অষ্টমীর ঘোরাঘুরি ভাই ব্রাদার দের সাথে||শারদীয় কনটেস্ট-১৪২৯
শরৎকাল আসার সাথে সাথেই দিনগোনা শুরু হয়ে যায়।এরপর একসময় মহালয়া চলে আসে।এরপর পঞ্চমী, ষষ্ঠি,সপ্তমী এভাবে করতে করতে আজ অষ্টমী।মন খারাপ হওয়া শুরু হল।কারন আর মাত্র দুদিন পরেই মা আবার চলে যাবেন।পুজার দিন গুলো এত তারাতারি কিভাবে যায় সেটা গবেষণার বিষয়।
যাই হোক গতকাল ছিল মহাঅষ্টমী।গতকাল সময় পাই নি পোস্ট করার তাই এই রাতদুপুরে লিখতে বসেছি।আজকে অষ্টমি নিজের এলাকায় কাটিয়েছি।আমার কাজিন গুলো এসেছে।আমার পুজার মজা নির্ভর করে এদের উপর।এরা না আসলে আমার পুজায় কোন মজা নেই।
যাই হোক আজ নিজ এলাকায় ঘুরলাম।প্রথমেই গেলাম পুরাতন গোবিন্দগঞ্জ নাটমন্দিরে।নাটমন্দির গোবিন্দগঞ্জে আমার সব থেকে ভাল লাগে।কারন মন্দির টা বেশ খোলামেলা।অন্যান্য মন্দির এর মত চাপাচাপি নেই।অনেক মানুষ একসাথে হলেও চাপাচাপি হয়না বা সামনে জ্যাম লাগে না। লাইটিং টাও বেশ সুন্দর হয়েছে।যদিও আমার ফোনের চোখ তা ধরতে পারে নি।
স্থানঃপুরাতন গোবিন্দগঞ্জ নাটমন্দির
তারিখঃ৩/১০/২২(মহাঅষ্টমী)
নাটমন্দিরের পাশেই একটি বাড়িতে পারিবারিকভাবে পুজা করা হয়। এদের কিন্তু লাইটিং,বক্স এগুলার সব কিছুর খরচ বেচে যায় শুধুমাত্র মন্ডপ টা বানাতে হয়।আর কেউ বলে না দিলে আপনি খেয়াল ও করবেন না পাশে পুজা হচ্ছে।আমি অনেক দিন পর এদিকে আসায় বুঝতে পারি নি।পরে নাটমন্দিরের একজন বলে দেওয়া তে বুঝতে পারি।তাদের কোন থিম ছিল না।
ভেতরের ডেকোরেশন বেশ সুন্দর ছিল।গিয়ে দেখি ডিজের তালে ছেলেপেলে নাচানাচি করছে।আমিও গিয়ে যোগ দিলাম।তারপর সেখান থেকে বেড়িয়ে একটু সামনে যেতেই সনাতন যুব সঙ্ঘ কর্তৃক আয়োজিত পুজা।তারা বেশ ভাল ডেকোরেটিং করেছে।
এখানে দিনের বেলার ছবি গুলো দিলাম কারন রাতের বেলা পুরা মন্ডপের ছবি তুলতে পারি নি।এরপর সনাতন সঙ্ঘ থেকে ৫০ পা এগিয়ে গেলেই বৈরাগী পাড়া কালী মন্দিরকর্তৃক আয়োজিত সার্বজনীন পুজা।এরাও ২টা পুজার মাঝখানে থাকায় লাইটিং এর খরচ সম্পূর্ণ ভাবে বেচে গেছে।
এর থেকে আরো ৫০ পা সামনে গেলেই সরকার বাড়ি পারিবারিক মন্দির এর পুজা।নেহাৎ সাদাসিধা ভাবে প্রতিবছরই পালিত হয়।তবে এবার তারা পুরা বাড়ি এবং বৈরাগীপাড়া মন্দির এর আগে থেকে লাইটিং করেছে।
সরকার বাড়িথেকে ৫০০ মিটার সামনে উপজেলা হেলথ কমপ্লেক্স।হেলথ কমপ্লেক্স এর পেছনেই একটি পাড়া আছে।এটাকে বলা হয় নিউ শাকপালা।এর কারন হল শাকপালা নামের একটি গ্রামের চারভাগের তিনভাগ লোক উঠে এসে এখানে বাস করছে।এরা প্রায় ২০০মিটার এর বেশি রাস্তায় ঝাড়বাতি লাগানো হয়েছে।
পুরাতন গোবিন্দগঞ্জ এর পুজা দেখা এখানেই সম্পন্ন।এরপর এখানে থেকে আমরা চলে গেলাম কুঠবাড়ি কুঠিশ্বরি মন্দিরে।এটি গোবিন্দগঞ্জ মহাশ্বশানের পাশেই অবস্থিত।আমরা গিয়ে দেখি মেয়র সাহেব বক্তব্য দিচ্ছেন।কিন্তু সব ইগনোর করে আমি মায়ের ছবি তুললাম।
স্থানঃকুঠিশ্বরি কালী মন্দির,কুঠিবাড়ি
সময়ঃমহাঅস্টমী(৩/১০/২২)
কুঠিশ্বরি মন্দির থেকে বেড়োতে বেড়োতে রাত ১২টা বেজে গেল। তাই সবাই মিলে বাসায় চলে আসলাম।তবে এবার কেন জানি মনে হল পুজার ধুম টা অন্যান্য বারের থেকে অনেক কম।মানুষের মাঝে আগের সেই উৎসাহ নেই।
তবে আমরা সবাই অনেক মজা করেছি।আর সেগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করে আরো বেশি ভাল লাগল।
প্রথমেই আপনাকে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই। মহা অষ্টমীতে বড় ভাই ব্রাদারদের সাথে বিভিন্ন পূজা মন্ডপের দারুন সময় অতিবাহিত করেছেন। যেটা আপনাদের ধর্মীয় উৎসবের বড় একটি উৎসবমুখর পরিবেশ খুবই ভালো লাগলো দেখে।
ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য।
যেরকম উপস্থাপনা সেরকম আপনার ফটো সেন্স। আমি যতটা আশা করেছিলাম তার থেকে অনেক অনেক বেশি সুন্দর হয়েছে আপনার পোস্ট। বাংলাদেশের বিভিন্ন মন্দির গুলোতে যে এত সুন্দর পূজা হয় সেটা আপনার আজকের পোস্ট না দেখলে বুঝতে পারতাম না। মন খুশি হয়ে গেল ভাই। মহা নবমীর আন্তরিক শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা নেবেন।
আপনাকেও দাদা মহানবমীর আন্তরিক শুভেচ্ছা ও ভালবাসা।আর অনেক ধন্যবাদ দাদা উৎসাহ দেওয়ার জন্য।আর দাদা আমি আশা করি আপনি প্রথম হবেন এ প্রতিযোগীতায়। আপনার মত ডেডিকেশন কারো নেই।
এখনো তো সবাই অংশগ্রহণ করেনি। আরো বড় বড় কিছু পার্টিসিপেন্ট রয়েছে।তারা আজ পোস্ট করবে এবং সেটা দেখে আগামীকাল আমি আর একটা মেগা পোস্ট দেব।
আপনি তো দেখছি প্রায় অনেকগুলো মন্দির ঘুরে ফেলেছেন। অনেক গুলো পুজো দেখছেন ঘুরে ঘুরে দেখছেন। বিশেষ করে অনেকগুলো মন্দিরের লাইটিং এর খরচ বেঁচে গেছে। প্রত্যেকটা পুজো আলাদা আলাদা রকম ভাবে সুন্দর। আমার কাছে বেশ ভালোই লেগেছে। বিশেষ করে অনেকগুলো আলোকসজ্জা সবকিছুই ভালো লেগেছে।
অনেক ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
দাদা পুজো তাহলে বেশ ভালোই কাটতেছে ৷ অষ্টমীর দিন তো অনেক ঠাকুর দেখেছেন ৷যাই বলুন পাড়ার পুজো অনেক আনন্দ হয় ৷
হ্যা পাড়ার পুজো তেই বেশি আনন্দ হয়।শুভ বিজয়া ভাই
ভাইয়া আপনি ত অনেকগুলো মন্দির ঘুরে দেখেছেন। খুব ভাল লাগলো দেখে। সবাইকে নিয়ে সুন্দর সময় কাটান তাই আশাকরি। অনেক ভাল থাকবেন।
আপনিও ভাল থাকবেন।ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
প্রথমে আপনাকে শারীরিকদের দুর্গাপূজার অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই। মহা অষ্টমীতে খুব সুন্দর মুহূর্ত পার করেছেন বন্ধু-বান্ধবের সাথে জেনে খুব ভালো লাগলো। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো অনেক সুন্দর হয়েছে। অত্যন্ত দৃষ্টির পূজার কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই।
অনেক ধন্যবাদ ভাই সুন্দর মন্তব্যের জন্য।