চিকেন বিরিয়ানির রেসিপি||[10%shyfox,1%abb-charity]
বিরিয়ানি আমাদের বাঙালী দের অনেক প্রিয় একটি খাবার। বিরিয়ানি ভালবাসে না এমন মানুষ খুজে পাওয়া কঠিন।আমাদের দেশে বিরিয়ানি আসে মোঘলদের হাত ধরে তবে অনেক মনে করে ভারতের হায়দ্রাবাদ অঞ্চলে বিরিয়ানী উৎপত্তি।অনেক ধরনের বিরিয়ানি পাওয়া যায়।এর মাঝে উল্লেখযোগ্য হলঃকাচ্চি বিরিয়ানি,তেহারি,চিকেন বিরিয়ানি।
আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করব চিকেন বিরিয়ানির রেসিপি।চলুন কথা না বাড়িয়ে শুরু করি আমাদের রেসিপি
প্রয়োজনীয় উপকরণঃ
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
মুরগির মাংস | ২৫০গ্রাম |
পোলাও এর চাল | ১/২কেজি |
লবণ | স্বাদ মত |
মরিচ এর গুড়া | স্বাদমত |
পেয়াজ | ৫-৬টি |
রসুন | ৪টি |
তেজপাতা | পরিমান মত |
আদা-জিরা পেস্ট | স্বাদমত |
সাদা-কাল এলাচ | স্বাদমত |
দারুচিনি | স্বাদমত |
আলু | ৬-৭টি |
বিরিয়ানি মশলা | ১প্যাকেট |
রন্ধনপ্রণালী
১ম ধাপ
প্রথমে পেয়াজ,রসুন,আলু ছিলে নেই এবং পরিষ্কার পাত্রে রাখি ও আদা জিরার পেস্ট বানিয়ে নেই এবং চাল ধুয়ে নেই।
২য় ধাপ
এরপর একটি কড়াই চুলায় বসাই এবং এর মাঝে সয়াবিন তেল দিয়ে গরম করে নিই।
৩য় ধাপ
তেল গরম হলে সেখানে কেটে রাখা আলু,পেয়াজ,রসুন হলুদ দিয়ে ভেজে নিই।
৪র্থ ধাপ
এরপর পেয়াজ ও আলুর রঙ বাদামী হলে এর মাঝে মাংস দিয়ে দেই।সেই সাথে তেজপাতা,মরিচের গুড়া,এলাচ,লবণ দিয়ে দেই।
৫ম ধাপ
এরপর মাংস,পেয়াজ রসুন আবার কিছুক্ষণ ভেজে নেওয়ার পর এর মাঝে আদা-জিরার পেস্ট ঢেলে দেই।
৬ষ্ঠ ধাপ
এরপর একটু পানি দিয়ে কড়াই টি ঢেকে দেই।
৭তম ধাপ
এর কিছুক্ষণ পর মাংস সিদ্ধ হলে তাতে চাউল দেই।এরপর চাউল ও কষানো মাংস একটু নাড়াচাড়া করে ভালভাবে মিশিয়ে নেই।তবে এই ধাপে আলুগুলো তুলে রাখি নইলে গলে যাবে একদম
৮তম ধাপ
এরপর এর মাঝে পরিমাণ মত পানি দিই
৯তম ধাপ
পানি দেওয়ার পর আবার কড়াইটি ঢেকে দেই এবং চাল সিদ্ধ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করি।
১০তম ধাপ
চাল সিদ্ধ হয়ে গেলে তার মাঝে বিরিয়ানি মশলা দেই এবং নাড়াচাড়া করে আবার কিছুক্ষণের জন্য ঢেকে দেই।এই ধাপে আবার আলু দিয়ে দিই।
১১তম ধাপ
এর কিছুক্ষণ পর চুলা থেকে নামিয়ে নিই এবং গরম গরম পরিবেশন করি।
নতুন কিছু করার চেষ্টা করলাম। কেমন হয়েছে অবশ্যই জানাবেন।কষ্ট করে পড়ার জন্য ধন্যবাদ |
---|
আপনার কাছ থেকে প্রথম জানতে পারলাম আমাদের দেশে বিরিয়ানি আসে মুঘল দের হাত ধরে। বিরিয়ানি আমার পছন্দের একটি খাবার। বিরিয়ানি খেতে আমার কাছে খুব ভালো লাগে। প্রায় বাসায় তৈরি করে খাওয়া হয় । রান্নার ধাপগুলো সুন্দরভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুস্বাদু একটা রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনাকেও ধন্যবাদ সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য।
চিকেন বিরিয়ানির নাম শুনলে জিভে জল আসে ! আপনি ধাপে ধাপে খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন । চিকেন বিরিয়ানি রেসিপি এবং যেভাবে বানিয়েছেন সেদ্ধ টা কিন্তু ভালই হয়েছে। যাইহোক চিকেন বিরিয়ানির মতো সুস্বাদু আর কি আছে! খুব ভালো বানিয়েছেন।
ধন্যবাদ দাদা।আপনার মন্তব্যে অনেক উৎসাহিত হলাম।
চিকেন বিরিয়ানি এই ওয়েদারের সাথে একদম মিলে যায়। ধাপগুলি খুব সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন ভাইয়া। খেতে খুব মজা হয়েছিল, তাই না? এত সুন্দর করে রেসিপি শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
অনেক মজা হয়েছিল।ধন্যবাদ আপু।সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আপনি ঠিকই বলেছেন বিরিয়ানি বাঙালির অনেক প্রিয় একটি খাবার। আমি মাঝে মাঝেই বাসায় বিরিয়ানি তৈরি করি। বিরিয়ানি খেতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। বিশেষ করে চিকেন বিরিয়ানি খেতে বেশি ভালো লাগে। এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। আপনার জন্য রইল অনেক অনেক শুভকামনা।
ধন্যবাদ আপু।আপনার জন্যও শুভ কামনা রইল।
আমাদের দেশে বিরিয়ানি আছে মুঘলদের হাত ধরে এই গুরুত্বপূর্ণ কথাটি এই প্রথম শুনলাম আপনার কাছ থেকে। চিকেন বিরিয়ানি এমনিতেই আমার অনেক পছন্দ আমি প্রায় বাসায় তৈরি করে খাই। আপনি খুব চমৎকার ভাবে রান্না করেছেন ধন্যবাদ।
আপনাকেও ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
বিরিয়ানি বাঙালির প্রিয় খাবার ঠিক আছে তবে সপ্তাহে একদিন অন্তত আমার বিরিয়ানি না হলে চলে না। তবে তার বেশি হলেও ক্ষতি নেই। এই ছোট চালের বিরিয়ানি গুলো বিশেষ খাওয়া হয়নি আমার কোনদিনও। বাসমতি চালের বিরিয়ানিটাই খাওয়া হয়। তবে ২৫০ গ্রাম মুরগির মাংস দিয়ে বিরিয়ানি রান্না করলে তো হবে না। আমার নিজেরই তো লাগে ৫০০ গ্রাম মাংস। বিরিয়ানির রংটা দেখে কিন্তু সত্যিই বেশ ভালো লাগছে। এইবার পাঠিয়ে দেন পার্সেল করে, বসে আছি থালা নিয়ে।
যেতে যেতে ঠান্ডা হয়ে যাবে তো।আপনিই চলে আসুন দাদা একসাথে খাওয়া যাবে।আবার আলাদা মাংস ছিল দাদা তাই বিরিয়ানি তে কম দেওয়া হয়েছে একটু।
বাহ্। বেশ ভালো। তোমাদের ওখানের বিরিয়ানি টা অনেকটা এখানকার পোলাও এর মত হয় মানে একটু মাখা মাখা ধরণের। আমাদের টা একদম ছাড়া ছাড়া রাইস হয়। আর লেয়ারিং করে বানানো হয়।দুটো দুরকম ভাবে সুস্বাদু।
দিদি তুমি যেটার কথা বলছ ওটাকে আমরা কাচ্চি বলি সম্ভবত।এটা সিম্পল বিরিয়ানি তার এরকম।হ্যা আসলেই দুটো দুরকম ভাবে সুস্বাদু।ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
চিকেন বিরিয়ানি প্রত্যেক বাঙালির ই খুব পছন্দের একটা খাবার। এমনকি আমিও ব্যতিক্রম নই। আপনি চিকেন বিরিয়ানির রান্না খুব সুন্দরভাবে পোস্টে উপস্থাপন করেছেন। দেখে তো মন চাচ্ছে একটু খেয়ে নিই। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।একদিন চলে আসুন একসাথে খাওয়া যাবে।
বিরিয়ানি খেতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে।আর এটি আমার এতটাই পছন্দের যে আগে প্রতি মাসে অন্তত দুবার হলেও বিরিয়ানি রান্না করতাম। কিন্তু এখন বাবু থাকার কারণে ইচ্ছে হলেও রান্না করতে পারি না। যাইহোক আপনার রান্নাটা একদম ব্যতিক্রমধর্মী লাগলো আমার কাছে। কারণ এভাবে আমি কখনোই রান্না করিনি। কিন্তু বিরিয়ানি যেভাবেই রান্না করা হোক না কেন সামনে থাকার দরকার আর খাওয়া দরকার। রান্নাটা খুব ভালোই ছিল ভাইয়া।
আসলেই রান্না বড় বিষয় না। বিষয় হচ্ছে সামনে পাওয়া আর তা খেয়ে ফেলা।ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
বাঙ্গালীদের পছন্দের খাবারের তালিকায় বিরিয়ানির নাম সবার উপরে। বিরিয়ানি খেতে কম বেশি সবাই পছন্দ করে। কাচ্চি বিরিয়ানি কিংবা তেহারি খেতে যেমন ভালো লাগে তেমনি চিকেন বিরিয়ানি খেতেও খুবই ভালো লাগে। এই মজার রেসিপি তৈরি করে শেয়ার করেছেন এজন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
অনেক ধন্যবাদ আপু।সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।