আমার নিজের তোলা কিছু রেনডম ফটোগ্রাফি || ১০% লাজুক খ্যাঁকের জন্য।

কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে আমার ক্যাপচার করা কিছু ফটোগ্রাফি নিয়ে হাজির হয়েছি। ফটোগ্রাফি খুবই কমই করা হয়। ফটোগ্রাফি করতে হলে অবশ্যই বাইরে যেতে হয় তবে বাইরে যাওয়া হলেও খুব একটা সময় পাই না ফটোগ্রাফি করার জন্য। আজকে আমার মোবাইল থেকেই আপনাদের সাথে কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করবো। আশা করি সবার ভালো লাগবে। তো বেশি কথা না বলে চলেন শুরু করা যাক।

এটি আমাদের এলাকার কাছেই একটা জায়গা৷ এটি মধুপুর বাসস্টেন্ডে অবস্থিত। মধুপুর আনারস এর জন্য বিখ্যাত। তাই সেই স্মৃতি তে এখানে আনরসের ভাস্কর্য তৈরি করা হয়েছে। ছবিটি তুলেছিলাম ঢাকা থেকে বাসায় যাওয়ার সময়। যারা আনারস খেতে পছন্দ করে তারা মধুপুর ঘুরতে আসে। এখনে আনারসের দাম তুলনামূলক অনেক কম। এই আনারস চত্তরের কাছে বাস দাঁড়ালে অনেক রকম হকার্স বাসে উঠে। এসব হকার্সদের কাছ থেকে কম দামে আনারস কেনা যায়।

সকালে ফজর নামাজ পড়তে গেলে আলাদা এক শান্তি কাজ করে মনের মধ্যে। সকালের যে বাতাস থাকে সেই বাতাসেই শান্তিটা। আমি ছবিটি তুলেছিলাম কিছুদিন আগে নামায পড়তে গিয়ে। সকালে রাস্তায় হাঁটার জন্য পারফেক্ট একটা সময়। খুব ভালো লাগে কোনো জ্যাম থাকে না রাস্তায়। রাস্তায় থাকে শুধু কিছু রিকশা। ঢাকায় ফাঁকা রাস্তা পাওয়ার সত্যি আনন্দের বিষয়।

রমনা পার্কে ঘুরতে গেলেই মোটামুটি ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করি। রমনা পার্কের ভেতরটা আগের চেয়ে অনেক উন্নত হয়েছে। রমনার ভেতর অনেক নতুন ভাবে সব কিছু সাজানো হয়েছে। মাঝে মাঝে এমন মনে হয় যে রমনার প্রতিটি গাছ আমার পরিচিত। রমনা পার্ক আমার অনেক পছন্দের একটি জায়গা। প্রিয় জায়গার সব কিছুই ভালো লাগে।

রমনার লেকের পাশে সুন্দর একটা হাঁটার প্লেস তৈরি করা হয়েছে। এটা এখন রমনা আকর্ষনের মেইন আকর্ষন বা কেন্দ্রবিন্দু। এখানে প্রতি শুক্রবার এতো ভিড় হয় যে ব্রিজে দাঁড়ানোর জায়গা থাকে না। অনেকেই আসে ফ্যামিলি নিয়ে আবার অনেকে বন্ধু বন্ধব নিয়ে এখানে সময় কাটাতে আসে। খুব সুন্দর লাগে আমার কাছে এই বিষয়টা।

পরগাছা বলতে বুঝায় পরের উপর নিভর করা কিছু। এই গাছগুলো রাস্তায় ওয়ালে বেড়ে উঠেছে। অনেক দিন এই ওয়াল পরিত্যক্ত অবস্থায় ছিলো দেখে মনে হলো। আসলে অনেক দিন ওয়াল পরিস্কার করা না হলে এইরকম চারা গাছের জন্ম হয়। নামাজ এ যাচ্ছিলাম তখন দেখেই মনে হলো ছবি তুলে রাখি কাজে আসতে পারে। আজকে তাই আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম।

ফুলের মধ্যে জবা ফুল আমি অনেক পছন্দ করি। এটি আমার নিজের কাছের ফুল। গ্রামের বাড়ি আসলেই আমি ফুল এর ফটোগ্রাফি করি। ফুলের ফটোগ্রাফি করতে আমার বেশ ভালো লাগে। জবা ফুল শুধু সৌন্দর্যের জন্য না, জবা ফুল প্রাকৃতিক গুনাবলিতে ভরপুর। চুলের উপকারিতায় জবা ফুল ব্যবহার করা হয়। জবা ফুল অনেক উপকারি একটি ফুল।

এই জায়গাটি আমাদের ধনবাড়ি উপজেলায় অবস্থিত। এটা আমাদের এলাকায় ভাইরাল একটি প্লেস। কারন সবাই এখানে এসে ছবি তুলে আপলোড করে। এখানে রাতের বেলা ছবি তুললে বেশি ভালো লাগে। কিছু দিন আগে গ্রামে গেছিলাম তখন উপজেলায় গেছিলাম আমার ব্যক্তিগত কাজে তখন এই ছবিটি তুলেছিলাম। আজকে গ্যালারি তে ছবিটি দেখে মনে হলো আপনাদের সাথে শেয়ার করে ফেলি। আশা করি আপনাদেরও ভালো লেগেছে ছবিটি।