ঈশ্বরের মুখোশ।বই রিভিউ
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগবাসী।আশা করি সবাই ভালো আছেন? আমিও ভাল আছি।আজ আপনাদের সাথে একটি বুক রিভিউ করব। |
---|
বই পড়া অনেকটা আমার কাছে নেশার মত।তবে পড়ার বই কিন্তু নয়।পড়ার বই বাদে যে কোন বই।আমার সব থেকে পছন্দের ক্যাটাগরি হল ক্রাইম,থ্রিলার বা সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার।তবে বেশ খানিকটা গরীব হওয়ায় সব সময় বই কিনে পড়তে পারিনা।সেজন্য পিডিএফ বা ই-বুক ভরসা।এই বইটাও আমি ই-বুক হিসেবেই পড়েছি।আমার অত্যন্ত ভাল লেগেছে।
সংক্ষিপ্ত বর্ণনাঃ
বইয়ের নাম | ঈশ্বরের মুখোশ |
---|---|
লেখক | জাহিদ হোসেন |
জনরা | সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার |
রেটিং | ৮/১০ |
সংক্ষিপ্ত প্লটঃ (স্পয়লার ফ্রি)
গল্পটির প্রধান চরিত্র বা নায়ক তিনজন।মাশরুর আবরার হোমস,অপু পিউরিফিকেশন ওরফে ওয়াটসন,ইমন।এদের মধ্যে প্রথম তিনজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসর প্রাপ্ত সাইকোলজির প্রফেসর।আর ইমন ডিবির অফিসার। ইমন হোমস ও ওয়াটসনের ছাত্র ছিল।
নিজের অ্যাপার্টমেন্টে নৃশংস ভাবে খুন হন অভিনেতা জশুয়া আহমেদ।খুনি শুধু খুন করেই ক্ষান্ত হয়নি।কাটাকুটি করেছে মৃতদেহ।এই খুনের পদ্ধতির সাথে মিলে যায় ১৪বছর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে খুন হওয়া জামশেদ-ইরিত্রা হত্যাকান্ড।জামশেদ-ইরিত্রা যখন খুন হয়,তখন মাশরুর আবরার হোমস ছিলেন সাইকোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান।অপু পিউরিফিকেশন ছিলেন তার সহকর্মী। নিজের ডিপার্টমেন্ট এর ছাত্রছাত্রী খুন হওয়ায় মাশরুর সাহেব খুবই বিব্রত হন।তখনই তার সাথে ঘনিষ্ঠতা হয় তার ছাত্র ইমনের।
ইমনের প্ররোচনায় তারা তিনজন মিলে নেমে পড়েন খুনের তদন্তে।পেশাদার গোয়েন্দা না হয়েও তারা অনেকদুর পর্যন্ত অগ্রসর হন,বের করে ফেলেন খুনির খুনের প্যাটার্ন ও খুনের স্থলে রেখে যাওয়া ২টি রহস্যময় মূর্তি।কিন্তু সাসপেক্ট ভেবে একজন কে ধরতে গিয়ে তার প্রাইভেট প্রোপার্টি তে ঢুকে পড়লে গুলি করে বসেন ভদ্রলোক।কিন্তু ইমনের দারুন রিফ্লেক্স এর ফলে বেচে যান মাশরুর সাহেব।এরপর পুলিশ কমিশনার এর অনুরোধে সরে আসতে হয় তাকে তদন্ত থেকে।জামশেদ ইরিত্রা কেস হয়ে থাকে অমিমাংসিত।
এরপর মাত্র সাত মাস আগে খুন হয় সিরাজ অহনা।তাদেরও খুন করা হয় একদম জামশেদ ইরিত্রার মত একই পদ্ধতিতে।আবার তদন্তে নামে মাশরুর-অপু জুটি।এবং ধরে ফেলেন বাংলা রিপার কে।
ইমনের অনুরোধে তিনি জশুয়া আহমেদ এর খুনের ঘটনাস্থল ঘুরে দেখেন এবং মিল খুজে পান বাংলা রিপারের সাথে।কিন্তু তা কি করে সম্ভব? বাংলা রিপার কে তো উনি জেলে ঢুকিয়েছেন। তবে উনি কি ভুল মানুষকে জেলে দিয়েছেন? যদি তাই হয় তবে তার আর ইমনের ক্যারিয়ার হুমকির মুখে পড়ে যাবে।
আসল বাংলা রিপার কে? জশুয়া আহমেদ কি বাংলা রিপারেরই শিকার? যদি তাই হয়ে থাকে তবে জেলে থাকা ব্যক্তি কে? জানতে হলে পড়ে ফেলুন দুর্দান্ত এই সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার।
ব্যক্তিগত মতামত
সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার গুলো অনেকটা টম এন্ড জেরির মত।না আমি খুনি ধরার বিষয়ে বলছি না।আমি বলছি এধরনের গল্প আপনার ব্রেইনের সাথে ইদুর বিড়াল খেলে।আপনার মনে হবে আপনি খুনি ধরতে পেরেছেন,কিন্তু তারপরেই দেখবেন খুনি সে নয়।আবার একজন কে সন্দেহ করবেন,দেখবেন খুনি সেও নয়। এই গল্পটাও অনেকটা সেরকম। আর একের পর এক টুইস্ট।একবার শুরু করলে সম্পূর্ণ শেষ না হওয়া পর্যন্ত ঘুরতে থাকবে মাথায়।তারপর যখন শেষ হবে তখন কিছুক্ষণ শকে থাকবেন।ভাববেন এমন তো হওয়ার কথা ছিল না। হাতে সময় থাকলে পড়ে ফেলুন দুর্দান্ত থ্রিলার টি।
হ্যাপি রিডিং🥸
আমি বৃত্ত মোহন্ত (শ্যামসুন্দর)। বর্তমানে ছাত্র। নতুন কিছু শিখতে, নতুন মানুষের সাথে মিশতে আমার খুব ভাল লাগে। তেমনি বই পড়া আর ঘুরে বেড়ানো আমার পছন্দের কাজগুলোর মধ্যে অন্যতম। মুক্তমনে সব কিছু গ্রহণ করার চেষ্টা করি আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করি,"বিশ্বজোড়া পাঠশালা মোর, সবার আমি ছাত্র"।
দেওয়া যায় কিনা শিওর না ভাইয়া।আমি এই প্রথম দিলাম। দেখা যাক কি হয়। আপনি কিছু দিন অপেক্ষা করে তারপর দিয়েন।
আপনার বই পড়া নেশার মতো লাগে।এটা নিঃসন্দেহে একটি ভালো গুণ।তবে ক্লাসের বই বাদে যে কোনো বই বলেছেন। তাও ভালো একদিক দিয়ে।একটা নেশা তো আছে। বেশ রহস্যময় গল্প।বইটি ভালোই মনে হচ্ছে।আমি পড়ে দেখবো বইটি।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর রিভিউ টি শেয়ার করার জন্য।
আপনাকেও ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আসলে ভাই আপনি আমার মনের কথাই বলেছেন, আর্থিক সংকট থাকায় আমিও অনেক সখের বিষয়গুলো আজকাল জীবন থেকে বাদ দিয়েই দিয়েছি। তবে ভাল লাগলো আপনার ই- বুক পড়ার বিষয়টি জেনে। হুম এধরনের গল্প ব্রেইনের সাথে ইদুর বিড়াল খেলে। এধরনের থ্রিলার বইগুলো যেন এক রহস্যময় পুকুর।
একদম রহস্যের পুকুর।অনেক ভাল বলেছেন।ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
পড়ার বই বাদ অন্য বই😁 এটা আপনার আব্বু আম্মু টিচারেরা জানে তো 🤔!!! যাইহোক ভাইয়া আমিও কিন্তু একই রকম গল্প উপন্যাসের বই পড়তে বেশ ভালো লাগে। এটা আমার কাছে একটা সময় নেশার মতো থাকলেও এখন কিন্তু সময়ের জন্য অনেকদিন বই পড়া হয় না। মাথা ঘুরিয়ে দেওয়ার মত একটি গল্প ছিল, বেশ রহস্যময়। এরকম বই রিভিউ আমার কাছে বেশ ভালো লাগে ভাইয়া আপনাকে ধন্যবাদ।
নারে ভাই আপনি গরীব না। বই পড়ার ইচ্ছা শক্তিই আপনাকে বড়লোক বানিয়ে দিয়েছে। ইবুক হোক আর মূল বই যাই পড়ুন আপনার জ্ঞান বৃদ্ধি পাচ্ছে এটাই বড় বিষয়।
গল্পটা বেশ রহস্যময় ছিল, এধরনের গল্প বেশ ভালো লাগে আমার কাছে।
ভালো রিভিউ ছিল।
প্রচুর রহস্যময় ভাইয়া। পড়ে ফেলতে পারেন যেহেতু রহস্য পছন্দ করেন।