কোজাগরী লক্ষী পূজার প্রসাদ হিসাবে খই তৈরি-
আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সকল সদস্য একটি পরিবারের সদস্য। যে পরিবারের নাম হলো "আমার বাংলা ব্লগ" । প্ৰথমেই এডমিন দাদারা এবং বন্ধুরা থেকে শুরু করে মডারেটর দাদারা এবং বাংলা ব্লগের সকল সদস্যের কোজাগরী লক্ষী পূজার শুভেচ্ছা জানাই আন্তরিক ভাবে। আজ কোজাগরী লক্ষী পূজা। হিন্দু ধর্মের মানুষেরা এই পূজা করে থাকে। কারণ দেবী মা লক্ষী দেবী হলেন আমাদের ধনসম্পত্তির দেবী। আমরা সেই বিশ্বাস রেখে দেবী মায়ের পূজা করি। কারণ আমরা হিন্দু হিসাবে শতভাগ বিশ্বাস করি মা লক্ষী দেবী -ধনসম্পত্তির দেবী ।
কোজাগরী লক্ষী পূজার বিশেষত্ব :
●কোজাগরী লক্ষী পূজার বিশেষত্ব হলো -এমন কোনো হিন্দু বাড়ি নেই যে এই পূজা টা করে না। সকল হিন্দু পরিবার প্রায়ই পূজাটা করে থাকে। এই কোজাগরী পূজায় সবাই যে ঠাকুর ডেকে পূজা করে ততা করবে এরকম বিধি নিষেধ নেই। অনেকেই ঠাকুর ডেকে বড় করে পূজা করে থাকে। অধিকাংশ মানুষই নিজেরাই পুঁথি পড়ে কোজাগরী লক্ষী পূজা করে থাকে। আমাদের বাড়িতে আমার বোন আজ পুঁথি পড়ে পূজা করেছে।
●পূজাতে প্রাসাদ হিসাবে নানাবিধ ফল ,মুড়ি , নারকেল, খই ,বাতসা , নাড়ু ছিলো। কোজাগরী লক্ষী পূজায় খই , নাড়ু যেনো থাকবেই থাকবে। দেবী মা লক্ষী নারকেল খুব পছন্দ করেন। নারকেল দিয়ে নাড়ু তৈরি পূজাতে সবাই ভোগ হিসাবে দেবী মাকে দিয়ে থাকেন। পূজা শেষ হলে মাকে সবার প্রথমে সকল প্রকার প্রসাদ দিয়ে তারপর অন্য সকলকে প্রসাদ বিতরন করা হয়।
●গতকাল আমার মা ধান দিয়ে খই তৈরি করেছে । আজ দেবী মা লক্ষী পূজাতে প্রসাদ হিসাবে দেবো বলে। সেই ভাবে দেবী মা লক্ষী পূজাতে আজ খই প্রসাদ হিসাবে দেওয়া হয়েছে।যে ভাবে খই তৈরি করা হয়েছে। তা ধাপে ধাপে ছবি সহ বর্ণনা করছি।
■প্রথমেই মা শুকনো ধান রৌদ্রে শুকিয়ে নিয়েছিলো ভালোভাবে। কারণ ধান টা একটু গরম করার জন্য। যাতে ভালোভাবে খই টা ফুটে।
■এবার আমি খালি কড়াই চুলার উপর রাখবো। জ্বলন্ত চুলায় কড়াই কিছুটা গরম করে নেবো।
■তারপর মা কড়াই এর মধ্যে শুকনো ধান দিলো। একবারে সব ধান দেয়া তো সম্ভব নয়। এই জন্য অল্প অল্প ধান নিজের সুবিধা মত দিয়ে ভেজে নেবো।
■নারকেলের সলার খুঁচি কাঠি দিয়ে নাড়া দিতে থাকি। ধান আস্তে আস্তে গরম হয়ে খই ফুটতে থাকে।
■আবার একই ভাবে কড়াই এর মধ্যে ধান দিলাম।
■কাঠি দিয়ে নেড়ে এভাবেই খই ভাজতে থাকলাম। একটু একটু করে ভেজে কুলার উপর রেখে দিলাম।
■সব খই গুলো কুলার মধ্যে যখন রাখা হয়েছে।
■কুলা দিয়ে নেড়ে আমি ধান গুলি যেগুলো খুব একটা ফোটে নি সেই গুলো না নিয়ে একটা প্যাকেটে রেখে দিলাম।
■যেসকল খই এ ধান আছে। ততা খই এর সাথে ধান আছে। সব ধান একটা একটা করে দ্রুত বেছে নেয়।
■ধান পুরোপুরি বেছে নেবার পর ধানবিহীন খই প্যাকেটে রেখে দিলাম। এভাবেই আমার মা খই তৈরি করেছিলো।
খই খুবই পুষ্টিকর খাবার। আশা করি খই এর উপকারিতা সম্পর্কে সবাই অবগত । আশা করি আমার মায়ের তৈরি খই আপনাদের ভালো লেগেছে।
সকলকে দেবী মা লক্ষী পূজার প্রসাদ খাওয়ার দাওয়াত দিলাম
ফটোগ্রাফার | @simaroy |
---|
10% beneficiary to @shy-fox
রেগার্ডস | @simaroy |
---|
ভাই খই খেতে অনেক সুস্বাদু। এগুলো কি বারিতে ভাজ্জা।ধন্যবাদ ভাই আমাদের মাঝে শেয়ার করা জন্য
হা ভাই খই সুস্বাদু। এই গুলি আমার বাড়িতে ভাজা ।ছবি দেখেই বুঝে গেছেন নিশ্চই। অনেক ধন্যবাদ ভাই।
খই আমি অনেক পছন্দ করি। খই আমার একটি প্রিয় খাবার। আমি কিনে খাই, কিন্তু হাতে কখনো বানায়নি, আপনার হাতে বানানো দেখে আমি শিখে গেলাম। আপনার জন্য শুভকামনা রইল
হা ভাই। এখন থেকে বাড়িতে ও বানাবেন। আপনার পোস্ট টা ভালো লেগেছে ,আপনার মন্তব্য আমি খুব খুশি। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া। আপনার জন্য ও শুভ কামনা ভাই
এই খই গুলোর একটা ব্যাপার বেশি ভালো লাগে তা হচ্ছে মুখে দিলেই একদম হাওয়াই মিঠাই এর মতো উবে যায়। আমার খুব পছন্দের খই গুলো।
অনেক ভালো লাগে।
ঠিক বলেছেন আপু। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে আপু
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
এই খইগুলো আমার খুবই পছন্দের
ছোটবেলায় খুব খেতাম
অনেক মজার
🥰🥰🥰🥰🥰
হা ভাইয়া। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
🙏❤️❤️❤️❤️🙏🙏
আমাদের এইদিকেও এই খই গুলো ভাজা হয়। আম্মা অনেকগুলো মহিলাকে ডেকে একসাথে বসে খই ভাজে কারণ অনেক সময়ের ব্যাপার।
আমার খুব ভালো লাগে এই খই গুলা আর স্বাস্থ্যের জন্য ও অনেক ভালো।
আপনার সুন্দর মন্তব্যর জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া। শুভেচ্ছা নিবেন।
খই খেতে আমার অনেক ভালো লাগে। আমার যতটুকু মনে পরে আম্মু ছোটবেলায় যখন খই দিতো অর্থাৎ যখন গূড় দিয়ে মেশানোর পর একটি পাত্রে আমাদের খেতে দিত। সময় গুলো হয়তো অনেক মিস করি যাইহোক ভাই অনেক সুন্দর তৈরি করেছেন। শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া ।শুভেচ্ছা রইলো।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই, আপনার সাথে একটু প্রয়োজন ছিল যোগাযোগ করতে ব্যর্থ হয়েছি
খই অনেক খেয়েছি দাদা, কিন্তু এর আগে কখনো বানানো দেখি নি। আপনার পোস্টের মধ্যমে দেখা হয়ে গেলো। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ দাদা।
আপনাকে লক্ষী পূজার শুভেচ্ছা দাদা।
একবার বানাবেন খৈ। অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া। আপনাকেও মা লক্ষী পূজার শুভেচ্ছা রইলো।
খইগুলি যখন পটপট করে ফুটছিল দেখতে খুবই ভালো লাগছিল।খুব সুন্দর উপস্থাপনা।ধন্যবাদ দাদা।
ঠিক। শুভেচ্ছা তোমায় বোন।