আমার নিজের তোলা কিছু রেনডম ফটোগ্রাফি || ১০% লাজুক খ্যাঁকের জন্য।

কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে আমার ক্যাপচার করা কিছু ফটোগ্রাফি নিয়ে হাজির হয়েছি। ফটোগ্রাফি খুবই কমই করা হয়। ফটোগ্রাফি করতে হলে অবশ্যই বাইরে যেতে হয় তবে বাইরে যাওয়া হলেও খুব একটা সময় পাই না ফটোগ্রাফি করার জন্য। আজকে আমার মোবাইল থেকেই আপনাদের সাথে কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করবো। আশা করি সবার ভালো লাগবে। তো বেশি কথা না বলে চলেন শুরু করা যাক।

কিছু দিন আগেই কলেজ ক্যাম্পাসে গিয়েছিলাম কাজের জন্য। তখন এই ফটোগ্রাফি টা করে ছিলাম। এটা পুরান ঢাকার অনেক পুরোনো একটি কলেজ, শুধু কলেজ বললে ভুল হবে, এখনে স্কুল কলেজ ভার্সিটির সব স্টুডেন্ট পড়াশোনা করে। আমার অনার্স লাইফ এই খান থেকেই করেছি। যদিও আর ৩ টা পরীক্ষা আছে তাহলেই এই কলেজ থেকে বিদায় নেবো। তবে এইখানের স্মৃতিগুলো আজীবন মনে থাকবে।

আমার ক্যাকটাস গাছ অনেক ভালো লাগে। এটা ধানমন্ডি বার্ডেম হাস্পাতালের কাছেই একটা জায়গার চিত্র। ক্যাকটাস গাছ দেখেই ছবিটি ক্যাপচার করেছিলাম। এই ছবিটি আল্টা ওয়াইড এঙ্গেলে ক্যাপচার করা হয়েছে। রাস্তার ধারে গাছটা দেখতে অনেক সুন্দর লাগছিলো। আমি বাইরে গেলেই চার দিকে দেখি ভালো কিছু দেখলেই ক্যামারা বন্দি করার চেষ্টা করি। আমি আশা করি এই চিত্র‍টি আপনাদের ভালো লেগেছে। আমার গ্রামের বাড়ি আমার লাগানো অনেকগুলো ক্যাকটাস গাছ আছে।

রমনা পার্কের ভেতর ঢুকলেই এই রকম গাছের দেখা মেলে। রমনা পার্ক আমার অনেক পছন্দের, অনেক বার যাওয়া হইছে কত বার গেছি তার হিসাব নাই। তবে ঢাকার ভেতর রমনা পার্ক অত্যান্ত সুন্দর একটি জায়গা। আপনারা যারা রমনা পার্কে ঘুরতে গেছেন তারা বিষয়টা অবশ্যই জানেন। শহরের কোলাহল হল হতে মুক্ত মনোরম পরিবেশ। এখানে ছুটির দিনগুলোতে মোটামুটি সব বয়সের লোকজন বেড়াতে আসে।

গুলিস্তান গিয়েছিলাম এক দরকারে। তখন অনেক গরম ছিলো এই ফল গুলো দেখে আর লোভ সামলাতে পারলাম না। এগুলো টুকরো করে বিক্রি করে। সত্যি বলতে বাইরের খাবার এই গুলো আমি খুব একটা খাই না। তবে সেদিন অনেক খেয়ে ইচ্ছে হচ্ছিল, তাই এক প্লেট খেয়েছি। তবে অনেক মজার ছিলো আনারস। বিশেষ করে গরমের জন্য আরো বেশি মজা হইছিলো। যাইহোক খাওয়া শেষ করেই ছবিটা তুলেছিলাম।

এই ছবিটি প্রায় ৩ মাস আগের। আমি তখন গ্রামে গেছিলাম। অনেক ঝড় হইছিলো আর সেই ঝড়ের কবলেই এই বাঁশঝাড় এর এই অবস্থা। এটা আমার কাকাদের বাঁশঝাড়। সেই ঝড়ে আমাদেরও কিছু গাছের ক্ষতি হয়েছিলো। শহরের দিকে ঝড় তেমন কোনো প্রভাব ফেলতে না পারলেও গ্রামে অনেক ক্ষতি করে।

গ্রামে গেলে আমি ফটোগ্রাফির চেষ্টা করি। গ্রামীণ পরিবেশ ফটোগ্রাফির জন্য উপযুক্ত জায়গা আমার মতে। কারণ গ্রাম সব সময় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি। এখন ঢাকা থেকে গ্রামে গেলে আর ঢাকা আসতে ইচ্ছে করে না। গ্রামের এই টাটকা সবজি ঢাকা পাওয়া সম্ভব না। আমি মনে করি গ্রামের পরিবেশ মানুষকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। গ্রামের কোনো কিছুতে ভেজাল নাই।

কৃষ্ণচূড়া ফুল আমার মতো অনেকেই পছন্দ করেন। এটি আমাদের গ্রামের গাছেই একটা বাগান থেকে ছবিটি তুলছিলাম। সত্যি বলতে কিছু কিছু দৃশ্য দেখলেই ক্যামারা বন্দি করতে ইচ্ছে করে। আমি সব সময় ভালো দৃশ্য দেখলেই চেষ্টা করি ক্যাপচার করতে ও আপনাদের সাথে শেয়ার করতে। ফটোগ্রাফি যদিও তেমন ভালো পারি না। তবে আমাদের কমিউনিটিতে অনেকেই ভালো মানের ফটোগ্রাফি করে তাদের দেখে শেখার চেষ্টা করি প্রতিনিয়ত।