আমরা কেন ব্যবসা করি না||আমার চিন্তা ভাবনা
আজ ভার্সিটি থেকে পরীক্ষা দিয়ে বের হলাম।আমার পরীক্ষা মোটামুটি ভাল হলেও নূরের নাকি ভাল হয়নি।তার মেজাজ খারাপ।আমাকে বলল চল চা খাওয়া যাক।আমিও রাজি হয়ে গেলাম।এরপ চা খেতে খেতে
শিক্ষাব্যবস্থা,দেশের চাকুরি পরিস্থিতি এগুলা নিয়ে আলোচনা করছিলাম।একসময় নূর বলল"পড়াশুনা করে কি করব,সেই তো বেকার ই থাকা লাগবে।"আর চাকুরী পেলেও সেই ১২-১৩ হাজারের চাকুরী।দিন দিন
জিনিসপত্রের দাম যেভাবে বাড়ছে তাতে কিছুই সম্ভব নয় এই বেতন দিয়ে।বেতন হয়ত আস্তে আস্তে বাড়বে।কিন্তু ততদিন বুড়ো হয়ে যাব।তারউপর ছুটিছাটা নেই। অফিস টাইমের ঠিকঠিকানা নেই।জীবন প্যারাময়।
তখন দোকানদার মামা আমাদের মজা করে বলল "মামা আপনারা আমার পাশে দুজন মিলে পুরি সিঙ্গারার দোকান দিন।সব বাদ দিয়ে মাসে ২০-২৫ হাজার ইনকাম করবেন।তারপর আছে নিজের স্বাধীনতা,আপনার ইচ্ছামত আসলেন গেলেন।না আছে মালিকের ঝাড়ি না আছে বলার কেউ।আপনারা শিক্ষিত মানুষ একটু বুদ্ধি খাটালে আরো উন্নতি করতে পারবেন।
যাই হোক আমি তখন বিষয় টা নিয়ে অত ভাবলাম না।কিন্তু বাড়ি এসে বিষয় টি নিয়ে ভাবতে লাগলাম।আসলেই তো বিষয় টা মন্দ নয়।আমরা পেটে বিদ্যা ঢোকার পরপরই চাকুরির চিন্তা করা শুরু করি।কয়জন চিন্তা করি ব্যবসাও তো করা যায়।আর ব্যবসাই তো চাকুরির থেকে ঢের ভাল।তাইলে আমরা ব্যবসা নিয়ে ভাবি না কেন? যার অধীনে চাকুরী করব সেও তো একজন ব্যবসায়ী।তাইলে সে যদি ব্যবসা করে আমার মত হাজার হাজার লোক কে চাকুরি দিতে পারে তাইলে আমি কেন পারব না।
যেই ভাবা সেই কাজ মা কে গিয়ে বললাম " মা, আমি চাকুরি করব না,ব্যবসা করব।"অমনি আর যাই কোথায়।শুরু হল গালাগালি,ইমোশনাল ব্ল্যাকমেইল।যার মূলভাব হল এত পড়াশুনার শেখার পর চায়ের দোকান দিব, লোকে কি বলবে,কোন বাপ মা আমার সাথে তার মেয়ের বিয়ে দিবে,তারা মানুষের কাছে মুখ দেখাবে কিভাবে।
যাই হোক আমি বুঝালাম যে আমি চায়ের দোকান তো উদাহরণ হিসেবে বলেছি।আরো তো কত ব্যবসা আছে।পড়াশুনা করে সেগুলো করব।কিন্তু না মায়ের এক কথা "বেতন যাই হোক না কেন,ছোট হোক আর বড়ই হোক চাকুরি একটা করতেই হবে।"
সোর্স
এরপর মনে মনে ভাবলাম আসল কারন এটাই।যদিও কেউ ব্যবসার কথা ভাবে তাইলে তাকে সাপোর্ট দেওয়ার কেউ থাকে না।এরপর যদিও কেউ বিদ্রোহ করে ব্যবসা করে তবে তার মনবল ভেঙ্গে দিতে যা করা লাগে আশেপাশের মানুষ সব করে। খুব কড়া যাদের প্রাণশক্তি তারাই শেষ পর্যন্ত টিকে যায়।সবার তো আর এত প্রাণ শক্তি নেই,তাই ব্যবসা করি না।আবার অনেকে ব্যবসার ঝুঁকি নিতে চায় না।তাদের নির্ঝঞ্ঝাট একটা জীবণ দরকার তাই তারা ব্যবসার ঝামেলার মাঝে যায়না।
আমরা যারা শিক্ষিত হচ্ছি তাদের উচিৎ মনের পরিসর বড় করা।কোন কাজ ছোট নয় কথা টা শুধু মুখে না বলে বাস্তবে কাজে লাগাতে হবে।
যাই হোক আমি তখন বিষয় টা নিয়ে অত ভাবলাম না।কিন্তু বাড়ি এসে বিষয় টি নিয়ে ভাবতে লাগলাম।আসলেই তো বিষয় টা মন্দ নয়।আমরা পেটে বিদ্যা ঢোকার পরপরই চাকুরির চিন্তা করা শুরু করি।কয়জন চিন্তা করি ব্যবসাও তো করা যায়।আর ব্যবসাই তো চাকুরির থেকে ঢের ভাল।তাইলে আমরা ব্যবসা নিয়ে ভাবি না কেন? যার অধীনে চাকুরী করব সেও তো একজন ব্যবসায়ী।তাইলে সে যদি ব্যবসা করে আমার মত হাজার হাজার লোক কে চাকুরি দিতে পারে তাইলে আমি কেন পারব না।
যেই ভাবা সেই কাজ মা কে গিয়ে বললাম " মা, আমি চাকুরি করব না,ব্যবসা করব।"অমনি আর যাই কোথায়।শুরু হল গালাগালি,ইমোশনাল ব্ল্যাকমেইল।যার মূলভাব হল এত পড়াশুনার শেখার পর চায়ের দোকান দিব, লোকে কি বলবে,কোন বাপ মা আমার সাথে তার মেয়ের বিয়ে দিবে,তারা মানুষের কাছে মুখ দেখাবে কিভাবে।
যাই হোক আমি বুঝালাম যে আমি চায়ের দোকান তো উদাহরণ হিসেবে বলেছি।আরো তো কত ব্যবসা আছে।পড়াশুনা করে সেগুলো করব।কিন্তু না মায়ের এক কথা "বেতন যাই হোক না কেন,ছোট হোক আর বড়ই হোক চাকুরি একটা করতেই হবে।"
এরপর মনে মনে ভাবলাম আসল কারন এটাই।যদিও কেউ ব্যবসার কথা ভাবে তাইলে তাকে সাপোর্ট দেওয়ার কেউ থাকে না।এরপর যদিও কেউ বিদ্রোহ করে ব্যবসা করে তবে তার মনবল ভেঙ্গে দিতে যা করা লাগে আশেপাশের মানুষ সব করে। খুব কড়া যাদের প্রাণশক্তি তারাই শেষ পর্যন্ত টিকে যায়।সবার তো আর এত প্রাণ শক্তি নেই,তাই ব্যবসা করি না।আবার অনেকে ব্যবসার ঝুঁকি নিতে চায় না।তাদের নির্ঝঞ্ঝাট একটা জীবণ দরকার তাই তারা ব্যবসার ঝামেলার মাঝে যায়না।
আমরা যারা শিক্ষিত হচ্ছি তাদের উচিৎ মনের পরিসর বড় করা।কোন কাজ ছোট নয় কথা টা শুধু মুখে না বলে বাস্তবে কাজে লাগাতে হবে।শুধু চাকুরির পিছে দৌড়ালে হবে না,নিজে কিছু করার চিন্তা করতে হবে।চিন্তা করতে হবে কিভাবে ২-৩ জন কে চাকুরি দেওয়া যায়।আর কে কি বলল তারে কান দেওয়া যাবে না।কারন আপনি যখন সফল হবেন তখন দেখবেন এরাই আপনার গুণগান করতে করতে মুখে ফেনা তুলে ফেলবে।যাই হোক নিজের একটি শক্তিশালী গুণ খুজে বের করুন।এরপর সেটাকে কাজে লাগান।নিজে উদ্যোক্তা হওয়ার চেষ্টা করুন।
একদম ঠিক বলেছো, কেন সবাই চাকরির পিছনে মরিয়া হয়ে ছুটে বুঝতে পারিনা কি আছে চাকরিতে মাস শেষে হাতে গোনা কয়টা টাকা যা দিয়ে মানুষের সারা মাসের প্রয়োজন ঠিকমতো মেটে না আমি মনে তার চেয়ে ব্যবসা অনেক ভালো যদি কেউ পরিশ্রম ও ধৈর্যের সহিত করতে পারে তাহলে সফল হবেই।সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ কাকিমা উৎসাহ দেওয়ার জন্য।
ঠিকই বলেছেন আপনি সবাই চাকরির পিছে না ঘুরে আমরা কিছু ছোটখাটো ব্যবসা করতে পারি। কোন কাজকে ছোট করে না দেখে ধৈর্য সহকারে নিজের পরিশ্রমকে কাজে লাগিয়ে ছোট ব্যবসা থেকেও একদিন বড় ব্যবসায়ী হওয়া যায়। চাকরি মানেই অন্যের অধীনে কাজ করা। আর ব্যবসা ছোট হলেও নিজের কাজ নিজের ইচ্ছে মতো করা ।আপনার পোস্টটি পড়ে আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য
আপনিও অনেক সুন্দর আর গঠণ মূলক মন্তব্য করেছেন।ধন্যবাদ আপনাকে।
সুন্দর লিখেছেন। পালবংশের শাসনকালে বাঙালীর বাণিজ্যতরী দূর দূর দেশে যেত। বাঙালীর ব্যবসার সেই স্বর্ণিম দিন ফিরে আসুক।
মনের মত কথা বলেছেন ভাই।ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আমাদের সমাজ ও সমাজের প্রত্যেক বাবা-মার সন্তানদের জন্য একই ভাবনা। চাকুরী চাকুরী চাকুরী। লেখা পড়ে শিক্ষিত করার আসল উদ্দেশ্য কিন্তু আমরা কেউ বাস্তবায়ন করছি না। চাকুরীর পিছনে না ঘুরে বেকার যুবক-যুবতী যদি উদ্যোক্তা বা ছোটখাট ব্যবসায়ী হন তাহলে আমূল পরিবর্তন আসতো। ধন্যবাদ আপনার গুরুত্বপূর্ণ আলোচনার জন্য।
আপনি অনেক সুন্দরভাবে ব্যাখ্যা দিয়েছেন। ধন্যবাদ দাদা সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
বাঙালি তো এই এক জায়গাই আটকে গেল লোকে কী বলবে। আসলে ভাই আমাদের মা বাবার চিন্তা মাস শেষে একটা ধরা বাঁধা বেতনেই পড়ে আছে। কিন্তু ব্যবসা সম্পর্কে তাদের অনেক বিরুপ ধারণা হয়েছে। উদ্যোক্তা হওয়া কী কম কথা।।
সেটাই ভাই। লোকের কথার ভয়ে ১০০বছর পিছিয়ে আছি।ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।