খেজুরের আচার রেসিপি||এবিবি কনটেস্ট-২৫

হ্যালো আমার বাংলা ব্লগবাসী।সবাই ভাল আছেন আশা করি।আজ আপনাদের সাথে ভিন্নধর্মী পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি।

প্রথমেই ধন্যবাদ জানাই আমাদের প্রিয় দাদা ও অ্যাডমিন প্যানেল কে,বিশেষ করে @hafizullah ভাইকে।আমাদের জন্য এরকম জমজমাট প্রতিযোগীতার আয়োজন করার জন্য।বিজয়ী হই আর না হই অংশগ্রহণ করেই মজা।তো এবারও চলে আসলাম অংশগ্রহণ এর জন্য।

IMG_20221025_194315.jpg

সবার ইউনিক ইউনিক আচারের রেসিপি দেখছিলাম আর টেনশন বাড়ছিল।আমার মাথাতে কোন আইডিয়া ই আসছিল না।তারপর আজ হঠাৎ মাথায় আসে খেজুরের আচার বানাই না কেন।যেই ভাবা সেই কাজ চলে গেলাম বান্ধবী নাফির কাছে।নাফি আবার রান্না বান্নার কাজে এক্সপার্ট। তাই ওর কাছে আইডিয়া শেয়ার করলাম।ও বলল ভাল হবে, বানিয়ে ফেল।
এরপর তৈরি করে ফেললাম এই কিংবদন্তী আচার।

প্রয়োজনীয় উপকরণ
উপকরণপরিমাণ
খেজুর২৫০ গ্রাম
তেতুল১২৫গ্রাম
পাচফোড়ন২চামচ
রসুন কুচি২চা চামচ
লবণস্বাদমত
চিনিস্বাদমত
সরিষার তেল১কাপ
শুকনা মরিচস্বাদমত
সাদা,কালো এলাচ৩,৪টি
লবঙ্গ২-৩টি
তেজপাতা১/২টি
দারুচিনি২,১ টুকরা

IMG_20221025_134048.jpg

কার্যপ্রণালী
প্রথম ধাপ

প্রথমে শুকনা লঙ্কা,জিরা,লবঙ্গ,তেজপাতা,সাদা,কালো এলাচ,দারুচিনি ভেজে নিয়ে ব্লেন্ড করি।এটাকে আমাদের এখানে আচারের মশলা বলে।

IMG_20221025_190142.jpg

দ্বিতীয় ধাপ

এরপর তেতুল গুলো কে জলের মধ্যে চটকিয়ে তারপর ছেকে তেতুলের পাল্প বানিয়ে নিই।

IMG_20221025_140833.jpg

তৃতীয় ধাপ

পরিষ্কার করে নেওয়া খেজুর গুলোর ভেতর থেকে বীজ বের করে নিয়ে,অল্প পানি দিয়ে ব্লেন্ড করে নিই।এটি খেজুরের পাল্প।

IMG_20221025_215822.png

চতুর্থ ধাপ

এরপর চুলার উপর একটি ফ্রাইপ্যান বসাই এবং এর মাঝে এক কাপ সরিষার তেল দেই।দিয়ে তেল গরম হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করি।তেলের পরিমান নির্ভর করবে আপনি আচার টা কতদিন রেখে খেতে চান।বেশিদিন রাখতে চাইলে বেশি তেল,আর কমদিনের জন্য কম।

IMG_20221025_190426.jpg

পঞ্চম ধাপ

তেল গরম হয়ে এলে এর মাঝে পাচফোড়ন,রসুন লবণ,অল্প কিছু ভাজা শুকনো লংকা দেই।দিয়ে রসুন বাদামী হওয়া পর্যন্ত ভাজতে থাকি।

IMG_20221025_190752.jpg

ষষ্ঠ ধাপ

রসুন বাদামী হয়ে এলে এর মাঝে তৈরি করে রাখা তেতুলের পাল্প দিয়ে দিই।এবং নাড়াতে থাকি যাতে রসুন ও লংকা ভালভাবে মিশে যায়।

IMG_20221025_190914.jpg

সপ্তম ধাপ

এরপর এই মিশ্রণের মাঝে চিনি দিই।চিনি দেওয়ার পর ক্রমাগত নাড়তে থাকি।চিনি গলে গেলে আচারে পানির পরিমাণ বেড়ে যাবে। এই পানি একটু টেনে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করি।

Screenshot_2022-10-25-19-13-55-997_com.gallery.player.jpg

অষ্টম ধাপ

চিনির পানি টেনে গেলে প্রথম ধাপে তৈরি করে রাখা আচারের মশলা দিয়ে দিই এবং একটুখানি নাড়াচাড়া করি।

IMG_20221025_191819.jpg

নবম ধাপ

এরপর আগে থেকে তৈরি করে রাখা খেজুরের ব্লেন্ড বা পাল্প দিয়ে দিই।

IMG_20221025_191939.jpg

দশম ধাপ

এরপর আচার একটু আঠালো হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করি।এরপর একটু চিলি ফ্লেক্স দিয়ে নিই।আঠালো হয়ে আসলে নামিয়ে নিই।খেয়াল রাখতে হবে আচার যেন পুড়ে বা লেগে না যায়।

IMG_20221025_193426.jpg

এরপর ঠান্ডা হয়ে আসলে পরিবেশন করি।

বিঃদ্রঃচিনি আর লবণের পরিমান আপনি স্বাদমত দেবেন।আমি একটু মিষ্টি আচার পছন্দ করি তাই আমার টাতে চিনি বেশি দিয়েছি।আর তেতুলের পাল্প হবে খেজুরের পাল্পের অর্ধেক

কেমন লাগল আমার এই আচারের রেসিপি অবশ্যই জানাবেন।কষ্ট করে ব্লগটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

VOTE @bangla.witness as witness witness_proxy_vote.png OR
SET @rme as your proxy
witness_vote.png

Sort:  
 2 years ago 

আপনার বান্ধবী আপনাকে তো দারুণ একটা আচারের আইডিয়া দিয়ে দিয়েছে ভাইয়া। আপনাদের এমন ইউনিটি অনেক আচার দেখে তো আমি টেনশনে পড়ে যাচ্ছি কিসের আচার শেয়ার করব। যাই হোক আপনার বান্ধবী যদি এমন একটা আইডিয়া না দিত তাহলে হয়তো বা আমি কোনদিনও খেজুরের আচার দেখতে পেতাম না। সম্পূর্ণ ইউনিক ধরনের একটা আচারের রেসিপি তৈরি করেছেন আপনি।

 2 years ago 

ভাইয়া আইডিয়া আমারই।ওর থেকে শুধু মত নিয়েছিলাম বানাবো কি বানাবো না।ধন্যবাদ অনেক সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

 2 years ago 

এমন একটি রেসিপি দেখে খুবই ভালো লাগলো ভাইয়া।খেজুরের আচার তৈরি করার আইডিয়াটা ভালোই ছিল।তবে আচার না বলে এটাকে চাটনি বললে ভালো হবে মনে হয়,কারণ এটি চাটনির মতই দেখতে।আমার তো খুবই ভালো লাগছে রেসিপিটি।আমিও আজকে আচারের রেসিপি তৈরি করেছি,শেয়ার করব আপনাদের সাথে আগামীকাল।

 2 years ago 

আমি চাটনি আর আচারের পার্থক্যটা জানি না। আপনার রেসিপি দেখার জন্য অপেক্ষা করব।আশা করি দুর্দান্ত একটি রেসিপি পেতে যাচ্ছি।শুভকামনা রইল আপনার জন্য।

 2 years ago 

বাহ্ বিষয়টা বেশ আলাদা টক-ঝাল-মিষ্টি লাগছে।আমাদের এদিকে কোন রকম মিষ্টি আচারে যদিও রসুন ব্যাবহার করা হয় না। তবে আদা-রসুনের একটা আলাদা আচার হয়। শুভেচ্ছা রইলো।

 2 years ago 

খুব মিষ্টি আচার না।কিন্তু আবার খুব টক ও না।ধন্যবাদ দিদি সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

 2 years ago 

প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য অনেক অনেক অভিনন্দন তোমাকে। আবারও অসাধারণ একটি আচারের রেসিপি দেখতে পাচ্ছি। খেজুর একটি পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ খাবার যা বেশিরভাগ সময়ই খেয়ে থাকি কিন্তু এটা দিয়ে যে আচার বানানো যায় তা আমার জানা ছিল না। আজকে তোমার পোস্টের মাধ্যমে নতুন একটি রেসিপি শিখতে পারলাম। আচার মানেই লোভনীয় ব্যাপার এখন তো খেতে ইচ্ছে করছে।😀 সুন্দর নতুন একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। শুভকামনা রইল।

 2 years ago 

ধন্যবাদ কাকিমা।আপনার জন্যও অনেক শুভ কামনা রইল।

 2 years ago 

প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনি খুবই মজাদার টক-ঝাল-মিষ্টি চালতার আচার রেসিপি তৈরি করেছেন। দেখেই অনেক সুস্বাদু মনে হচ্ছে,শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

 2 years ago 

নাউজুবিল্লাহ ভাই।আমি খেজুরের আচার শেয়ার করেছি।

 2 years ago 

আমার বাংলা ব্লগ এর প্রতিযোগিতার আয়োজন করে একটা ভালো কাজ হয়।আর সেটা হচ্ছে এক সাথে অনেক ইউনিক রেসিপি পাওয়া যায়।খেজুরের আচার ইউনিক ব্যাপার।আপনার বান্ধবী খুব ভালো আইডিয়া দিয়েছে।আপনার আচারের রেসিপি টি দেখতে খুব লোভনীয় হয়েছে। খেতে অনেক মজা হয়েছে নিশ্চয়ই। আপনার প্রতিযোগিতার জন্য অনেক শুভকামনা রইল।

 2 years ago 

হ্যা বেশ সুস্বাদু হয়েছে।ধন্যবাদ এমন উৎসাহমূলক মন্তব্যের জন্য।

 2 years ago 

আমি জীবনে অনেক কিছুর আচার খেয়েছি কিন্তু কখনো খেজুরের আচার খাওয়া হয়নি আমার কাছে একদমই নতুন লেগেছে। সব থেকে বেশি ভালো লাগলো আপনি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছেন। এভাবেই এগিয়ে যান।

 2 years ago 

উৎসাহ মূলক মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।

 2 years ago 

ভাইয়া আপনার বান্ধবী যেহেতু রান্না বান্নায় এক্সপার্ট তাহলে আমাদের একদিন দাওয়াত দিয়েন খেয়ে আসবো। বান্ধবীর সাথে আইডিয়া শেয়ার করে খুব ইউনিক আচারের রেসিপি শেয়ার করেছেন। আমি কখনো খেজুরের আচারের নাম শুনিনি। আমার কাছে আপনার এই আচার অনেক ইউনিক লেগেছে। ভাইয়া খেতে নিশ্চয়ই অনেক ভালো হয়েছিল। ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন। ধন্যবাদ এত ইউনিক রেসিপি শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।

 2 years ago 

উৎসাহ মূলক মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।চলে আসুন একদিন।

 2 years ago 

আপনার কথায় আমিও একমত প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হইবা না হয় জয়েন করলেই বেশ ভালো লাগে। আসলে প্রতিযোগিতায় প্রত্যেকে নিজের সেরাটা দিয়ে চেষ্টা করে। আর বিচারকরা প্রত্যেকের সেরা থেকে সেরার সেরা খুঁজে বের করে। তাই জন্য সবার সাথে একজোট হয়ে প্রতিযোগিতায় জয়েন করলেই বেশ ভালো লাগে। তবে আপনার বান্ধবী রান্না বান্না এক্সপার জেনে ভালো লাগলো। আর রেসিপির কথা কি বলব অসাধারণ একটা রেসিপি তৈরি করেছেন। আমার তো জিভে জল চলে আসলো।

Coin Marketplace

STEEM 0.19
TRX 0.13
JST 0.028
BTC 66338.04
ETH 3306.77
USDT 1.00
SBD 2.69