বিষণ্ণতা দূর করে মানসিক স্বাস্থ্য ভাল রাখার কিছু নিঞ্জা টেকনিক
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগবাসী।আশা করি সবাই ভাল আছেন।আমিও বেশ আছি।বাইরে বৃষ্টি হচ্ছে।হাতে কোন কাজ নেই। বই পড়তেও ইচ্ছা করছে না।মনে কেমন যেন এক অদ্ভূত রকম বিষন্নতা কাজ করছে।
তাই ভাবলাম লিখতে বসা যাক।কিন্তু কি নিয়ে লিখব তাই ভেবে পাচ্ছিলাম না।পরে মনে হল বিষণ্ণতা নিয়েই লেখা যাক না কেন?
সোর্স
বিষণ্ণতা একধরনের মানষিক সমস্যা। বিষণ্ণতা আপনাকে পেয়ে বসলে আপনার মন সব সময় খারাপ থাকবে,সব সময় হতাশা কাজ করবে।সব কিছুকেই বিরক্তিকর লাগবে,কোন কিছুই ভাল লাগবে না।কি নিজের সাথে মিলে যাচ্ছে নাকি?
একটু ধৈর্য্য ধরুন।এই সমস্যা যদি আপনার লাগাতার ২সপ্তাহ যাবৎ চলতে থাকে তবেই বুঝবেন আপনাকে বিষণ্ণতা পেয়ে বসেছে।বিষণ্ণতার অন্যতম লক্ষণ হল আপনার সারাদিন ঘুম পাবে। কিন্তু ঘুম থেকে উঠলে নিজেকে দুর্বল লাগবে।
কি এখনো কি নিজের সাথে লক্ষণ গুলোর মিল পাচ্ছেন।যদি পেয়ে থাকেন তবে জলদি একজন মনরোগবিশেষজ্ঞ দেখান।
এখন আপনার বিষণ্ণতা কাটানোর উপায় আমার জানা নেই। কিন্ত আমার কিছু উপায় আছে যা জানা আছে যার ফলে আপনি বিষণ্ণ হবেন না
প্রথমঃ
বিষণ্ণতা শুরু হয় সাধারণত কোন অপ্রাপ্তি, ব্যর্থতা থেকে।এই অপ্রাপ্তি ও ব্যর্থতা আপনাকে আস্তে বিষণ্ণতার দিকে নিয়ে যাবে।তাই প্রথমেই নিজের মন কে বোঝাবেন যে সৃষ্টিকর্তা যা করে ভালর জন্যই করে। আমি এটা পাইনি হয়ত এর থেকে ভাল কিছু আমার জন্য অপেক্ষা করছে।চলার পথে বাধা আসবেই।বা নিজের কোন ভুল থাকলে সেটা মেনে নিন, মানুষ মাত্রই ভুল করে।আমিও ভুল করেছি,এরকম ভুল আর হবে না।দেখবেন আর ওভার থিংকিং আসবে না।খারাপ ও লাগবে না।
দ্বিতীয়
কোন কারনে মন খারাপ থাকলে কারো সাথে শেয়ার করুন।মনে কথা জমিয়ে রাখবেন না।এটি আস্তে আস্তে আপনাকে বিষণ্ণতার দিকে টেনে নিয়ে যাবে।তাই জমিয়ে না থেকে বন্ধু,বাবা মা বা বিশ্বস্ত কারো কাছে খুলে বলুন। অনেকটা হালকা লাগবে।
তৃতীয়
মানুষের থেকে এক্সপেকটেশন কমান।আপনি মানুষকে যেভাবে ভালবাসেন মানুষ আপনাকে সেভাবে ভালবাসবে এটা কখনোই আশা করবেন না।যেটা করবেন নিস্বার্থ ভাবে করার চেষ্টা করবেন।প্রতিদান এর আশা করবেন না।কারো উপর রাগ পুষে রাখবেন না।টক্সিক মানুষ গুলো কে এরিয়ে চলবেন।
চতুর্থ
নিন্দুকের কথা কখনোই কানে নেবেন না।মনে রাখবেন যারা কিছু করতে পারে না তারাই নিন্দে করে। তাদের যোগ্যতা নিন্দা করা। আপনার সাহস আছে তাই কিছু করছেন।তাদের সাহস নেই।তাই তারা না করে আপনার নিন্দে করছে যাতে আপনিও তাদের মত কিছু না করতে পারেন।
পঞ্চম
সব থেকে কার্যকর যে উপায় সেটি হল নিজেকে ব্যস্ত রাখুন। কোন দরকারি কাজ না থাকলেও নিজের পছন্দের কাজ গুলো করুন।মাঝে মাঝে কোথাও থেকে ঘুরে আসুন।বন্ধুবান্ধব ও পরিবার কে সময় দিন।নিজের চিন্তাভাবনা গুলো কোথাও লিখে রাখুন।নতুন নতুন জিনিস ট্রাই করুন।মনে রাখবেন আপনার জীবন কে একমাত্র আপনিই সুন্দর করতে পারবেন।তাই যা করার আপনাকেই করতে হবে।
সর্বশেষ,যদি এগুলো তে কোন কাজ না হয় তবে অবশ্যই একজন মনরোগ বিশেষজ্ঞ দেখাবেন।মানষিক স্বাস্থ্য কখনোই হেলাফেলার বিষয় নয়।আর মনে রাখবেন আত্মহত্যা অত্যন্ত বাজে সিদ্ধান্ত।আপনার বাবা মা আপনাকে এজন্য বড় করে নি।তাই মনে এধরনের চিন্তা আসলে বাবা মার কথা ভাবুন।আর মনে রাখবেন কোন সমস্যাই চিরস্থায়ী নয়।সমস্যা থাকলে সমাধান থাকবেই।তাই ধৈর্য সহকারে সমস্যার সমাধান খুজুন।
অনেক সুন্দর একটি মোটিভেশনাল ব্লগ আজকে আপনি আমাদের সাথে তুলে ধরেছেন। এটি আপনার নিজের মন থেকে বিশ্লেষণ করে আমাদের সাথে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন সেজন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
অনুপ্রেরণা দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনার প্রত্যেকটি পয়েন্ট ছিল বাস্তব এবং যৌক্তিক। নিজের উপর বিশ্বাস রাখতে হবে সৃষ্টিকর্তার উপর বিশ্বাস রাখতে হবে এবং পজিটিভ চিন্তাভাবনা থাকলে বিষন্নতা থেকে দূরে থাকা যায়।
হ্যা ভাইয়া সব সময় পজিটিভ থাকা লাগবে এবং সৃষ্টিকর্তার উপর বিশ্বাস রাখতে হবে সাথে নিজের উপরেও।