আরাধ্যার জন্মদিন
আরাধ্যা আমার কাকাতো (চাচাতো) বোন।আমাদের পরিবার টা বলতে গেলে বিশাল।যেহেতু বাবারা সাত ভাই তাই বিশাল না হওয়াটাই আশ্চর্য।অনেক সময় এমন বড় ফ্যামিলিতে হয় সবার মাঝে প্রচন্ড মিল থাকে অথবা প্রচন্ড মনোমালিণ্য।আমাদের ফ্যামিলিতে অবশ্য মনোমালিন্য নেই। এক বাড়িতে না থাকলেও সবার মাঝেই যথেষ্ট সৌহার্দ্য বিদ্যমান।
পুজা-পার্বনে সবাই একত্র হয়েই করা হয়। তাই সব কাজেই বেশ মজা হয়। তবে আমার কাকাতো ভাই বোন গুলো সবাই আমার থেকে ঢের ছোট। আমার সমবয়সী কেউ নেই। ফলাফল তাদের থেকে একটু দূরত্ব মেইনটেইন করেই চলতে হয়।যাই হোক গতকাল আরাধ্যার জন্মদিন ছিল।ওর জন্মদিন সাধারণত পালন করা হয়না।
কিন্তু এবার ও নাছোড়বান্দা জন্মদিন পালন করতেই হবে।আগেরদিন পর্যন্ত কোন মতে শান্তনা দেওয়া গেলেও জন্মদিনের দিন আর কোন ভাবেই তাকে আটকানো যায়না।ফলাফল অবশেষে সন্ধ্যার আগে তার জেদের কাভহে হার মেনে জন্মদিন পালন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।কিন্তু জন্মদিন পালন করব বললেই তো হবে না,তার যোগাড় যন্ত্র প্রয়োজন।
এজন্য ডাক পড়ল আমার।গিয়ে প্রথমে শুনে নিলাম মেনু কি হবে। আমি মনে মনে চাইছিলাম যেন লুচি তরকারি করা হয়।কারন লুচি তরকারি আমার ভীষণ প্রিয়। দেখলাম কাকিও তাই বলল।কারন এই স্বল্পসময়ের প্রস্তুতিতে অন্য কিছুর আয়োজন করা সম্ভব না।
তারপর আসল কেক।বাজারে পাওয়া রেডিমেড কেক আমার মোটেই পছন্দ নয়। তারউপর ঈদের আগেরদিন থেকে বেকারি বন্ধ ফলে দুইদিনের বাসি কেক ছাড়া কেক পাবার জো নেই। আমার পরিচিত সব জায়গায় খোজ নিতে লাগলাম।একজায়গায় পেয়ে গেলাম।হোম মেইড কেক,আজকে নেওয়ার কথা ছিল একজনের সে ডেলিভারি নেয়নি।মনে মনে ভাবলাম ভালই হল।
কেক এবং বাজার করে এনে আমি বাইরে গেলাম। কারন আমার ইফতার ছিল বন্ধুদের সাথে।বন্ধুদের সাথে ইফতার শেষ করে ফিরে আসলাম।আমি ভাবলাম এতক্ষণে হয়ত সব প্রস্তুতি শেষ। কিন্তু গিয়ে দেখি তখনো সাজগোজ শেষ হয়নি কারো। আমি পড়ে গেলাম বিপদে কারন লুচি তরকারি দেখে মন আর মানছিল না। খালি খাই খাই করছিল।এদিকে কেক কাটা না হলে তো খাওয়া যাবে না।তাই সবাইকে বার বার তাড়া দিয়ে জলদি সাজগোজ শেষ করালাম।
এর মাঝে মেহমান রা একে একে এসে হাজির হল।তারপর বান্ধবী আর ছোট ভাইবোনদের নিয়ে আরাধ্যা কেক কাটল।কিন্তু আমার মন তখনো পড়ে আছে লুচির দিকে।অত:পর সবাই আশীর্বাদ করে ও কেক খাইয়ে দিয়ে জন্মদিনের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হল। এরপর সবার সাথে আমিও খেতে বসলাম,কিন্তু আবার পরিবেশন করা লাগল। এজন্যই কথায় বলে আপনি যা চাইবেন তা সহজে পাবেন না।
এরপর অবশেষে আমার খাবার পালা চলে আসল। এযেন অনেক অপেক্ষার পর প্রেমিকার হাত ধরার মত অনুভূতি। অবশেষে যেন পাইলাম,উহাকে পাইলাম।যাই হোক বেশ মজা করে খাওয়াদাওয়া শেষ করলাম। তারপর কাল স্পেশাল আড্ডা থাকায় জলদি জলদি বাসায় চলে আসলাম।
আমি বৃত্ত মোহন্ত (শ্যামসুন্দর)। বর্তমানে ছাত্র। নতুন কিছু শিখতে, নতুন মানুষের সাথে মিশতে আমার খুব ভাল লাগে। তেমনি বই পড়া আর ঘুরে বেড়ানো আমার পছন্দের কাজগুলোর মধ্যে অন্যতম। মুক্তমনে সব কিছু গ্রহণ করার চেষ্টা করি আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করি,"বিশ্বজোড়া পাঠশালা মোর, সবার আমি ছাত্র"।
প্রথমে জন্মদিনের অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইলো শুভ জন্মদিন। জন্মদিনে সবাই খুব সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। আসলে ছোটদের জন্মদিনের আনন্দের অনুভূতি সত্যি খুব অন্যরকম হয়ে থাকে।আরাধ্যার জন্মদিনের এত সুন্দর অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
আরাধ্যার পক্ষ থেকে আপনাকেও জানাই ধন্যবাদ।
আরাধ্যার জন্মদিনে আমার পক্ষ থেকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা। জন্মদিনের পোস্ট পড়ে বুঝলাম ভাইয়া আপনার লুচি তরকারি আপনার অনেক অনেক বেশি প্রিয়। যাই হোক বেশ ভালো লেগেছে আপনার কাকিমা আপনার পছন্দের জিনিসটাই রান্না করলো। তবে হ্যাঁ এক্ষেত্রে বলবো আরাধ্যার ভাগ্য ভালো যে খুব সহজেই খুবই ভালো মানের একটি কেক সে পেয়ে গেল। ভাগ্য ভালো না হলে কি আর এমন দিনে কেক পাওয়া যায়? যাইহোক আরাধ্যার জন্মদিন নিয়ে যে পোস্টটি লিখেছেন পড়ে খুবই ভালো লাগলো ভাইয়া। অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদের মাঝে জন্মদিনের মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য।
ভীষণ প্রিয় আমার লুচি তরকারি।ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্যের জন্য। আরাধ্যার পক্ষ হতে ধন্যবাদ আপনাকে।
আরাধ্যার জন্মদিনে অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন। আসলে বাচ্চারা আজকাল এতটা বায়না করে যে তাদের চাওয়া গুলো পূর্ণ করতেই হয়। তাইতো আরাধ্যার জন্মদিন পালন করতে হয়েছে। অনেক অনেক ভালো লাগলো। আপনার বোনের জন্য শুভকামনা রইলো।
ছোট বলেই জেদ করে। বড় হলে বুঝতে শেখে।ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আমি নিজেও এই বয়সে মাঝেমধ্যে জন্মদিন পালন করার জন্য উতলা হয়ে যাই, আর সে তো বাচ্চা মানুষ। তার ক্ষেত্রে ব্যাপারটা খুবই নরমাল। তবে আমার খটকা লাগছে অন্য ব্যাপারে, আপনি বাইরে থেকে ইফতার করে এসেও লুচি তরকারি খাওয়ার জন্য পাগল হয়েছেন কেন। হা হা হা... খুব ভালো লাগলো পোস্টটা পড়ে। যাইহোক ছোটবাবুর জন্মদিনের অনেক অনেক শুভেচ্ছা এবং ভালোবাসা রইলো।
লুচি খাওয়ার জন্য ইফতারে বেশি খাইনি। পেট ফাকা রেখেছিলাম দাদা। হাহাহা। আরাধ্যার হয়ে আপনাকে অনেক ধন্যবাদ জানাই।
ভাইয়া আরাধ্যার জন্য রইলো জন্মদিনের অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। জন্মদিনে আপনার কাকীমা আপনার পছন্দের লুচি, তরকারী করেছে জেনে বেশ ভাল লাগলো। যাক খুব সুন্দরভাবে জন্মদিন পালন হলো। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
আরাধ্যার পক্ষ হতে আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।