আমার লোকেশন
আমার লোকেশন
পরিমাণ উপকরণ
1500 গ্রাম কুঁশি/চিচিঙ্গা
200 গ্রাম ভাজি বড় কাঁকড়ার ঠ্যাং
5 পিচ কাঁচা লঙ্কা
30গ্রাম সরিষার তেল
3 গ্রাম জিরে
1 পিচ পেঁয়াজ
1 পিচ রসুন
1.5 চামচ হলুদ
2 চামচ লবন
প্রয়োজনমত জল
আমার লোকেশন
■প্রথমে আমি গাছ থেকে কুশিগুলো বা চিচিঙ্গা গুলো তুলেছিলাম। যখন আমি চিচিঙ্গা গুলো বা কুঁশি গুলো গাছ থেকে তুলেছিলাম তখন আমার বোন কিছু ছবি তুলেছিলো। সেই ছবি গুলি আমি শেয়ার করবো।
প্রথমেই চিচিঙ্গা গাছের কিছু ছবি
আমার লোকেশন
আমার লোকেশন
আমার লোকেশন
যখন আমার বাড়ির সবজি বাগানের চিচিঙ্গা বা কুশি গাছ থেকে কুশি / চিচিঙ্গা তুলছিলাম তখনের ছবি
আমার লোকেশন
আমার লোকেশন
আমার লোকেশন
এখন আমি কুশি /চিচিঙ্গা ভাজির রেসিপি শেয়ার করছি
আমার লোকেশন
ধাপ 1
আমার লোকেশন
প্রথমে আমি কুঁসি /চিকিৎসা গুলির ছাল ফেলে দেবো। তারপর কুঁচি কুঁচি করে কেটে নেবো। এবার পরিষ্কার জল দিয়ে ধুয়ে নেবো।কাঁচা লংকা ,পেঁয়াজ ও রসুন ও কুঁচি কুঁচি করে কেটে নেবো।
আমার লোকেশন
ধাপ 2
এবার কড়াই এ সরিষার তেল দেবো। তারপর কিছু সময় গরম করবো।
ধাপ 3
আমার লোকেশন
এবার পেঁয়াজ, রসুন,জিরে গরম তেলের মধ্যে দেবো। কিছু সময় ভেজে নেবো।
ধাপ 4
এবার কুঁসির / চিচিঙ্গার মধ্যে হলুদ ,লবন, কাঁচা লংকা মিশিয়ে দেবো।
ধাপ 5
এবার আমি কুশিগুলো/ চিচিঙ্গা গুলো ভেজে নেবো 5-6 মিনিট ।
ধাপ 6
এবার আমি ভাজি বড় কাঁকড়ার ঠ্যাং কুশির চিচিঙ্গার সাথে মিশিয়ে দেবো। তারপর আমি আবার 7-8 মিনিট কুশি ভেজে নেবো। এইভাবেই কুশি / চিচিঙ্গা ভাজির তরকারি রান্না করেছিলাম।
আমার লোকেশন
রেসিপি সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা
■কাঁকড়া সবসময় রুচিশীল মাছ বলা যায়। কাঁকড়া চিংড়ি এমন এক ধরণের মাছ যা এক টানা খেলেও অরুচি ধরে না। আবার আসি মাছে ভাতে বাঙালির কথা। বাঙালির পেটে যেনো নিরামিষ তেমন ঢুকতে চাই না ।ব্যক্তিগত অভিমত থেকে বললাম। এবার আসি সবজি তরকারির কথায় এক সবজি বার বার খেতে অরুচি লাগে। বাঙালি যেনো খেতে অনিচ্ছা সত্ত্বেও অনেক সময় পরিস্থিতির কারণে খেতে হয়। কিন্তু এই সকল তরকারি তে স্বাদ বাড়াতে কাঁকড়া চিংড়ি মাছের জুড়ি নেই। ধরুন যে তরকারি নিরামিষ খেতে ভালো লাগছে না। আপনি কাঁকড়া দিয়া রান্না করে এক টানা কয়েক দিন খেয়ে দেখুন তবুও রুচি থাকবে। আজ আমি সেইরকম একটা রেসিপি শেয়ার করলাম। যে রেসিপি নিরামিষ বার বার খেতে আবার অনিচ্ছুক হলেও কাঁকড়ার দিয়ে রান্না করলে ভীষণ স্বাদে খেতে পারবেন। আজ আমি কুশি /চিচিঙ্গা ভাজির রেসিপি ভাজি বড় কাঁকড়ার ঠ্যাং দিয়ে তৈরি করলাম। আশা করি সকলের ভালো লাগবে।
@simaroy এর স্টিমিট কমিউনিটিতে স্টিমিট নাম প্রথমে আমার মায়ের নাম অনুসারে আমি আমার ইউজার নাম দেয়। সেই জন্য আমার স্টিমিট একোউন্ট নাম @simaroy
আমার লোকেশন
ডিভাইস | রেডমি নোট 10 প্র ম্যাক্স Poco ম2 |
■আমার পরিচয়■
পেশা | পড়াশুনা ( বর্তমানে যাদবপুর ইউনিভার্সিটিতে MA পাঠ্যরত ছাত্র) |
চিচিঙ্গা গুলো তো খুবই ফ্রেশ। ক্ষেত থেকে সরাসরি তোলা ফ্রেশ সবজি খাওয়ার মজাই আলাদা।
যাইহোক, আমি কখনই কাকড়া খায় নাই এবং খাওয়ার কোন প্লান ও নাই। যারা খান তাদের কাজে লাগবে পোষ্ট খানা।
@hafiz34 ভাই ,অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। কাঁকড়া দিলে খেলে বেশ স্বাদের হয়। তবে যেহেতু আপনি কাঁকড়া খান না আপনি চিংড়ি মাছ দিয়ে চিচিঙ্গা ভেজে খাবেন সেটাও অনেক স্বাদের ভাইয়া। অনেক শুভেচ্ছা রইলো।
অনেক সুন্দর হয়েছে ভাই আপনার রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ
@limon88 ভাই ,আপনাকে ও অসংখ্য ধন্যবাদ।
ভালোবাসা অবিরাম 💖
আপনার জন্য অনেক অনেক শুভ কামনা ও শুভেচ্ছা রইলো ভাই ।
অনেক সুন্দর রেসিপি। আমি প্রথম দেখলাম এই রেসিপি।
এই সবজির নাম কি? ভাই
ভাইয়া আমরা এই সবজি টাকে" কুশি" বলি, অধিকাংশ জায়গায় "চিচিঙ্গা "নামে পরিচিত .।অঞ্চল ভেদে বিভিন্ন নামেই পরিচিত । ভাইয়া। আপনার এলাকায় জানি না কি নামে পরিচিত। অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া। আপনি জানার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। এই জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ। তবে চিচিঙ্গা বলেই মানুষ এই সবজি বেশি চেনে।
আমাদের এলাকায় চিচিঙ্গা নামে পরিচিত। কুশি এই নাম টা প্রথম শুনলাম তাই জানতে চাইলাম। ধন্যবাদ ভাই 🙏
আমাদের আঞ্চলিক ভাষায় চিচিঙ্গা বা কায়তা বলা হয়।
চিচিঙ্গা ভাজি খেয়েছি কিন্তু কাঁকড়া দিয়ে কখনো খাইনি। দেখে খুব সুস্বাদু মনে হচ্ছে। এবং চিচিঙ্গা গুলো একটু বেশি বড় মনে হচ্ছে।
@emon42 ভাইয়া। ঠিকই বলেছেন। চিচিঙ্গা গুলো বেশ বড় ।একদম কচি চিচিঙ্গা। নিজেদের বাড়িতে চাষ করা তো। নিজেরাই খাওয়ার উদ্দেশ্য চাষ করা বলে আমরা সার বিষ দেয় না ।সার বিষ বিহীন এই সবজি গুলি বেশ উপকারী। সত্যিই কাঁকড়া দিয়ে রান্না করলে স্বাদ হয় দুর্দান্ত। অনেক সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ভাইয়া।
এটা ভালো উদ্যোগ নিজের প্রয়োজনীয় সবজির কিছুটা নিজেরাই আবাদ করা।
আপনার বাগানের চিচিঙ্গা দিয়ে যে রেসিপি টি করেছেন সেটি অসাধারণ হয়েছে। সেইসাথে আপনার চিচিঙ্গার ছবিগুলো ছিল অসাধারণ।
@selinasathi1 আপু । অনেক সুন্দর মন্তব্যর জন্য অনেক ধন্যবাদ।
অন্যান্য পোস্টের তুলনায় এটি একটি ব্যতিক্রম লেগেছে। আপনি একদম গাছ থেকে শুরু করে কিভাবে এটি সংগ্রহ করলেন এভাবে কিভাবে রান্না করলেন, সবকিছু তুলে ধরেছেন। দেখেই মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু।
@alsarzilsiam ভাইয়া , অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া। অনেক অনেক উৎসাহ পেলাম মন্তব্য। অনেক শুভেচ্ছা ভাইয়া।
শুভ কামনা ভাই, ভালোবাসা অবিরাম।
বাড়ীর চিচিঙ্গা খেতে খুবই স্বাদ।তাও যদি হয় সারবিহীন।গাছের চিচিঙ্গাগুলি ঝুলন্ত অবস্থায় দারুণ লাগে দেখতে।ধন্যবাদ দাদা।
@green015 বোন। একদম ঠিক বলেছো। সারবিহীন চিচিঙ্গা খেতে খুব সুস্বাদু তা আবার কাঁকড়ার সাথে দারুণ মজা হওয়া স্বাভাবিক। অনেক ধন্যবাদ তোমাকে।
একেবারে কাঁকরোল গাছ থেকে শুরু করে পরিবেশন করা পর্যন্ত পুরো সময়টা খুব সুন্দর ভাবে দেখিয়েছেন। ধারাবাহিকভাবে বর্ন না সুন্দর ছিল। যে কেউ এই মজাদার রেসিপিটি বাসায় তৈরি করতে পারবে আপনার পোস্ট দেখে
@engrasayful ভাইয়া , অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। আপনার মন্তব্য অনেক উৎসাহ পেলাম। আপনার গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য অনেক শুভেচ্ছা। ভাইয়া আমরা এই সবজি টাকে" কুশি" বলি, অধিকাংশ জায়গায় "চিচিঙ্গা "নামে পরিচিত .।আপনাদের এলাকায় কাকরোল বলে কি। যায় হোক অঞ্চল ভেদে অনেক নামেই পরিচিত । শুভ কামনা।
আপনাদের সবজি বাগানটা তো বেশ বড়।নিজেদের বাগানের সবজি খাওয়ার স্বাদই আলাদা।টাটকা সব সবজি পাওয়া যায় সার বিহীন।গ্রামে থাকার এটা অনেক বড় একটা সুবিধা,যেখানে শহরের মানুষ ভেজাল সবজি খায় সেখানে আপনারা টাটকা সব সবজি খাচ্ছেন।খুবই ভালো হয়েছে রান্নাটা।ধন্যবাদ আপনাকে।
@wahidasuma আপু। হা আপু বেশ বড় সবজি বাগানটি। সারবিহীন সবজি খেতেও টেস্টি খুব। আপু আপনার মন্তব্য অনেক অনেক উৎসাহ পেলাম। অনেক অনেক শুভ কামনা ও ধন্যবাদ আপু।
একদম তাজা সবজি খেত থেকে তুলে এনে রান্না করা সত্যিই অসাধারণ।নিজের খেতের সবজি খেতে মজাই আলাদা।আপনার রেসিপিটা সু্স্বাদু হয়েছে অনেক দাদা।
@haideremtiaz ভাইয়া । একদম ঠিকই বলেছেন। তাজা সবজি যেমন পুষ্টিকর তেমনি ভালো খেতে। খুবই স্বাদের হয় ভাই। অনেক শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ ভাই