ডিসপিকেবল -মি||মুভি রিভিউ
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ বাসী আশা করি সবাই ভাল আছেন।আমিও ভাল আছি।আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করব একটি মজার অ্যানিমেশন মুভির রিভিউ।
অনেকেই অ্যানিমেশন কে ভাবে বাচ্চাদের মুভি ভাবে।অনেকেই আবার অ্যানিমেশন কে কার্টুন ভাবে।অ্যানিমেশন আর কার্টুন এর একটি ব্যাসিক পার্থক্য হল অ্যানিমেশন এর নির্দিষ্ট গল্প থাকে।যা সাধারণত কার্টুনে থাকে না।আমি এই এত বড় হয়েও টম এন্ড জেরি দেখি।অনেক হাসাহাসি করে।কিন্তু আমি গায়ে মাখি না।কারন আমার বিনোদন দিয়ে কথা।আমি যদি টম এন্ড জেরি দেখে বিনোদন পাই তাইলে কেন দেখব না?
যাই হোক আজকের মুভিটির নাম ডেসপিকেবল মি।এটি রিভিউ পোস্ট তাই মুভির কাহিনী সম্পূর্ণ একখানে থাকবে না।তবে প্লট ব্যাখ্যার জন্য হালকা স্পয়লার থাকতে পারে
মুভির নাম | ডিসপিকেবল মি |
---|---|
জনরা | অ্যানিমেশন |
ভাষা | ইংরেজী |
প্রোডাকশন হাউজ | ইলুমিনেশন |
সংক্ষিপ্ত বর্ণনাঃ
মুভিটির প্রধান চরিত্র গ্রু। তার জীবনের সর্বপ্রধান লক্ষ্য সে একজন ভিলেন হয়ে উঠবে।অর্থাৎ তার নাম লোকের মুখে মুখে থাকবে।এজন্য সে বিভিন্ন ধরনের চুরি ডাকাতি করে। মিনিয়ন রা আর ডক্টর নেফারিও তাকে এই কাজে সাহায্য করে।মিনিয়নদের কথা তো মনে থাকার কথা আপনাদের।সেই হলুদ হলুদ মানুষের মত প্রাণিগুলো,যারা ভিলেনদের নিজের লিডার হিসেবে মেনে নেয় এবং তার সেবা করে।
তো এবার মুভির প্রথমেই কেউ একজন মিশরের বিখ্যাত গীজার পিরামিডটি চুরি করে নেয়,এবং তার বদলে সেখানে পিরামিডের মত বেলুন ফুলিয়ে রাখে।সারা পৃথিবীতে সেই চোরের নাম ছড়িয়ে পড়ে।এতে গ্রু এর মন খারাপ হয়।গ্রুর মা পর্যন্ত তাকে খোচা দিকে থাকে।ফলে তার মন আরো বেশি খারাপ হয়ে যায়।তখন সে একদিন মিনিয়ন ও ডক্টর নেফারিও কে একত্রিত করে জানায় তার একটি বড় প্ল্যান আছে। সে চাঁদ কে চুরি করতে চায়।এজন্য সে সব প্ল্যান করে ফেলেছে।এখন খালি ২টি কাজ বাকি, একটি রকেট বানাতে হবে,আর চাঁদ কে ছোট করার জন্য একটি বিশেষ অস্ত্র শ্রিংকগান চুরি করতে হবে।এই শ্রিংকগান দিয়ে যে কোন জিনিস কে একদম ছোট বানিয়ে ফেলা যায়।
এজন্য সে ইভিল ব্যাংকে যায় লোন দেওয়ার জন্য।ইভিল ব্যাংক হল এমন একটি ব্যাংক যারা শুধুমাত্র ভিলেনদের ঋণ দেয়,তাদের প্ল্যান বাস্তবায়নের জন্য।সেই ব্যাংকে গিয়ে গ্রুর সাথে পরিচয় হয় ভেক্টর নামের এক ভিলেনের।সে গ্রু সাথে পরিচিত হতে চায়,কিন্তু গ্রু তাকে পাত্তা দেয় না।এরপর সে ব্যাংক ম্যানেজার কে পুরো প্ল্যান বলে।তখন ব্যাংক ম্যানেজার বলে তোমার পেছনে আর ইনভেস্ট করা যাবে না।তোমার প্ল্যান থেকে ব্যাংক বেশি লাভ পায় না।এবার আমরা নতুন তরুণ ভিলেনদের পেছনে ইনভেস্ট করব।বাইরে যাকে দেখে এলে সেই পিরামিড চুরি করেছে।এখন আমরা এমন ভিলেনদের পেছনেই ইনভেস্ট করন।আর তুমি যদি শ্রিংকগান দেখাতে পার তবে লোন দেওয়ার চেষ্টা করব।
এরপর গ্রু সেই শ্রিংকগান চুরি করে,কিন্তু চোরের উপর বাটপারি করে সেটা ভেক্টর নামের সেই ভিলেন চুরি করে নেয়।গ্রু তখন আবার ভেক্টর এর বাড়ি থেকে শ্রিংকগান চুরি করতে যায় কিন্তু ব্যার্থ হয়।তখন দেখে তিনটি পিচ্চি ভেক্টরের বাড়িতে ঢোকে।তারা অনাথ আশ্রম থেকে এসেছে কুকিজ বিক্রি করতে।তখন গ্রু প্ল্যান করে সে এই মেয়েগুলোর সাহায্যেই শ্রিংকগান চুরি করবে।
তাই পরেরদিন সে ওই তিন মেয়েকে দত্তক নেয়।কিন্তু গ্রুর শৈশব ছিল খুব যন্ত্রণাদায়ক।সে তার মা কে ইমপ্রেস করার অনেক চেষ্টা করে,কিন্তু তার মা জীবনেও তার কোন প্রশংসা করেনা।ফলে সে ইন্ট্রোভার্টের মত হয়ে বেড়ে ওঠে।ফলে সে ওই তিনজনের সাথে প্রথমে ভালভাবে মিশতে পারে না।একপর্যায়ে সে সেই বাচ্চাগুলোর সাথে নিয়ে শ্রিংকগান চুরি করে।এরপর ধীরে ধীরে সে বাচ্চাগুলোর সাথে মিশে যায় এবং তাদের ভালবাসতে শুরু করে এবং তাদের সাথেই বেশি সময় কাটাতে শুরু করে।
কিন্তু এর ফলে সে তার প্ল্যান থেকে দূরে সরে যেতে থাকে।
ফলে ডক্টর নেফারিও তাকে সতর্ক করে,যে সে এরপর তার প্ল্যান থেকে সরে গেলে বাচ্চাগুলোকে সে আবার অনাথ আশ্রমে দিয়ে আসবে।এদিকে ব্যাংক তাকে লোন দেবেনা বলে দেয়।আর ব্যাংক লোন না দিলে তার রকেট তৈরি হবেনা।ফলে তার প্ল্যান ও বাস্তবায়ন হবে না।
তাইলে গ্রু কি পারবে তার প্ল্যান বাস্তবায়ন করবে? পারবে কি বাচ্চাদের সাথে মানিয়ে নিতে? জানতে হলে দেখে ফেলুন দারুন মজার মুভিটি।
ব্যক্তিগত মতামতঃ
আমি মজার মানুষ।সব সময় হাসতে ভালবাসি।আর এই মুভিটি দেখে হাসতে হাসতে পেটের অবস্থা খারাপ হয়ে যাবে।মিনিয়ন দের কান্ডাকারখান,গ্রু আর ভেক্টর এর মধ্যে ফাইট আপনাকে হাসতে বাধ্য করবেই।আর তাছাড়া অনেক ইমোশনাল মোমেন্ট আছে,যেগুলো চোখে জল আনবে।আমি পার্সোনালি রেকমেন্ড করব মুভিটি দেখার।আর আমি ৯/১০ দেব মুভিটিকে।তাই বাচ্চাদের মুভি ভেবে নাক না সিটকিয়ে সময় নিয়ে দেখে ফেলুন।মন ভাল হতে বাধ্য।
আমি বৃত্ত মোহন্ত (শ্যামসুন্দর)। বর্তমানে ছাত্র। নতুন কিছু শিখতে, নতুন মানুষের সাথে মিশতে আমার খুব ভাল লাগে। তেমনি বই পড়া আর ঘুরে বেড়ানো আমার পছন্দের কাজগুলোর মধ্যে অন্যতম। মুক্তমনে সব কিছু গ্রহণ করার চেষ্টা করি আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করি,"বিশ্বজোড়া পাঠশালা মোর, সবার আমি ছাত্র"।
আসলেই আপনি টম জেরি দেখে আনন্দ পান,কে কি ভাবলো গায়ে মাখেননা ঠিকই করেন ভাইয়া।হা হা বেশ মজার ছিল মুভিটি রিভিউ পড়ে যা বুঝলাম।পিরামিড চুরি করে বেলুন ফুলিয়ে রেখেছে।চাদকেও ছোট বানানো যায়।আর ভিলেনদের লোন দেওয়ার জন্য ব্যাংক এটিও বেশ মজার। গ্রুর মা কখনও গ্রুকে প্রশংসা করতো না।বেশ ভালই মুভিটি দেখবো। গ্রু কি তার প্ল্যান বাস্তবায়ন করতে পারে কিনা।ধন্যবাদ মুভির রিভিউ টি শেয়ার করার জন্য ভাইয়া।
অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করে উৎসাহ দেওয়ার জন্য।
শ্রিংকগান দিয়ে চাঁদ চুরি করার বিষয়টা ভীষণই হাস্যকর।ইন্টারেস্টিং মনে হল।
তাই আর ডিটেইলস এ পড়লাম না। কারণ মনে হল তুমি বেশ ভালোই গুছিয়ে গল্পটি লিখেছো। পরে দেখব বলেই আর পড়লাম না পুরোটা। তোমার দেওয়া বিশ্লেষণ আর রেটিং দেখার ইচ্ছে টা আরো বাড়িয়ে দিলো।😊
আজকে স্পয়লার ছিল না বললেই চলে।দেখে ফেলো সময় করে।বিশেষ করে কখনো মন খারাপ থাকলে।ধন্যবাদ তোমার মন্তব্যের জন্য।
প্রথমে একটু হেসে নিলাম ভাই। মিশরের পিরামিডও চুরি করা যায়। আবার গ্রুর কি প্লান চাদঁকে চুরি করবে হা হা হা। ভাই সেই হলুদ হলুদ মানুষের মত প্রাণিগুলোকে যে মিনিয়ন বলে সেটাও আমি জানতাম না। তবে তাদেরকে দেখে অনেক হাসি পায়। আমিও আপনার মত টম এন্ড জেরি দেখি। আমার কাছে অনেক ভাল লাগে। ধন্যবাদ ভাইয়া মুভিটি দেখার চেষ্টা করবো।
মুভিটি দেখলে আরো মজা পাবেন ভাইয়া।আমার মত আরো মানুষ আছে দেখে ভাল লাগল।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আপনাকেও ধন্যবাদ ভাইয়া খুব সুন্দর ভাবে গুছিয়ে এমন উৎসাহ মূলক মন্তব্য করার জন্য।
মুভিটির প্রধান চরিত্র গ্রু এর যে লক্ষ্য আমার মনে হয় আমাদের সমাজের অনেক লোকেরই এরকম লক্ষ মনে রয়েছে। তবে আপনি সুন্দরভাবে মুভিটির রিভিউ তুলে ধরেছেন।
মুভিটি দেখতে হবে আপু।তার এই মনভাবের পেছনের কারন। একদিন সময় করে দেখে নিয়েন।ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
এনিমেশন মুভি গুলা অনেক দারুন লাস্ট আমার মোয়ানা মুভিটা দেখা ছিল খুবি ভাল লেগেছিল আপনার রিভিউ করা মুভিটা দেখতে হবে ধন্যবাদ শুভ কামনা
দেখেন ভাইয়া।আশা করি ভাল লাগবে।