সরবর ফুড পার্ক||ভ্লগ
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগবাসী। আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি।আজ আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি নতুন একটি ভিডিও ব্লগ(ভ্লগ) নিয়ে।
শিমুল আমাদের পঞ্চপান্ডবের মাঝে একজন।আপনাদের জানার কথা।ওকে বন্ধু থেকে শুরু করে স্যার পর্যন্ত সবাই চাচা বলে ডাকে।এখন বর্তমানে শিমুল চাকুরিরত আছে ঢাকাতে।বন্ধুদের মাঝে আমিই একমাত্র এলাকায়।সবাই এলাকায় আসলে আমরা একত্রিত হয়ে আড্ডা তো দেই ই,কেউ বিচ্ছিন্ন ভাবে আসলেও আড্ডা হয়।যেহেতু সবাই আলাদা আলাদা পেশায় আছে,তাই সবার একসাথে হওয়া প্রায় হয়না।সবাই বিচ্ছিন্ন ভাবেই আসে,কিন্তু আমি কমন মেম্বার।
শুক্রবার হঠাৎ শিমুল ফোন দিয়ে বলল,"কই তুই? আমি তোর গেটের সামনে।"আমি তো অবাক হয়ে গেলাম।পরে দুইজন মিলে ঘুরতে বের হলাম।ঘুরতে ঘুরতে নানা কথা হচ্ছিল।এরপর একটু পর সন্ধ্যা হয়।তখন শিমুল বলল চল কিছু খাওয়া যাক।ট্রিট আমি দেব। এখন শিমুল যদি ট্রিট দিতে চায় তাইলে আমাদের যে কেউ, যতদুরেই থাক চলে আসবে।কারন ওর ট্রিট খুব রেয়ার আইটেম ছিল।যদিও চাকুরি পাওয়ার পর এখন একটু কমন।
যাই হোক কোথায় খাওয়া হবে সেটা নিয়ে অনেক আলোচনার পর ঠিক হল এলাকার নতুন রেস্টুরেন্ট সরবর ফুড পার্কে যাওয়া হোক।যে কথা সেই কাজ।
রিক্সায় রওনা দিলাম।তখন শিমুল বলল, তোর তো কনটেন্ট লাগে। এটা নিয়েও ভ্লগ বানিয়ে ফেল।তাই চেষ্টা করেছিলাম ভ্লগ বানানোর।
রেস্টুরেন্ট এ ঢুকেই প্রথমে অবাক হই,কারন আমার হাইস্কুল লাইফের ফ্রেন্ড বর্তমানে এ রেস্টুরেন্ট টির ব্যাবস্থাপক এর দায়িত্বে আছে।এরপর সে আমাদের চারপাশ ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে দেখাতে থাকে।
আমরা রাত্রে গিয়েছিলাম, তাই অর্ধেক সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারি নি।এই রেস্টুরেন্ট এর পিক টাইম থাকে সকাল থেকে সন্ধ্যার আগে পর্যন্ত।কারন রেস্টুরেন্ট এর পাশেই কলেজ আর তাছাড়া পেছনে একটি বিশাল দিঘী রয়েছে।যার সৌন্দর্য অতুলনীয়।এই এলাকা ও দিঘি নিয়ে আমার পোস্ট "একটি ঐতিহাসিক স্থান ভ্রমণ" দেখে আসতে পারেন।এখানে আপনি চাইলে কেবিনেও খাওয়া দাওয়া করতে পারেন,অথবা বাইরে প্রকৃতির মাঝে। কনফারেন্স এর জন্যও আলাদা ব্যবস্থা রয়েছে।ফটোগ্রাফির জন্যও আলাদা একটি জায়গার বন্দোবস্ত করে দেওয়া হয়েছে।
চারপাশ দেখার পর খাওয়াদাওয়ার পালা।আমরা মেনু চাইলাম। মেনু তে বেশ ইউনিক কিছু আইটেম দেখালাম।পিজ্জাও এখানে ইউনিক।কারন এলাকায় এই রেস্টুরেন্ট ছাড়া আর কোথাও পিজ্জা বানায় না। ভ্লগে দেখে নেবেন কেমন পিজ্জা বানায় এরা।
ভ্লগ ভিডিও
এই ভ্লগ টা সম্পূর্ন পরীক্ষামূলক ভাবে
বানিয়েছিলাম।ভ্লগে কিছু ভুল আছে।রেস্টুরেন্ট এর ভ্লগ করতে গিয়ে খাওয়াদাওয়ার পার্ট টাই ভিডিও করা বাদ পড়ে গেছে অনেকটা।কারন ২জনের মাঝে প্রতিযোগীতা চলছিল।
তবে রেস্টুরেন্ট এর পরিবেশ,খাবারদাবার এর মান বেশ ভাল ছিল।আর এটা কোন পেইড রিভিউ না। সম্পূর্ন বন্ধুর গাটের পয়সা খরচ করে খাওয়াদাওয়া করে রিভিউ দেওয়া এবং ভ্লগ বানানোর অনুমতি নেওয়া হয়েছিল।
ভিডিওগ্রাফার | বৃত্ত |
---|---|
ডিভাইস | পোকো এক্স২ |
লোকেশন | সরবর,গোবিন্দগঞ্জ |
সবাই জীবিকার তাগিদে এলাকা ছেড়ে চলে গেছে। আপনি একা রয়ে গেলেন। আপনিও সুযোগ বুঝে এক সময় উড়াল দিবেন। শুধু সুযোগের অপেক্ষায় আছেন। বন্ধু ছাড়া তো লাইফ ইমপসিবল। আপনার জন্য ভালই হয়েছে, একেক জন এক বার করে আসবে আর আপনাকে সাথে নিয়ে ট্রিট দিবে। খুব মজার পাবেন, হা হা হা। ধন্যবাদ ভাইয়া।
অনেকদিন পর আপনার বন্ধুর সাথে দেখা হয়েছে শুনে অনেক ভালো লাগলো ভাইয়া। আপনি আপনার বন্ধুর সাথে আপনার এলাকার রেস্টুরেন্টে ঘুরতে গিয়েছেন শুনে ভালো লাগলো। রেস্টুরেন্টে টি সত্যি দেখতে অনেক সুন্দর। আমার কাছে অনেক ভালো লাগলো আজকের আপনার বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেওয়ার সুন্দর মুহূর্ত কিছু ছবি দেখে। ধন্যবাদ আপনাকে
ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
একজন দ্রপদী হলে ভালো হতো।😜😜
আমি কিন্তু বন্ধুদের থেকে ট্রিট নিতে লজ্জা পাই। শুনতে কেমন একটা লাগলেও এটাই সত্যি।🤭 আপনি ভিডিও ব্লগ করেন। আমার কিন্তু সত্যিই বেশ ভালো লাগলো।আর রেস্টুরেন্ট এর ভিতরে ডেকোরেশনও আমার বেশ পছন্দ হয়েছে।
এই পাচজন ব্যতীত আর কারো কাছে হলে লজ্জা লাগত দাদা।কিন্তু আমরা পাচজন এগুলোর উপরে চলে গেছি।ধন্যবাদ দাদা অনেক অনুপ্রাণিত করলেন।অনেক উৎসাহ পেলাম আপনার মন্তব্য থেকে।
রেস্টুরেন্টটি সত্যিই অনেক সুন্দর ছিল। আপনার ভিডিও ব্লগ কি দেখে ভালই লাগলো। আপনার বন্ধুর সাথে রেস্টুরেন্টে গিয়ে আড্ডার মুহূর্ত টা ভালই ছিল। আপনার বন্ধু আপনাকে ট্রিট দিয়েছে এটা যেন ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের মাঝে ভিডিও ব্লগটি শেয়ার করার জন্য।
আপনাকেও ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে আমাকে অনুপ্রাণিত করার জন্য।
ভাইয়া অনেক ভাল লাগলো আপনার বন্ধু শিমুলের সাথে রেস্টুরেন্টে ট্রিট দেয়ার ব্লগটি।অনেকদিন পর দেখা, ফোনে ডেকে নেয়া আর পরিশেষে রেস্টুরেন্টে আসা।পরিবেশ খুব ভালোই লাগলো। সুন্দর মুহুর্ত অতিবাহিত করেছেন দেখে বুঝতে পেরেছি। অনেক ধন্যবাদ আপনাদের।
ভ্লগটি দেখলাম। ভালোই লাগলো। আর বন্ধুর রেস্তোরাঁতে গিয়ে ভিডিও করলে সেটাও একটু প্রমওশন পেয়ে গেলো আর তোমাদেরও পেটপুজো হয়ে গেলো। শিমুল কিন্তু এই কাজটা ভালোই করেছিলো যে হঠাৎ করেই রেস্তোরাঁতে নিয়ে গেছিলো। পিৎজাটা বেশ ভালোই লাগছিলো। সাথে আবার মেয়ো দিয়েছে এটা একটা ভালো ব্যাপার।
ভাল বলেছ দিদি।ধন্যবাদ সুন্দর উৎসাহ মূলক মন্তব্যের জন্য।