ধোপখোলা মাঠে কাটানো কিছু সময় || ১০℅ লাঁজুক খ্যাঁকের জন্য।

কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালোই আছি। আজকে সকাল থেকেই বাসায় ওয়াইফাই এর সমস্যা চলতেছে। গতকাল রাতে নাকি তার ছিড়ে গেছে। আজকে আবার বাংলাদেশ আফগানিস্তানের দ্বিতীয় ওয়ানডে। তাই ফোনেই নেট কেনেছি। নামাজ পড়ে বাসার এসে মনে হলো যেহেতু মোবাইলেই খেলা দেখতে হবে তাহলে একটু মাঠের দিকে যাই।আসলে আমাদের মাঠে কাজ চলতেছে। এক সপ্তাহ হলো মাঠে যাই না। তাই ভাবলাম আজকে মাঠে বসেই খেলা দেখবো।

আগেই বলে রাখি এটা মূলত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠ।তবে আমরা ধোপখোলা মাঠ বলি। যাইহোক, মাঠে এসেই দেখি অবস্থা অন্য রকম আগে যাও খেলার জায়গা ছিলো এখন আরো চাপিয়ে ফেলছে জায়গা। মূলত এখানে সাময়িক সমস্যা হলেও ভবিষ্যতের জন্য ভালো একটা কাজ হচ্ছে। এখানে তৈরি হচ্ছে স্টেডিয়াম। কাজ শুরু হয়েছে অনেক আগেই তবে সেই অনুযায়ী দ্রুত কাজ হচ্ছে না। সরকারি কাজ তো একটু ধীর গতিতেই হবে। তবে মাঠের জায়গার অভাবে এক মাঠেই খেলা চলছে ক্রিকেট ফুটবল, আমরা যখন খেলতে আসি তখন এভাবেই ক্রিকেট খেলি।

সবার খেলা দেখতে ভালোই লাগতেছিল। আমার এক বন্ধুকে ফোন দিলাম মাঠে আসার জন্য তবে সে আবার গ্রামের বাড়ি গেছে। তাই একা একা একাই বসে খেলা দেখছিলাম। মাঠে এখন অনেক বালি। বিভিন্ন জায়গায় গর্ত করার জন্য চারদিকে বালি জমে গেছে। তবে শুক্রবারের সময় কেউ নষ্ট করতে রাজি না। তাই এখানেই খেলা চলছে সুন্দর ভাবে।

এখানে বসেই সেই পুরোনো দিনের কথা চিন্তা করছিলাম। গ্রামে যখন ক্রিকেট খেলছি তখন আর এমন জায়গার অভাব ছিলো না। ধান কাটার পর বিশাল জায়গা থাকতো। সমতল ক্ষেত দেখে সেখানে ক্রিকেট খেলার পিচ তৈরি করতাম। তখন শীতের সময় থাকতো দুপুরে কড়া রোদে ক্রিকেট খেলতেও অনেক ভালো লাগতো। আবার এমন হতো আমাদের গ্রামের ছেলেরা অন্য গ্রামের ছেলেদের সাথে খেলা দিতাম। মানে তারা আমাদের মাঠে খেলতে আসতো। আজকে যেমন বাংলাদেশ আফগানিস্তানের খেলা হলো এমন। খুবই মজা হতো।

কিন্তু ঢাকা ব্যাপার টা অন্য রকম এখনে খেলোয়াড়ের অভাব নেই, তবে জায়গার অনেক অভাব। এই মাঠে প্রতি বিকেলেই এমন ভিড় থাকে। এক পাশে ক্রিকেট অন্য পাশে ফুটবল এই রকম প্রায় ৮-১০ টা দল এক সাথেই খেলাধুলা করে। তবে একটা বিষয় ভালো লাগে পুরো মাঠ জুড়ে মানুষ খেলাধুলা করে, তবে তেমন ঝগড়াঝাটি হয় না। মোটামুটি সবাই আন্তরিক ভাবেই খেলা ধুলা করে।

মাঠের এক পাশে দেখি এক ছেলে ছাগল নিয়ে বের হইছে। পুরো মাঠে বালি তবে এখানে কিছুটা ঘাস হইছে। তাই ভাবলাম ছাগলটাকে ক্যামেরা বন্দি করি। এই মাঠে গরু নিয়ে আসা নিষেধ। সম্ভবত ছাগলও নিষেধ কিন্তু যেহেতু নির্মাণ কাজ চলছে তাই কিছু বলে নাই। বৈশাখ মাসে এখানে মেলা বসে অনেক মানুষ হয় মেলার সময়। আবার কোরবানি ঈদের সময় গরুর হাঁটও বসে। কিন্তু এখনে স্টেডিয়ামের কাজ শেষ হলে সম্ভবত গরুর হাঁট বা মেলা নাও বসতে পারে, যদিও আমি সিউর জানি না।

এখানে পাচ্ছেন নির্মাণ কাজের অংশ এখানে মূলত মার্কেট হবে। এই জায়গাটুকুও আগে মাঠের অংশই ছিলো। তবে আমি মনে করি যদি স্টেডিয়াম বানানো শেষ হয়, তখন জায়গা অনেক সুন্দর দেখাবে। চারদিকে সুন্দর ভাবে ওয়াল তৈরি হচ্ছে। তবে এখানে রটগুলো যেভাবে ছড়িয়ে রাখা হয়েছে যেকোনো সময় একটা দূর্ঘটনা ঘটতে পারে। কারণ এখানে অনেক ছোট বাচ্ছারাও খেলতে আসে।

মাঠের প্রবেশপথে চটপটি ফুসকার দোকান। আমি ফুসকা অনেক পছন্দ করি। এখানকার ফুসকা অনেক খেয়েছি অনেক মজা লাগে। তবে এখনে বসে খাওয়ার কোনো ইচ্ছা হচ্ছিলো না। আসলে ভাবছিলাম যে বন্ধুকে ফোন দিয়েছিলাম সে আসবে। তবে সে যেহেতু গ্রামে আছে তাই আমি ফুসকার পার্সেল নিয়ে বাসায় চলে আসি। বাসায় এসে আমি বাকি খেলা দেখি। টানা বাংলাদেশের জয়ে দেখে ভালোই লাগছে। আজকেও বাংলাদেশ ৮৮ রানে জয় লাভ করে আফগানিস্তানের বিপক্ষে। লিটনের খেলা আজকে জোশ ছিলো। যাইহোক, ভালোই ছিলো আজকের দিনটা। 🤟

জায়গার লোকেশন ↓লিংক ও ডিভাইস
_{Device : Samsung Galaxy a52}

_{What's 3 Word Location}

"বর্তমানে আমি গ্রাফিক্স ডিজাইন এর উপর আছি। গ্রাফিক্সের কাজ করতে অনেক ভালো লাগে"।

"আমি সাইদুল ইসলাম কাকন। আমি বর্তমানে অনার্স চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। আমি ভ্রমন প্রিয় মানুষ। ছবি আঁকতে অনেক ভালোবাসি। এছাড়াও রান্না করতে পছন্দ করি। আমি একজন মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান তবু্ও চেষ্টা করি গরীবদের সাহায্য করতে। "