ভ্রাম্যমান বই মেলা ভ্রমণ
বই কে বলা হয় মানুষের মনে দর্পণ।কোন একটি দেশের অবস্থা তার সংস্কৃতি থেকে বোঝা যায়।আর সেই সংস্কৃতির এক অপরিহার্য অংশ হচ্ছে সে দেশের সাহিত্য।কোন দেশের সাহিত্য থেকেই সে দেশের মানুষের মন মানষিকতা বোঝা যায়।
আবার বইকে বলা যায় নীরব সঙ্গী। আমাকে যদি বলা হয় তোমাকে অফুরন্ত বই আর খাবারের সাপ্লাই দেওয়া হবে।কিন্তু তোমার ঘরের বাইরে যাওয়া যাবে না।আমি তাতেই রাজি।বাইরে আমি এক দুনিয়া দেখতে পাই। কিন্তু প্রত্যেকটি বইয়ের মাঝে লুকিয়ে থাকে হাজার দুনিয়া।
আমার কথা গুলো সবাই উপলব্ধির করবেন সেই আশা রাখছি না।অনেকের কাছেই বই নেহাৎ পরীক্ষায় পাশ করার বস্তু।তারা কখনোই বুঝতে পারবে না তার মস্ত বড় সম্পদ হেলায় ত্যাগ করছে।কখনোই তারা খুজে পাবে না সেই অগাধ গুপ্তধন।
আবার বই শুধু পড়লেই হবে না।বই কে অনুভব করতে হবে।বইয়ের প্রতিটি চরিত্রের জায়গায় নিজেকে বসিয়ে অভিনয় করতে হবে মনের মাঝে।তবেই বইয়ের আসল মজা বুঝতে পারবেন।বইয়ের নায়ক ভিলেনের সাথে মারামারি করছে,আপনাকে কল্পনা করে নিতে হবে সে সময়ে তার কেমন বিপদ।তবেই আপনি সেই মারামারির গুরুত্ব বুঝবেন।যাই হোক বই পড়া নিয়ে অন্যদিন বিস্তারিত বলব আজ ভ্রমণ নিয়ে বলি।
গতকাল সন্ধ্যায় বগুড়া থেকে আসার পর একটি পোস্টারে দেখলাম আমাদের হাইস্কুলে ভ্রাম্যমান বই মেলা হচ্ছে।আমি মনে মনে খুশি হয়ে গেলাম।কারন এলাকার বর্তমান পরিস্থিতি যা দেখি তাতে সবাই সারাদিন মোবাইলে ব্যস্ত।শুধু পেটের দায়ে পাঠ্যবই টা পড়া প্রয়োজন দেখে পড়ে।এর বাইরে কারো বই পড়ার কোন আগ্রহ নেই।বই মেলা হলে অন্তত বই নেড়েচেড়ে দেখার জন্যও ছেলেপেলে আসবে।আর সেখান থেকে যদি ১০%এর ও আগ্রহ আসে তাইলেও আস্তে আস্তে পরিস্থিতি পাল্টাবে।
এখন ১০% ও আগ্রহী নাও হতে পারে।কিন্তু আমি সব সময় পজিটিভ চিন্তা করে অভ্যস্ত।আমার বই পড়া দেখে,আমার বই ধার করে অনেকেই এখন বইয়ের প্রতি আগ্রহী।তারা এখন নিয়মিত বই পড়ে।আমি চাই সবাই বই পড়ায় আগ্রহী হোক।
মেলার আয়োজক বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র।মেলা শুরু হবে সকাল ১১টা থেকে আর থাকবে রাত৮টা পর্যন্ত।ক্লান্ত থাকায় সেদিন না গিয়ে ঠিক করলাম পরদিন বিকেলে যাব।কারন বিকেলেই অধিকাংশ লোকজন আসবে। তখন আগ্রহী মানুষের সংখ্যা টা জানা যাবে বা চেনা জানা ২-১জন পড়ুয়া ব্যক্তি খুজে পাওয়া যাবে।
সেই মত আজ বিকেলে গিয়ে হাজির হলাম।প্রথমে গিয়ে খুব একটা ভিড় দেখলাম না।সেই সুযোগে আমি পছন্দ মত বই খুজতে লাগলাম।আমার পছন্দের বই প্রায় সব গুলোই খুজে পেলাম।কিন্তু কথায় আছে না,"সাধ আছে,কিন্তু সাধ্য নেই"।আমার অবস্থাও অনেকটা সেরকম।পছন্দের সব বই কিনতে গেলে প্রায় ১০-১২ হাজার টাকা প্রয়োজন। অথচ কাছে ছিল মাত্র ৫০০টাকা।তাই ১টি মাত্র বই কিনলাম।
তবে একটা জিনিস দেখে ভাল লাগল বাবা-মা তাদের বাচ্চাদের নিয়ে বই মেলায় আসছে।বাচ্চারাও পছন্দমত বই কিনছে।এটা দেখে ভবিষ্যত প্রজন্মের উপর বিশ্বাস কিছুটা হলেও ফিরে এলো।তবে নতুন বই কেনার পর আর তর সইছিল না।তাই জলদি জলদি বাসায় ফিরে পড়তে বসে গেলাম।আশা করি খুব শীঘ্রই রিভিউ পেয়ে যাবেন।
আমি বৃত্ত মোহন্ত (শ্যামসুন্দর)। বর্তমানে ছাত্র। নতুন কিছু শিখতে, নতুন মানুষের সাথে মিশতে আমার খুব ভাল লাগে। তেমনি বই পড়া আর ঘুরে বেড়ানো আমার পছন্দের কাজগুলোর মধ্যে অন্যতম। মুক্তমনে সব কিছু গ্রহণ করার চেষ্টা করি আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করি,"বিশ্বজোড়া পাঠশালা মোর, সবার আমি ছাত্র"।
এখনকার যুগের ছেলেমেয়েদের বই পড়ার সময় কই। তারা তো সারাদিন মোবাইল নিয়েই পড়ে থাকে। ঠিকই বলেছেন বই পড়লে জ্ঞানের পরিধি অনেক বেশি বৃদ্ধি পায়। তাছাড়া গল্পের বই পড়ার ক্ষেত্রে কখনো আপনার মত এরকম চিন্তা করে দেখেনি। আগে আমাদের এলাকায় দেখতাম এরকম ভ্রাম্যমান লাইব্রেরী আসতো। তখন বই এরা ভাড়া দিত। নির্দিষ্ট এক সপ্তাহ পর এসে আবার বই ফেরত নিয়ে যেত। আপনার এখানে দেখছি ভ্রাম্যমান মেলা বসেছে বইয়ের। যাইহোক গার্জিয়ানরা দেখে বেশ ভালো লাগলো।
ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
এটা সত্যি বলেছেন বই কে বলা হয় মানুষের মনের দর্পণ।বই এমন একটা জিনিস যেটা থাকলে আর কিছু লাগে, আসলে বই পড়লে সারা বিশ্বকে খুঁজে পাওয়া যায়। মানুষ মানুষকে ঠকাবে কিন্তু বই কখনো তা করবে না। তবে আপনি দেখছি ভ্রাম্যমান বই মেলায় অনেক ভালো একটা সময় কাটিয়েছেন। তবে একটা জিনিস দেখে অনেক ভালো লাগল, বাবা মারা বাচ্চাদের সাথে করে বই মেলায় এসেছে। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মূহুর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
অনেক সুন্দর বলেছেন আপু। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
ভ্রাম্যমান বইমেলা এটা আসলে প্রথমবারে দেখতে পেলাম।আর বই যারা ভালোবাসে তাদের মনের খোরাকি হচ্ছে বই। খুবই চমৎকারভাবে বইমেলা ভ্রমণের অনুভূতি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন সেজন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন সর্বদা এই কামনা করি।
অনেক ধন্যবাদ ভাই৷ আপনার জন্যও শুভ কামনা রইল।
আমি নিজেও বই পড়তে ভালোবাসি অনেক,তবে সেগুলো সব নিরস বই।নিজেকে মোটিভেটেড রাখতেই আরকি সব পড়া।
তবে খারাপ লাগছে যে,মেলাটা মিস করলাম।যেতে পারলে ভালো লাগতো।
বিকশিত হোক সবার জ্ঞানের দ্বার।শুভ কামনা সবসময়।
বই তো বই ই রস আর নিরস কোন ব্যাপার না।অভ্যাস গড়ে উঠুক।শুভ কামনা রইল।
বই মনের খোরাক জোগায়,একাকিত্বদূর করে। প্রিয় সঙ্গী বই-ভুলতে বসেছি আমরা। বড় বেশি প্রযুক্তি নির্ভর হয়ে পড়েছি । বিশেষ করে তরুণ প্রজন্ম বড্ড বই বিমুখ। এরকম উদ্যোগ আশা জাগানিয়া,কিছুটা হলেও বই কিনতে ও পড়তে সহায়তা করবে। আপনাকে ও আয়োজকদের ধন্যবাদ।
অনেক সুন্দর বলেছেন আপু।ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
অনেক ভাল লাগলো ভ্রাম্যমাণ বই মেলা দেখে। আমার ছেলের স্কুলে প্রতি সোমবার এই ভ্রাম্যমান লাইব্রেরি আসে।আমি ছেলেকে সদস্য করে দিয়েছি।প্রতি সোমবার একটি করে বই আনে নিজে নিজে পড়ে। যদিও ইংলিশ বই আনে। আমি ও হেল্প করি ওকে।আমি চাই বই পড়ার অভ্যাসটা আগে হোক। পরে বুঝে পড়বে। বইয়ের এই মেলা দেখে আমারও খুব ভাল লাগছে।কারন বই পড়া বা কেনা আমার খুব হয়।বই জ্ঞানের পরিধি বাড়ায়। ধন্যবাদ ভাইয়া শেয়ার করার জন্য।
অনেক ভাল একটি কাজ করেছেন আপু। একদিন ভাগীনা এই কাজের জন্য ধন্যবাদ দেবে আপনাকে।এতে ও আনন্দের সাথে শিখবে।আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাগীনা কে বই পড়ায় উৎসাহ দেওয়ার জন্য।
সব থেকে ভালো লাগল আপনার বই পড়া দেখে অনেকেই উৎসাহীত হয়েছে! আমাদের উচিত বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলা। পাঠ্যপুস্তক এর বাইরেও যে একটা জগত আছে, বই না পড়লে কেউ বুঝবে না। তরুণ প্রজন্মের মাঝে বই পড়ার অভ্যাস গড়ে উঠুক এমনটা আমিও কামনা করছি ভাইয়া 🌼
ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আমি বই পড়তে ভীষণ পছন্দ করি। আমি অবসর সময়ে বেশিরভাগ বই পড়ে থাকি আমার খুবই পছন্দের।আমি স্কুলে থাকা অবস্থায়ও বিভিন্ন লাইব্রেরী থেকে বই এনে পড়তাম। আপনার বই পড়া দেখে আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে। ভ্রাম্যমান বই মেলায় গিয়ে অনেক ভালো মুহূর্ত অতিবাহিত করলেন তাহলে। ভালোই লেগেছে আমার কাছে পুরো পোস্ট পড়তে।
অনেক ভাল লাগল একজন বই পড়ুয়া খুজে পেয়ে।ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
এই কথাটি কিন্তু আপনি একেবারে ঠিকই বলেছেন।আপনার বই ধার করে অনেকেই এখন বইয়ের প্রতি আগ্রহী এটা জেনে ভীষণ ভালো লাগলো আমার কাছে। আমি আগে প্রচুর পরিমানে বই পড়তাম ভীষণ ভালো লাগতো কিন্তু এখন ব্যস্ততার কারণে পড়তে পারি না। বইয়ের প্রতি সেই আগ্রহটা আমার এখনো রয়ে গিয়েছে। তাইতো মাঝেমধ্যে অবসর সময় পেলে বই পড়ে থাকি আমি। ভালোই লাগলো আপনার পুরো পোস্ট পড়ে।
অনেক ভাল লাগল এটা জেনে যে এখনো সময় পেলে আপনি বই পড়েন।ধন্যবাদ আপু আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।