তিলে কাঁকড়ার ঝোল রেসিপি- 10 % beneficiary to @shy-fox
সূচনা
কাঁকড়ার নাম শুনলেই মনে হয় কাঁকড়া দিয়ে যে রেসিপি বানানো হোক না কেনো তা যেনো সুস্বাদু হতে বাধ্য। কারণ কাঁকড়া যে ভীষণ সুস্বাদু। আজ আমি আপনাদের মাঝে তিলে কাঁকড়ার ঝোল রেসিপি শেয়ার করবো। তিলে কাঁকড়া বড় কাঁকড়ার মত শাঁস না হলেও তরকারি মজাতে ও এই কাঁকড়ার জুড়ি নেই বললে অত্যুক্তি করা হবে না ।
উপকরণ
তিলে কাঁকড়া 300 গ্রাম
হলুদ 1 টেবিল চামচ
লবন 1.5 টেবিল চামচ
কাঁচা লঙ্কা 7 পিচ
শুকনা লঙ্কা 4 পিচ
জিরে 3 গ্রাম
তিন ফোড়ন 4 গ্রাম
গরম মসলা 2 গ্রাম
সরিষার তেল 150 গ্রাম
প্রয়োজন মত জল
বাবা এবং আমি মাছ ধরার কিছু মুহূর্ত ক্যামেরা বন্দি
কাঁকড়া যখন আমার হাত কামড়িয়ে আছে
ধাপ 1
■প্রথমে আমি তিলে কাঁকড়াগুলোর খোলা নিজ হাতে ফেলে দিয়ে তিলে কাঁকড়াগুলো ভালোভাবে কেটে নেবো। তারপর জল দিয়ে ধুয়ে নেবো। কাঁচা লঙ্কা ,পেঁয়াজ এবং রসুন কুঁচি কুঁচি করে বটি দিয়া কেটে নিলাম ।
ধাপ 2
■এখন আমি কড়াই এ জল দেবো। জল দেওয়ার পর আমি 1/2 টেবিল চামচ হলুদ এবং 1/2 টেবিল চামচ লবন দিয়ে কিছুটা ফুটিয়ে নেই। যখন বক বক করে হলুদ এবং লবন জলে ফুটবে তখন আমি তিলে কাঁকড়া গুলি কড়াই এ দেয়। তারপর আমি ফুঁটাতে থাকি। আমি এমনভাবে জল নেই যে জল ও ফুটিয়ে শুকিয়ে যাবে ,তিলে কাঁকড়া ও ভাজা হবে সাথে তিলে কাঁকড়ার ও লাল হয়ে যাবে।
ধাপ 3
■এবার তিলে কাঁকড়ার মধ্যে জল দেবো প্রয়োজন মত।আমি হলুদ ,লবন এবং কাঁচা লঙ্কা ও দেব তিলে কাঁকড়ার তরকারির মধ্যে।
ধাপ 4
■10-12 মিনিট পর যখন দেখবো তিলে কাঁকড়ার তরকারি সেদ্ধ হয়ে গেছে । তখন আমি তিলে কাঁকড়ার তরকারি কড়াই থেকে নামিয়ে নেবো।
ধাপ 5
■তবে সেটা বলবো তরকারি রান্না চলা কালীন আমি জিরে ,তিন ফোড়ন, শুকনা লঙ্কা, গরম মসলা শীল নোড়া নিয়ে বেটে এক সাথে পেস্ট করে নিয়েছিলাম এখন আমি নামানো তিলে কাঁকড়ার তরকারির মধ্যে ওই মসলা পেস্ট টি মিশিয়ে দেব ভালো করে।
ধাপ 6
■এখন আবার আমি কড়াই এ সরিষার তেল ঠেলে দেবো। কিছুটা গরম করার পর আমি কুঁচি কুঁচি করে কাটা পেঁয়াজ এবং রসুন দেবো গরম তেলের মধ্যে। তারপর পেঁয়াজ এবং রসুন ভাজার পর আমি তিলে কাঁকড়ার ঝোল তরকারি কড়াই এ ঠেলে দেবো।
■7-8 মিনিট বক বক তিলে কাঁকড়ার তরকারি টা ফুটিয়ে নামিয়ে নেবো। এভাবেই আমি তিলে কাঁকড়ার ঝোল রেসিপি রান্না করেছিলাম।
উপসংহার
তিলে কাঁকড়া ঝোল রেসিপি খুবই সুস্বাদু একটি রেসিপি এবং একটি ঘরোয়া রেসিপি ।আশা করি আপনাদের সকলের খুব পছন্দ হবে।আপনারা বাড়িতে রান্না করবেন এই রেসিপিটি ।শুভেচ্ছা রইলো সবাইকে।
@simaroy এর আসল পরিচয়
@simaroy এর স্টিমিট কমিউনিটিতে স্টিমিট নাম প্রথমে আমার মায়ের নাম অনুসারে আমি আমার ইউজার নাম দেয়। সেই জন্য আমার স্টিমিট একোউন্ট নাম @simaroy
ডিভাইস | রেডমি নোট 10 প্র ম্যাক্স |
---|
লোকেশন | খাড়গ্রাম |
---|
ফটোগ্রাফার | @simaroy |
---|
রেসিপি ম্যাকার | @simaroy |
---|
ক্যাটাগরি | রেসিপি |
---|
■আমার পরিচয়■
নাম -সিদ্ধার্থ রায়
পেশা -পড়াশুনা ( বর্তমানে যাদবপুর ইউনিভার্সিটিতে MA পাঠ্যরত ছাত্র)
গ্রাম -খাড়গ্রাম পালসিট
থানা -মেমারী
জেলা -বর্ধমান
রাজ্য- পশ্চিম বঙ্গ
দেশ -ইন্ডিয়া
নাগরিক - ভারতীয়
রেগার্ডস | @simaroy |
---|
কতদিন পর এই মজার খাবার টি দেখলাম। খাওয়া হয়না অনেক দিন। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য দাদা
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা। শুভেচ্ছা নিবেন।
ভাই আপনার রেসিপি টা অনেক সুন্দর ছিল, আর এমন রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আপনাকে আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া। শুভেচ্ছা নিবেন।
বাঙালিরা যে সব খাবার কষিয়ে খেতে পছন্দ করে তাদের মধ্যে অন্যতম কাঁকড়া।কাঁকড়ার নাম শুনলেই যেনো জিবে জল চলে আসে।কাঁকড়ায় প্রটিনের একটি বড় উৎস থাকে।আপনার রেসিপিটা খুব সুন্দর হয়েছে।শুভকামনা আপনার জন্য।
একদম ঠিক বলেছেন। বাঙালি মানেই মাছ ভাত। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া। আপনার সুন্দর গঠন মুলক মন্তব্যর জন্য ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা নিবেন।
শুভকামনা রইলো ভাইয়া
আপনার জন্য অনেক অনেক শুভ কামনা ভাইয়া
অনেক সুন্দর একটি রেসিপি ছিল এটা আর কিছু ফটোগ্রাফি অনেক বেশিই সুন্দর ছিলো। ধন্যবাদ দাদা রেসিপিটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে আপনার সুন্দর মন্তব্যর জন্য। শুভেচ্ছা নিবেন ভাইয়া।
পুকুরে থেকে কাঁকড়া সংগ্রহের দৃশ্য থেকে শুরু করে প্রতিটি পর্যায়ে পরিবেশনাটি অসাধারণ
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া ।শুভেচ্ছা রইলো।
কাকাড়া আমি কোনদিন খায়নি তবে শুনছি খেতে নাকি অনেক টেস্ট। আপনি যে ভাবে রেসিপি তৈরী করেছেন খেতে ভারি মজা হবে। এবং খুব সুন্দর আলোচনা করেছেন ধাপে ধাপে।
ঠিক শুনেছেন ভাইয়া। কাঁকড়া খুব সুস্বাদু। একদিন খেয়ে দেখবেন। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া। শুভেচ্ছা নিবেন
😍😍
অনেক সুন্দর পোস্ট করেছেন ভাই।
কাঁকড়ার রেসিপি কখনো খাওয়া হয় নি। এটার স্বাদ কেমন???
এটাই স্বাদ ভীষণ মজার। স্বাদ জানতে একবার খেতে হবে আপনাকে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া। শুভেচ্ছা নিবেন।
দাওয়াত দিলে রাইতে পারি 😊
অবশ্যই চলে আসুন বাড়িতে।রেঁধে খাওয়াবো ভাইয়া।
ধন্যবাদ ভাই।
দাওয়াত গ্রহণ করলাম।
আপনার রেসিপি অনেক সুন্দর হয়েছে। অনেক সুন্দর করে রেসিপি তৈরি করেছেন। আপনার জন্য শুভকামনা রইলো 🥀
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া। শুভেচ্ছা নিবেন।
কাকড়ার প্রশংসা শুনি সব সময়। কিন্তু কখনো খাওয়া হয়নি। আপনার কাঁকড়া রান্না দেখে মনে হচ্ছে খুবই সুস্বাদু হয়েছে খেতে। ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের সাথে এই সুন্দর রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
হা ভাইয়া ।কাঁকড়া খুব সুস্বাদু। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া। শুভেচ্ছা নিবেন।
কাঁকড়া আমি জীবনে একবার খেয়েছি তাও আবার কক্সবাজার ঘুরতে গিয়ে।সামুদ্রিক কাঁকড়া ভালোই লাগে। আপনার রেসিপি অনেক সুন্দর হয়েছে। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া। শুভেচ্ছা নিবেন।