সুস্বাদু বড় কাঁকড়া দিয়ে কচুর মুখীর তরকারি রেসিপি
বড় কাঁকড়ার সমস্ত রকম রেসিপিগুলি স্বাদে অতুলনীয়। কারণ বড় কাঁকড়ার অসম্ভব রকমের স্বাদের কারণে সমস্ত সবজিতে ভালো মজে যায়। কচুর মুখী দিয়ে কাঁকড়ার রেসিপি সত্যিই ভীষণ সুস্বাদু একটি রেসিপি। আজ শেয়ার করছি আমি বড় কাঁকড়া দিয়ে কচুর মুখীর তরকারি রেসিপি।
উপকরণ
বড় কাঁকড়া 550 গ্রাম
কচুর মূখী 600 গ্রাম
হলুদ 1.5 টেবিল চামচ
লবন 2 টেবিল চামচ
কাঁচা লঙ্কা 8 পিচ
পেঁয়াজ 1 পিচ
রসুন 1 পিচ
গরম মসলা 3 গ্রাম
শুকনো লংকা 5 পিচ
জিরে 6 গ্রাম
তিনফোরণ 3 গ্রাম
সরিষার তেল 140 গ্রাম
সরষে 10 গ্রাম
আদা 2 গ্রাম
প্রয়োজনমত জল
ধাপ 1
প্রথমে আমি বড় কাঁকড়ার খোলস আমি হাত দিয়ে তুলে ফেলে দেবো। তারপর হাত দিয়ে বড় কাঁকড়া পরিষ্কার করে নিয়ে বটি দিয়ে কেটে নেবো। তারপর কাটা বড় কাঁকড়া গুলো পরিস্কার জল দিয়ে ধুয়ে নেবো।
ধাপ 2
এবার কড়াই এর মধ্যে জল দেবো প্রয়োজনমত। তারপর 1 টেবিল চামচ হলুদ এবং 1 টেবিল চামচ লবন দেবো তারপর কাঁকড়া গুলি দেবো। কাঁকড়া ভাজিও হয়ে যাবে জল ও পুরোপুরি শুকিয়ে যাবে। কাঁকড়া ভাজার পর কড়াই থেকে তুলে নেবো।
ধাপ 3
এবার আমি কচুর মুখী গুলি ভালোভাবে জলে ধুয়ে নিই। তারপর গরম জলে কচুর মুখী সেদ্ধ করে নিয়েছিলাম।
ধাপ 4
এরপর কচুর মুখী সেদ্ধ করার পর কড়াই থেকে নামিয়ে কচুর মুখীর খোসাগুলি নিজ হাতের দ্বারা ফেলে দেবো।
ধাপ 5
আমি কাঁচা লঙ্কা গুলো কেটে নেয়। রসুন এবং পেঁয়াজ কুচি কুচি করে কেটে নিই।
ধাপ 6
আমি শুকনো লঙ্কা ,আদা, সরষে,তিনফোরণ ,জিরে, গরম মসলা এক সাথে বেটে পেস্ট করে নিয়েছিলাম।
ধাপ 7
প্রথমে আমি ওভেনের ওপর কড়াই রাখি। তারপর আমি সরিষার তেল কড়াইয়ে ঠেলে দেই ।কিছু সময় সরিষার তেলটা গরম করে নিই।এবার তেলের মধ্যে কচুর মুখী গরম তেল দিয়ে কচুর মুখী ভেজে নেয়।
ধাপ 8
এভাবে কচুর মুখী গুলি ভেজে নিয়েছিলাম।কচুর মুখী ভাজার পর কড়াই এর মধ্যে কচুর মুখীর সাথে ,হলুদ, লবন এবং কাঁচা লংকা মিশিয়ে দেবো। তারপর আমি প্রয়োজনমত জল ঢেলে সেদ্ধ করবো 14-15 মিনিট ।
ধাপ 9
এবার ভাজা কাঁকড়া কচুর মুখীর সাথে মিশিয়ে 4-5 মিনিট সেদ্ধ করে কড়াই থেকে তুলে নিই।
ধাপ 10
এবার আমি মসলা পেস্ট কচুর মুখীর তরকারির সাথে মিশিয়ে দেবো।
ধাপ 11
আবার আমি আবার সরিষার তেল কড়াই থেকে দেয়। তেল টা সামান্য গরম করে আমি পেঁয়াজ এবং রসুন মিশিয়ে দেয়।
ধাপ 12
পেঁয়াজ এবং রসুন ভেজে নেওয়ার পর আমি তরকারি আবার কড়াই ঠেলে দেয়। আমি 7-8 মিনিট তরকারি সেদ্ধ করি।তারপর তরকারিটা তুলে নেয় কড়াই থেকে। এভাবে আমি বড় কাঁকড়ার সাথে কচুর মুখীর তরকারি রান্না করেছিলাম।
বড় কাঁকড়ার কিছু রেসিপি হোটেল রেস্টুরেন্টে পাওয়া যায়। বড় কাঁকড়ার স্বাদ খুব বেশি তাই যারা কাঁকড়া পছন্দ করেন তাদের কাছে খুবই স্বাদ লাগে। কিন্তু কচুর মুখীর সাথে বড় কাঁকড়ার রেসিপি হোটেল রেস্টুরেন্টে পাওয়া যায় না আমার জানা মতে। এটি একদম ঘরোয়া রেসিপি।বড় কাঁকড়ার সমস্ত রেসিপি আমার কাছে অতি প্রিয়। তাই আপনারাও কচুর মুখীর সাথে বড় কাঁকড়ার তরকারি অবশ্যই রেসিপিটি বাড়িতে তৈরি করবেন।
ডিভাইস | রেডমি নোট 10 প্র ম্যাক্স |
---|
লোকেশন | খাড়গ্রাম |
---|
ফটোগ্রাফার | @simaroy |
---|
রেসিপি ম্যাকার | @simaroy |
---|
ক্যাটাগরি | রেসিপি |
---|
■আমার পরিচয়■
নাম -সিদ্ধার্থ রায়
পেশা -পড়াশুনা ( বর্তমানে যাদবপুর ইউনিভার্সিটিতে MA পাঠ্যরত ছাত্র)
গ্রাম -খাড়গ্রাম পালসিট
থানা -মেমারী
জেলা -বর্ধমান
রাজ্য- পশ্চিম বঙ্গ
দেশ -ইন্ডিয়া
নাগরিক - ভারতীয়
10 % beneficiary to @shy-fox
রেগার্ডস | @simaroy |
---|
কাঁকড়া তো দারুন লাগে খেতে আমার। সকাল সকাল উঠে এত সুন্দর একটা খাবার রেসিপি। নিশ্চয়ই খুব সুস্বাদু খেতে হয়েছিল। আপনি খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
দিদি ঠিক বলেছেন খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছিলো। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
সুস্বাদু বড় কাঁকড়া দিয়ে কচুর মুখীর তরকারি রেসিপি খুবই সুন্দর ভাবে রান্না করেছেন এবং পরিবেশনাটি খুবই সুন্দর ছিল আর আপনি সত্যিই প্রতিনিয়ত নতুন নতুন রেসিপি আপনি আমাদের মাঝে নিয়ে আসেন যা খুবই ভালো লাগে। এইটা খুব সুন্দর ছিল। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আপনার মন্তব্য খুশি হলাম। শুভ কামনা রইলো আপনার জন্য ও। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া
কচু স্বভাবতই খাওয়া হয় কিন্তু কাকড়া খাওয়া হয় নাহ।কক্সবাজার ঘুরতে গিয়ে সামুদ্রিক কাকড়া খেয়েছিলাম ভালোই স্বাদ পেয়েছি। আপনার কাকড়ার রেসিপি তৈরি খুবই সুন্দর হয়েছে। শুভকামনা রইল আপনার জন্য ভাই।
কাঁকড়া খেতে সবসময়ই খুবই সুস্বাদু। ঠিক বলেছেন অনেক স্বাদের হয়েছিল। অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া। অপনার জন্যও অনেক শুভ কামনা রইলো।
আমি কাঁকড়া কখনো খাইনি ।দেখলেই কেমন যেন লাগে । কিন্তু আপনার কাঁকড়ার রেসিপি টা দেখে মনে হচ্ছে সুস্বাদু হয়েছে ।তাছাড়া আপনি খুব সুন্দর ভাবে রান্না করেছেন । শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
একদিন খেয়ে দেখবেন অনেক টেস্ট লাগে। আপনার ধারণা ঠিক অনেক সুস্বাদু হয়েছিলো। শুভ কামনা আপনার জন্য ও। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু।
এত বড় বড় স্টেপ কিভাবে তৈরি করেন সত্যি বুঝা খুবই কষ্টসাধ্য। কাঁকড়া নিয়ে আপনি আগেও একটি রেসিপি তৈরি করেছিলেন। আগের থেকে এটি সম্পূর্ণ আলাদা। মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু মানের একটি রেসিপি তৈরি হয়েছে। খুবই চমৎকার মনে হয়েছে আমার কাছে
আপনার ধারণা একদম সঠিক ভাই।অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া সুন্দর মন্তব্যর জন্য।
প্রতিনিয়ত আমাদের মাঝে ইউনিক বিষয়বস্তু শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক অভিনন্দন রইল
অনেক উৎসাহ পেলাম। অসংখ্য শুভেচ্ছা রইলো ।
আবার একটি সুন্দর রেসিপির সাথে পরিচিত হলাম দাদা।আপনাকে ধন্যবাদ দিয়ে শেষ করা যাবেনা।এতো দারুন দারুন রেসিপি করেন।মুগ্ধ হয়ে যায় শুভ কামনা দাদা।
আপনার মন্তব্য ভালো লাগলো। শুভেচ্ছা নিবেন। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া
এর আগে আমি কখনো কাঁকড়া খায়নি। তবে এখানে এসে কাঁকড়ার অনেকগুলো রেসিপি দেখলাম আপনাদের থেকে। কাঁকড়া এবং কচুরমুখী দিয়ে তৈরি রেসিপি টা খুবই সুন্দর হয়েছে। এবং সেই সাথে আরও ভালো হয়েছে আপনার রেসিপি টা।
কচুর মুখীর সাথে বড় কাঁকড়া ভীষণ সুস্বাদু রেসিপি। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া
সুস্বাদু বড় কাঁকড়া দিয়ে কচুর মুখীর তরকারি রেসিপিটা বেশ ভালো হয়েছে। তবে এই দরকার এটা কখনো খাওয়া হয়নি। জানিনা খেতে কেমন হবে। তবে দেখে মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু এবং টেস্টি হয়েছে। যাই হোক সব মিলিয়ে আপনার পোস্টটি অনেক সুন্দর ছিল। তাই আপনাকে আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই।
ভাইয়া একদিন খেয়ে দেখুন কেমন লাগে। খেতে অনেক মজা। অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ ভাইয়া
আমার খুব পছন্দের সুস্বাদু কাঁকড়া । বাড়িতে কখনো খাওয়া হয়না। কিন্তু কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত ঘোরার জন্য যখন যায় তখন ওইখানে খেয়ে থাকি। আপনি রেসিপিটি দেখিয়ে মনে করিয়ে দিলেন। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ জানাই এত সুন্দর সুস্বাদু বড় কাঁকড়া রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য
আপনি খেয়েছেন আপনি টেস্ট সম্পর্কে অবগত। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্যর জন্য ভাইয়া
এটি অবশ্যই খুব সুস্বাদু হবে এবং আমি কাঁকড়া খেতে খুব পছন্দ করি, এটি দেখে আমাকে ভোঁ ভোঁ করে তোলে, এবং অবশ্যই এই রেসিপিটি অবশ্যই খুব সুস্বাদু।এই সুস্বাদু রেসিপি জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এবং শুভকামনা আমার বন্ধু😊😊
আপনার সুন্দর অনুভূতি যুক্ত মন্তব্য আমি খুশি। আমার ও ভীষণ প্রিয়। অনেক অনেক ধন্যবাদ বন্ধু।