এলোমেলো ফটোগ্রাফি

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগের সদস্যগণ।প্রথমেই জানাই লেপের মত উষ্ণ ভালবাসা ও শুভেচ্ছা। আশা করি সবাই এই তীব্র শীতকে মোকাবিলা করে সুস্থ্য আছেন।

গতকাল হঠাৎ করেই মামার বাড়ি যাইতে হয়েছিল।মামার বাড়ি রসের হাড়ি।কিন্তু আমার মামার বাড়ির সমস্যা হলো সেখানে নেট পাওয়া যায় না।আর বর্তমানে নেটওয়ার্ক ছাড়া এক মুহুর্ত ও চলা সম্ভব না।যেহেতু নেটওয়ার্ক নাই তাই গ্রামে ঘুরতে বেড়িয়েছিলাম।কিন্তু ঠান্ডায় আর কুয়াশায় তাও বেশিক্ষণ চালাতে পারি নি।গ্রামের ঠান্ডা টা আলাদা রকমের।কোথায় থেকে জানি ঠান্ডা বাতাস প্রবাহিত হয়।গতকাল তো লেপের মাঝে থেকে কাপতেছিলাম।এর মাঝেই তুলে ফেলেছি কিছু ফটোগ্রাফ।সেগুলোই শেয়ার করব আপনাদের সাথে।

প্রথম ফটোগ্রাফ

IMG_20230107_110001.jpg

প্রত্যেক মায়ের সব থেকে প্রিয় গালি।এরা ছোট তে কত সুন্দর গলুমলু কিউটি থাকে দেখতে।কিন্তু যেই বড় হয়ে যায় সাথে সাথে কেমন যেন হয়ে যায়।মামার বাসার গিয়ে এদের পুরো পরিবার এর সাথে দেখা।দেখতে বেশ কিউট লাগছিল তাই ক্যামেরা বন্দী করেছি।আর বেচারাও একদম ঝানু মডেলের মত পোজ দিচ্ছিল।

দ্বিতীয় ফটোগ্রাফ

IMG_20230107_133144.jpg

এই ফুলটির নাম ক্যালিয়েন্ড্রা। বাংলায় নাম নিশিন্দা।আমি ছোট বেলায় এটাকে দেখে দাড়ি শেভ করার ব্রাশ ভাবতাম। মনে করতাম এটাকেই কালো রঙ করে ওগুলা বানায়।আরেকটি মজার ব্যাপার হল আমাদের উইংকলেস দাদার দারুন একটি আর্টিকেল আছে এই ফুলের উপর।গুগলে ক্যালিয়েন্ড্রা লিখে সার্চ দিলেই দাদার আর্টিকেল টি পাওয়া যাবে।

তৃতীয় ফটোগ্রাফ

IMG_20230107_110209.jpg

এই ফুলটির ইংরেজী নাম টি খুবই মজার পিকক ফ্লাওয়ার বা ময়ুর ফুল। তবে বাংলায় কিন্তু নামটি সুন্দর রাধা চুড়া।কারন এই ফুলটি কৃষ্ণচূড়ার মতই শুধু লাল এর বদলে হলুদ।তবে মাঝে মাঝে হলুদের মধ্যে খয়েরি ছোপ দেখা যায়।

চতুর্থ ফটোগ্রাফ

IMG_20230107_110030.jpg

আমাদের ফুলের রাণী গোলাপ।মাঝে মাঝে ভাবি গোলাপ ফুলের মত রঙ দেখে কি রঙের নাম গোলাপী? নাকি গোলাপী রঙের জন্য ফুলের রঙ গোলাপ।যাই হোক কনফিউশনের মাঝে না যাই।যেটাই হোক গোলাপ এর সৌন্দর্য দেখলেই মন ভরে যায়।পূর্ণ স্ফুটিত গোলাপ দেখলেই মনেও অদ্ভূত শান্তি আসে।

পঞ্চম ফটোগ্রাফ

IMG_20230107_101128.jpg

এটা শীতকালের খুবই একটি জনপ্রিয় সবজীর চাড়া।অলরেডি এই সবজী দিয়ে বাজার সয়লাব।একবার অগ্রীম চাষ করা হয়েছে,এটা দ্বিতীয়বার।এখন আপনার কাছে প্রশ্ন, এই সবজী টির নাম কি?

ষষ্ঠ ফটোগ্রাফ

IMG_20230107_101248.jpg

শহরে থাকার কারনে অনেক দিন এগুলো দেখিনা।যারা জানেনা এগুলো কি তাদের বলি এগুলো ধানের বীজতলা।ধান গাছ জমিতে লাগানোর আগে অন্য একটি জমিতে বীজ অঙ্কুরিত করানো হয়।তারপর সেখানে থেকে চারাগাছ হলে সেই চারা তুলে নিয়ে গিয়ে জমিতে রোপন করা হয়।

সপ্তম ফটোগ্রাফ

IMG_20230106_184112.jpg

বাশ বাগানের মাথার উপর
চাঁদ উঠেছে ঐ
মাগো আমার শোলক বলা
কাজলা দিদি কই?

চাঁদ পৃথিবীময়।পাচতলার ছাদ থেকেও চাঁদ কে দেখা যায়,আবার খোলা মাঠের মাঝেও দেখা যায়।তবে খোলা মাঠের মাঝে দাঁড়িয়ে বাশ বাগানের উপর দেখা পূর্ণিমার চাদে দেখার অনুভূতিটাই আলাদা।গতকাল অনেকদিন পর সেই আলাদা অনুভূতি টেরপেলাম।

ফটোগ্রাফারবৃত্ত
ডিভাইসপোকো এক্স ২
লোকেশনগাংনগর,শিবগঞ্জ

VOTE @bangla.witness as witness witness_proxy_vote.png OR
SET @rme as your proxy
witness_vote.png

banner-NEW.png
break2.jpg
আমি বৃত্ত মোহন্ত (শ্যামসুন্দর)। বর্তমানে ছাত্র। নতুন কিছু শিখতে, নতুন মানুষের সাথে মিশতে আমার খুব ভাল লাগে। তেমনি বই পড়া আর ঘুরে বেড়ানো আমার পছন্দের কাজগুলোর মধ্যে অন্যতম। মুক্তমনে সব কিছু গ্রহণ করার চেষ্টা করি আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করি,"বিশ্বজোড়া পাঠশালা মোর, সবার আমি ছাত্র"।
break2.jpg

Sort:  
 2 years ago 

ঠিক বলেছেন আপনি গ্রামে এখন প্রচুর প্রচুর ঠান্ডা পড়তেছে। আমরা সবাই তো ঠান্ডায় আঁকাবাঁকা হয়ে যাচ্ছি। মনটা চায় যেন কম্বল থেকে না বের হয়। কিন্তু কোন না কোন কাজে তাও বের হতে হয়। এটির জন্য আমার ভীষণ কষ্ট লাগে 🥶 শীতকালে কম্বল থেকে বের হলে যেন দুনিয়াদারি অন্ধকার লাগে। কিন্তু গ্রামের পরিবেশে দৃশ্যগুলো আসলেই সুন্দর লাগে। বিশেষ করে এখন চারপাশে সবজি বাগান আর ধান ক্ষেতগুলো দেখতে অনেক ভালো লাগে। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো ঠিক তেমনি সুন্দর ছিল। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

 2 years ago 

অনেক ধন্যবাদ আপু আপনার গঠণমূলক মন্তব্যের জন্য।

 2 years ago 

মামার বাড়ি সত্যি মধুর হাড়ি। আপনি মামার বাড়ি গেলেন কিন্তু খুব নেটের সমস্যা। আর নেট ছাড়া এখন সত্যি চলা দায়।আপনি বেশ কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন,খুব সুন্দর হয়েছে।যে ঠান্ডা পরেছে। ওদিকে তো আরো বেশি ই হবে। আর ভাইয়া সবজিটি কি বাঁধাকপির গাছ ? আমার তেমটাই মনে হচ্ছে। ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। অনেক শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।

 2 years ago 

ফুল কপির গাছ আপু।ধন্যবাদ সুন্দর গঠণমূলক মন্তব্যের জন্য।

 2 years ago 

মামার বাসায় বেড়াতে গিয়ে আপনি অনেক সুন্দর সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি তুলেছেন ভাইয়া। এখন শীতকাল শহরের চেয়ে গ্রামের ওদিকে প্রচন্ড ঠান্ডা অনুভব করা যায়। নিশিন্দা ফুল এই প্রথম দেখলাম। ফুলের নামটি আমার কাছে অচেনা লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য।

 2 years ago 

আপনাকেও ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

 2 years ago 

আহা! গ্রামে গিয়ে একদম ফেঁসে গেছেন! যে পরিমাণে ঠান্ডা এখন গ্রামে, ঠিকে থাকা কঠিন! যায়হোক, নিশিন্দা ফুলটি প্রথম দেখলাম। আপনি এটা দাড়ি শেভ করার ব্রাশ ভাবতেন, হাহাহা! এরকমই দেখতে অনেকটা 😁 । তবে কালারটা অন্যরকম হলে হতো।

 2 years ago 

হাহাহা।একদম ঠিক বলেছেন ভাই।ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

 2 years ago 

এই হাড় কাঁপানো শীতেও যে আপনি এতগুলো ফটোগ্রাফি করছেন তা দেখে খুব ভালো লাগছে। তবে পঞ্চম নাম্বার ছবিতে সবজি গাছটির নাম কি আসলে তা কিন্তু আমার জানা নেই। তবে আমার কাছে এটি পাতাকপি অথবা ফুলকপির মত মনে হচ্ছে।যাইহোক আজকের ভিন্ন রকম ফটোগ্রাফিগুলো দেখে ভালোই লাগছে।

 2 years ago 

ফুলকপি আপু।ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

 2 years ago 

সত্যি বলতে মাঝে মাঝে রেনডম ফটোগ্রাফি গুলো বেশ চমৎকার লাগে। আর আপনি সেই সুন্দর সুন্দর কিছু ফটো চিত্র তুলে ধরেছেন আজকের এই রেনডম ফটোগ্রাফি অ্যালবাম এ।ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য ।

 2 years ago 

আপনাকেও ধন্যবাদ ভাইয়া উৎসাহ মূলক মন্তব্যের মাধ্যমে উৎসাহিত করার জন্য।

 2 years ago 

আপনি ঠিক বলেছেন ভাই, মামার বাড়ি রসের হাঁড়ি।ছোটবেলায় মামার বাড়ি বেড়াতে গেলে খুব ভালো লাগত।এখন আর বেশি যাওয়া হয়না।কারন বর্তমানে এখন ঠান্ডার যে পরিস্থিতি সেখানে গেলে বরফ হয়ে যাবো।যাই হোক আপনার ফটোগ্রাফি গুলো আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে। আপনার জন্য অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল।

 2 years ago 

আপনার জন্যও রইল অনেক শুভকামনা।ধন্যবাদ ভাই সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

 2 years ago 

নেটওয়ার্ক পাওয়া না গেলেও আপনার মামার বাড়ি গিয়ে অনেক মজা করেছেন আপনি আপনার ফোটোগ্রাফি দেখেই বোঝা যাচ্ছে জায়গাটা অনেক সুন্দর। সবকটি ফটোগ্রাফী অনেক ভালো হয়েছে অনেক অনেক কিউট লাগছে প্রত্যেক মায়ের প্রিয় গালাগালিটাকে দেখতে।

 2 years ago 

ধন্যবাদ দিদি।অনেক উৎসাহিত হলাম আপনার মন্তব্য থেকে।

 2 years ago 

🤓🤓🤓🤓

 2 years ago 

কিন্তু আমার মামার বাড়ির সমস্যা হলো সেখানে নেট পাওয়া যায় না।

এটা শুধু আপনার মামার বাড়ির সমস্যা নয়, এই সমস্যা অনেকেরই রয়েছে। আমারও ছিল তবে গত এক বছর ধরে এখন আর নেই কারণ সবাই এখন আপডেট হয়ে গেছে 😜। যাই হোক বেশ ভালো লেগেছে আপনার ফটোগ্রাফি গুলো। আর আপনি যে সবজি গাছটির নাম জিজ্ঞেস করেছেন সেটি সম্ভবত বাঁধাকপি হবে। পূর্ণিমার চাঁদের ফটোগ্রাফি টি বেশ ভালো লেগেছে আমার কাছে। ধন্যবাদ আপনাকে।

 2 years ago 

ফুলকপি আপু। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

Coin Marketplace

STEEM 0.18
TRX 0.16
JST 0.029
BTC 76606.02
ETH 3048.30
USDT 1.00
SBD 2.62