হঠাৎ ঘুরে আসা "প্রেম যমুনার ঘাট"
নমস্কার/আদাব বন্ধুরা। কেমন আছেন সবাই? আগামীকাল পবিত্র ঈদুল-আযহা।সবাইকে জানাই ঈদ মোবারাক।
ঈদের ছুটি তে বন্ধু বান্ধব সবাই বাড়িতে চলে এসেছে।আর বন্ধুদের সাথে চলে এসেছে তাদের বাইক।আজ সকালে বসে বসে মাছি মারছিলাম,এমন সময় আমাদের ডাক্তার সাহেব তানভীর ফোন দিল।বের হয়ে তার সাথে নাহিদ কেও পেলাম।তারপর ফোন দেওয়া হল শিমুল,নিয়াজ আর নাফিজ কে।এরপর সবাই আড্ডা দিতে দিতে দিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হল কোথাও ঘুরতে যাওয়া হোক।সবাই রাজি হলে, জায়গার নাম প্রস্তাব করা হল।সেখান থেকে শিমুলের প্রস্তাব অনুযায়ী সিলেক্ট করা হল "প্রেম যমুনার ঘাট"।লোকেশন
যেই কথা সেই কাজ ৬জন বন্ধু ২টি বাইক নিয়ে বেড়িয়ে পড়লাম। তবে মহাসড়ক দিয়ে না গিয়ে আমরা বেছে নিলাম গ্রামের ভেতরের রাস্তা।উদ্দেশ্য ছিল গ্রামের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করা।এভাবে গ্রামের ভেতর দিয়ে চলতে চলতে একসময় পৌছে গেলাম কাংখিত গন্তব্যে।
এটি ছিল এখানে আমার প্রথমবার যাওয়া। সেখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আমি রিতীমত মুগ্ধ। আমি এতটাই মুগ্ধ ছিলাম যে ছবি তুলতে পর্যন্ত ভুলে গেছিলাম।প্রথমেই বলতে হবে নদীর পাড়ের ঠান্ডা বাতাসের কথা। এখানে এত বাতাস যে আপনার প্রান জুড়িয়ে যাবে।এরপর ঘাটে বসে বড় বড় নৌকায় যাত্রীদের আসা যাওয়া। কত বিচিত্র মানুষের আনাগোনা।যদি ঘাট থেকে একটু এগিয়ে যান তাইলে নদীর নিরিবিলি পাড় পাবেন।এখানে কেউ আপনাকে বিরক্ত করবেনা।
এখানে একটি চানাচুর মাখাপাবেন। মাখাটি অবশ্যই ট্রাই করবেন।আমার কাছে মাখাটি অদ্ভুত রকম ভাল লেগেছে। এত ভাল ছিল যে নাহিদ নিজের টা শেষ করে আমার টার উপর হামলা করে।
জায়গা টি আমার অনেক ভাল লেগেছে। যদি প্রকৃতি আপনার ভাল লাগে তাইলে অবশ্যই ঘুরে আসতে পারেন।চাইলে পরিবার অথবা বন্ধু সহ চলে আসতে পারেন বনভোজনে।
"প্রেম যমুনার ঘাট " নামটি অনেক সুন্দর না? নাম যেমন সুন্দর জায়গা টি তার থেকেও বেশি সুন্দর।এখানে আপনি নদী,নদীর চরের সৌন্দর্য দেখতে পাবেন।এটি বগুড়া জেলার সারিয়াকান্দি থানায় অবস্থিত।এখানে যাওয়ার জন্য আপনাকে বগুড়ার চেলোপাড়া ব্রিজে আসতে হবে।তারপর সেখান থেকে একটি সিএনজি নিয়ে খুব সহজেই চলে যেতে পারবেন সারিয়াকান্দি।তারপর সারিয়াকান্দি থেকে অটো তে প্রেম যমুনার ঘাট।
লোকেশন
হ্যাপি ট্র্যাভেলিং
বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে আমি তো আরো বেশি ভালোবাসি।আপনারা খুব সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছেন। ফটোগ্রাফি গুলো দেখে বোঝাযাচ্ছে।
হ্যা ভাইয়া ধন্যবাদ। একদিন বন্ধুদের নিয়ে চলে আসেন।
আমার মনে হয় হিরো আলম এই জায়গাতেই তার সে জনপ্রিয় গানটি গেয়েছিলেন। ঘাটের পাশের বালুচর দেখে বোঝা যাচ্ছে। আপনি চাইলে ওই মুহূর্ত হিরো আলমের সেই গানটি গাইতে পারতেন এবং একটি tiktok বানাতে পারতেন।
সাজেশন টা আগে দিলে করা যাইত ভাই। দেরি করে ফেলেছেন।পরেরবার গেলে চেষ্টা করব।আর ভাই টিকটকে নাই আমি।