আম্মু ও আমার মজার একটি মূহুর্ত|| ফানি মোমেন্ট

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago

হ্যালো আমার বাংলা ব্লগবাসী। আশা করি সবাই ভাল আছেন।আমিও প্রায় ভাল আছি।প্রায় ভাল আছি বললাম কারন সব ঠিকঠাক থাকলেও চোখ একটু সমস্যা করছে।চোখে ইনফেকশন হয়েছে।

pexels-ketut-subiyanto-4474032.jpg

সোর্স

তো প্রথমেই আমার আম্মুর সম্পর্কে বলা যাক।আমার আম্মু একজন শিক্ষিকা।ফলে তাকে প্রায় সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত থাকতে হয় বাইরে।আম্মু যখন বাড়ি আসেন তখন আমি আবার বাইরে। অর্থাৎ সারাদিনই প্রায় দেখা হয়না।কিন্তু তাই বলে কিন্তু আম্মুর সাথে আমাদের একটুও দূরত্ব তৈরি হয়নি।

আম্মুর সাথে আমাদের সম্পর্ক একজন সিনিয়র ফ্রেন্ডের মত।মানে যাকে সম্মান করতে হয় আবার সব শেয়ার ও করা যায়।আমি ও আমার বোন সব কিছুই প্রায় আম্মুর সাথে শেয়ার করি।কোন ভাল খবর আম্মুকে না শোনানো পর্যন্ত শান্তি পাই না একদম।আবার আম্মুর সাথে যে ঝগড়া একেবারেই হয়না তা কিন্তু নয়।এখন আপনারা ভাববেন না ঝগড়া মানেই মারকাটারি কিছু।এই ঝগড়া টা হচ্ছে মজার ঝগড়া।আম্মুর যখন খুব বোরিং লাগে তখন আম্মু এই কাজ টা করে।সে এসেই আমাদের রাগানোর চেষ্টা করে।তখন আমি আর বিন্দু বুঝতে পারি আম্মুর বোরিং লাগতেছে তখন আমরাও শুরু করি।এভাবে কিচ্ছুক্ষণ চলার পর সবাই হেসে ফেলি।

তো যাই হোক আজ সকালেই একটি মজার ঘটনা ঘটে গেল সেটি শেয়ার করি আপনাদের সাথে।যদিও মজার বলছি কিন্তু বিষয়টা আমার জন্য সাজার।

pexels-ketut-subiyanto-4473866.jpg
সোর্স
আগেই বলেছি কয়েকদিন যাবৎ চোখ একটু সমস্যা করছে।প্রথমে ভেবেছিলাম "চোখ উঠেছে"।এমনি ভাল হয়ে যাবে।কিন্তু ঠিক না হওয়াতে ডাক্তার দেখাই। আর ডাক্তার বেশ বকা দিয়ে কিছু জীবানূ নাশক ড্রপ আর মলম দেয়।তো এগুলো দেওয়ার দায়িত্ব পরে ছোট বোনের উপর।সে এই দায়িত্ব বেশ ভালভাবেই পালন করছিল।কিন্ত আম্মু কর্পোরেট বসের মত তার কাজে কিছু তেই সন্তুষ্ট হতে পারছিল না।

ফলাফল আজ সকালে উনি দায়িত্ব নিজের হাতে তুলে নিলেন এবং সকাল থেকে আমার পেছনে লেগে আছেন কখন ড্রপ দিব।এবং আমার অবহেলার কারনেই নাকি আমার চোখ ঠিক হচ্ছে না।আমি ঠিকমত ওষুধ ব্যবহার করছি না।এখন থেকে উনি নিজে দায়িত্ব নিলেন এগুলো।

pexels-ketut-subiyanto-4472820.jpg
সোর্স
তো এই বকা খাওয়ার ভয়েই সিদ্ধান্ত নিলাম এখনই ড্রপ দিয়ে নেই।তো আম্মু শুনে মহা উৎসাহের সাথে ড্রপ দিয়ে দিলেন।এবং সাথে সাথেই আমার চোখ প্রচন্ড জ্বালা করা শুরু করল।আমি তো প্রায় লাফালাফি শুরু করে দিয়েছি জ্বলুনি তে।এদিকে উনি চোখে জল ও দিতে দেবেন না।তাতে নাকি সমস্যা হবে।যাই হোকে এভাবে ১০-১৫ মিনিট লাফালাফি করার পর জ্বলুনী অনেকটা কমলে একটা বিষয় মাথায় এল।

বিন্দু এত দিন ড্রপ দিয়ে দিল জ্বালাপোড়া কিছু করল না আজ হঠাৎ এই অবস্থা কেন? তখন আম্মুকে জিজ্ঞাসা করতেই দেখি উনি মিটিমিটি হাসতেছেন।তখন বিন্দু তাকে চেপে ধরতেই উনি বললেন" বেশি উৎসাহে উনি যে মরিচ কাটছিলেন সেটিই ভুলে গেছিলেন ফলে উনি হাত না ধুয়েই চোখে ড্রপ দিয়ে দিয়েছেন এবং যার ফলে আমার এই অবস্থা।

এটা শুনে আমি হাসব নাকি কাদব বুঝতেছি না।তাই ভাবলাম আপনাদের সাথে শেয়ার করে ফেলি।আমার জ্বালা শুনে যদি আপনারা একটু মজা পান।আর সবাই একটু প্রার্থনা করবেন যাতে জলদি সুস্থ হয়ে উঠি।

Sort:  
 2 years ago 

খুব মজা লাগলো আপনার গল্পটি পড়ে। আমিও তো প্রথমে অবাক হয়েছিলাম যে চোখের ড্রপ দেওয়াতে এত জ্বালাপোড়া করবে কেন? পরে দেখলাম যে না আসল কাহিনী অন্য জায়গায়। মরিচের হাত লেগেছে আপনার চোখে। সবশেষে নিশ্চয়ই আপনারা অনেক হাসাহাসি করেছেন এই বিষয়টা নিয়ে।

 2 years ago 

হ্যা আপু।সবাই অনেক হাসাহাসি করেছি।

 2 years ago 

ঘটনাটা আসলেই মজার ছিল যদিও আপনাকে একটু কষ্ট পেতে হয়েছে। আন্টি আপনাকে অনেক ভালবাসে তাই নিজেই দায়িত্ব নিয়েছে। দোয়া করি আপনার চোখ তাড়াতাড়ি ভাল হয়ে যাক। ঘটনাটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

 2 years ago 

আপনাকেও ধন্যবাদ ভাই।শুভ কামনা রইল আপনার জন্য।

 2 years ago 

মজা পেলাম যদিও কষ্টের কাহিনী!!

  • পোস্ট সম্পর্কীয় মূল ট্যাগ গুলো ১ম এ দিবেন।এরপর অন্য ট্যাগ দিবেন।
 2 years ago 

ধন্যবাদ আপু।এরপর থেকে আর ভুল হবে না।

 2 years ago 

খুব সুন্দর লিখেছেন মা আর আপনাদের ফ্রেডলি কথা। আসলেই পৃথিবীতে মায়ের চেয়ে এত আপন বন্ধুত্ব্য কোথাও পাওয়া মুশকিল। আপনার গল্পটি পড়ে বেশ ভালই লেগেছে। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য

 2 years ago 

আপনাকেও ধন্যবাদ।

Coin Marketplace

STEEM 0.30
TRX 0.12
JST 0.031
BTC 57410.43
ETH 2916.25
USDT 1.00
SBD 3.67