সকল বাঙালির অতি প্রিয় সুস্বাদু রেসিপি- "ছোলা ভাজি"
আজ আমি আপনাদের সকলের মাঝে হাজির হয়েছি সকল বাঙালির অনেক অনেক প্রিয় একটি রেসিপি ততা খাবার হলো" ছোলা ভাজি"। ভীষণ রকমের স্বাদের একটা খাবার। ছোলা ভাজি পছন্দ করে না এমনকি বাঙালি পাওয়া আমাদের চোখে অন্তত পড়ে নি। ছোলার উপকারিতা নিয়ে সবাই অবগত আছেন। নতুন করে আমি আর কিছু বলছি না ।তবে ছোলা প্রচুর মানুষ ভিজিয়ে সকালে খালি পেটে কাঁচা ছোলা খেয়ে থাকেন। যা শরীরের পক্ষে খুবই উপকারী । আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে জ্বলন্ত হাতিয়ার হিসেবে কাজ করে বললে অত্যুক্তি করা হবে না। এছাড়াও ছোলা রান্না করেও অনেকেই বিভিন্ন সবজির সাথে রান্নার দ্বারা খেয়ে থাকেন। আমি ছোলা ভাজি করেছি কিছু মসলার সংমিশ্রণের দ্বারা। এভাবেই বাড়িতে ঘরোয়া বানালে দুর্দান্ত স্বাদ হয়। তবে অনেকেই বাজারে অনেক দোকানে ছোলা ভাজি করে ছোলা ভাজি বিক্রি করে সেই ছোলার স্বাদ ভীষণ রকমের হয়। নিজের বাড়িতে নিজের হাতে বানানো ছোলা ভাজির স্বাদ ও মজাই আলাদা। আশা করি আপনারা বাড়িতে আমার এই ছোলা ভাজি রেসিপিটি বানাবেন। এখন ছোলার ভাজির সম্পূর্ণ পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করবো।
উপকরণ
ছোলা 350 গ্রাম
বড় পেঁয়াজ 3 টি
বড় রসুন 1 টি
হলুদ 1 টেবিল চামচ
লবন 1.5 টেবিল চামচ
শুকনো লংকা 5 টি
কাঁচা লংকা 6 টি
আদা 1 টুকরো
জিরে 2 গ্রাম
গরম মসলা ( দারুচিনি কাঠ, এলাচ, গোলমরিচ)3 গ্রাম
সরিষার তেল 120 গ্রাম
প্রয়োজন মত জল
ধাপ 1
■প্রথমে আমি ছোলা গুলো নিলাম। একটু ছোলা গুলো চোখের দেখা বেছে নিয়ে আমি সকালে জলে ভিজিয়ে রেখে দিলাম ।যাতে ছোলাগুলি কিছুটা নরম হয়ে যায়। ভালো সেদ্ধ হয় তাড়াতাড়ি।
ধাপ 2
■রাতে আমি ছোলা গুলি জল থেকে তুলে নিলাম। জল ফেলে দিলাম। ভালোভাবে পরিষ্কার জলে আবার কিছুটা ধুয়ে নিলাম।
ধাপ 3
■এবার আমি তিনটি বড় পেঁয়াজ নিয়ে পেঁয়াজ গুলি প্রথমে খোসা ফেলে দিলাম। তারপর আমি পেঁয়াজ গুলো পরিষ্কার জলে ধুয়ে নিলাম। পেঁয়াজ গুলি কুচি কুচি করে কেটে নিলাম।
ধাপ 4
■রসুনের খোসা ফেলে দিয়ে রসুনের "ক" গুলি বের করে নেবো।তারপর ফ্রেশ জলে সামান্য ধুয়ে নিলাম।
ধাপ 5
■এক এক করে হলুদ,লবন, আদা ,জিরে ,গরম মসলা এক জায়গায় করলাম।
ধাপ 6
■এবার কাঁচা লংকা এবং শুকনো লংকা ,আদা এক সাথে সিলের উপর নোড়া দিয়ে বেটে পেস্ট করে নেবো।
ধাপ 7
■এবার আমি উনুনের উপর কড়াই রেখে দিলাম। কড়াই টা সামান্য গরম করার পর তার মধ্যে সরিষার তেল 100 গ্রাম ঠেলে দেবো।
ধাপ 8
■তেল কিছু সময় গরম হওয়ার পর আমি পেঁয়াজ এবং রসুন দেবো। পেঁয়াজ রসুন গরম তেলে সামান্য ভেজে নেবো।
ধাপ 9
■পেঁয়াজ ও রসুন কিছুটা ভেজে নেবার পর আমি কাঁচা ছোলা ঠেলে দেবো। এবার কাঁচা ছোলা ভাজতে থাকবো ।
ধাপ 10
কিছু সময় ছোলা ভাজার পর আমি মসলা পেস্ট ছোলার মধ্যে মিশিয়ে দেবো। তারপর ভাজতে থাকবো।ভাজার মাঝে সামান্য সামান্য তেল মিশিয়ে দেবো ছোলার মধ্যে। টোটাল 15-20 মিনিট ভেজে নেবার পর আমি কড়াই থেকে ভাজি ছোলা নামিয়ে নেবো। এভাবেই আমি সুস্বাদু ছোলা ভাজি রান্না করেছিলাম।
ছোলা ভাজি খাবার খুবই জনপ্রিয় একটা বাঙালি খাবার। খেতে এতটাই মজাদার যে নতুন কিছু বলার অপেক্ষা রাখে। স্বাদ নিয়ে সবাই ই অবগত। আমি এটাই বলবো খুবই সহজ একটি রেসিপি। সবাই বাড়িতে অবশ্যই চেষ্টা করবেন। সকলকে শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ।
@simaroy এর আসল পরিচয়
@simaroy এর স্টিমিট কমিউনিটিতে স্টিমিট নাম প্রথমে আমার মায়ের নাম অনুসারে আমি আমার ইউজার নাম দেয়। সেই জন্য আমার স্টিমিট একোউন্ট নাম @simaroy
ডিভাইস | রেডমি নোট 10 প্র ম্যাক্স |
---|
লোকেশন | খাড়গ্রাম |
---|
ফটোগ্রাফার | @simaroy |
---|
রেসিপি ম্যাকার | @simaroy |
---|
ক্যাটাগরি | ছোলা ভাজি রেসিপি |
---|
■আমার পরিচয়■
নাম -সিদ্ধার্থ রায়
পেশা -পড়াশুনা ( বর্তমানে যাদবপুর ইউনিভার্সিটিতে MA পাঠ্যরত ছাত্র)
গ্রাম -খাড়গ্রাম পালসিট
থানা -মেমারী
জেলা -বর্ধমান
রাজ্য- পশ্চিম বঙ্গ
দেশ -ইন্ডিয়া
নাগরিক - ভারতীয়
10 % beneficiary to @shy-fox
রেগার্ডস | @simaroy |
---|
ছোলা আমাদের রোজাতে খুব বেশি খাওয়া হয়।
একদম একমাস প্রতিদিন।
তাই আমাদের খুব প্রিয় খাদ্য ই বলা চলে।
আপনার রান্নাটি ভালো হয়েছে।
ঠিক বলেছেন। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
ছোলা আমি খুব খাই। এটি অনেক পুষ্টিকর। অনেক অনেক ধন্যবাদ দাদা।
ঠিক বলেছেন। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু
বিকেলের নাস্তা হিসেবে এটি খুব অতুলনীয় এবং স্বাদ খুব চমৎকার। অনেক সুন্দর করে বিস্তারিত বর্ণনা করেছেন অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
একদম ঠিক বলেছেন। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া
আমাদের এখানে এটাকে "ছোলার ঘুগনি" বলে।আমার খুব প্রিয় একটি খাবার এটি বিশেষ করে মুড়ির সাথে খেতে দারুণ লাগে।আর পুরো রমজান মাসে অন্যান্য আউটেম এর সাথে এটি মাস্ট থাকা লাগতো।
ধন্যবাদ দাদা আপনাকে ছোলার পুষ্টিগুণ বর্ণনা করে রেসিপিটি সুন্দরভাবে উপস্থাপন করার জন্য।শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া গঠনমূলক সুন্দর মন্তব্য করার কোনো। ঠিক বলেছেন আপনি।
ভাই রমজান মাসে অনেক বেশি খাওয়া হয় এই খাবারটি এমনিতে বেশি একটা খাওয়া হয়না। আমার অনেক প্রিয় একটি খাবার ছোলা ভাজি। আপনি অনেক সুন্দর করে রেসিপিটি করেছেন ভালোই লেগেছে ভাই।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া।
ছোলা ভাজা খেতে অনেক ভালো লাগে দাদা। বিশেষকরে মুড়ির সাথে মিশিয়ে খেতে অনেক ভালো লাগে। সকাল বেলা ছোলা ভিজিয়ে খেতেও অনেক ভালো লাগে। খুবই পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ একটি রেসিপি। ধন্যবাদ দাদা আপনাকে।
অনেক ধন্যবাদ গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য ভাইয়া
ছোলা ভাজি আমার প্রিয় খাবার অনেক সুন্দর করে উপস্থাপনা করেছেন ধন্যবাদ আপনাকে আপনার জন্য শুভকামনা রইলো
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া
ছুলা খেতে খুব ভালো লাগে অনেক জনপ্রিয় একটি খাবার এবং আপনি অত্যন্ত সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে পরিবেশন করেছেন তা দেখার মত ছিল। প্রতিটি ধাপ আমাদের বুঝতে সক্ষম হয়েছে খুব ভালোভাবে আপনার জন্য শুভকামনা রইল। আপনি যেন এভাবে আরও সুন্দরভাবে আরো সুন্দর সুন্দর জিনিস আমাদের মাঝে তুলে ধরতে পারেন।
ঠিক বলেছেন। আপনার গঠন মুলক মন্তব্যর জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া
আসলেই ভাইয়া এই রেসিপিটি আমার কাছে ও অনেক সেরা ...এটি খাওয়ার মজাই আলাদা।। অনেক সুন্দর হয়েছে তোমার রেসিপিটি ভাইয়া
শুভ কামনা রইল ❤️
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া সুন্দর গঠন মূলক মন্তব্যর জন্য। শুভেচ্ছা রইলো।
ছোলা আমার খুবই প্রিয়। এই খাবারে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিগুণ রয়েছে। শরীরের শক্তি যোগাতে এই খাবারের ভূমিকা অপরিসীম।আপনি খুব সুন্দর ভাবে এই রেসিপিটি তৈরি করেছেন। আপনার জন্য রইল শুভকামনা।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া। শুভেচ্ছা নিবেন।