দিদির গায়ে হলুদ

in আমার বাংলা ব্লগlast year (edited)
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগবাসী।আশা করি সবাই ভাল আছেন।আমিও ভাল আছি।গত সপ্তাহে পোস্ট করতে পারি নি।কেন পারি নি সে নিয়েই আজ আলোচনা করব।

IMG_9660.jpg

ক্যাপশন দেখে বুঝতেই পারছেন দিদির বউভাত নিয়ে লিখব আজ৷ আমার দিদির নাম জ্যোতি।আমার পিসতুতো দিদি।পড়াশোনা শেষ করে বর্তমানে চাকুরিরত।চাকুরি পাওয়ার পর থেকেই তার জন্য পাত্র খোজা হচ্ছিল।অবশেষে যোগ্য পাত্র পাওয়া গেলে বিয়ের দিন ঠিক হল ২৬জানুয়ারি।

আমার সামনে পরীক্ষা তাই যাওয়ার ইচ্ছা মোটেও ছিল না।কিন্তু মা বলল তুই না গেলে দেওয়া থোয়ার দিকটা কে দেখবে? বিয়ের কত কাজ ওরা একা পারবে না।পিসি বারবার বলছে তোকে যেতে। অন্য বাবা মা বলে বিয়ে তে গিয়ে সেজেগুজে ঘুরতে,মজা করতে।আর আমার মা আমাকে নিয়ে যাচ্ছে কাজ করতে।

IMG_20230125_214521.jpg

যাই হোক ২৫তারিখ সবাইকে নিয়ে রওনা দিলাম।সকাল সকাল রওনা দিলাম।তবে দিদির বাড়ি সৈয়দপুর।আমাদের বাড়ি থেকে প্রায় ৪ঘন্টার রাস্তা।তাই সকাল সকাল রওনা দিলেও পৌছারে দুপুর গড়িয়ে গেল।গিয়ে নামতে না নামতেই পিসি বাজারে পাঠিয়ে দিল।গায়ে হলুদের বাজার করতে।

ছোট ভাইকে নিয়ে বাজারে বেড়িয়ে গেলাম।তবে বাজারে গিয়ে অবাক হয়ে গেলাম সব জিনিসের দাম আমাদের এখানের প্রায় দেড়গুণ।কিন্তু নিতেই হবে তাই অনোন্যপায় হয়ে বাজার করতে হল।তবে একটি মজার ঘটনা হল সৈয়দপুরের প্রায় সবাই বিহারি।তার উর্দুতে কথা বলে।তাদের কথা শুনতে মজাই লাগছিল।কেক,ফুল,মিষ্টি,ফল নিয়ে বাসায় আসলাম।

IMG_20230125_213851.jpg

বাসায় এসে দেখি বোনেরা হলুদ এর স্টেজ সাজিয়ে ফেলেছে।আবার সবাই সেজেগুজে একদম রেডি।তারা এমন ভাবে সেজেছে যে তাদের চেনাই যাচ্ছিল না।আমার আবার এমন সাজগোজ পছন্দ না।

এরপর দিদিকে নিয়ে স্টেজে আসলাম।কিন্তু আমি ফ্রেশ হতে গিয়ে মাথায় বাজ পড়ল। কারন হলুদের পাঞ্জাবীটাই ছেড়ে এসেছি।এখন ভাই বোন সবাই হলুদের পাঞ্জাবী,শাড়ি পড়েছে শুধু আমারই হলুদের পাঞ্জাবী নেই।তাই আমি ফটোগ্রাফারের ভূমিকা নিলাম। কারন ময়ূরের মাঝে কাক ঢুকে গেলে সমস্ত বিষয়টাই খারাপ দেখায়।

IMG_20230125_215454.jpg

প্রথমেই চলল ফটো সেশন। প্রায় ঘন্টাখানেক ফটোসেশন চলল।আমার প্রচুর বিরক্ত লাগতেছিল।এত কি যে ছবি তোলে, আর এত ছবি তুলে কি হয় ভেবেই পাইনা।এরপর ক্যামেরাম্যান রাগ হতেই ছবি তোলার পালা সাঙ্গ হল।তখন কেক কাটার পালা চলে আসল।ভাই বোন সবাই মিলে কেক কাটলাম।

অন্যসময় হলে একজন আরেকজনের মুখে কেক মাখিয়ে দিত।কিন্তু আজ মেকাপ নষ্ট হবার ভয়ে কেউ সে কাজ করল না।এরপর সবাই মিলে শুরু হল নাচ গান।আমরা প্রায় ২১জন ভাই বোন অনেকদিন পর একজায়গায় হয়েছিলাম।ফলে প্রচুর মজা হয়েছিল। অনেক স্মরণীয় একটি মুহুর্ত ছিল।অনেক উপভোগ করেছি সন্ধ্যাটি।

IMG_20230125_224322.jpg

আজকের পোস্ট এপর্যন্তই। সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ।কেমন লাগল জানাবেন।কোন ভুল হলে অবশ্যই ধরিয়ে দেবেন।

VOTE @bangla.witness as witness witness_proxy_vote.png OR
SET @rme as your proxy
witness_vote.png

banner-NEW.png
break2.jpg
আমি বৃত্ত মোহন্ত (শ্যামসুন্দর)। বর্তমানে ছাত্র। নতুন কিছু শিখতে, নতুন মানুষের সাথে মিশতে আমার খুব ভাল লাগে। তেমনি বই পড়া আর ঘুরে বেড়ানো আমার পছন্দের কাজগুলোর মধ্যে অন্যতম। মুক্তমনে সব কিছু গ্রহণ করার চেষ্টা করি আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করি,"বিশ্বজোড়া পাঠশালা মোর, সবার আমি ছাত্র"।
break2.jpg

Sort:  
 last year 

পিসিত বোনের বিয়ে বলে কথা।তবে এই বয়সে বিয়েতে গেলে বেশ জমে আপনার তো জমে যাওয়া তো দুরের কথা সাজও করতে পারলেন না।তবে অনেকের চেহারা দেখে বুঝতে পেরেছি আপনাকে দেখে ক্রাশ খাচ্ছে😄😄।ফটোগ্রাফারের কাজ ভাল পছন্দের মানুষের ছবি নিতে সুবিধা নিজের মত করে।অনেক ভাল সময় কাটিয়েছেন ভাল লাগলো।

 last year 

ওগুলো সব আমার বোন আপু।হাহাহা।ধন্যবাদ আপু মজার মন্তব্য করার জন্য।

 last year 

আপনার দিদির জন্য শুভকামনা রইল। আপনি ৪ ঘণ্টা পথ পারি দিয়ে সৈয়দপুর দিদির বৌভাত অনুষ্ঠানে গিয়েছেন এবং সেটা সার্থক হয়েছে। আপনারা ২১ জন ভাই বোন একসাথে হতে পেরেছেন। মিষ্টি আর ফলের ছবি দেখে খেতে ইচ্ছে করছে। বিয়ে বাড়ীতে ছবি তোলা হবে এটাই স্বাভাবিক। ছবি দেখে মনে হচ্ছে নাচ গান ও হয়েছে। ধন্যবাদ ভাইয়া।

 last year 

ভাইয়া আমার একটু ভুল হয়ে গেছে টাইটেল লিখতে।ওটা গায়ে হলুদ হবে।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্যের জন্য।আপনার দোয়া কবুল হোক।

 last year 

দিদির বৌভাতে দেখছি দারুণ কিছু সময় অতিবাহিত করেছেন ভাইয়া। আসলে এতগুলো ভাইবোন যদি একত্রিত হওয়া যায় তাহলে সেখানে তো প্রচুর পরিমাণে মজা হবে এটাই স্বাভাবিক। এটা সত্য বলেছেন যে ছবি তুলতে তুলতে বিরক্ত হয়ে যেতে হয়।

 last year 

হ্যা বেশ মজা করেছি। ধন্যবাদ ভাইয়া।

 last year 

পরীক্ষার চিন্তা যখন মাথার উপর থাকে তখন কোথাও গিয়েও শান্তি নেই। যাইহোক এমন সময় এমন কিছু পরিস্থিতি হয়ে যায় যেখানে পরীক্ষা ঘনিয়ে এলেও যেতে হয়। অবশেষে আপনার দিদির জন্য যোগ্য পাত্র পাওয়া গিয়েছে এটাই বড় কথা। যোগ্য লোকের হাতে নিজের আপন মানুষদের তুলে দেওয়া নিয়ে পরিবারকে অনেক চিন্তা করতে হয়। ভালো লাগলো ভাইয়া আপনার পোস্ট পড়ে।

 last year 

দোয়া করবেন নতুন দম্পতির জন্য। ধন্যবাদ আপু সুন্দর উৎসাহ মূলক মন্তব্য করার জন্য।

 last year 

আপনার জ্যোতি দিদির বৌভাতে অনুষ্ঠানে খুব চমৎকার মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। আসলে বিয়ে মানে অনেক আনন্দ উৎসব, খাওয়া দাওয়া, গল্প গুজব সকলের সাথে সুন্দর মুহূর্ত পার করা। বিয়ের অনুষ্ঠান দেখে ভালো লাগলো। বিয়েতে কাটানো এত সুন্দর মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।

 last year 

আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ ভাই সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

 last year 

সত্যি ভাইয়া এমন হলুদের অনুষ্ঠান ভালো লাগে। আপনার কথা শুনে একটু খারাপ লাগল হলুদের পাঞ্জাবি ফেলে এসেছেন। আর পরিক্ষার চিন্তা মাথায় থাকলে বিয়ে কেনো আমার মনে হয় কিছুই ভালো লাগে না।যাইহোক ভাইয়া আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

 last year 

আপনাকেও ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

 last year 

ইশ মনে করে পাঞ্জাবি টা নিয়ে গেলেই তো ফটোগ্রাফারের কাজ করতে হতো না। তবে যাইহোক বিয়ে বাড়িতে কিন্তু প্রচুর মজা হয়। আপনার দিদির জন্য শুভকামনা রইলো।

 last year 

অনেক ধন্যবাদ আপু আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

 last year 

আপনার পিসতুতো দিদির বিয়েতে তো খুবই জমজমাট আয়োজন করেছে দেখতেছি। ছোটবেলা থেকে যখন বিয়ে খাব কথাটা ভাবতাম তখন মনটা যেন অনেক ফুরফুর হয়ে যেত। আসলে বিয়ে তে গিয়ে দাওয়াত খাওয়ার মজাটাই আসলে আলাদা। বিশেষ করে খাওয়া-দাওয়া আর নাচানাচি করলে বিয়েটা আরো জমজমাট হয়ে পড়ে। কিন্তু আপনি পরীক্ষা থাকার সত্ত্বেও বিয়েতে এটেন্ড করলেন। প্রথমে তো আমি ভেবেছিলাম হয়তো আপনি বিয়েতে যাবেন না। পরে আপনার মায়ের জড়াজড়িতে বিয়েতে যেতেই হল। যদি বিয়েতে না যেতেন তাহলে আসলেই অনেক কিছুই মিস করতেন। আপনার পিসতুতো দিদির বাকি জীবন যেন শুভময় হয়।

 last year 

হ্যা অনেক কিছুই মিস করতাম।অনেক সুন্দর মুহুর্ত উপভোগ করতে পারতাম না।ধন্যবার আপু সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

 last year (edited)

আপনার বোনের হলুদ সন্ধ্যায় তাহলে বেশ ভালই মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। ফটোগ্রাফি দেখেই বুঝতে পারছি বেশ ভালোই আয়োজন করা হয়েছে। আপনারা ২১ জন ভাইবোন অনেকদিন পর আবার একসাথে হয়েছেন এই বিয়েটির মাধ্যমে দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। আসলেই মেকআপ নষ্ট হওয়ার ভয়ে এখন তো কেউ মুখে আর কেক মাখে না। এর ফলে কিন্তু ভালই হয় মাঝে মধ্যে অনেকে লিমিট ক্রস করে ফেলে। যাইহোক আপনার কাটানো এত সুন্দর মুহূর্ত পড়ে ভীষণ ভালো লেগেছে।

 last year 

আপনার ভাল লাগা তেই আমার লেখার স্বার্থকতা।ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

Coin Marketplace

STEEM 0.27
TRX 0.12
JST 0.031
BTC 67807.13
ETH 3791.63
USDT 1.00
SBD 3.72