প্রিয় মানুষ এর সাথে ঘুরেবেড়ানো : কাশফুলের প্রান্তরে
আসসালামু আলাইকুম ,
সবাই কেমন আছেন ,আশা করি ভালো ভালো আছেন ।আজ আমি হাজির হয়েছি নতুন একটি পোস্ট নিয়ে।
গত তিন দিন আগে আমি আমার প্রিয় মানুষ বিকালে একটু ঘুরতে বেরিয়েছিলাম । জায়গাটির নাম হলো অমুলিয়া মডেল টাউন ,যা আমাদের ডেমরার মধ্যে আর বাসা থেকে 2 কিমি দূরে ।
আমুলিয়া মডেল টাউন মূলত শরত ঋতুর সময় কাঁশফুলে সমারোহ থাকে ।যারা কাঁশফুল প্রিয় মানুষ তারা এই জায়গায় ঢাকা শহরের বিভিন্ন জায়গা থেকে ঘুরতে আসে। সব চেয়ে বেশি মানুষের সমার্গম দেখা যায় সরকারি ছুটির দিন।
একদম আমার বাসার কাছে হওয়াতে আমি ইচ্ছা হলেই যেকোনো দিন ছুটে চলে যায় প্রাকৃতিক সুন্দর্যের ছোয়া নিতে।
ডিভাইস: One plus
লোকেশন: ডেমরা, আমুলিয়া
ডিভাইস: One plus
লোকেশন: ডেমরা, আমুলিয়া
এই জায়গা অসম্ভব সুন্দর লাগে যখন সূর্য উদয় ও অস্ত যায় তেমনি একটা সুন্দর মূহুর্তের সম্মুখীন হয়েছিলাম সেদিন ।
এই জায়গায় আমি বহুবার গিয়েছি সেই ২০১৮ সাল থেকে ।তবে প্রতিবার সন্ধ্যা নামার আগেই বাসায় চলে আসতে হতো ,এবার ই অনেকেক্ষণ থাকার সৌভাগ্য হয়েছে ।আর সেই অনেকক্ষন থাকার কারণটি হলো,এবার যার সাথে গিয়েছি সে আগে আমার বয়ফ্রেন্ড ছিল আর এই বছরই সে আমার স্বামী পদে মনোনীত হয়েছে।
তাই এখন আর বাবা মাকে দেরি হলে কৈফিয়ত দিতে হয় না।
ঐখানে আমরা মাগরিবের আজান দেওয়া অব্দি ছিলাম ,পরে আমুলিয়া থেকে একটু দূরে মোস্তমাঝি যেয়ে গ্রীন বনশ্রীর পাশে কিছু ক্ষণ বসে থেকে ফুসকা খাই
তারপর আমরা সেখান থেকে আমাদের ডেমরার স্টাফ কোয়ার্টার এ একটা ভালো ফাস্টফুড এর শপ আছে Jacpot Bangladesh এদের বার্গার খুবই মজা ,আসলে ওদের সব খাবার ই খুবই মজা ।দেখতে যেমন তেমনি সুস্বাধু। ঐখানে যেয়ে আমরা BBQ বার্গার ,নাগা চিকেন ,কোল্ডকফি অর্ডার করি ।
আমরা দুজন প্রায়ই ছোটখাটো ট্রিপে যায় ,হটাৎ রাত ১২ টায় মনে হলে হলো পুরান ঢাকার কাচ্চি খাবো ,বাইকে চড়েই চলে যাই ।বাইকের এই একটা মহৎ সুবিধা।
আর আমার প্রিয় মানুষ এর কোনো অলসতা নাই আমি কোথাও যেতে চাইলেই ও এক পায়ে দাঁড়িয়ে থাকে যাওয়ার জন্য ।খুবই ভালো মনের মানুষ ।
আজ এই পর্যন্তই ,আবার নিয়ে আসবো নতুন কোনো পোস্ট।
"ধন্যবাদ"
এই কাশফুলের সিজন আসলেই সবাই কাশফুল দেখার জন্য ছুটে যায়। আসলে কাশফুল দেখতে এত সুন্দর যে না গিয়ে উপায় থাকে না। আপনি আপনার বয়ফ্রেন্ডকে পদোন্নতি দিয়ে হাজবেন্ড করেছেন জেনে ভালো লাগলো। এখন তো আর কোন বাধা থাকল না। যখন যেখানে যেতে মন চায় চলে যেতে পারবেন। দুজন আবার ঘোরা শেষে বেশ ভালো খাওয়া দাওয়া করেছেন। নাগা চিকেন আমার কাছে খুবই ভয়ঙ্কর লাগে । কিন্তু দেখেই লোভ লাগছে।
জি আপু ,কাশফুলের মাঝে এক অসম্ভব ভালো লাগা কাজ করে তাই প্রতিবছরই ছুটে যাই
বাহ! প্রিয় মানুষের সাথে প্রিয় কিছু মুহূর্ত। সত্যি দারুণ। আর কাশফুলের মধ্যে গেলে তো একদম কোনো এক অজানায় হারিয়ে যাওয়া। শরৎ এর সময়টাতে কাশফুল অনেক পাওয়া যায়। ভাইয়া ও আপনার জন্য দোয়া রইল। ভালো থাকবেন সবসময়।
ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার সুন্দর কমেন্ট এর জন্য
ছবিগুলো দারুণ তুলেছেন তো। সত্যিই খুব ভালো লাগছে। আর আপনাদের বৈবাহিক জীবনের জন্যে শুভেচ্ছা রইলো।
কাঁশফুল তো তাই ছবি সুন্দর হয়েছে।ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
ঠিক বলেছেন আপু বাইকের এটাই সুবিধা। ইচ্ছা হলো আর চলে গেলাম। গতবার এই কাশফুল নিয়ে বেশ অনেক কিছু হয়েছিল। আপনি আপনার প্রিয় মানুষের সঙ্গে বেশ দারুণ সময় কাটিয়েছেন। ঘোরাঘুরির পর আবার খাওয়া দাওয়া 👌👌👌।।
প্রিয় মানুষ সাথে থাকেল এমনেই সময় ভালো কাটে ,তারমধ্যে আবার শরৎ কাল। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
সত্যিই প্রিয় মানুষের সাথে ঘুরতে যাওয়ার মজাই আলাদা। আমিও মাঝেমধ্যে আমার স্বামীর সাথে ঘুরতে গেলে আমার কাছে খুব ভালো লাগে। ফটোগ্রাফি গুলো অনেক সুন্দর করে যথার্থ বর্ণনা দিয়ে উপস্থাপনা করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে অনেক সুন্দর করে সাজিয়ে উপস্থাপনা করার জন্য।
জি আপু ঠিক বলেছেন ,মাঝে মাঝে ঘুরতে যাবেন ,মন ভাল থাকবে। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য
প্রিয় মানুষের সাথে তাহলে ভালই ঘোরাঘুরি চলছে। বাঙালির ঘোরাফেরার সাথে যে খাবারের একটি নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে সেটা আপনার পোস্ট থেকে পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে। ভালই লিখেছেন। তবে বেশ কিছু বানান ভুল আছে। এদিকে একটু খেয়াল রাখবেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
জি ভাইয়া ঠিক বলেছেন বাঙালি মানেই খাওয়া ,আর আমি তো বাহিরে গেলে আগে খাবার খুঁজি ।ধন্যবাদ এত সুন্দর মন্তব্যের জন্য।