র্যান্ডম ফটোগ্রাফি||ফোনোগ্রাফি
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগবাসী।সবাইকে অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে জানাই শুভ দীপাবলি।ঘূর্নিঝড় সিত্রাং এর আঘাতে উপকূল এলাকা বিপর্যস্ত। উপকূলের বাসিন্দাদের নিরাপত্তার জন্য মহান ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা জানাই।তিনি সবার জান মাল রক্ষা করুন।
আজকে যে ফটো গুলো শেয়ার করব সেগুলো আচমকা তোলা। আমার বন্ধু শিমুল ঢাকা থেকে এসেছিল শুক্রবার সকালে।বিকেলে সে ফোন দিয়ে বলল চল ঘুরতে বের হই।আমাদের ঘোরা মানে পায়ে হেটে ঘোরা। গ্রামের মেঠো পথ ধরে যতক্ষণ পারো হেটে যাও। অতীতের সুখের দিন নিয়ে গল্প করো,কখনো কখনো হয়ত বাদাম চিবানো হয়।
সেদিন ও কোন ব্যতিক্রম ছিল না।দুজনে হাটতে হাটতে চলে গেলাম গ্রামের দিকে। রাস্তার পাশেই দেখলাম সবুজ ধানের মাঠ।আমি একা সাধারণত ঘুরতে বের হইনা।তাই এমন সবুজ দৃশ্য অনেকদিন চোখে পড়ে না আজ সবুজ ধানের মাঠ যেন চোখ জুড়িয়ে দিল।চোখ যখন জুড়ালো তখন গ্যালারি তে রাখব না কেন? তাই তুলে ফেললাম কয়েকটি ফটোগ্রাফ।
এরপর একটি জমির আইলে গিয়ে বসলাম।তারপর দুজন মিলে সেই পুরোনো দিন নিয়ে আলোচনা করছিলাম।সেই হাইস্কুল লাইফ।কত সুখের স্মৃতি। তখন হঠাৎ সামনের ফাকা জমির মধ্যে দেখলাম অপূর্ব সুন্দর ফুল।সে ফুল কিন্তু একটি দুটি নয়। পুরো জমি প্রায় বেগুনী হয়ে গেছে।
এই ছবি টি তুলতে বেশ কষ্ট করতে হয়েছে।কেন জানি ক্যামেরা মহাশয় গেলেন বিগড়ে।কিছুতেই তিনি ফোকাস করবেন না। আমি যেখানে ফোকাস করি,উনি সেখানে বাদ দিয়ে সব দিকেই ফোকাস করেন।তারপর প্রায় ৮-১০বার চেষ্টার পর এটি তুলতে পেরেছি।
আরেকটু সামনে তাকাতেই আরেকটি ফুল দেখলাম।এই ফুলটি এখন আর দেখতেই পাইনা।এই ফুলগুলো নিয়ে ছোট বেলায় অনেক মজার স্মৃতি আছে।এই সাদা ফুল গুলো খুলে নিয়ে গোড়ার দিকটা চুষলে বেশ মিষ্টি লাগে।ফুলের আসল নাম আমার জানা নেই।কেউ জানলে জানাবেন।
আশা করি এই ফুলটির বর্ণনা দেওয়ার দরকার হবে না।অনেক পরিচিত একটি গুল্মজাতীয় গাছের ফুল।আমার দারুন লাগে এই ফুলটি।তাই দেখা হলেই ঝটপট ক্যামেরা বন্দি করে ফেলি।
এরপর গল্প করতে করতে কখন যে গোধুলী বেলা চলে এসেছে তা বুঝতেই পারি নি।পশ্চিমের আকাশ লাল আলোয় রাঙিয়ে সূর্য মামা পাটে বসছেন।মনটা কেমন উদাস হয়ে গেল।
ফটোগ্রাফার | বৃত্ত |
---|---|
ডিভাইস | পোকো এক্স২ |
লোকেশন | কালিকাডোবা,গোবিন্দগঞ্জ |
ঠিকই বলেছেন ভাইয়া, উপকূল এলাকা অনেকটাই বিপর্যস্ত। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো সত্যিই অসাধারণ ছিল। আমার ক্যামেরা মশাইও মাঝে মাঝে এমন বিগড়ে যান। ছোট ছোট জিনিস ফোকাস করার সময় বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এমন হয়। তারপরও আপনি চমৎকার ফটোগ্রাফি করেছেন। সবগুলো ফটোগ্রাফিই দারুন হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে।
সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে উৎসাহ যোগানোর জন্য ধন্যবাদ।
সবুজ ধানক্ষেত দেখতে খুব ভালো লাগে। আপনার সবগুলো ফটোগ্রাফি অনেক সুন্দর হয়েছে। তবে লজ্জাবতী ফুলের ফটোগ্রাফি টি আমার কাছে বেশি ভালো লেগেছে। এই ফুল খুব বেশি দেখাও যায় না। সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
প্রকৃতির সৌন্দর্য দেখে চোখ জুড়িয়ে গেলো অনেকদিন এরকম ধানক্ষেত দেখা হয় না। এই সময় টাতে ধানক্ষেতের পাশে গেলে আধা পাকা ধানের মিষ্টি সুগন্ধ পাওয়া যায়। বন্ধুর সাথে গ্রামের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মাঝে বেশ ভালোই সময় কাটিয়েছো তা তোমার ফটোগ্রাফি দেখেই বোঝা যাচ্ছে। প্রতিটি ফটোগ্রাফি অসাধারণ ছিল। অনেক অনেক সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ জানাই তোমাকে।
সত্যি ভাই ফুলের ফটোগ্রাফি গুলো কিন্তু দারুন হয়েছে। সবগুলো ফুল আনকমন ফুল ছিল। বিশেষ করে ধানক্ষেতের ছবিটির পরে যে ফুলগুলো ছবি তুলেছেন সত্যি দেখতে অসাধারণ লাগছে, চমৎকারভাবে ফুটে উঠেছে দেখে মন জুড়ে যায়। দেখেই বোঝা যাচ্ছে খুব কষ্ট করে ছবিগুলো তুলেছেন। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই এত চমৎকার ফুলের ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ঘূর্ণি ঝত সিত্রাং নিয়ে অনেকটা ভয়ে ছিলাম ভাই আল্লাহ যা করেন ভালর জন্য।সবার জন্য দোয়া থাকবে। অনেক দারুন কিছু ফটোগ্রাফি আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন অনেক ভালো লেগেছে ধন্যবাদ ভাই।
অনেক কষ্ট করার পরে বেগুনি কালারের ফুলগুলোর ফটোগ্রাফি করতে পেরেছেন। ফটোগ্রাফিটা কিন্তু অসাধারণ এসেছে। সাত নাম্বার ফটোগ্রাফিটিও খুবই চমৎকার ছিল। আমি তো দেখেই মুগ্ধ হয়ে গেলাম আপনার ফটোগ্রাফি গুলো। এক কথায় অসাধারণ ছিল।
সবুজ শ্যামলে ঘেরা আমাদের এই প্রকৃতি, প্রকৃতির মাঝে ঘুরতে কার না ভালো লাগে। সত্যি ধানের ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারণ ছিল। ছোট জিনিস গুলো ক্যামেরা মহাশয় ফোকাস করতে চায় না।ধন্যবাদ আপনাকে অনেক সুন্দর ফটোগ্রাফি করার জন্য।
অনেক ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
শস্য শ্যামল আমাদের এই বাংলাদেশ যেদিকে তাকাই না কেন রূপে ঘেরা আর গ্রাম অঞ্চল তো সবসময়ই সবুজে মোড়ানো থাকে।। আপনার মত আমারও গ্রামের মেঠো পথ ধরে হাঁটতে খুবই ভালো লাগে আমিও মাঝে মাঝেই ছুটিতে বাড়ি গেলে বন্ধুদের সাথে এরকম সুন্দর সময় অতিবাহিত করে থাকে।।
চলন্ত পথে অনেক সুন্দর কিছু আলোকচিত্র আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন বিশেষ করে লজ্জাবতী ধান ক্ষেত এবং শেষ বিকেলের ফটোগ্রাফিটা অসাধারণ ছিল।।
অনেক সুন্দর মন্তব্য করেছেন ভাই। ধন্যবাদ আপনাকে।
ধান ক্ষেতের দৃশ্য দেখতে আমার সব সময় ভাল লাগে। গোধুলির দৃশ্যটি ও খুব সুন্দর ভাবে ধারন করেছেন। ভাল লাগলো।অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া শেয়ার করে দেখানোর সুযোগ করে দেয়ার জন্য। অনেক শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।আপনার জন্যও শুভ কামনা রইল।