ভোগান্তি----- ১০% লাজুক খ্যাঁকের জন্য। @sikakon
-স্টুডেন্ট যারা আছেন হাত তোলেন।
-হাত তুললাম দুই জনেই।
- মামারা আইডি কার্ড দেখান।
- আইডি কার্ড কেন লাগবে এইযে দেখেন স্টুডেন্ট টিকিট। আইডি কার্ড না দেখে তো টিকিট দেয় নাই।
- সেটা বড় কথা নয়, রাস্তায় যত চেকার উঠবে সবাইকে আইডি কার্ড দেখানো লাগবে, বের করেন।
আইডি কার্ড বের করে চেকারের হাতে দিলাম। চেকার আইডি কার্ড প্যান্ট এ ঘসা মেরে ছবির সাথে চেহারা মিলাতে মিলাতে বললেন-
- ছবিতে তো দাড়ি নাই।
-ছবি অনেক আগের তোলা তখন দাড়ি ছিলো না, এখন উঠছে।
ভালোমত পরখ করে আইডি কার্ড টা দিয়ে দিলেন। চেহারা মিলে যাওয়াতে বোধ হয় কিছুটা মন খারাপ হয়ে গেলো তার। কোনো বোর্ড পরীক্ষায়ও এইভাবে প্রবেশপত্রের সাথে চেহারা মিলাইয়া দেখে নাই।
মামা সম্ভবত আমাদের সন্দেহ করছিলেন। এর আগে কখনো এই বাসে কোনো চেকার আমার আইডি কার্ড চেক করে নাই।
বাসে উঠার সময় অনেক হিসাব নিকাশ করে বাম পাশে বসলাম রোদ থেকে বাচার জন্য কিন্তু কিছুদূর যাওয়ার পরেই আমার হিসাব ভুল প্রমানিত হলো প্রচন্ড রোদের তাপে জানালা বন্ধ করে দিতে হলো। সব কিছু ঠিক ঠাক মতোই চলছিলো গুলিস্তান পৌছানোর আগে পর্যন্ত। গুলিস্তান পোছানোর পর দেখা হলো ঢাকা শহরের চিরচেনা জ্যামের সাথে। প্রচন্ড জ্যাম শুরু হলো গুলিস্তান থেকে।
এই জ্যামের মধ্যে সবজি কাটার অভিনব মেশিন নিয়ে উঠলেন এক হকার। নানা ভাবে বুঝাইতে লাগলেন তার এই কাটার হলো দুনিয়ার সেরা কাটার, যা দিয়ে চাইলেই যেকোনো সবজি মন মতো কেটে ফেলা যাবে সবচেয়ে কম সময়ের মধ্যে। কিন্তূ দূর্ভাগ্যের বিষয় হলো এত কষ্ট করে বুঝানোর পরেও কেউ সেই কাটারের গুরুত্ব বুঝলো না। মামা হতাশ হয়ে চুপচাপ দাঁড়িয়ে রইলেন, তার মুখের দিকে তাকানো যাচ্ছিলো না। মানুষের কান্নার চেহারা দেখে যতোটা না কষ্ট লাগে, হতাশ চেহারা দেখে বোধয় বেশি কষ্ট লাগে৷ যাইহোক, গাড়িতে বসে বেশিরভাগ সময় ঢাকা শহরের যানজট সমস্যা নিয়ে ভেবেছি। ভেবে অবশ্য কোনো কূল কিনারা পাই নাই, কারন এই সমস্যার পেছনে বিশেষ কোনো কারন দায়ী নয়, এই সমস্যার সাথে জড়িয়ে আছে হাজার টা সমস্যা। চিন্তা ভাবনা থেকে এইটা বুঝতে পারলাম শুধু মাত্র যানজট সমস্যা দূর করতে পারলেই আমাদের দেশের সব সমস্যা আপনা আপনি সমাধান হয়ে যাবে। আমাদের দেশের নানাবিধ সমস্যার ফসল হলো এই যানজট।
দেশের এত বড় বড় সমস্যা সমাধান করতে করতে কখন যেন ঘুমিয়ে পড়েছিলাম, ঘুম থেকে উঠে দেখি বাস পল্টন মোড়ে দাঁড়িয়ে আছে, প্রেসক্লাবে নাকি আন্দোলন চলছে রাস্তা বন্ধ। মন টা খুব খারাপ হয়ে গেলো আমাদের বিকেল ৩ টার মধ্যে টেষ্ট করে ডাক্তারের চেম্বারে যাওয়ার কথা অথচ এখন ২ঃ২৫ বাজে আমরা পল্টন ময়দানে বসে আছি। আসলে কিছুই করার নেই আমাদের।
ত্যাগের মাস রমজান মাসে যারা বেশি কষ্ট ও ত্যাগ স্বীকার করে রোজা রাখে তাদের ফজিলত বেশি। সেই জায়গা থেকে চিন্তা করলে মনে হয় ঢাকাবাসী সবথেকে বেশি ফজিলত লাভ করবে। ঢাকাবাসীদের যেইসব প্রতিকূলতার ভেতর দিয়ে রোজা রাখতে হয় তা শুধু ঢাকাবাসীই জানে। ঢাকায় যারা পাবলিক বাসে চেপে ৯ টা - ৫ টা ডিউটি করে জীবন কাটান তাদের প্রতিদিন গড়ে ২ ঘন্টা বাসে কাটাতে হয়৷
সকল জ্যাম পার হয়ে সাইন্সল্যাব পর্যন্ত পৌছাতে সাড়ে ৩ টা বেজে গেলো। বাস থেকে নেমে রিক্সা নিলাম গ্রীন রোড হয়ে পান্থপথ যাওয়ার উদ্দেশ্যে। শুরু হলো যানজটের আরেক অধ্যায়। এবার অবশ্য খোলা আকাশের নিচে উন্মুক্ত বাতাসে বসে থাকতে অতোটা খারাপ লাগছিলো না । কিন্তু মাঝে মাঝে রিকসার পাশের বিলাসবহুল গাড়ির তাপ ঝলসে দিচ্ছিলো।
রিকসায় বসে একটা হিসাব করছিলাম, ঢাকা শররে কি পরিমান প্রাইভেট কার থাকতে পারে! গ্রীন রোডের যতো দূর দেখা যাচ্ছে সাদা, কালো রঙ - বেরঙের ব্যাক্তিগত গাড়ি। অথচ প্রতিটি গাড়িতে মাত্র দুইজন বা তিনজন। ২০০ থেকে ৩০০ মানুষের জন্য ব্যাবহার হচ্ছে ১০০ থেকে ১৫০ গাড়ি যার ফলে রাস্তার বেশির ভাগ জায়গা এই গাড়ি গুলো দখন করে রেখেছে। আমার মনে হয় আমাদের সমাজের ভি আই পি দের জন্য যদি বিশেষ ব্যাবস্থা সম্পন্ন বাস সেবা চালু করা যেত তাহলে বোধ হয় ঢাকা শহরের এই তীব্র যানযটের কিছুটা সমাধান করা যেত।
অনেক চড়াই উৎরাই পার হয়ে ৪ঃ১০ এ গ্রীন লাইফ হসপিটালে পৌছালাম। জানিনা টেষ্ট করানোর জন্য কতক্ষন অপেক্ষা করতে হবে! আদৌ আজ ডাক্তারকে রিপোর্ট দেখাইতে পারবো কিনা।
সিটিস্ক্যান একটি সময় সাপেক্ষ পরিক্ষা। টেষ্ট শেষ করাতেই আমাদের ৫ঃ৩০ বেজে গেলো। ডাক্তারের চ্যাম্বারে ফোন দিলাম, ডাক্তার আছে কিনা খোজ নিতে -
- হ্যালো, স্যার কি চ্যাম্বারে আছে? আমার খুব দরকার ছিলো, স্যার আমাকে আজকে তার সাথে রিপোর্ট নিয়ে দেখা করতে বলেছেন। প্লিজ স্যারের সাথে একটু যোগাযোগ করিয়ে দেন।
- স্যার শনি, মঙ্গল, বুধ এই ৩ দিন বিকেল ৩ টা থেকে ৫ টা পর্যন্ত রোগী দেখেন। এর বাইরে তার সাথে কথা বলার কোনো সুযোগ
নাই।
খুব হতাশ হয়ে গেলাম। এই তীব্র গরমে জ্যামের সাথে যুদ্ধ করে এসেও আসল কাজ টা হলো না। স্যারের সাথে দেখা না হওয়ার মূল কারন হলো আজকের জ্যাম। ঢাকার জ্যাম এমন একটা জিনিস যেটা আপনি কখনোই অনুমান করতে পারবেন না।
এখন আবার জ্যামের যুদ্ধ জয় করে বাসায় ফিরতে হবে। জানিনা আজকের ইফতারের রিজিক কোথায় আছে? যাইহোক, রিকসাযোগে সাইন্সল্যাব পৌছে বাসের জন্য অপেক্ষা করতে লাগলাম। দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ঢাকা শহরের সব বাস দেখা হয়ে গেলো কাঙ্ক্ষিত বাস এর আর দেখা মিলে না। শেষ পর্যন্ত বাস একটা আসতে দেখলাম। বাসের হেল্পার দরজা ধরে ঝুলে আছে।
- মামা সিট আছে তো?
- আছে মামা তাড়াতাড়ি উঠেন। সামনে সার্জেন্ট আছে।
তারাহুরা করে বাসে উঠলাম। একি একটা সিট ও খালি নাই। হেল্পার বেটা মিথ্যা বলে বাসে উঠাইছে। যদিও সত্য বললেও করার কিছু ছিলো না এই বাসেই উঠা লাগতো। তারপর ও মিথ্যা বলায় রাগ হলো হেল্পার কে ডাকলাম -
-এই মামা মিথ্যা বললা কেন? সিট কই?
- মামা সিট তো
- আছে মামা তাড়াতাড়ি উঠেন। সামনে সার্জেন্ট আছে।
তারাহুরা করে বাসে উঠলাম। একি একটা সিট ও খালি নাই। হেল্পার বেটা মিথ্যা বলে বাসে উঠাইছে। যদিও সত্য বললেও করার কিছু ছিলো না এই বাসেই উঠা লাগতো। তারপর ও মিথ্যা বলায় রাগ হলো হেল্পার কে ডাকলাম -
-এই মামা মিথ্যা বললা কেন? সিট কই?
- মামা সিট তো আছেই, শুধু সিট খালি নাই বলেই একটা হাসি মারলো। আপনে তো জিগাইছেন সিট আছে কিনা! আমি তো মিথ্যা বলি নাই।
ব্যাটার হাসি দেখে মেজাজ চরম খারাপ হলো। রোজা রমজানের দিন বলে তেমন কিছু বললাম না। তখন আবার হেল্পার এসে বললো-
- মামা রাগ কইরেন না, সামনেই কাটাবন সিগন্যালে এই দুইজন নামবে আপনারা এই সিটে বইসেন। সীট খালি হবে বলেই আপনাকে ঐ কথা বলে উঠাইছি। আই এম সরি।
মেজাজ কিছুটা কন্ট্রোলে আসলো। কিছুক্ষন পরেই দুইজন নেমে গেলো সীটে বসে হাফ ছেড়ে বাচলাম। ইতিমধ্যেই ঢাকা শহরের বিভিন্ন অফিস ছুটি হতে শুরু হইছে। ব্যাগ হাতে অনেক মানুষ অফিস থেকে ফিরছে। স্বভাবতই তারা অনেক ক্লান্ত। কয়েকজনকে লক্ষ করলাম পানি এবং হালকা কিছু খাবার নিয়ে গাড়িতে উঠছে।
সারাদিনের জার্নির পর এখন কিছুটা রোজা ধরে আসছে। এইদিকে ইফতারের সময় ও অনেকটা ঘনিয়ে আসছে। প্রেসক্লাবের জ্যাম পেরিয়ে ভাবলাম বোধ হয় ইফতারের আগে বাসায় পৌছতে পারবো। কিন্তু সেই ভাবনায় পানি ঢেলে দিলো গুলিস্তানের জ্যাম। স্থির অবস্থানে বসে থেকেই ১৫ মিনিট চলে গেলো ইফতারের আর মাত্র ২০ মিনিট বাকি। বুঝতে পারছিনা কি করবো কিন্তু বাসের কিছু যাত্রী যেন ইফতারের প্রস্তুতি নিয়েই উঠেছে। তাদের দেখে অনেক মায়া হলো কিন্তু কিছু করার নেই। হয়তো আমাদের দেখে তাদের আরোও বেশি মায়া হচ্ছিলো কারন তাদের কাছে অন্তত ইফতার করার মতো খাবার ছিলো, আমাদের কাছে সেইটুকুও ছিলো না। কোনো উপায়ন্ত না দেখে বাস থেকে নেমে পানি আর হালকা কিছু খাবার কিনে নিয়ে আসলাম আর যথা সময়ে ইফতার করলাম।
ইফতারের পর ফাকা ঢাকার কিছুটা আনন্দ উপভোগ করলাম। যেতে যতো টা ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে বাসায় ফিরতে আলহামদুলিল্লাহ খুব একটা জ্যামে আটকা থাকতে লাগে নাই।
আজকের অভিজ্ঞতার কথা মনে থাকবে অনেক দিন।
"বর্তমানে আমি গ্রাফিক্স ডিজাইন এর উপর আছি। গ্রাফিক্সের কাজ করতে অনেক ভালো লাগে"।
"আমি সাইদুল ইসলাম কাকন। আমি বর্তমানে অনার্স চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। আমি ভ্রমন প্রিয় মানুষ। ছবি আঁকতে অনেক ভালোবাসি। এছাড়াও রান্না করতে পছন্দ করি। আমি একজন মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান তবু্ও চেষ্টা করি গরীবদের সাহায্য করতে। "
My Twitter Share Link
ঢাকা ছেড়েছি বহু বছর হয়। কিন্তু ঢাকার মানুষের কষ্ট গুলো শুনলে বা দেখলে খুবি খারাপ লাগে। ওই সবজি কাটার মেশিন দিয়ে যদি ঢাকা শহরের যানজটকে ইচ্ছেমতো কেটে ফেলা যেত। আহারে খুব শান্তি পেতাম। বাসের সিট গুলাতে বসা মানে সিরিয়ালে দাঁড়িয়ে থাকার মতই অনেকটা। কি করবেন কিছু করার নেই এভাবেই চলতে হবে। তারপর প্রার্থনা করি আপনি সবসময় ভালো থাকেন সুস্থ থাকেন শুভ কামনা রইল।
ভাই ঢাকা ছেড়ে অনেক ভালো একটা কাজ করছেন। এই ফালটু শহর টা মধ্যবিত্তদের জন্য না। শুধু মাত্র বড়লোকদের জন্য।
বেশ মজা পেলাম। এর থেকে বেশি মজা পেয়েছি আপনার দাড়ির কাহিনি তে। আপনার আজকের অভিজ্ঞতা সুন্দর ভাবে আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। শুভ কামনা রইলো।
যাক, আপনি যে আমার পোস্ট পড়ে মজা পেয়েছেন এটাও আমার জন্য অনেক। ধন্যবাদ পাশে থাকার জন্য।
ভাই আপনার লেখার স্টাইলটা কিন্তু দারুণ। আমার খুব পছন্দ হয়েছে। সত্যি বলতে কি জামের ভয়ে ঢাকা শহরে খুব একটা যাই না। দেশের এত মানুষ এত সমস্যা নিয়ে মাথা ঘামায় অথচ আজ পর্যন্ত ঢাকা শহরের জ্যাম থেকে মুক্তি পাওয়ার কোনো কার্যকর উপায় বের করতে পারল না। দিনের পর দিন জ্যামের পরিমান বেড়েই যাচ্ছে। মানুষের কর্মঘন্টার বেশিরভাগ সময় চলে যায় এই জামের কারণে। যাইহোক খারাপ লাগলো এত কষ্ট করে ও শেষ পর্যন্ত ডাক্তারকে রিপোর্ট টা দেখাতে পারলেন না জেনে। দোয়া রইল আপনার ভাই যেন তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে যায়।
ভাই, আর বইলেন না। এমনিতেই জ্যাম তার মধ্যে লোকাল বাসের অবস্থা দেখলে আরো মেজাজ খারাপ হয়।
খুবই সুন্দর অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন। বর্তমান বাংলাদেশের বাস্তবতাটা এমনি। শুধু ঢাকা শহর নয়,ছোটখাটো শহরের লোকাল বাসগুলোর তেমন ভিড়। লোকাল বাসের বাইরে রাস্তায় ঠিক তেমন জ্যাম। আর তারই মধ্যে এসে উপস্থিত হয় নানাপ্রকার হকার।
এখন আর আমার ঢাকা শহর ভালো লাগে না। এই জ্যামের মধ্যে কোনো জায়গায় গিয়ে শান্তি নাই। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
পোস্ট পড়ছিলাম হাসছিলাম আবার রাগ হচ্ছিল, কারণ প্রতিনিয়ত আমরা এগুলো দেখে আসছি আমাদের সাথে গুলো ঘটে যাচ্ছে, মাঝে মাঝে খুবই বিরক্ত লাগে, আমাদের এই বিরক্তিকর অভিজ্ঞতাগুলো আপনি আপনার নিজের ভাষা তুলে ধরেছেন খুব ভালো লাগলো, আপনার জন্য রইল অনেক অনেক শুভকামনা।
ভাই, সত্যি বলতে বাসে উঠতেই মাঝে মাঝে ভয় লাগে। কারণ কখন যে গন্তব্যে যেতে পারবো তার কোনো ভরসা নাই। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
কর্মের তাগিদে দেশের বেশির ভাগ লোকজনই ঢাকামুখী হচ্ছে।যার হলে ঢাকায় যানজট এর পরিমাণ ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
এটাই ভাই মেইন সমস্যা। মানুষ কর্মস্থান সব চেয়ে বেশি ঢাকা শহরে। কিছুই করার নাই। সব কিছু মেনে নিয়েই আমাদের চলতে হবে।
বেশ ভালো লেখেন তো আপনি। আমারও কিন্তু মাঝেমধ্যে এমন হয় ট্রেনে আসার সময় ভাবি এই পাশে বসলে মনে হয় রোদ পাবোনা কিন্তু কিছুদূর গিয়ে দেখা যায় সেই পাশেই রোদ। কিন্তু দুঃখের বিষয় হল এগুলো এখন আমাদের বাস্তবতা এগুলোই মেনে নিতে হচ্ছে আমাদের। 😢
ভাই রোদ লাগার বিষয় টা খুবই বাজে লাগে। এমনিতেই বাসের ভেতর চরম গরম তার মধ্যে আবার রোগ। পুরোই মাথা নষ্ট ব্যাপার।
ভাই ঢাকা শহরে থাকবেন আর ভোগান্তি পোহাবেন না এটা কি করে ভাবেন ।হাহাহা । এ শহর ভোগান্তির শহর। বিশেষ করে জ্যাম । মাঝে মাঝে মনে হয় এ শহর ছেড়ে জঙ্গলে গিয়ে ঘর বাঁধি । নিজের এলাকা কে অনেক মিস করি। ভাল লাগেনা ঢাকা শহর
ভাই আসলে আমাদের কিছুই করার নাই। যত দিন ঢাকা থাকবে এভাবেই চলতে থাকবে। এটাই ঢাকা শহরের খেলা। 🤣