাকৃতিক দৃশ্য |
দৃশ্যপট | পুকুরপাড় ও কলাবাগান |
ফটোগ্রাফি ডিভাইস | মোবাইল ফোন |
ক্যামেরা | Huawei P30 Pro-40mp |
লোকেশন | গাংনী থানা |
ফটোগ্রাফার | সিমরান |
দেশ | বাংলাদেশ |
সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমি মোছাঃ সিমরান জারা। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সদস্য সুমন জিরো নাইন এর পরিবার। আমার বাসা গাংনী মেহেরপুর। আমি একজন গৃহিণী। আমি ফটোগ্রাফি, রেসিপি পাশাপাশি ব্লগ করতে বেশি পছন্দ করে থাকি। এছাড় বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাঘুরি করতে ভালো লাগে। আমি এসএসসি পাশ করেছি। গাংনী ডিগ্রী কলেজে অধ্যায়ণরত রয়েছি।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
আমি ঠিকই বলেছেন শীত প্রায় চলেই যাচ্ছে। শীতের হাওয়া পেরিয়ে যেন ফাল্গুনের আগমন ঘটেছে, তার পুকুর পাড়ে খুবই সুন্দর মুহূর্ত উপভোগ করেছেন। আপনার দাদিরা কলা বিক্রি করছে।ছোট আন্টির নামের একটি প্রজেক্টর হয়েছে আসলে বিষয়গুলো অসাধারণ ছিল।
হ্যাঁ আঙ্কেল আন্টির নামে প্রজেক্ট খুলেছে।
আপনি একদম সত্য কথা বলেছেন যখন আমাদের মন খুবই খারাপ থাকে তখন যদি প্রকৃতিক পরিবেশের মাঝে সময় কাটানো যায় তাহলে মনটা অনেকটাই ভালো হয়ে যায়। প্রকৃতির মধ্যে কি এমন যেন রয়েছে এটা আসলে আমি বলতে পারি না আমিও মাঝে মাঝে যখন প্রকৃতির সান্নিধ্যে যাই তখন মনটা আপনা আপনিই ভালো হয়ে যায়। দারুন কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন পুকুরপাড়ে দারুন একটা মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন পুকুরের চারিদিকে বাধা হয়েছে যার কারণে হাঁটাহাঁটি করতে অনেক বেশি ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপনার প্রকৃতিক পরিবেশের মাঝে কাটানো মুহূর্তটা আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য।
তাইতো আমি প্রাকৃতিক পরিবেশ পছন্দ করি ভাইয়া