ভাগীনার জন্মদিন
বন্ধু বান্ধব আমার কোন কালেই কম ছিল না। তবে সময়ের সাথে অনেকেই হারিয়ে যায়। আবার কিছু বন্ধু থাকে যারা সব প্রতিকূলতায় টিকে যায়।
অনেকেই ভাবছেন টাইটেলে ভাগীনার জন্মদিন আর আমি কথা বলছি বন্ধুকে নিয়ে ব্যাপার কি। আসলে যার জন্মদিন নিয়ে কথা বলছি সে আসলে আমার বন্ধুই।কিন্তু প্রথম থেকেই সে আমাকে মামা বলে ডাকত এজন্যই সম্পর্ক বন্ধুর থেকে মামা ভাগীনা হয়ে গেছে।
লক্ষ্মণ এর সম্পর্কে বলতে গেলে প্রথমেই বলা লাগে একজন ভদ্র ছেলে।যার মাঝে কোন জিলাপির প্যাচ নেই। যা বলার আপনার মুখে বলবে।মুখে এক, মনে আরেক এমন কখনোই দেখি নি।আর সব থেকে বড় কথা কখনো কারো সাতে পাচে দেখি নি।আমার নিজের ও পরিচিত যতজন এর ফোন কিনেছি সব ওর থেকে।সব সময় ভাল উপদেশ পেয়েছি।
ওকে পছন্দ করার আরেকটি কারন হল ওর আর আমার মন মানষিকতা সেম।আবার লাইফ এর স্ট্রাগল গুলোও সেম।একই যুদ্ধ লড়তে থাকা সৈনিকদের মধ্যে যেমন একটি শক্তিশালী বন্ধন গড়ে ওঠে তেমনি লক্ষ্মণের সাথেও একটি শক্তিশালী বন্ধুত্বের বন্ধন গঠিত হয়েছে।
যাই হোক আজ লক্ষ্মণের শুভ জন্মতিথি।রাত ১২ঃ০
০ টায় ফেসবুকে উইশ করেছিলাম। লক্ষ্মণ বর্তমানে স্যামসাং এর সেলস ডিপার্টমেন্ট এ চাকুরিরত।তাই সেলিব্রেশন হবে আশা করি নি। কারন সারাদিন ব্যস্ত সময় কাটে ওর।তবু ও বলেছিল মামা সন্ধ্যায় আসিস সেভেনআপ খাওয়াবো।
আমি ব্রাজিল সাপোর্টার আর ও আর্জেন্টিনার সাপোর্টার তাই আমাকে একটু খোচানোর জন্যই সেভেন-আপ খাওয়াইতে চেয়েছিল।আমিও ততোধিক চালাক।তাতেই রাজি হয়ে গেলাম।
পরে আজ সন্ধ্যায় ও ফোন দিয়ে বলতেছে মামা দোকানে আয় তোরে সেভেন-আপ খাওয়াই।আমি ভেবেছিলাম মজা করছে তারপরেও গেলাম যে দেখা করে ভালভাবে উইশ করে আসি।কিন্তু গিয়ে বেশ আশ্চর্য হলাম। কেক কাটার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আমি কি সারপ্রাইজ দেব, নিজেই সারপ্রাইজ পেলাম।মোমবাতি ছিল না,তাই বুদ্ধি দিলাম ফোনার ফ্লাশ জ্বালাই,সেটাই ফু দিলে বন্ধ করে দেওয়া যাবে।এর মাঝে আমি আর সাজ্জাদ মিলে প্ল্যান করলাম ওকে কেক কাটার পর বাইরে নিয়ে গিয়ে খাওয়াবো।
এরপর বড় ভাই, ছোট ভাই আর বন্ধুবান্ধব মিলে কেক কাটা হল।তারপর ওকে খাইয়ে দিয়ে নিজেরা নিলাম।ছোট ভাই কে টিস্যু কিনতে দেওয়া হলে, সে টাকা ফেরত দিয়ে বলতেছে ভাই পেপার থাকতে টিস্যু ময়লা করার কি দরকার? অকাট্য যুক্তি।তাই পেপারেই কেক নিয়ে খাওয়াদাওয়া চলল।এর মাঝেই ওর বস চলে আসলে তাকেও কেক দেওয়া হল।
সব শেষ ওকে বাইরে যাওয়ার প্রস্তাব দিলে ও জানালো এখন বস কে হিসেব বুঝিয়ে দিতে হবে।তাই যাওয়া সম্ভব না।তখন বললাম তাইলে তোর একটা ট্রিট পাওনা রইল।এরপর আবার উইশ করে বিদায় নিয়ে চলে আসলাম।
আয়োজন ছোট খাট হলেও সময়টা চমৎকার কেটেছে।আসলে আন্তরিকতার সাথে আয়োজন করা হলে ছোট অনুষ্ঠান গুলোও দারুন মজাদার হয়ে ওঠে।সবাই ওর জন্য প্রার্থনা করবেন।ও যাতে সফল একজন মানুষ হতে পারে।
আমি বৃত্ত মোহন্ত (শ্যামসুন্দর)। বর্তমানে ছাত্র। নতুন কিছু শিখতে, নতুন মানুষের সাথে মিশতে আমার খুব ভাল লাগে। তেমনি বই পড়া আর ঘুরে বেড়ানো আমার পছন্দের কাজগুলোর মধ্যে অন্যতম। মুক্তমনে সব কিছু গ্রহণ করার চেষ্টা করি আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করি,"বিশ্বজোড়া পাঠশালা মোর, সবার আমি ছাত্র"।
প্রথমে ভাগিনার জন্মদিনে অনেক অনেক শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন জানাই, শুভ জন্মদিন।
আপনি জন্মদিনে অনেক সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন দেখে বুঝা যাচ্ছে। ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ভালো লাগলো কেক কাটার মুহূর্ত খুবই অসাধারণ ছিলো। সবাই চোখে মুখে জন্মদিনের আনন্দের উচ্ছ্বাস দেখতে পাওয়া গেলো। ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
অনেক ধন্যবাদ ভাই। খুবই সুন্দর মন্তব্য করেছেন।
খুব ভালো লাগলো বন্ধু থেকে এত সুন্দর সম্পর্ক গড়ে মামা ভাগিনাতে স্হায়ী হয়েছেন।বন্ধু লক্ষণের জন্মদিন বেশ মজার করে পালন করেছেন কেক কেটে এবং সাথে অনেকেই আছেন।আপনার বন্ধু লক্ষণের জন্য শুভ জন্মদিনের শুভেচ্ছা এবং শুভকামনা রইল।অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর একটি মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আপনার বন্ধু কে ভাগিনা বলেন, বেশ ভাল তো। আপনার এই বন্ধুটি প্রথম থেকেই আপনাকে মামা বলে ডাকে। আপনার সেই ভাগিনার জন্মদিনে তাকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন রইলো। আপনারা খুব সুন্দর সময় কাটিয়েছেন দেখে ভাল লাগলো । কেক কাটার মূহুর্তে সবাই খুব আনন্দ উদ্দীপনা নিয়ে ছিলেন।অনুভুতি গুলো শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া। অনেক অভিনন্দন আপনাকে।
যারা সরাসরি মুখের উপরে কথা বলে তাদেরকে একটু খারাপ লাগলেও আসলে এরাই মানুষ হিসেবে ভালো। এদের মনের মধ্যে কোন প্যাচ থাকে না। বন্ধুদের মধ্যে মামা ডাকের একটা প্রচলন রয়েছে। যাই হোক আপনার বন্ধু বা মামা তার জন্মদিন উপলক্ষে আপনাকে সেভেন আপ খাওয়ানোর কথা বলে কেক নিয়ে সারপ্রাইজ দিয়েছে দেখে ভালো লাগলো। আপনারা সারপ্রাইজ কি দিবেন সেই তো আপনাদেরকে সারপ্রাইজ দিয়ে দিল। মোবাইলের ফ্লাশ লাইট মোমবাতির বদলে ব্যবহার করার আইডিয়াটা ভালো ছিল। বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন বোঝা যাচ্ছে । ধন্যবাদ।
আপনাকেও ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।হ্যা বেশ ভাল সময় কাটিয়েছি।
ভাগিনার জন্য অনেক শুভকামনা রইল ৷
যা হোক সময়ের স্রোতে বন্ধু চলে গেলেও আবার কিছু নতুন বন্ধু আসে এটাই নিয়ম ৷
যা হোক দিনশেষে বন্ধু ছাড়া জীবন চলবেই না ৷ ভাগিনার জন্মদিনের ট্রিট টা দারুন ছিল ৷
ধন্যবাদ দাদা
আপনাকেও ধন্যবাদ দাদা সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আসলেই বন্ধুত্ব এমন একটা শব্দ যেটা হুট করেই কারো সাথে হয়ে যায় কিন্তু সেই বন্ধুত্বটা টিকিয়ে রাখাটা অনেক বেশি কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। যারা সমস্ত প্রতিকূলতা উপেক্ষা করে আমাদের সাথে থাকে তারাই তো প্রিয় মানুষ। তবে আপনার এই মামাতো দেখছি আপনার সঙ্গে অনেক মজা করে আপনি ব্রাজিল সাপোর্টার বলে সেভেন আপ বলে দুষ্টুমি করে প্রায় সব সময় বলে মনে হচ্ছে। অবশেষে সেভেন আপ খেতে গিয়ে নিজেই সারপ্রাইজ হয়ে গিয়েছেন হাহাহা। দেখেই বোঝা যাচ্ছে মুহূর্তটা অনেক বেশি রোমাঞ্চকর ছিল। অবশেষে আমিও আপনাকে বলে গেলাম, ভাই সেভেন আপ খাবেন হাহাহা।