আপনারা কেমন আছেন সকলে? আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমি আপনাদের দোয়ায় আলহামদুলিল্লাহ অনেক ভালো আছি। সকলকে মাধবীলতা ফুলের শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি আজকের একটি পোস্ট। আজকে আমি আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি বেশ কিছু রেনডম ফটোগ্রাফি নিয়ে। চলুন তাহলে পোস্টটি শুরু করা যাক।
Photography device: Infinix hot 11s
প্রথমে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন নার্সারি থেকে উঠানো ভিন্ন রকমের এক রঙিন পাতা জাতীয় গাছ। গাছগুলো দেখতে কিছুটা বাঁধাকপি গাছের মতো। প্রথমে দেখে আমি তো মনে করেছিলাম বাঁধাকপি অথবা ফুলকপি গাছ হতে পারে। তবে এরপর জেনেছিলাম এগুলো বাধাকপি না এক প্রকার পাতা জাতীয় গাছ। বাগান বাড়ির সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে এই গাছ সারিবদ্ধ ভাবে লাগানো হয়।
এই দুইটা নারিকেল গাছের চারা। আমাদের বাড়ির পুকুর পাড়ের দিকে আমরা দুইজন রোপন করেছিলাম। তবে শুনেছি এর মধ্য থেকে একটি নাকি মারা গেছে। বর্ষার সময় এই জায়গায় পানি উঠে যায়। হয়তো জলাবদ্ধতার কারণেই মারা গেছে।
এটা আমার অতি পরিচিত আসমান খালি বাজার। এখানে আমার নানা বাড়ি। তাই ছোট থেকে এই বাজার আমার খুব পরিচিত। বিভিন্ন সময় প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে আব্বুর সাথে এই বাজারে উপস্থিত হয়েছি। এই বাজারটা পানের জন্য বিখ্যাত। আশেপাশে এলাকায় যত পান উত্তোলন করা হয় এই বাজারে এসে বিক্রয় করে। আলমডাঙ্গা চুয়াডাঙ্গার মধ্যে সবচেয়ে বড় পানের বাজার আসমান খালি বাজার। একদিন বাড়ি ফিরতে এখানে উপস্থিত হয়েছিলাম। পাতা ঝরা দিনে, বাজারের ওপর বটগাছটা শুধু ডালপালা নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে।
পুকুরপাড় থেকে উঠানো বেশি কলমি শাক ও ফুল। এজাতীয় মেঠো ফুলগুলো আমার খুবই ভালো লাগে। যখন মাঠে বা পুকুর পাড়ে উপস্থিত হয়, এমন কিছু ফটো ধারণ করি; যেন অন্যরকম ভালোলাগা খুঁজে পায়।
এটা ডিম বিক্রয়ের গাড়ি। ভ্যান গাড়িওয়ালা ভাইটা অনেক ভালো মানুষ। বাজারের দোকানে দোকানে বিদেশি মুরগির ডিম দিয়ে যায়। আমার আব্বুর সাথে বেশ ভালো মিল। মাঝেমধ্যে প্রয়োজন না থাকলেও ডিম রেখে যাই, পরবর্তীতে টাকা নাই। অনেকে ডিম কিনে ব্যবসা করে কিন্তু উনার নিজের বেশ কয়েকটা মুরগির ফার্ম রয়েছে। সেই ডিম সহ পাশের অন্যান্যদের কাছ থেকে ডিম সংরক্ষণ করে এভাবে গাড়িতে করে দোকানে দোকানে দিয়ে যায়।
এই ছবিটা আমাদের পুকুরপাড়ের বেগুন গাছ থেকে ধারণ করেছিলাম। একদিন সবজির উত্তোলনের জন্য উপস্থিত হয়েছিলাম পুকুরে। তখন বেশ অনেকগুলো ফটো ধারণ করেছিলাম এভাবে। নিজেদের বাগানে উৎপাদিত শাকসবজি খাওয়ার মজা আলাদা। যেকোনো মুহূর্তে প্রয়োজন বোধে উঠিয়ে আনা যায়।
এটা একটি লাউ। লাউটা পাকিয়ে বীজ করার জন্য রেখে দেওয়া হয়েছে। আমাদের পুকুর পাড়ে বারো মাস বিভিন্ন প্রকার সবজি থাকে। তবে লাউ টাও ঠিক এভাবে রাখা হয়। এখান থেকে বীজ তৈরি করে আবার পুকুর পাড়ে রোপন করা হয়। এখান থেকে এভাবে বীজ তৈরি করতে পারলে বাজার থেকে কেনা লাগে না।
এটা শরৎকালের আকাশে একফালি সাদা মেঘ। ওই সময়ে আকাশের সাদা সাদা মেঘগুলো ভেসে বেড়ায়। এমন সুন্দর আকাশের চিত্র ক্যামেরাবন্দি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। যখন আকাশ পরিস্কার থাকে, এদিকে রোদের আলোয় সাদা মেঘগুলো ভেসে যেতে দেখতে অনেক ভালো লাগে।
গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
বিশেষ | তথ্য |
ক্যাটাগরি | রেনডম ফটোগ্রাফি |
লোকেশন | গাংনী-মেহেরপুর |
ফটোগ্রাফার | সিমরান জারা মৌসুমী |
ডিভাইস | মোবাইল ফোন |
মোবাইল | Infinix hot 11s |
দেশ | বাংলাদেশ |
সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমি মোছাঃ সিমরান জারা। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সদস্য সুমন জিরো নাইন এর পরিবার। আমার বাসা গাংনী মেহেরপুর। আমি একজন গৃহিণী। আমি ফটোগ্রাফি, রেসিপি পাশাপাশি ব্লগ করতে বেশি পছন্দ করে থাকি। এছাড় বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাঘুরি করতে ভালো লাগে। আমি এসএসসি পাশ করেছি। গাংনী ডিগ্রী কলেজে অধ্যায়ণরত রয়েছি।
আপনার রেনডম ফটোগ্রাফির সবগুলো ছবি অনেক সুন্দর হয়েছে আমার কাছে সবথেকে ভালো লেগেছে শরৎতের আকাশ।
আপনার ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
বেশ ভালো লাগলো আপু আপনার মন্তব্য পড়ে
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
খুবই সুন্দর কয়েকটি ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন আপু।আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দারুণ লেগেছে আমার কাছে।প্রতিটা ফটো খুবই দারুণ ভাবে তুলে ধরেছেন আপু।শরৎকালের আকাশের সাদা কালো মেঘ দেখতে খুবই ভালো লাগে।
আমি চেষ্টা করি আপু একটু সুন্দর করে ফটো ধারণ করতে
বিভিন্ন ধরনের ফটোগ্রাফি গুলো একসাথে শেয়ার করেছেন আপু।ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারণ হয়েছে। বিশেষ করে বেগুনের ফটোগ্রাফি আমার কাছে বেশি ভালো লেগেছে। অনেক ধন্যবাদ আপু চমৎকার ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করার জন্য।
ওটা আমাদের সবজি ক্ষেত থেকে উঠানো
সবাই প্রকৃতির দৃশ্যগুলো ক্যামেরাবন্দি করে আমাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করছে। আপনি আজকে ভিন্ন ভিন্ন দৃশ্য খুব সুন্দর ভাবে ক্যামেরা বন্দি করেছেন। এভাবে চেষ্টা করলে আরো সুন্দর ফটোগ্রাফি করতে পারবেন। আপনার করা ফটোগ্রাফি মোটামুটি ভালোই লেগেছে। আমাদের সাথে সুন্দর উপস্থাপনার মাধ্যমে তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ।
দোয়া করবেন ভাইয়া যেন সুন্দর সুন্দর ফটো ধারণ করতে পারি
অনেক সুন্দর সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি ধারণ করে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু। আপনার শেয়ার করা ফটোগ্রাফি গুলো দেখে খুবই ভালো লাগলো। বিশেষ করে আপনাদের শাক সবজির ফটোগ্রাফি গুলো দেখে বেশি ভালো লাগলো। আপনাদের লাউ টা দেখে মনে হচ্ছে অনেক বেশি বীজ সংগ্রহ করা যাবে এখান থেকে।
শাকসবজির ফটোগ্রাফি ভালো লেগেছে জেনে খুশি হয়েছি আমি।
চমৎকার সব রেনডম ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করতে দেখে বেশ ভালো লেগেছে। আশা করব এভাবে আমাদের মাঝে বিভিন্ন পর্যায়ের পোস্ট শেয়ার করবে এবং সুন্দরভাবে উপস্থাপন করবে পোস্টগুলো। রেনডম ফটোগ্রাফি গুলো বেশ ভালো লেগেছে আমার।
তোমার অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ
বেশ কয়েকটি ফুল ও প্রাকৃতিক দৃশ্যের ফটোগ্রাফীর সমন্বয়ে একটি অ্যালবাম সাজিয়েছেন।ফুল এবং প্রাকৃতিক দৃশ্যের ফটোগ্রাফী গুলো আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। আপনার তোলা সবজির ফটোগ্রাফী গুলো আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। আজকে বহুদিন পর লাউ দেখার সুযোগ হলো। এজন্য আপনাকে জানাই অনেক অনেক ধন্যবাদ।
সবজির ফুল ভালো লেগেছে যেন খুশি হলাম।
অনেক সুন্দর হয়েছে আপনার তোলা ফটোগ্রাফি গুলো। বিভিন্ন পর্যায়ের খুব সুন্দর কিছু রেনডম ফটোগ্রাফি করেছেন আপনি। যেগুলো অনেক বেশি সুন্দর হয়েছে। আর আমি তো দেখেই মুগ্ধ হয়েছি। আপনার সবগুলো ফটোগ্রাফি ভালো ছিল। আমার কাছে তো এক নাম্বার ফটোগ্রাফিটা সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে দেখতে। মাধবীলতা ফুলগুলো আমার খুবই পছন্দের। যার কারণে এই ফুলের ফটোগ্রাফি দারুন লেগেছে। অন্যান্য ফটোগ্রাফি গুলো ও অনেক সুন্দর হয়েছে। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
মাধবীলতা ফুল আমারও খুব পছন্দ
তোমার তোলার প্রতিটা রেনডম ফটোগ্রাফি গুলো অনেক সুন্দর হয়েছে। বিশেষ করে আমাদের পুকুরপাড়ে বেগুন ও লাউয়ের ফটোগ্রাফি দুটি অনেক ভালো লাগছে। আর নারিকেল গাছ দুটি এখন একটু বড় হয়ে গেছে। ধন্যবাদ তোমাকে সুন্দর সুন্দর রেনডম ফটোগ্রাফি সবার মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ও আচ্ছা। তাহলে তো ভালো