ঈদের ঘোরাঘুরি ও জ্যোস্না বিলাস

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago (edited)

প্রথমেই সবাই কে জানাই ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা।ধর্ম যার যার উৎসব সবার।ঈদ আমার ধর্মীয় উৎসব না হলেও আমি কিন্তু ঠিকই আনন্দ করি।ঘুরতে যাই।
আজ সকাল থেকে ফ্রি বসে ছিলাম কারন বন্ধুরা সবাই ব্যস্ত।কিন্তু মা বসে নাই। মা ঈদ উপলক্ষে বিশেষ রান্না করেছেন। দুপুরে মায়ের হাতের ঝাল পোলাও খেলাম।তারপর ঘুম।
এরপর সন্ধ্যার সময় এক এক করে তানভীর,নাহিদ,শিমুল হাজির।এরপর সবাই মিলে চলে গেলাম মহিমাগঞ্জ।লোকেশন

IMG_20220710_194103.jpg

মহিমাগঞ্জ আদতে একটি রেইল স্টেশন।তবে স্টেশন এর বাইরেরে প্রাকৃতিক দৃশ্য অনেক সুন্দর।ঈদ এর দিন এই জায়গা টি হয়ে ওঠে বিভিন্ন মানুষের ভ্রমনের জায়গা।প্রচুর মানুষের সমাগম হয়। তবে আপনি যদি ভিড় পছন্দ না করেন তবে আপনাকে ৫০০ মিটার সামনে এগিয়ে যেতে হবে।
IMG_20220710_191627.jpg

স্টেশন থেকে ৫০০ মিটার সামনে গেলেই আপনি পৌছে যাবেন বাংগালী নদীর তীরে।এখানে নদীর উপরে রয়েছে একটি রেলসেতু।এখানে নিরিবিলি বসে আড্ডা দিতে পারবেন।যদি আপনাদের ঘোরার ইচ্ছা থাকবে তাইলে আপনার আসতে হবে বিকালে। আর যদি চান নিরিবিলি বসে আড্ডা দেবেন তাইলে আপনাকে আসতে হবে সন্ধ্যায়।আমরা মূলত আড্ডা দেই এই ব্রিজের পাশে বসে৷ নদীর মন্দ মধুর হাওয়া আর নিরিবিলি পরিবেশ আপনার সব দুশ্চিন্তা দূর করে দেবে।
IMG_20220710_190824.jpg

আজ নদীর তীরে জ্যোস্না দেখার অভিজ্ঞতা হল। সেই দৃশ্য যে এত সুন্দর,স্নিগ্ধ তা কল্পনার বাইরে। আমি জানিনা আপনাদের এর দৃশ্য দেখার অভিজ্ঞতা হয়েছে কিনা।আমি নিশ্চিত আপনার যত কাজই থাক আপনি সেই দৃশ্য দেখার জন্য ৫মিনিট অবশ্যই থামবেন।
চাদের আলোয় নদী কে মনে হয় গলিত রুপা। সবুজ মাঠের ভেতর, নদীর পাড়ে বসে এই অপুর্ব দৃশ্য দেখলে আপনার মনের মাঝে কবি ভাব আসতো বাধ্য।
IMG_20220710_194051.jpg

এই দৃশ্য দেখতে দেখতে কখন যে রাত নটা বাজল তা আমরা খেয়ালই করি নি। এরপর ওঠার পালা।কিন্ত মজার একটি মজার ব্যপার ঘটল।আমার জুতা গেল ছিড়ে। আতপর সেই ছেড়া জুতো হাতে নিয়ে ফিরে এলাম স্টেশন এ।
কোথাও ঘুরতে গেল সেখানকার স্পেশাল বা জনপ্রিয় খাবার চেখে দেখা আমার একটি নেশা বলতে পারেন।তো স্থানীয় লোকজন দের কাছে জিজ্ঞাসা করে জানলাম এখানকার স্পেশাল খাবার হচ্ছে একধরনের ডালপুরি(কচুরি),আর পেয়াজু।

IMG_20220710_222832.jpg

এবং সেটি একটি স্পেশাল দোকানে পাওয়া যায়।দুঃখের বিষয় দোকানটির নাম দেওয়া নেই।তবে মহিমাগঞ্জ বাজারে এসে জিজ্ঞাসা করলে যে কেউ দেখিয়ে দেবে।
এরপর খেতে বসে আর এক মজার কান্ড। হঠাৎ লোডশেডিং।আবার দোকানে বিকল্প ব্যবস্থাও নেই।তাই বাধ্য হয়েই আমাদের ক্যান্ডেল লাইট ডিনার করা লাগলো।কচুরি গুলো অনেক সুন্দর। আপনারা আসলে ট্রাই করে দেখতে পারেন।

IMG_20220708_194856.jpg

বন্ধুদের সাথে কাটানো প্রতিটা মূহুর্তই স্পেশাল।কিন্তু তারপরও আজ যে সুন্দর দৃশ্য প্রকৃতি উপহার দিয়েছে তা কখনো ভোলার না।সারাজীবন এই দৃশ্য মনে থাকবে।

Sort:  
 2 years ago 

ডালপুরি কচুরি পিয়াজু গুলো দেখে আমার খুব খেতে ইচ্ছে করছে ভাইয়া। মনে হচ্ছে সেখানে গিয়ে সে নাম না জানা দোকানের খোঁজ করতে হবে। ভাই আপনি ঈদের দিন খুব সুন্দর একটা সময় কাটিয়েছেন। জোসনা রাতের ছবিটি কিন্তু বেশ সুন্দর ছিল। এমন জোসনা বিলাস আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনার ঘুরতে যাওয়ার সুন্দর মুহূর্ত এবং ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

 2 years ago 

ধন্যবাদ আপু।একদিন সময় করে চলে আসুন।

 2 years ago 

এতো সুন্দর একটি খাবারের দোকানের কোনো নাম দেওয়া নেই যা এইটা কোনো কথা। নদীর পাড়ে জোৎস্না দেখার অভিজ্ঞতা আমার কয়েকবার হয়েছে সত্যি দারুণ লাগে পরিবেশ টা। আপনার কথাটা ভালো লাগল ধর্ম যার যার উৎসব সবার। ঈদ উপলক্ষ্যে বন্ধুদের সাথে বেশ ভালো ঘোরাঘুরি করেছেন।

 2 years ago 

এগুলো ভাই টং দোকান। তাই নাম দেওয়া নেই।এদের পরিচয় এদের খাবারের টেস্ট দিয়ে।আমরা ১৫কিমি দূরে যাই এই কচুরি খাইতে।

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.15
JST 0.028
BTC 60073.81
ETH 2420.97
USDT 1.00
SBD 2.45