এলোমেলো ফটোগ্রাফি পোস্ট
ফটোগ্রাফি এক ধরনের নেশা মত। সৌন্দর্যকে কালের করাল গ্রাস থেকে বাচিয়ে অমর করার নেশা হল ফটোগ্রাফি।কি বুঝলেন না? এই পৃথিবীতে কিছুই চিরস্থায়ী নয়।সব কিছুই সময়ের গহ্বরে হারিয়ে যায়।কিন্তু সেই বস্তুর যদি একটি ফটোগ্রাফ তুলে সংরক্ষণ করা গেলে বস্তুটি হারিয়ে গেলেও তার ফটোগ্রাফ খানি রয়ে যাবে।তাই আমি চেষ্টা করি সুন্দর কিছু দেখলে,কোথাও ঘুরতে গেলে যত বেশি সম্ভব ফটো তুলে রাখার।আজ এমনই কিছু ফটোগ্রাফ আপনাদের সাথে শেয়ার করব।
এই সুন্দরি পুষ্পকন্যার নাম ডালিয়া।অনেকেই প্রতিবাদ করতে পারেন এই বলে যে,ডালিয়ার পাপড়ি এমন নয়।তাদের জন্য বলি এটা ডালিয়ার ভিন্ন একটি প্রজাতি যা এমন সিঙ্গেল পাপড়ি বিশিষ্ট। এটা আমার কথা নয়।নার্সারির মালিকের কথা। আপনারা যদি সঠিক নাম জেনে থাকেন তবে অবশ্যই কমেন্টে জানাবেন।
যেখানে দেখিবে ছাই, উড়াইয়া দেখ তাই
পাইলেও পাইতে পাইতে পারো অমূল্য রতন
যে কথাটি বলেছে সে কিন্তু মোটেও মিথ্যা বলে নি।এখন রত্ন একেক জনের কাছে একেক রকম।কারো কাছে হীরে জহরত,কারো কাছে রত্ন বলতে বোঝায় সৌন্দর্য।আমি দুই দলের মাঝেই আছি। রাস্তায় হাটতে হাটতে রাস্তার পাশের ধুলোর মাঝে এই রত্ন খুজে পাই। মাথা উচু করে নিজের সৌন্দর্য কে জাহির করছে।অথচ কেউ ফিরেও দেখছে না।আমি কিন্তু মুগ্ধ হয়েছি।তাই ক্যামেরা বন্দী করেছি।
এগুলো একপ্রজাতির গোলাপ।তবে হঠাৎ করে দেখলে মনে হয় বুঝি প্লাস্টিক এর মেকি গোলাপ।কিন্তু একটু খেয়াল করলেই বোঝা যায় প্রকৃতির খেয়ালে এদের এমন দেখতে।আমার বেশ পছন্দ এর সাদার মাঝে গোলাপী ছিটা।
শস্য-শ্যামলা আমাদের এই বাংলাদেশ। আমাদের দেশে রয়েছে দিগন্ত বিস্তৃত ফসলের মাঠ।এই সবুজ মাঠ আমাদের চোখ জুড়িয়ে দেয় আবার পেটের ক্ষুধাও মেটায়।এটি একটি দিগন্ত বিস্তৃত আলুর ক্ষেত।মনে হয় যেন সবুজের সমুদ্র।
এগুলো হল বট গাছের লতা।অবার এগুলোকে বটের ঝুড়িও বলা হয়।যদিও এগুলো এখনো বেশ ছোট।শৈশবে এই বট লতার সাথে আমরা দোলনা বানাতাম।এসব ঝুড়ি যখন মাটি স্পর্শ করে তখন সেখানে থেকে শিকড় গজিয়ে নতুন বট গাছ হয়।অনেক বটগাছ এমন ঝুড়ি আবৃত হয়ে বিশাল এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে।
আপনারা সবাই জিলাপি নিশ্চয় খেয়েছেন।প্রায় প্রতি হ্যাংআউটে তানজিরা ম্যাম সবাইকে জিলাপি খাওয়ান।মিষ্টি হিসেবে জিলাপির বেশ কদর রয়েছে।তবে আপনার কি কখনো নোনতা জিলাপি খেয়েছেন? ছবির বস্তুটিই হল সেই নোনতা জিলাপি।আমিও এই দিন প্রথম জানতে পারি যে জিলাপি নোনতাও হয়।
ফুল নিজের সৌন্দর্য নিজে উপভোগ করতে পারে না।সে তার সমস্ত সৌন্দর্য বিলিয়ে দেয় অন্যকে সুন্দর করার জন্য।আমাদের সবারই ফুল থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিত কিভাবে নিজের স্বার্থ বিসর্জন দিয়ে অন্যের উপকার করতে হয়।এই গোলাপ গুলোও কাউকে সাজানোর জন্য প্রস্তুত।একটি ফুলের দোকান থেকে এদের ক্যামেরা বন্দী করেছিলাম।
ফটোগ্রাফার | বৃত্ত |
---|---|
ডিভাইস | পোকো এক্স ২ |
লোকেশন | গোবিন্দগঞ্জ,গাইবান্ধা |
আমি বৃত্ত মোহন্ত (শ্যামসুন্দর)। বর্তমানে ছাত্র। নতুন কিছু শিখতে, নতুন মানুষের সাথে মিশতে আমার খুব ভাল লাগে। তেমনি বই পড়া আর ঘুরে বেড়ানো আমার পছন্দের কাজগুলোর মধ্যে অন্যতম। মুক্তমনে সব কিছু গ্রহণ করার চেষ্টা করি আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করি,"বিশ্বজোড়া পাঠশালা মোর, সবার আমি ছাত্র"।
ফটোগ্রাফি গুলো দেখে কেবল মুগ্ধ হয়ে গেলাম ৷ চমৎকার ফটোগ্রাফি করেছেন ৷ অসাধারণ হয়েছে ৷ বিশেষ করে ফুলের ফটোগ্রাফি গুলো সৌন্দর্যের আরেক রূপ পেয়েছে আপনার চমৎকার ফটোগ্রাফির জন্য ৷ যাই হোক ভালো লাগলো দাদা ৷ ধন্যবাদ আপনাকে দারুণ সব ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ৷
আপনার মন্তব্য দেখে অনেক খুশি হলাম।আর উৎসাহিত ও হলাম।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
অসম্ভব রকম সুন্দর কিছু ফটো দেখলাম আজকের এলোমেলো ফটোগ্রাফি পোস্টে, বটগাছটা কিন্তু খুবই চমৎকার লাগছে, প্রথম ছবির ফুল টা নিয়ে আমিও একটু কনফিউজড।
ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আমার কাছে সবগুলো ছবিই ভীষণ ভালো লেগেছে। ফুল সবসময়ই আমাকে আকর্ষণ করে, সেটা যেকোন ফুল। নোনতা জিলাপি খাওয়া হয়নি আমার, একদিন খেয়ে দেখতে হবে কেমন লাগে। তাছাড়াও বটবৃক্ষ নিয়ে বেশ ভালোই লিখেছেন। সবমিলিয়ে বেশ গুছানো এবং সুন্দর লেগেছে পোস্টটি আমার কাছে ্ঋ
ধন্যবাদ ভাইয়া অনেক উৎসাহিত হলাম আপনার মন্তব্য থেকে।
আপনি ঠিক বলছেন ভাইয়া সব কিছু জিনিস সময়ের সাথে সাথে করার গ্রাসে কোথায় হারিয়ে যায় কিন্তু ফটোগ্রাফি করে রাখলে সময় মতো দেখার সুযোগ হয়।পুষ্প কন্যা ডালিয়া ফুলের ফটোগ্রাফি অসাধারণ নিয়েছেন আপনি।আর প্রতিটি ফটোগ্রাফি আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি খুবই চমৎকার ছিল। তবে আমার জিলাপির ফটোগ্রাফি খুবই ভালো লেগেছে। আর এই জিলাপি আমি অনেক খেয়েছি। আমাদের গ্রামে এক বয়স্ক লোক সাইকেলে করে এ ধরনের জিলাপি নিয়ে আসতো। আমরা এটাকে কারেন্টের জিলাপি বলতাম। উনি মজা করে সুন্দর একটা ছন্দ বলতেন, 'কারেন্টের জিলাপি ফরেন্টের ভাজা, বুড়া খাইলে বুড়ি তাজা।"🤪
হাহাহহা চাচা তো দারুন ছন্দ বলে।নাম টাও জোস। ধন্যবাদ আপু সুন্দর,মজার একটি মন্তব্য করার জন্য।
আপনার ফুলের সৌন্দর্য হৃদয় ছুঁয়ে গেল। আসলে ফুলের সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ হয় না এমন লোক পৃথিবীতে খুঁজে পাওয়া যায় না। বিশেষ করে গোলাপ এবং ডালিয়া ফুল সৌন্দর্য বেশ অসাধারণ । তাছাড়াও আরো কিছু দুর্দান্ত ফটোগ্রাফি করেছেন। যা দেখে বেশ ভালো লাগলো। ফটোগ্রাফি সাথে সাথে এত সুন্দর বর্ণনা উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অন্তরে অন্তস্থল থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।
আপনাকেও জানাই অনেক ধন্যবাদ। অনেক উৎসাহিত হলাম আপনার মন্তব্য থেকে।
সবগুলো ফটোগ্রাফি অনেক চমৎকার হয়েছে, তবে সবচাইতে বেশি ভালো লেগেছে গোলাপ ফুলের ফটোগ্রাফি গুলো। ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের মাঝে ভাগাভাগি করে নেয়ার জন্য। ভালো থাকবেন সর্বদায় এই কামনা করি।
আপনাকেও ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
দাদা-ভাই সত্যি একটি দারুন কথা বলেছেন পৃথিবীতে কোনো কিছু চিরস্থায়ী নয় ৷ কিন্তু কোনো ফটোগ্রাফি রয়ে যায় জীবনের পাতায় ৷ হয়তো আমি থাকবো না কিন্তু ফটোগ্রাফ গুলো থেকে যাবে ৷
অনেক সুন্দর লাগছিল প্রতিটি ফটোগ্রাফি৷ তবে শেষ ফটোগ্রাফি নোনতা জিলাপি দেখলাম ৷ কিন্তু কখনো খাওয়া হয় নি ৷
অনেক ধন্যবাদ এমন সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য ৷
অনেক খুশি হলাম আপনার সুন্দর মন্তব্য দেখে।ধন্যবাদ দাদা।
ঠিকই বলেছেন আপনি ফটোগ্রাফি হল একটা নেশার মত। আপনার মত আমারও ঘুরেফিরে বিভিন্ন সুন্দর বস্তুর ফটোগ্রাফি করতে খুবই খুবই ভালো লাগে আসলে কালের বিবর্তনে সেটি হারিয়ে গেলেও ছবি হয়ে থাকে কোথাও না কোথাও।।
আপনার প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি অসাধারণ ছিল বিশেষ করে ফুলগুলো তো বেশি সুন্দর ছিল।।
একমত হওয়ার জন্য ও প্রশংসামূলক মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।