সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালের রেনডম ফটোগ্রাফি || ১০% লাজুক খ্যাঁকের জন্য।

কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রায় ১৪ দিন আগে ফটোগ্রাফি পোস্ট করছিলাম। ফটোগ্রাফি খুব একটা করা হচ্ছে না। তবে আজকে একটু সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে গিয়েছিলাম এক বন্ধুকে নিয়ে। তাই ভাবলাম আড্ডার ফাঁকে ফাঁকে কিছু ফটোগ্রাফি করে ফেলি আপনাদের সাথে শেয়ার করা যাবে। সদরঘাটে যাওয়ার সময় থেকেই কিছু ফটোগ্রাফি করেছি। তার পর আসার সময় কিছু ফটোগ্রাফি করেছি। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে আমার ফটোগ্রাফিগুলো। তো চলেন ফটোগ্রাফিগুলো দেখা যাক।

সদরঘাট যাওয়ার পরই আমি এই লঞ্চে উঠেছিলাম। এই লঞ্চ থেকে ভোলার জন্য যাত্রী উঠতেছিলো। আমাকে দেখেই বলে ভাই কেবিন লাগবে? আমি বললাম না ভাই কেবিন লাগবে না। আমার বন্ধু আছে এই লঞ্চে তাই তার সাথে দেখা করবো। যাইহোক, উঠেই আমি আমার বন্ধুর সাথে দেখা করলাম কিছুক্ষন তার সাথে গল্প করলাম। এর পর সেই লঞ্চ থেকেই কিছু ফটোগ্রাফি করে নিলাম। এমন পরিবেশে ফটোগ্রাফি করতে ভালোই লাগে।

লঞ্চের ছাদ থেকে অনেক সুন্দর ভিউ দেখা বুড়িগঙ্গা নদীর। এমন অনেকেই আছেন শুধু মাত্র ফটোগ্রাফির জন্য লঞ্চ টার্মিনালে আসে। আমি তো টার্মিনালে ঢুকার সময় টিকিট নিয়ে বলে বললাম স্টুডেন্ট কবি নজরুল কলেজ। আর কোনো কথা বললো না। কিছু দিন আগে স্টুডেন্ট এর সাথে এক দাড়োয়ানের ঝগড়া হয়েছিলো। তার পর থেকে স্টুডেন্ট এর কথা বললে কেউ আটকায় না। এই ছবিটি তোলার পর খুব ভালো লাগছিলো।

চিত্রে যে ছবিটি দেখছেন এটা দিয়ে লঞ্চের ইঞ্জিন যখন চালু থাকে তখন ধোঁয়া বের হয়। এটা দেখতে অনেক ভালো লাগলো তাই ছবিটি ক্যাপচার করেছিলাম। ফটোগ্রাফির একটা বিষয় হচ্ছে যে জিনিসটা ক্যাপচার করবো সেই জিনিস দামি অথা মূল্যহীন হতে পারে। যা ক্যামারাতে ভালো লাগবে তাই ক্যাপচার করতে হবে।

টার্মিনালে গেলে সব জায়গায় যাওয়ার জন্য লঞ্চগুলো লাইন ধরে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। যখন একটা লঞ্চ টার্মিনাল থেকে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে বের হয় তখন লাস্ট একটা সংকেত দেওয়া হয়, যাতে যারা আশেপাশে আছে তারা যেনো দ্রুত লঞ্চ এর ভেতর চলে আসে। তবে সব গুলো লঞ্চ একরকম না। কিছু কিছু লোকাল লঞ্চ ও দেখা যায় সেখানে।

যারা প্রথম লঞ্চ টার্মিনালে আসে তাদের মন ভালো হতে বাধ্য। কারণ এমন নদীর পরিবেশ সবাই পছন্দ করে। আমি নিজেও নদীর পাড়ে ঘুরতে অনেক পছন্দ করি। এছাড়া নদীর পাড়ে গরম খুবই কম থাকে খোলা মেলা বাতাস থাকার কারণে। আমি যখন ভার্সিটির ক্লাস করতে যেতাম তখন প্রায় সময়ই আমরা টার্মিনালে গিয়ে আড্ডা দিতাম। অনেক ভালো সময় ছিলো তখন।

এটা হচ্ছে মেইনরোড থেকে টার্মিনালে ঢুকার রাস্তা। এই রাস্তা দিয়ে ঢুকার সময় ব্রিজটা হালকা দোলে ভালোই লাগে আমার। তবে অনেকেই আবার ভয় পেতে পারে। আর একটা লঞ্চ যখন টার্মিনাল ছেড়ে যায় তখনও একটা বড় ধাক্কা লাগে। তবে সত্যি বলতে আমার কুয়াকাটা যাওয়ার ইচ্ছা আছে পানি পথে। বন্ধুরা সবাই যাওয়ার জন্য পাগল হইছে। এখন শুধু একটা তারিখ ঠিক হলেই যাওয়া হবে কুয়াকাটা।

এই ছবিটি তুলেছিলাম একদম সূর্য ডুবার কিছুক্ষণ আগে। তবে একটা বিষয় হচ্ছে সন্ধ্যা লাগার সাথে সাথে সদরঘাটের লঞ্চ টার্মিনালের রূপ পরিবর্তন হতে থাকে। কারণ চারদিকে তখন নানা রকম লাইটিং দেখা যায়। এক এক লঞ্চে এক এক রকমের লাইট জ্বলে। তবে আমি আমার কিছু কাজের জন্য সন্ধ্যা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে পারি নাই। আমি সন্ধ্যার আগেই বাসায় ফিরে আসছি। আমি আজকের ভালো ভালো ফটোগ্রাফির মধ্যে কিছু ছবি শেয়ার করেছি। তবে আশা করি সামনে আরো ভালো ভালো ছবি আপনাদের উপহার দিবো।