প্রতিযোগীতায় জেতা ও পুরস্কার প্রাপ্তি
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগবাসি।আশা করি সবাই ভাল আছেন।আমিও বেশ ভাল আছি।আজ আপনাদের সাথে ভাগাভাগি করে নেব খুশির কিছু মুহুর্ত।
গিফট
আমি প্রতিযোগীতায় বিশ্বাস করি,পুরস্কারে নয়।নিন্দুকেরা বলতে পারে,"আমি হারু পার্টি তাই এসব জ্ঞানের কথা বলে নিজেকে শান্তনা দিচ্ছি"।তা নিন্দুকরা বলতেই পারে, কারন নিন্দুকের কাজই নিন্দা করা।
আবার খানিকটা ঠিকও বলা যেতে পারে তাদের কথা,কারন আমি অনেক প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহণ করেও আমার পুরষ্কারের ঝুলি ফাকা বললেই চলে।তবে একথা ঠিক না যে আমি জ্ঞানের কথা বলে নিজেকে শান্তনা দিচ্ছি।কারন আমি কোথাও ইনপুট দিলে সেখান থেকে কিছু না কিছু আউটপুট অবশ্যই পাব।এখন নিন্দুকদের চোখ বড়ই জাগতিক।তাদের কাছে জাগতিক জিনিসের প্রতিই তাদের মোহ মায়া বেশি।
গিফট
কিন্তু তারা যদি আমার চোখ দিয়ে দেখত তবে তারা বুঝতে পারত আমি বস্তুগত কিছু না পেলেও জ্ঞান অর্জন করছি প্রতিনিয়ত।প্রত্যেকটি ব্যার্থতাই কিছু না কিছু শিক্ষা দিয়ে যায়।তাছাড়া প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহণের আনন্দটাও কিন্তু কম নয়।তারপর সেই প্রতিযোগীতার ফলাফল এর জন্য অপেক্ষা করাও বেশ মজার।
গিফট
যাই হোক অনেক বকবক করলাম এখন আসি আমার প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহন নিয়ে।আমার ছোট বোন বিন্দুর কথা তো আপনারা জানেনই।ওর দুনিয়া সব বইয়ের মাঝে।হয় একাডেমিক বই,না হয় গল্পের বই।অবশ্য গল্পের বই পড়ার অভ্যাসটি আমার থেকেই পেয়েছে।
গিফট
বিন্দুর ইংরেজী শিক্ষক অর্ণব স্যার।উনি উনার কোচিং এর প্রচারের জন্য ফেসবুকে একটি গ্রুপ খুলেছিলেন এবং সেখানে একটি ওপেন প্রতিযোগীতার আয়োজন করেন।আয়োজন টি বেশ মজার। দেখাও তোমার পড়ার টেবিল ও ড্রয়ার।এটা মূলত একটি ফটোগ্রাফি কনটেস্ট।বিন্দু আমাকে খবরটা দিল আর বলল চল দাদা অংশগ্রহণ করি।
নিয়ম খুবই সিম্পল।পড়ার টেবিলের ছবি শেয়ার করতে হবে সাথে টেবিলের ড্রয়ারের ছবি।আর সেই সাথে একটু বর্ণনা দিয়ে স্যারের ফেসবুক গ্রুপে শেয়ার করতে হবে।ভাবলাম অংশগ্রহণ করেই ফেলি।
প্রতিযোগীতায় দেওয়া পড়ার টেবিলের ছবি
তবে আমার পড়ার টেবিল বড়ই অগোছালো।আর বলতে গেলে আমি বিছানা তেই পড়ি।তাই পড়ার টেবিল বিন্দুর দখলে।তখন ওকে বললাম,আগে পড়ার টেবিল গোছাতে হবে।পরেরদিন সকালে উঠে দেখি পড়ার টেবিল একদম রেডি।ওর উৎসাহের কোন কমতি নেই।
তুলে ফেললাম কয়েকটি ছবি। তারপর সব কিছু ফর্মালিটি কমপ্লিট করে অংশগ্রহণ করে ফেললাম।এরপর ১০-১৫দিন যায় কিন্তু ফলপ্রকাশের কোন নাম নেই।এভাবে বিন্দুর পরীক্ষা চলে আসে এবং এক পর্যায়ে ভুলে যাই যে আমরা প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহণ করেছিলাম।অবশেষে গতকাল স্যার এর সাথে দেখা।স্যার বললেন আরে তোমাদের পুরস্কার নিয়ে যাও না কেন? আমি তো আকাশ থেকে পড়লাম।কিসের পুরস্কার? তখন মনে পড়ল ওহ আচ্ছা সেই পড়ার টেবিলের প্রতিযোগীতা।
প্রতিযোগিতায় দেওয়া ড্রয়ারের ছবি
শুনেই তো মনটা খুশিতে ভরে গেল।তারপর স্যারের সাথে কোচিংয়ের ভেতরে গেলাম।স্যার চা খাওয়ার আমন্ত্রণ জানালেন।কিন্তু চায়ের সাথে আমার শত্রুতার কথা স্মরণ করে না বললাম।স্যার জানালেন আমরা দ্বিতীয় হয়েছি।এরপর স্যার ইয়া বড় একটি প্যাকেট বের করে দিলেন।প্যাকেট দেখেতো আমার ঈদের দিন এর মত আনন্দ হচ্ছিল।খোলার জন্য তর সইছিল না।
স্যার কে ধন্যবাদ দিয়ে বাসায় এসেই গিফট বক্সের অপারেশন করতে লেগে গেলাম।পুরষ্কার গুলো দেখেই মন আরো ভাল হয়ে গেল।বিন্দুকেও জানালাম।আর ভাবলাম আপনাদের সাথেও শেয়ার করে নেই খুশির মুহুর্ত গুলো।
আমি বৃত্ত মোহন্ত (শ্যামসুন্দর)। বর্তমানে ছাত্র। নতুন কিছু শিখতে, নতুন মানুষের সাথে মিশতে আমার খুব ভাল লাগে। তেমনি বই পড়া আর ঘুরে বেড়ানো আমার পছন্দের কাজগুলোর মধ্যে অন্যতম। মুক্তমনে সব কিছু গ্রহণ করার চেষ্টা করি আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করি,"বিশ্বজোড়া পাঠশালা মোর, সবার আমি ছাত্র"।
প্রতিযোগিতার বিষয়বস্তুটি কিন্তু দারুন। আমার কাছে তো দারুন লেগেছে। সত্যি ভাইয়া স্যারের আইডিয়াটা কিন্তু দারুণ। একদিকে উনার প্রচারণাও হয়েছে অন্যদিকে স্টুডেন্টরাও নিজের টেবিল গুছিয়ে রাখতে উৎসাহ পেয়েছে। যাই হোক অনেকদিন পরে হলেও নিজের উপহার পেয়েছেন এটাই সবচেয়ে বড় কথা। উপহার যাই হোক না কেন আনন্দটা অনেক বেশি। আপনাকে অভিনন্দন জানাচ্ছি ভাইয়া।
হ্যা ইউনিক ছিল প্রতিযোগীতার কনসেপ্ট টি। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
ভাইয়া ভালই তো পড়ার টেবিলের ফটোগ্রাফি সেয়ার করে পুরষ্কার জিতে নিলেন। আর উপরে কত গুলো সুন্দর সুন্দর কথা সেয়ার করলেন। কথা গুলো খুব ভাল লাগলো। যে মানুষ যে বিষয়কে ভয় পায় সে মানুষ সে বিষয়কে খারাপ ভাবে উপস্থাপন করে। প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহন করা অনেক ভাল। অনেক অভিজ্ঞতা হয়। ধন্যবাদ ভাইয়া।
নিন্দুকের কাজ তো নিন্দা করা তবে তাতে কি এসে যায়।প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করলে যে জিততে হবে তা এমন কোন কথা আছে।আমার কাছে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করা হচ্ছে সবচেয়ে বড় ম্যাটার।আপনার পুরস্কার দেখে আমার লোভ লাগতেছে যদি আমাকে দিয়ে দিতেন।🤭🤭🤭।
ঠিকই বলেছেন।জিততেই হবে এমন কোন মানে নেই।কোনটা নিবেন বলেন? কুরিয়ার করে দেই।
যে কোনো একটা দিলে হবে ভাইয়া সবগুলো পছন্দ হয়েছে আমার।
আসলে যে কোন প্রতিযোগিতায় জিততে বেশ আনন্দ হয়। সেটা ছোট হোক কিংবা বড়। আবার যদি প্রতিযোগিতার পুরস্কার পাওয়া যায় তাহলে তো কোন কথাই নেই। প্রতিযোগিতার পুরস্কার হিসেবে ও যেটাই পাওয়া যায় না কেন অনেক বেশি আনন্দ লাগে। একেবারে পড়ার টেবিলের ফটোগ্রাফি করেই প্রতিযোগিতা জিতে নিয়েছেন। যদিও পড়ার টেবিলটা আপনার বোনের দখলে। বলার সাথে সাথে দেখছি খুব সুন্দর ভাবে গুছিয়ে নিয়েছে। নিশ্চয়ই প্রতিযোগিতায় জেতার খবরটা শুনে আপনার বোনও অনেক বেশি খুশি হয়েছে।
হ্যা, বোন অনেক খুশি হয়েছে। ধন্যবাদ আপু সুন্দর গঠণমূলক মন্তব্য করার জন্য।
ভালো বলেছেন ভাইয়া নিন্দুকের কাজই নিন্দা করা তাই বলে কি থেমে থাকলে চলবে। দেখেন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে খুব বেশি জিততে না পারলেও আপনি কিন্তু হেরে যাননি। তারপরও উৎসাহ নিয়ে এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে ঠিকই জিতে গিয়েছেন। আসলে নিন্দুকদের কথা শুনে হাল ছেড়ে দিলে হয়তো আপনি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পারতেন না। খুব ভালো লাগলো জেনে যে আপনি প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় হয়েছেন । এখন প্রতিযোগিতার প্রতি আপনার উৎসাহ আরও বেড়ে যাবে।
আসলেই নিন্দুকের নিন্দা শুনে থেমে থাকলে হবেনা।চেষ্টা করে যেতে হবে।ধন্যবাদ আপু সুন্দর গঠণমূলক মন্তব্যের জন্য।
আমার কাছেও প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করলে খুব ভালো লাগে। আমার আব্বু একটা কথা সবসময় বলতেন যেকোনো পরীক্ষা আসুক অংশগ্রহণ করবা।সবসময় যে সেই পরীক্ষায় পাশ করা যাবে তা তো নয় তবে সেখান থেকে তুমি কি জ্ঞান অর্জন করেছ সেটাই বড় কথা। তারপর থেকে পরীক্ষা আর প্রতিযোগিতা যাই হোক না কেন আমি সবসময় অংশগ্রহণ করতাম। প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হওয়ার মজাই আলাদা। আপনি প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হওয়াতে এবং সেখান থেকে পুরষ্কার পাওয়ার আনন্দ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনার বাবা মার কথা একদম খাটি।আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ সুন্দরমন্তব্যের জন্য।
প্রতিযোগিতার থিমটা আমার কাছে অসম্ভব ভালো লেগেছে। এক কথায় ভিন্নধর্মী একটা আয়োজন ছিল। আমি নিজেও পড়ার টেবিল গুছিয়ে রাখতে সব সময় পছন্দ করি। কিন্তু ড্রয়ার খুললে যে কারো মাথা নষ্ট হয়ে যাবে 😅। কত কি আবোল তাবোল জিনিস যে সেখানে রাখা 😉। মা-বাবা আর বোনকে হাজারবার করে বারণ করি আমার টেবিলের ড্রয়ারে যেন ভুল করেও হাত না দেয় 😊। অসম্ভব ভালো লাগলো আপনার পুরস্কার অর্জন করা দেখে। আর কে কি বলল এতে কি যায় আসে! নিজের ভালোলাগা, নিজের তৃপ্তি টাই সবার আগে।
ধন্যবাদ দাদা সুন্দর গঠণ মূলক মন্তব্যের জন্য।আমি পারলে আমার রুমে কাউকে ঢুকতেই দিইনা।কিন্তু সবাই আমার রুমেই বসে।
প্রতিযোগিতার ধরনটা আমার কাছে একটু ইউনিক মনে হয়েছে। এরকম একটা প্রতিযোগিতায় আমার অংশগ্রহণ করা উচিত ছিল😁। কারণ আমার টেবিল ভর্তি এত বই খাতা, পড়িনা তাও রেখে দিয়েছি। আপনার পোস্টে উপরে শেয়ার করা কিছু কথা আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। ও আর একটা কথা, আপনার টেবিলের উপর দেখলাম "ভয়ংকর ভুতের গল্প" নামক একটা বই রয়েছে। ওটা একটু ধার দিয়েন আমাকে, কয়েকদিন এর জন্য।😁😁
সত্যি বলেছেন ভাইয়া নিন্দুকের কাজ নিন্দা করা। তাই বলে কি নিন্দার ভয়ে সব কিছু বাদ দেওয়া যাবে নাকি।পুরস্কার পায় বা না পায় অংশগ্রহণ করাই বড় কথা। আসলে পড়ার টেবিলের ফটোগ্রাফি করে পুরস্কার পেয়েছেন নিশ্চয় আপনার বোনের অবদান বেশি। যাইহোক দেরিতে হলেও পুরস্কার পেয়েছেন জেনে ভালো লাগল। ধন্যবাদ আপনাকে।
দুজনের অবদানই সমান।ওর কাজ গোছানো,আমার কাজ ছিল ছবি তোলা।ধন্যবাদ আপু সুন্দর গঠণমূলক মন্তব্যের জন্য।