বিন্দু কে সাথে নিয়ে ঘোরাফেরা
আপনারা গতদিনের পোস্ট থেকে জেনেছেন যে বিন্দুর জন্য ফোন কিনেছি। কিন্তু বিন্দু সেটা জানত না কারন ও বগুড়া মেসে আছে। আজ ভাবলাম ওকে সারপ্রাইজ দেব। যেই কথা সেই কাজ। বিকেলের টিউশন ছুটি দিয়ে আমি বগুড়ার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম।ভেবেছিলাম সকালে যাব,কিন্তু সকালে ওর পরীক্ষা থাকায় প্ল্যান ড্রপ করতে হলো।
দুপুর ২টা নাগাদ রওনা দিলাম বগুড়ার দিকে। একদম ওর মেসের গেটে না যাওয়া পর্যন্ত ওকে বলি নি যে আমি যাচ্ছি। একদম ওর গেটে পৌছে ওকে ফোন দিলাম,দিয়ে বের হতে বললাম।ও তো পুরাই অবাক হয়ে গেছে আমি এসেছি শুনে। তারপর রুমে গিয়ে বসার পর জিজ্ঞেস করল,"তুই হঠাৎ খবর না দিয়েই আসলি যে?"তখন আমি ফোন বের করে বললাম, "এই যে এটা দিতে"।
ও ভাবছে আমি মজা করছি,ভাবার কারন আছে ওর ফোনের জন্য যে ব্যাক কভার নিয়েছিলাম সেটাও কালো, আবার আমার ফোনের ব্যাক কভারও কালো।তাই ও ভেবেছে আমার টা দেখিয়ে আমি মজা নিচ্ছি। পরে আমি আমার ফোনটাও বের করে দেখালাম।তখন বুঝতে পারল আমি মজা করছি না। সেই মুহুর্তে ওর মুখের এক্সপ্রেশন ছিল দেখার মত।
এরপর অনেক সময় নিয়ে ফোনের সব কিছু সেটিং করে দিলাম। তারপর যখন চলে আসব তখন বিন্দু বলল ওর নাকি ক্যালকুলেটর কিনতে হবে।আমিও বললাম চল তাইলে। অনেক দিন ভাইবোন মিলে কোথাও ঘুরতে যাওয়া হয়না। আজ এই বাহানায় ঘোরাঘুরিও হয়ে যাবে। এরপর রিক্সা নিয়ে প্রথমেই গেলাম ক্যালকুলেটর এর দোকানে। যেহেতু প্রথম থেকেই ঠিক করা ছিল কোন মডেলের কিনতে হবে তাই দোকানে বেশি সময় নষ্ট হয়নি। তবে দামদর করতে হয়েছে একটু,কারন প্রথমেই প্রায় দ্বিগুণ দাম চেয়েছিল।
এরপর বিন্দুকে বললাম চল কিছু খাওয়াদাওয়া করা যাক। সন্ধ্যার সময় হালকা পাতলা স্ট্রিট ফুড মন্দ লাগে না। আর বগুড়া সাতমাথা হল স্ট্রিট ফুডের স্বর্গ।আর সন্ধ্যায় সেই স্বর্গ লোকে ভরে ওঠে।বিভিন্ন বয়সের লোকজন, ছোট থেকে শুরু করে বয়স্ক সবাইকেই দেখা যায়। কোথাও ফাকা পাওয়া কষ্টের ব্যাপার। তারপরেও অনেক খোজাখুজির পর একটি জায়গা ফাকা পেয়ে বসে গেলাম।
তারপর বিন্দুকে বললাম, "কি খাবি?" তখন ও বলল সিঙ্গারা খাবে,আমারো মন তাই ছিল।দুইজন মিলে গরম গরম সিঙারা খেলাম।এরপর আরেকটু ঘোরাফেরা করে ওকে মেসে রেখে আমি বাসায় চলে আসলাম।
OR 
আমি বৃত্ত মোহন্ত (শ্যামসুন্দর)। বর্তমানে ছাত্র। নতুন কিছু শিখতে, নতুন মানুষের সাথে মিশতে আমার খুব ভাল লাগে। তেমনি বই পড়া আর ঘুরে বেড়ানো আমার পছন্দের কাজগুলোর মধ্যে অন্যতম। মুক্তমনে সব কিছু গ্রহণ করার চেষ্টা করি আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করি,"বিশ্বজোড়া পাঠশালা মোর, সবার আমি ছাত্র"।
ছোট বোনের সারপ্রাইজ দেওয়ার গল্পটি পড়ে সত্যি ভালো লাগলো। সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে দুইটা ফোনে ব্যাক কভারে একইছিল সেজন্যই মজা নিয়েছে। সত্যিই সেই সময়ে তার অনুভূতিটা কতটা খুশির ছিল যেটা অনুভব করতে পারা যায়। এরকম অনেক সারপ্রাইজ পেয়েছি সত্যি জীবনের সেরা মুহূর্ত মনে হয়। ছোট বোনের সাথে ক্যালকুলেটর কিনতে গিয়ে খাওয়া-দাওয়া সব মিলিয়ে দারুন একটা দিন পার করেছেন।
হ্যা সময় অনেক ভাল কেটেছে। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
এরকম সারপ্রাইজ গুলো মানুষের মনে অনেক আনন্দ দেয়।ঠিক বিন্দুরও অনেক আনন্দ হয়েছে তা ওর চোখেমুখে প্রকাশ পাচ্ছে।অনেক দিন দুই ভাইবোনের খুশির মুহুর্ত গুলো দেখে খুবই ভালো লাগলো।ভাইবোনের এই বন্ধন আজীবন অটুট থাকুক এই প্রার্থনা করি।দুজনের জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইলো।
ঈশ্বর আপনার প্রার্থনা যেন শোনেন। ধন্যবাদ কাকিমা আশীর্বাদ করবেন আমাদের জন্য।
ভাইয়া আপনাদের ভাই বোনের ভালবাসা দেখে আমি মুগ্ধ হলাম। বোনকে মোবাইল দিয়ে ক্যালকোলেটর কিনে দিয়ে ভাইবোন মিলে সিঙ্গারা খেলেন। আশা করি আপনাদের থেকে বর্তমানের ভাইবোন শিক্ষা গ্রহন করবে। ধন্যবাদ।
ছোট বোনকে সারপ্রাইজ দেয়া, ঘোরাফেরা খাওয়া পুরা পোস্ট টি অসাধারণ ছিলো।এভাবেই ভাইবোনের অটুট বন্ধন বেঁচে থাকুক যুগের পর যুগ।দু ভাই বোনকে এক সাথে অসাধারণ লাগছে এবং সাথে গরম গরম সিংগারার ফটোগ্রাফি টি দেখে তো জিভে জল চলে এসেছে। ধন্যবাদ সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ মামি সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।এবার চলে আসুন সবাই মিলে সিংগারা খাইতে যাওয়া যাবে।