মহালয়ার সকালবেলা পবিত্র গঙ্গা নদী পার হলাম
গতকাল পবিত্র গঙ্গা নদী পারাপারের মধ্যে দিয়ে বারাসাত ভ্রমণটা সকলকে তুলে ধরবো। আশা করি ভালো লাগবে। আশা করি সবাই খুব সুস্থ আছেন,ভালো আছেন।ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন এই কামনা করি সবসময়।
প্রথমে বাড়ি থেকে আমার সাইকেল নিয়ে বেরিয়ে পড়ি। তারপর সাইকেল চালিয়ে পালসিট স্টেশনে পৌঁছায়। 15 মিনিটের মতো সময় লাগে। প্রায় 2 কিলোমিটার দূরে পালসিট স্টেশন। তারপর গ্যারেজে সাইকেল রেখে দিলাম।
তারপর আমি টিকিট কাউন্টার থেকে 15 টাকা দিয়ে শেওড়াপুলি জংশনের টিকিট কাটি। কিছু সময় পর ট্রেন আসে। আমি ট্রেনে উঠে পড়ি। তারপর দেড় ঘন্টা পর স্টেশনে পৌঁছায়।
শেওড়াপুলি স্টেশন থেকে নেমে পড়ে আমি কিছুটা পথ হেঁটে গেলাম ।তারপর গঙ্গার ঘাটে পৌছালাম। পৌঁছানোর পর আমি ঘাটে যেয়ে কিছু ছবি ক্যামেরা বন্দি করেছিলাম।
পবিত্র গঙ্গা জল
হিন্দু ধর্মের সবাই গঙ্গা জল কে 100% পবিত্র জল মনে করে পূজো করা হয়। যেকোনো পুজোতে গঙ্গার জল ব্যবহার করা হয়। আমি গঙ্গা নদীর কিছু ছবি তুলেছিলাম।
মহালয়ার কারণে গঙ্গা স্নান
বিশেষ দিনে প্রচুর মানুষ এক জায়গায় মিলিত হয়ে গঙ্গা স্নান করে ।এছাড়াও প্রতিদিন মানুষ পুজো দিয়ে ও বিভিন্ন জায়গায় মানুষ গঙ্গার তীরবর্তী স্থানে পুজো দিয়া গঙ্গা স্নান করে। গতকাল যেহুতু মহালয়া ছিলো মা দুর্গা দেবী মর্তে আসছেন। সেই জন্য সকালে প্রচুর মানুষ গঙ্গার স্নান করছিলো।আমি সেই দৃশ্য দূর থেকে তোলার চেষ্টা করেছি সাথে গঙ্গা নদীর।
টিকিট কেটে ফেরির দ্বারা গঙ্গা নদী পার হয়ে মনিরামপুর ঘাটে পৌঁছালাম। তারপর অটো করে 15 টাকা দিয়ে ব্যারাকপুর স্টেশনে পৌছালাম। তারপর 30 টাকা দিয়ে আবার অটো চড়ে বারাসাত হেলাবট তলা পৌছালাম। তারপর একটু টিফিন করে নিলাম।
এবার আবার 10 টাকা দিয়ে টোটো চড়ে কাঠ গোলা পৌঁছালাম। তারপর হেঁটে যেয়ে এক আত্মীয়ের বাড়ি গেলাম। সেখানে গিয়েছিলাম মেসো কে আনতে ।কারণ মেসো আমাদের বর্ধমানের বাড়িতে এখনো আসেন নি। সেখানে কিছু সময় থেকে খাওয়া দাওয়া করে বর্ধমানের উদ্দেশ্য রওনা দিলাম।
বাড়ি থেকে আবার সোজা দুই জন হেলা বট তলায় হেঁটে পৌঁছলাম। তারপর কিছু সময় অতিক্রম করার পর অটো চেপে ব্যারাকপুর পৌঁছলাম। তারপর আবার অটো চেপে মনিরামপুর ঘাটে গেলাম। সেখানে টিকিট কেটে গঙ্গা পার হলাম।
এবার শেওড়াপুলি ঘাটে পৌঁছনোর পর টিকিট কেটে মেসো কে নিয়ে শেওড়াপুলি স্টেশনে বসে থাকলাম। লোকাল ট্রেন না চলার দরুন দীর্ঘ সময় পর ট্রেন আসার পর আমরা বর্ধমান লোকাল ট্রেন এ উঠে পড়লাম। তারপর দেড় ঘন্টা পরে ট্রেন জার্নি করে পালসিট স্টেশনে পৌঁছায়। তারপর বাড়ির পাশে বাস কন্ট্রাক্টর কে ফোন করি। সে কোথায় আছে। সে বলে শক্তিগড় আছি। আমার বাড়ির সামনে দিয়ে সময়ের বাস চলে। আবার বাস পালসিট স্টেশনে আসার পর মেসোকে বাসে তুলে দিলাম। বাস কন্ট্রাক্টর কে টাকা দিয়ে বলে দিলাম আমাদের বাড়ির কাছে নামিয়ে দিতে। বাবাও দাঁড়িয়ে ছিলো।তারপর আমি গ্যারেজে 4 টাকা দিয়ে সাইকেল নিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। তারপর বাড়ি পৌছালাম সন্ধ্যা হয়ে গেলো। বাড়ি যেয়ে স্নান খাওয়া দাওয়া করলাম। তারপর একটু রেস্ট নিলাম। এভাবেই গতকাল কেটে গেলো।
সকলে শারদীয়ার আন্তরিক প্রীতি ও শুভেচ্ছা।
ডিভাইস | রেডমি নোট 10 প্র ম্যাক্স |
---|
ফটোগ্রাফার | @simaroy |
---|
10% beneficiary to @shy-fox
রেগার্ডস | @simaroy |
---|
পদ্মা নদী পাড় হওয়ার মুহুর্তের সময় করা ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারণ হয়েছে। আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে ফটোগ্রাফি গুলো। আপনার জন্য শুভকামনা রইল ভাই।
পদ্মা নদী নয়। গঙ্গা নদী। আপনার মন্তব্যর জন্য ধন্যবাদ ভাই।
মুভিতে বা টিভিতে গঙ্গা নদী দেখেছি তবে সামনা সামনি কখনই দেখিনি। সামনাসামনি বলতে সামনাসামনি দেখা সম্ভব নয়। তবে এভাবে ছবি তুলে কেউ কখনো দেখায় নি।
নদীটি খুব সুন্দর, আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। আপনার পোষ্টগুলো আমি সবসময় পড়ি। আমার কাছে খুবই ভালো লাগে।
অনেক সুন্দর মন্তব্যর জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
আসলে আপনার ফটোগ্রাফি গুলো অনেক ভাল ছিল এবং মহালয়ার সকালবেলা পবিত্র গঙ্গা নদী পার হলাম এই মুহূর্তে অনেক সুন্দরভাবে সময়টুকু অতিবাহিত করেছেন। খুবই ভালো লাগলো। শুভকামনা রইল আপনার জন্য
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া
দিনটি ব্যাস্ততা আর ঘুরা ঘুরির মধ্যে দিয়ে পার করেছেন দাদা।চিত্র গুলো আমার অনেক ভাল লেগেছে।আপনাদের গঙ্গা আমাদের পদ্মা এর রুপের শেষ নেয়।সব মিলিয়ে দারুন ছিলো।
একদম ঠিক বলেছেন। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া।
খুব সুন্দর হয়েছে ফোটোগ্রাফি গুলি।নদীর দৃশ্যগুলি সত্যিই মনমুগ্ধকর।ধন্যবাদ দাদা।
ধন্যবাদ বোন।