হঠাৎ ভ্রমণ||গন্তব্য হিলি
আমি বেশ ভ্রমণ প্রিয় মানুষ।আমাকে যদি কেউ স্পন্সর করত তাইলে আমি পুরো পৃথিবীটা ঘুরে দেখতাম।আর যদি বর্ডার এর বাধা না থাকত তবে তো এতদিনে পরিব্রাজক হয়ে বিশ্বভ্রমণে বের হতাম।যাই হোক এগুলো সবই যদির হিসাব।এসব বাস্তবায়ন হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
তাই ধান ভানতে শিবের গীত গেয়ে লাভ নেই।যে ভ্রমণ নিয়ে আপনাদের সাথে আলাপ করতে এসেছি সেটা নিয়েই কথা বলি।আমার মামার বাড়ির দিকের সব থেকে সিনিয়র ভাগীনা আমি।তাই আমার একটা আলাদা আদর রয়েছে।আর আদরের সাথে সাথে বেশ খানিক দায়িত্ব ও চলে আসে।
পায়েল মামা আমার ছোট মামা।মানে মায়ের মামত ভাই। জন্মের সময় থেকেই উনার হার্টে একটু সমস্যা ছিল।তবে ডাক্তার তখন বলেছিল যে আঠারো বছরের আগে কোন কিছু করা যাবে না৷তাই তখন থেকেই ঔষধ এর উপর দিয়ে চলছিল।এবছর মামার ১৮বছর পূর্ণ হওয়ায় চিকিৎসার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
তবে চিকিৎসার জন্য মামাকে ভারতে নিয়ে যাওয়া হয়। ব্যাঙ্গালোরের একটি হাসপাতালে মামার শল্যচিকিৎসা সম্পন্ন হয়।তারপর ৭দিনের বিশ্রামের পর এবং খুব দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠায় তাকে রিলিজ দেওয়া হয় এবং আজ তারা হিলি সীমান্তে সকালে পৌছায়।
এখন আমার দায়িত্ব তাদের রিসিভ করতে যাওয়া। আর এই দায়িত্ব সম্পর্কে আমি জানতাম না।আমি সাধারণত প্ল্যান করে কোন কিছু করতে পছন্দ করি। আমার একটা কার্যক্রম ঠিক করা থাকে আগে থেকেই।আর সেটাতে ব্যাঘাত ঘটলে রাগ লাগে।তাই আজ প্রথমেই যখনই শুনলাম আমাকে যেতে হবে তাও ১ঘন্টার মাঝে তখনই মেজাজ খারাপ হয়ে গেলো।
কিন্তু সাথে বড়মামা যাবে তাই না বলার অপশন ছিল না। অগত্যা সেই সকাল ৮টায় স্নান সেরে রওনা দিলাম।আমাদের যাত্রার জন্য মাইক্রো ছিল।মাইক্রো তে উঠে দেখি মামি আর মামাতো ভাইবোন ও আছে।মামি আমাকে দেখেই বলল ভাগীনা সারপ্রাইজ।আমার মামা-মামি বেশ মজার মানুষ।বলতে গেলে মামা বাড়ির সবাই বেশ মজার মানুষ।তখন মনে হল এসে ভালই হয়েছে আজ দিনটা বেশ মজায় কাটবে।
এখন বলে নেই হিলি সীমান্ত আমাদের শহর থেকে ৭০কিমি দূরে। বলা বাহুল্য এটি বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যবর্তী একটি সীমান্ত।বেনাপোল এর পরেই এটি বাংলাদেশের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি সীমান্ত।একসময় এই সীমান্ত দিয়ে প্রচুর বাণিজ্য হত।বর্তমানে কিছুটা কমে গেলেও যথেস্ট ব্যাস্ততা এখনো রয়েছে।
আমাদের রওনা দিতে দিতে প্রায় ৯টা বেজে গেল।তবে আমাদের শহর থেকে হিলির যোগাযোগ বেশ ভাল, রাস্তাও বেশ ভাল থাকায় দুইপাশের দৃশ্য দেখতে দেখতে ১ঘন্টা ৪৫ মিনিটের মাঝেই পৌছে গেলাম সীমান্ত শহর হিলিতে।এর মাঝে মামা আর মামির মজার গল্প শুনতে শুনতে সময় যে কিভাবে কেটে গেল তা বুঝতেই পারিনি।
আমি বৃত্ত মোহন্ত (শ্যামসুন্দর)। বর্তমানে ছাত্র। নতুন কিছু শিখতে, নতুন মানুষের সাথে মিশতে আমার খুব ভাল লাগে। তেমনি বই পড়া আর ঘুরে বেড়ানো আমার পছন্দের কাজগুলোর মধ্যে অন্যতম। মুক্তমনে সব কিছু গ্রহণ করার চেষ্টা করি আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করি,"বিশ্বজোড়া পাঠশালা মোর, সবার আমি ছাত্র"।
প্ল্যান করে কি সব কাজ হয় মাঝে মাঝে প্ল্যানের বাহিরেও যেতে হয়। তারফল
আপনারময় ভ্রমন । আপনার মামার দ্রুত সুস্থ্যতা কামনা করি।
ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আপনার মত আমিও ঘুরাঘুরি করতে খুবই পছন্দ করি। যদি অনেক টাকা-পয়সা থাকতো তাহলে এই পৃথিবীটাকে ভালোভাবে ঘুরে দেখতাম। যাইহোক ,
ভাগ্যে যা আছে তা হবে আপনার মামার সুস্থতা কামনা করি ভালোভাবে যেন ডাক্তার দেখায় সুস্থ হয়ে যায় সেটাই প্রত্যাশা করি। পাশে ভারত বাংলাদেশ সীমান্তে সুন্দর একটি জায়গা ভ্রমণ করেছেন অনেক ভালো লাগলো।
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
ধরেন, দাদা আপনাকে আমি স্পন্সর করেছি! সারা পৃথিবী ঘুরে আসেন 🤭🤭। যাক, আপনার মামা এখন ভালো আছে জেনে ভালো লাগলো! বাংলাদেশে আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থাটা থাকলে হয়তো আপনার মামাকে শল্য চিকিৎসার জন্য বেঙ্গালোর নিয়ে যেতে হতো না! ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে কিছুটা সময় অতিবাহিত করেছেন! আশেপাশের প্রকৃতিও সুন্দর
মুখে স্পন্সর করলে তো হবে না৷ ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
ভাইয়া আসলেই এই বর্ডার এর ঝামেলা না থাকলে কতই না ভালো হতো ।আপনার মামা মামিসহ মামাতো ভাইবোন আপনার আর এক মামাকে রিসিভ করতে হিলি তে গেলেন।হঠাৎ ভ্রমণ হওয়াতে আপনার বেশি ভালো লাগেনি।এরকম হঠাৎ ভ্রমণ আমারও ভালো লাগেনা।আপনার মামার সুস্থতা কামনা করছি।ডাক্তার যেহেতু রিলিজ দিয়েছেন অবস্থা নিশ্চয় উন্নত।ধন্যবাদ পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
আপনাকেও ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আশা করছি খুব দ্রুত আপনার ছোট মামা সুস্থ্য হয়ে উঠবে। আপনি হিলি যেতে বেশ মজা করেছেন বোঝা গেল। আপনাদের বাড়ি থেকে ৭০ কিলোমিটার দূরত্ব কিন্তু মাত্র ১ ঘণ্টা ৪৫ মিনিটে পৌঁছে গেলেন । দৃশ্য গুলো দেখে সত্যিই ভাল লাগল। ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনাকেও ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
ছোটবেলায় এরকম চিন্তাধারা আমারও ছিল। আসলে আমাদের জীবনটা কেমন বলেন তো, যখন ঘোরার বয়স থাকে তখন টাকা থাকে না আর যখন টাকা থাকে তখন ঘোরার বয়স বা ইচ্ছে কোনোটাই থাকে না।
আপনার পুরো ব্লগটা পড়ে তেমন বিশেষ কিছু পাইনি যেটার ভিত্তিতে কমেন্ট করব, হিলি সীমান্ত বাদে। আশা করব পরবর্তী পর্বে কমেন্ট করার মতো বিশেষ কিছু পেয়ে যাব।😊
সব সময় জীবনে কিছুর না কিছুর অভাব থাকেই। সব পেয়ে গেলে জীবনটাই অপূর্ণ।