লিওঃদ্যা প্রফেশনাল||মুভি রিভিউ
মুভির নাম টা নিয়ে একটু ঝামেলা আছে।৩টি ভিন্ন দেশে তিনটি ভিন্ন নামে রিলিজ করা হয়েছে।আমি যে নামটি ব্যবহার করেছি, সে নামে ফ্রান্সে এই মুভি রিলিজ করা হয়।এখন আমরা ছবির কাস্ট ও খুটিনাটি জেনে নেব।
মুভির নাম | লিওঃদ্যা প্রফেশনাল |
---|---|
জনরা | অ্যাকশন,ক্রাইম,অ্যাডভেঞ্চার |
অভিনয়ে | জিওন রেনো,গ্যারি ওল্ডম্যান,নাটালি পোর্টম্যান |
ভাষা | ইংরেজি,ইটালিয়ান,ফ্রেঞ্চ |
রিলিজ ডেট | ১৪সেপ্টেম্বর ১৯৯৪ |
মুভিটির প্রধান ক্যারেক্টার এর নাম লিও।তাকে ঘিরেই এই সম্পূর্ণ মুভি।লিও নিজেকে পরিচয় দেয় একজন ক্লিনার হিসেবে,যে বিভিন্ন বিল্ডিং এর ক্লিনার হিসেবে কাজ করে।কিন্তু বাস্তবে লিও একজন প্রফেশনাল হিটম্যান।যে টাকার বিনিময়ে মানুষ খুন করে।আর লিও এই কাজে এত দক্ষ যে তার নামের সাথে প্রফেশনাল উপাধী যুক্ত হয়।
লিও যে ফ্ল্যাটে থাকে সেই ফ্ল্যাটে মাতিলদা নামের একটি মেয়ে থাকে৷ মাতিলদা কে দেখতে ছোট বাচ্চা মনে হলেও সে আসলে ২০বছর বয়স তার।মাতিলদা তার বাবা, সৎ মা, সৎ বোন ও ভাইয়ের সাথে থাকে। তার সৎ মা,বোন আর বাবা তাকে মোটেও পছন্দ করে না। তার উপর অত্যাচার চালায়।
মাতিলদার বাবা একজন ড্রাগ ডিলার।কিন্তু এখানে একটি প্যাচ আছে।তার সাথে ইউএসএ এর মাদক নিয়ন্ত্রণ সংস্থার এর অফিসার যুক্ত।এই অফিসার টা অনেকটা সাইকো গোছের।আর মুভির প্রধান ভিলেনও এই অফিসার।
এই অফিসার মাতিলদার বাবার কাছে কিছু ড্রাগস রাখে।এই রাখার বিনিময়ে সে টাকা পাবে।কিন্তু মাতিলদার বাবা তাদের সাথে বেইমানি করে,সে ড্রাগস থেকে চুরি করে এবং ওজন ঠিক রাখার জন্য ভেজাল মেশায়।তারপর যখন অফিসার ড্রাগস ফেরত পায় তখন পরীক্ষা করে বুঝতে পারে ড্রাগসে ভেজাল মেশানো।সে তখন মাতিলদার বাবার কাছে এর কারন জানতে চায়।
মাতিলদার বাবা তা একদম অস্বীকার করে।তখন অফিসার বলে আমি তোমার কথা বিশ্বাস করলাম। তোমাকে আগামীকাল দুপুর ১২টা পর্যন্ত সময় দিলাম।এর মাঝে তুমি খুজে বের করো কে করেছে এই কাজ ।তাইলে তোমার কিছু হবে না।নইলে তোমার উপর সব দোষ চাপবে আর ফল ভুগবে তোমার পরিবার।
কিন্তু মাতিলদার বাবা তার কথা গায়ে লাগায় না।ফলে পরদিন অফিসার আসে আর ঘরে ঢুকেই সবাইকে হত্যা করতে থাকে।তখন মাতিলদা বাইরে ছিল।একপর্যায়ে সে বাড়িতে আসে তখন দেখে তার বাড়িতে এভাবে গণহত্যা চলছে ফলে সে লিওর দরজার নক করে এবং তাকে অনুরোধ করে তাকে নিজের ঘরে রাখতে।
লিও তাকে নিজের কাছে রাখে এবং সেও ঐ অফিসারের কাজ দেখতে থাকে।এরপর রাতে লিও মাতিলদা কে নিজের কাছে রেখে দেয়।তার মন ভাল করার চেষ্টা করে। সকালে লিও যখন বাইরে যায় তখন সে লিওর অস্ত্রপাতি দেখে ফেলে,আর লিওর কাজ সম্পর্কে আন্দাজ করে।
তারপর লিও যখন বাড়ি আসে তখন সে লিও কে বলে তাকেও ট্রেনিং দিয়ে তার মত গড়ে তুলতে।লিও অস্বীকার করে।তখন সে জানায় সে তার ভাইয়ের খুনের বদলা নিতে চায়।তখন লিও বলে এই দুইটি পিস্তল নাও,আর গিয়ে বদলা নাও।তারপরেও মাতিলদা অনেক জোর করতে থাকে।ফলে লিও আস্তে আস্তে নরম হয় এবং তাকে ট্রেনিং দিতে থাকে।
ট্রেনিং দিতে দিতে মাতিলদা লিওর প্রেমে পড়তে থাকে এবং একদিন বলে ফেলে কিন্তু লিও জানায় সে কিছুতেই এই রিলেশনে জড়াবে না।তখন মাতিলদা আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়।তখন লিও ও বুঝতে সেও মাতিলদা কে ভালবাসে।
এভাবে মাতিলদা লিওর সাথে ক্লিনিং মিশনে যেতে থাকে অর্থাৎ মানুষ খুনের মিশনে যেতে থাকে।
একসময় মাতিলদা সেই অফিসার কে দেখতে পায় এবং জানতে পারে সে কোথায় কাজ করে।ফলে সে অফিসারের অফিসে চলে যায় তাকে খুন করতে।যাওয়ার আগে সেই লিওর কাছে চিঠি লিখে যায়।সে লিখে যায় সে কোথায় যাচ্ছে,আর সে যদি ব্যার্থ হয়ে মারা যায় তবে সে যেন তার হয়ে প্রতিশোধ নেয়।অফিসার অনেক চালাক ফলে মাতিলদা কিছু করার আগেই ধরে ফেলে।এবং মাতিলদার দিকে বন্দুক তাক করে।
মাতিলদা কি পারবে এই পরিস্থিত থেকে বাচতে? লিও কি পারবে তাকে বাচাতে? মাতিলদার প্রতিশোধ কি পূর্ণ হবে?
ব্যক্তিগত মতামতঃ
আমার কাছে মুভিটি দুর্দান্ত লেগেছে।অ্যাকশনে ভরপুর।সেই সাথে সম্পর্কের টানাপোড়ান,অপরাধীদের জীবন,দুর্নীতী দারুন ভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে মুভিতে।সবার অভিনয় অসাধারণ।একমুহুর্তের জন্যেও পর্দা থেকে চোখ সরাতে পারবেন না।সময় পেলে একবার দেখে ফেলুন দূর্দান্ত মুভিটি।আমি ব্যক্তিগত রেটিং দেব ১০/১০।
বেশ ভালো ছিল আপনার আজকের মুভি লিউ দা প্রফেশনাল এর রিভিউটি। আমার কাছেও মুভিটি দুর্দান্ত লেগেছে। অ্যাকশন, সম্পর্কের টানাপোড়ান,অপরাধীদের জীবন,দুর্নীতী দারুন ভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে মুভিতে।সবার অভিনয় অসাধারণ। একবার দেখার ইচ্ছা আছে।
দেখে নিয়েন।ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্যের জন্য।