চাল কুমড়ো দিয়ে পাঙ্গাস মাছের ঝোল রেসিপি || @sikakon || ১০% লাজুক খ্যাঁকের জন্য।
আজ ২০ মার্চ, ২০২২
শনিবার
আসসালামু আলাইকুম/আদাব
কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালোই আছি। আজকে ব্যাংক একাউন্ট করার জন্য বাইরে গেছিলাম। একাউন্ট খুলের আসার সময় রাস্তায় ভ্যানে করে দেখি কচি চাল কুমড়ো বিক্রি করতেছে। অনেক দিন চাল কুমড়ো দিয়ে কিছু খাই না। মনে হলো বাসায় ফ্রিজে পাঙ্গাস মাছ আছে। তাই একটা কুমড়ো কিনে ফেললাম। বাসায় এসেই রাতের জন্য চাল কুমড়ো দিয়েই পাঙ্গাস মাছের ঝোল তৈরি করে ফেল্লাম। আসলে এর আগেও আমি চাল কুমড়োর রেসিপি খেয়েছি অনেক মজা লাগে। আসা করি আজকের রেসিপি সবার ভালো লাগবে। তো চলেন শুরু করে দেই।
পাঙ্গাস মাছ
চাল কুমড়ো
পেঁয়াজ
হলুদ গুড়া
মরিচ গুড়া
রসুনবাটা
ধনেগুড়ো
লবণ
কাচা মরিচ
তেল
এই স্টেপে প্রথমে মরিচের গুড়ো, হলুদের গুড়ো সব কিছু দিয়ে মাছগুলো ভেজে একটি আলাদা পাত্রে রেখে দিচ্ছি।
এই স্টেপে কড়াইয়ে তেল দিয়ে নিচ্ছি। এর পর পেঁয়াজকুচিগুলো দিয়ে দিচ্ছি তেলে। হালকা বাদামী হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করছি।
এই স্টেপে পেঁয়াজের রং বাদামী হলে মসলা দিয়ে দিচ্ছি। সাথে কিছু পানি যোগ করে কষিয়ে নিচ্ছি।
এই স্টেপে কেটে রাখা কুমড়োগুলো দিয়ে দিচ্ছি এবং ভালোভাবে মিক্সিং করে নিচ্ছি।
মোটামোটি সিদ্ধ হওয়ার আগ পর্যন্ত ভালো ভাবে কষিয়ে নিচ্ছি।
এই স্টেপে কষানো শেষ হলে পরিমান মতো ঝোল দিয়ে দিচ্ছি। এবং তরকারি ফুটতে শুরু করলে ভেজে রাখা মাছগুলো দিয়ে দিচ্ছি।
এইতো তরকারির ঝোল যখন এই রকম হবে তখন চুলা বন্ধ করে দিচ্ছি। আমাদের রান্না শেষ।
এই স্টেপে বাটিতে কিছু তরকারি বেড়ে পরিবেশ করে নিলাম।
এই ছিলো আজকের রেসিপি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ্য থাকবেন।
| বিভাগ | রেসিপি |
|---|---|
| ডিভাইস | স্যামসাং গ্যালাক্সি এ৫২ |
| লোকেশন | গেন্ডারিয়া , ঢাকা, বাংলাদেশ 🇧🇩 |
| ফটোগ্রাফি | @sikakon |
"বর্তমানে আমি গ্রাফিক্স ডিজাইন এর উপর আছি। গ্রাফিক্সের কাজ করতে অনেক ভালো লাগে"।
"আমি সাইদুল ইসলাম কাকন। আমি বর্তমানে অনার্স চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। আমি ভ্রমন প্রিয় মানুষ। ছবি আঁকতে অনেক ভালোবাসি। এছাড়াও রান্না করতে পছন্দ করি। আমি একজন মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান তবু্ও চেষ্টা করি গরীবদের সাহায্য করতে। "
আপনি অনেক লোভনীয় রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন । আপনার রেসিপি দেখে জিভে পানি চলে আসলো । আপনার রেসিপি দেখেই মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। অনেকদিন হলো পাঙ্গাস মাছ খায় না আপনার রেসিপি দেখে খুব খেতে ইচ্ছে করছে।শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আমার কাছে চাল কুমড়ো ভালোই লাগে। তাই ভাবলাম চাল কুমড়ো দিয়ে কিছু একটা রেসিপি করি। অনেক ধন্যবাদ ভাই।
চাল কুমড়ো দিয়ে পাঙ্গাস মাছ এর অনেক মজাদার একটি রেসিপি আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। পাঙ্গাস মাছ বরাবরই আমার কাছে খুবই সুস্বাদু লাগে তবে চাল কুমড়ো দিয়ে এরকমভাবে কখনো খাওয়া হয়নি। আপনার এই রেসিপিটি আমার কাছে একদম ইউনিক লেগেছে। ধন্যবাদ আপনাকে এত মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য
আপনার কাছেও এই রেসিপি ভালো লাগে জেনে খুবই ভালো লাগলো ভাই। 🖐️🖐️
রাধতে রাধতে রাধুনি। সংসার করতে করতে গৃহিণী। অনেক প্রসংশা পেয়েছেন। আর দরকার কি। খাওয়া গেলে স্বাদ পাওয়া যেতো। মন্দ কি।
চাল কুমড়ো দিয়ে পাঙ্গাস মাছ আগে কখনো খাওয়া হয়নি।দারুন রেসিপি বানিয়েছেন।এত সুন্দর রেসিপি একা খেলে চলবে।আমাদেরকেও পার্সেল করে পাঠিয়ে দিবেন।ভালোবাসা নিবেন সবসময়।
ভাই ঠিকানা দিয়েন। এর পর রান্না হলে পার্সেল করে পাঠিয়ে দিবো। হাহাহহা 😁
My Twitter Share Link
চাল কুমড়া আর পাঙ্গাস মাছের দারুন একটি রেসিপি তৈরি করেছেন আপনি। পাঙ্গাস মাছ আমার কাছে খুব ভালো লাগে ।আর চাল কুমড়ো কে বিশেষ করে ডাল দিয়ে অথবা এভাবে মাছ দিয়ে রান্না করলেও খেতে খুব ভালো লাগে। আপনি অসাধারণ ভাবে পাঙ্গাস মাছ দিয়ে চাল কুমড়ো রান্না করেছেন ।খুব সুন্দর উপস্থাপনা ছিল।
আমার কাছে পাঙ্গাস মাছ ভালো লাগে। তাই ভাবলাম একটা রেসিপি করলে খারাপ হয় না।
পাঙ্গাশ দিয়ে চাল কুমড়া রেসিপি খুব সুন্দরভাবে আপনি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন ভাই। আপনার রেসিপিটি দেখতে যতটা ভালো লাগছে খেতেও নিশ্চয়ই দারুন হয়েছে।
ধন্যবাদ আজকের এই রেসিপিটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
হা ভাই খেতে মজা ছিলো অনেক। এটা নদীর পাঙ্গাস তাই খেয়েও বেশি মজা।
পাঙ্গাস মাছ আমার খুবই পছন্দের। এই মাছটা খেতে আসলেই অনেক বেশি ভালো লাগে। আর খেতে খুবই সুস্বাদু। পাংগাস মাছ দিয়ে এভাবে কখনোই চাল কুমড়া রান্না করে খাওয়া হয়নি। আপনার রেসিপিটি আজকে আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। তাই একদিন বাসায় ট্রাই করে দেখতে হবে অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
ভাই নদীর পাঙ্গাস খেতে চাষের পাঙ্গাস থেকে অনেক বেশি মজা। ❣️❣️
চাল কুমড়ো দিয়ে পাঙ্গাস মাছের ঝোল রেসিপি খুবই সুন্দর হয়েছে ভাই। পাঙ্গাস মাছের খুবই লোভনীয় একটি রেসিপি রান্না করেছেন আপনি। চাল কুমড়ো দিয়ে পাঙ্গাস মাছ এভাবে ঝোল করে রান্না করলে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়। তরকারির কালার টা দেখেই বোঝা যাচ্ছে রেসিপিটি খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আশা করি আপনি নিজেও ট্রাই করে দেখবেন যদি পাঙ্গাস পছন্দ করেন তাহলে। ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।
আমি পাঙ্গাস মাছ এবং চাল কুমড়ো দুটোর কোনটাই খাই না। তারপরও আপনার পোস্টটা দেখে ভালো লাগলো। কারন আপনার পোষ্টের উপস্থাপনাটা খুব সুন্দর হয়েছে।
অধিক তেল থাকার কারণে অনেকেই খায় না। তবে এই মাছে তেল খুবই কম ছিলো এটা নদীর পাঙ্গাস। ধন্যবাদ ভাই কমেন্ট করার জন্য।