গতকালের বারাসাত ভ্রমণ -গঙ্গা নদী পারাপারের মধ্যে দিয়ে

in আমার বাংলা ব্লগ3 years ago (edited)

IMG_20210809_141838.jpg

09-08-2021 সোমবার -এই দিনটি একটা ভ্রমণের মধ্যে দিয়ে কেটে গেছিলো। সেটা হলো বারাসাত শহর ভ্রমন ।সেখান থেকে আমি আবার দিনের দিন বাড়ি চলে আসি।এখন যেভাবে গিয়েছিলাম এবং বাড়ি ফিরেছিলাম তার বর্ননা দেবো।

প্রথমে আমি রেডি হয়ে বাড়ি থেকে সাইকেল নিয়ে বেরোলাম। তারপর আমি 2 কিলোমিটার সাইকেল ভ্রমন করে পালসিট স্টেশন পৌঁছালাম। পৌঁছানোর পর আমি সাইকেল গ্যারেজে রেখে দিলাম।

এবার আমি টিকিট কাউন্টারে গিয়ে একটা শেওড়াপুলি রিটার্ন টিকিট কাটলাম 30 টাকা দিয়ে।তারপর স্টেশনে কিছু সময় বসার পর ট্রেন আসলো। ট্রেনে উঠলাম । 1ঘন্টা :45 মিনিট পর ট্রেন সেওড়াপুলি স্টেশন পৌছালো। ট্রেন থেকে নেমে আমি কিছু টা পথ হেঁটে শেওড়াপুলি গঙ্গার নদীর ঘাটে পৌছালাম।

6 টাকা দিয়ে একটা টিকিট কেটে আমি গঙ্গা নদী পার হয়ে মনিরাম পুর ঘাটে পৌঁছালাম। তারপর আমি 25 টাকা দিয়ে আটোতে ওঠে ব্যারাকপুর ট্রেন স্টেশনে পৌছালাম।

এবার আমি ভ্রমন টার রিলাক্স এর জন্য আমি বাসে না ওঠে আবার অটো তে উঠলাম। আমি জানি ব্যারাকপুর থেকে বারাসতের অটো তে 30 টাকা ভাড়া নেই। তবে একটা ঘটনা ঘটলো ।আমি বারাসতের উদ্দেশ্য অর্ধেক পথ যাওয়ার পর নীলগঞ্জ এ এসে অটো একটা চাকার লিক হয়ে যায়। তখন সে আমাদের কাছ থেকে 15 টাকা করে ভাড়া নিয়ে নামিয়ে দেয়। এমন একটা অটো ঠিক করে দেয়। এবার আমরা কয়েকজন নতুন অটো তে উঠলাম। বারাসাত হেলা বট তলায় নেমে পড়লাম। নেমে 20 টাকা করে ভাড়া দিতে হলো।

এর পর আমি হেটে কোর্টের মাঠে গেলাম সেখানে যেয়ে দেখি তেমন মাছ নেই আসলে বেলা 11 টার দিকে যাওয়ার ফলে মাছ আমার আশানুরুপ না হওয়ায় বড় বাজারে গেলাম । সেখানেও হেঁটে যেয়ে 2 কেজি বড় কাঁকড়া কিনলাম ।এরপর আমি 500 গ্রাম বাগদা চিংড়ি এবং 500 গ্রাম হরিণা চিংড়ি কিনলাম। টোটাল 750 টাকার মাছ কিনে আমি হেঁটে আবার কলোনির মোড়ে গেলাম।সেখানে টোটোতে উঠলাম।10 টাকা দিয়ে টোটো তে ওঠে বোনের ইস্কুল যোগেন্দ্রানাথ ইস্কুলের সামনে নামলাম।

কিছু সময় দাঁড়িয়ে আছি। প্রচুর ছাত্র ছাত্রী এমনকি তাদের অভিভাবকরা ও দাঁড়িয়ে আছে ।

একটা আনন্দের সাথে বলছি যে আমি দূরের থেকে বোনের TC আনতে যাচ্ছি।এই কথাটি বোনের ইস্কুলের একটা স্যার কে আগের দিন ফোনে বলে আসি ।মাঝে বাবা যখন গেছিলো তখন ওই স্যার বাবাকে বলেছিল আপনার ছেলেকে পাঠালে হবে আমি সবার আগে দিয়ে দেবো। সত্যি তাই ই দিয়েছিলো। অত লাইন টেনে নিতে গেলে প্রচুর সময় লেগে যেতো।

এবার স্যার ফোন করে আমাকে ডেকে নিলো তারপর আমি অফিসে গেলাম। আমাকে সবার আগেই কাজ টি করে দিলো। আমি স্যার কে ধন্যবাদ জানিয়ে আবার বাড়ির উদ্দেশ্য রওনা দিলাম।

একই ভাবি আমি টোটো 10 টাকা দিয়ে উঠে হেলা বট তলায় নেমে পড়লাম। তারপর 30 টাকা দিয়ে আবার অটো তে উঠে ব্যারাকপুর স্টেশন পৌঁছালাম। তারপর আবার 15 টাকা দিয়ে মনিরামপুর মা গঙ্গা নদীর ঘাটে পৌছালাম। সেখানে যখন গেছি তখন জোয়ার ছিলো। আমি আমার ফোনে মা গঙ্গা নদীর কিছু ছবি ক্যামেরা বন্দি করেছিলাম।

IMG_20210809_141849.jpg

My location

IMG_20210809_141726.jpg

IMG_20210809_141843.jpg

IMG_20210809_141731.jpg

IMG_20210809_141914.jpg

IMG_20210809_141922.jpg

তারপর 6 টাকা দিয়া টিকিট কেটে গঙ্গা নদী পার হয়ে হয়ে শেওড়াপুলি ঘাটে পৌছালাম। এবার কিছুটা হেঁটে যেয়ে স্টেশন পৌছালাম। করোনার জন্য লোকাল ট্রেন কম চলছে। আমি অনেকগুলো ট্রেন দেখলাম বিভিন্ন জায়গায় যেতে ।তারপর 3 ঘন্টা বসে থাকার পর আমি বার্ধমানে যাওয়ার ট্রেন পেলাম। ওঠে পড়লাম। তারপর আমি আবার 1 ঘন্টা 50 মিনিট ভ্রমন করে আমার স্টেশন পালসিট নেমে পড়লাম। এবার সামান্য হেঁটে যেয়ে 4 টাকা দিয়ে গ্যারেজ থেকে আমি সাইকেল নিলাম। আবার সাইকেল চালিয়ে 2 কিলোমিটার যেয়ে বাড়ি পৌছালাম। বাবা মা রাস্তায় এসে দাঁড়িয়ে ছিল আমি ফোন করার কারণে। এভাবেই কেটে গেলো কাল। তারপর এসে আমার মা বাগদা চিংড়ি রান্না করলো ।

IMG_20210809_141744.jpg

আমি ভেন্ডি দিয়ে কাঁকড়া ভাজি, ডাল, লাল শাক এবং আলু দিয়ে কাঁকড়া এবং বাগদা চিংড়ি ঝোল খেয়ে আমার রুমে গেলাম। কিছু সময় আমি discord এ dj গান শুনি । sagor বন্ধু থেকে শুরু করে অনেকের সাথে কথা বলে সবাইকে good night বলে ঘুমিয়ে পড়লাম।

ফোন ক্যামেরা : রেডমি নোট 10 প্র ম্যাক্স
ফটোগ্রাফার : @simaroy

ধন্যবাদ সকলকে।

রেগার্ডস : @simaroy

Sort:  
 3 years ago 

অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন।আপনার মূহুর্ত আমাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।

 3 years ago 

ভাইয়া অনেক ধন্যবাদ।

আমাদের কলকাতা বাসীর অনেক চেনা বড্ড ভালোবাসার নদী গঙ্গা নদী। ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য।

 3 years ago 

একদম ঠিক কথা। ধন্যবাদ ।

 3 years ago 

আপনার ছবিগুলো খুব সুন্দর হয়েছে। তবে সবচেয়ে ভালো লাগল করোনার জন‍্য আপনার সুরক্ষা ব‍্যবস্থা দেখে।

 3 years ago 

অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।

 3 years ago 

পরিবেশটা ভালো ছিলো তার সাথে সুন্দর ফটোগ্রাফি। মাঝে মাঝে আমিও নদীতে ভ্রমন করি, বেশ ভালো লাগে। ধন্যবাদ

 3 years ago 

অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া। আপনার ভালো লেগেছে আমি খুব খুশি।

 3 years ago 

অসাধারণ,অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন।আপনার মূহুর্ত আমাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।🥀

 3 years ago 

লিমন ভাইয়া আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। খুব সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

 3 years ago 

সত্যি ,আমার কাজের পাশাপাশি দীর্ঘ পথযাত্রার ক্লান্তির পর গঙ্গা নদীর বুকের উপর ভ্রমনে মনে একটু শান্তি মেলে।আবহাওয়াটা দারুণ ছিল ।ভ্রমণ সম্পর্কে লেখাটি সুন্দর।ধন্যবাদ দাদা।

 3 years ago 

তোমাকে অনেক ধন্যবাদ বোন।

 3 years ago 

বেশ ভাল সময় কাটিয়েছেন। ভাল লাগল।শুভ কামনা।

 3 years ago 

অনেক ধন্যবাদ আপু। আপনাকে অনেক শুভেচ্ছা রইলো।

 3 years ago 

অসাধারণ ভাবে উপস্থাপন করেছেন। আপনার যাত্রাটি খুবই সুন্দর ছিল।

 3 years ago 

ভাইয়া আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা রইলো অবিরাম।

 3 years ago 

ধন্যবাদ

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.15
JST 0.028
BTC 60191.71
ETH 2410.52
USDT 1.00
SBD 2.43