র্যান্ডম মোবাইল ফটোগ্রাফি||ফোনোগ্রাফি
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগবাসী।আশা করি সবাই ভাল আছেন।আমিও ভাল আছি।আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করব কিছু ফুলের ফটোগ্রাফি।
কিছুদিন আগে পর্যন্ত আমার নিয়মিত সকালে হাটতে যাওয়ার অভ্যাস ছিল।কিন্তু পরীক্ষার চাপে কিছুদিন যাবৎ সে ফুরসৎ পাচ্ছি না। ফলে অনেকদিন যাবৎ আমার সকালে হাটতে যাওয়া বন্ধ।যদিও এখনো পরীক্ষা কিছুটা বাকি আছে।তাও আজ ভোর ৫টায় ঘুম ভেঙ্গে গেল।
ঘুম থেকে উঠে ভাবলাম যাই একটু পড়তে বসি।কিন্তু বই খুলে দেখলাম কি সব হিজিবিজি লেখা।মনে হচ্ছে এগুলো কখনো চোখেই দেখি নি।তাই ভাবলাম যাই একটু বাইরে থেকে হেঁটে আসি।ফলে অনেকদিন পর আজ বাইরে বের হলাম।
বের হবার পর থেকেই প্রকৃতির শোভা উপভোগ করছিলাম।তখন দেখতে পেলাম রাস্তার দুইপাশে নানা ধরনের বুনোফুল ফুটে রয়েছে।এর কোনটারই নাম জানিনা।তবে তাদের সৌন্দর্যে কোন ঘাটতি নেই।আবার কিছু পরিচিত মুখ ও দেখতে পেয়েছি।তাদের সেই শিশির ভেজা লাজুক মুখ গুলো ক্যামেরা বন্দী করতে কোন ভুল করিনি।
বাসা থেকে বের হতেই একটু সামনে বান্ধবী নাফির শখের বাগান।বাগানের হরেক রঙের সন্ধ্যামালতীর গাছ।সন্ধ্যা মালতী সাধারণত রাতের ফুল।কিন্তু শিতকাল বলেই কিনা জানিনা সকাল বেলাও বেশ তরতাজা অবস্থায় এই সুন্দরী কন্যাকে পেলাম।
এরপর আরেকটু সামনে যেতেই দেখা শরতের দূত শিউলির সাথে।শরৎকালে ইনার আগমন,মনে খুশির বন্যা নিয়ে আসে।কারন শরৎকালেই বাঙালীদের সব থেকে বড় উৎসব দূর্গা পূজা।শরতের ভোরে শিউলির গন্ধ আপনাকে কবি বানাতে বাধ্য। অনেকে কিন্তু শিউলির পাতার বড়া বানায়।আবার এর পাতা বেশ তেতো হওয়ায় অনেক বহুমুত্রের রোগী এই শেফালী পাতার রস পান করে।
এইত গেলো পরিচিত মুখদের পালা।এবার কিছু অপরিচিত মুখের সাথে দেখা।প্রথমেই এনাকে খুজে পেলাম শিউলি ফুল কুড়োতে গিয়ে।ঘাসের মাঝে নিজের সৌন্দর্য বিস্তার করে মাথা উচু করে দাড়িয়ে আছেন। ক্ষুদ্র তার গড়ণ,কিন্তু রূপের কোন কমতি নেই।আর আমার সব থেকে ভাল লেগেছে তার রঙ।মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে ছিলাম বেশ কিছুক্ষণ।
এরপর একটু এগোতেই এই ফুলের সাথে একটি মাচানের উপর দেখা।এটা কিন্তু আমাদের সবার খুব পরিচিত একটি ফুল।স্পেসিফিকলি বলা যায় একটি সব্জীর ফুল এটি।এখন আপনাদের বলতে হবে এটি কিসের ফুল?
হাটতে হাটতে আজ গ্রামের দিকে চলে গিয়েছিলাম।সূর্য তখন উঠি উঠি করছে।চারদিকে পড়ছে শিশির।একটু দূরে কুয়াশা।ধানের শীষগুলো কুয়াশায় স্নান করে, লজ্জায় মাথা নুইয়ে রয়েছে।খুবই অসাধারণ লাগছিল দেখতে তাই আর ছবি তোলার লোভ সামলাতে পারলাম না।
এই ফুলটির আসল নাম শ্বেত দ্রোণ।ছোট বেলায় এর ফুল খুলে নিয়ে চুষতাম।বেশ মিষ্টি লাগত। আমরা মধু ফুল বলতাম।বেশ মজার লাগত।এখন খুব কম দেখা যায়।
ফটোগ্রাফার | বৃত্ত |
---|---|
ডিভাইস | পোকো এক্স ২ |
লোকেশন | কালিকাডোবা,গোবিন্দগঞ্জ |
সকালবেলা প্রকৃতির সৌন্দর্যের মতো সারাদিন এত চমৎকার সৌন্দর্য আর খুঁজে পাওয়া যায় না। ভোরবেলা ঘাসের উপর পাতার উপর যখন শিশিরের ফোটা পড়ে থাকে তখন অন্যরকম সৌন্দর্য বয়ে আনে ।আপনি সকালবেলা ভোর পাঁচটায় উঠে পড়তে বসে আবার উঠে গিয়েছেন প্রকৃতির সাথে মোলাকাত করতে। তাইতো এত চমৎকার সব ফুলের ফটোগ্রাফি করতে পেরেছেন। আসলেই ফটোগ্রাফির সাথে বেশ চমৎকারভাবে কথাগুলো লিখেছেন।
আপনার মন্তব্যটি পড়ে অনেক ভাল লাগল আপু৷ ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করে উৎসাহ দেওয়ার জন্য।
আপনার ফটোগ্রাফি পর্বটি দেখে বেশ ভালো লাগলো ভাইয়া কারণ এই ফটোগ্রাফি পর্বে দারুন দারুন সব স্বচ্ছ ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন যেখানে প্রথম এবং তৃতীয় ফটোগ্রাফি টা আমার কাছে সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে। আপনার মতো আমিও ভোরবেলায় শিশির ভেজা কিছু ফটোগ্রাফি করেছিলাম তার মধ্যে কিছু ফটোগ্রাফি আজকে শেয়ার করেছি আর বাকিগুলো পরবর্তী পর্বে শেয়ার করব।
ধন্যবাদ ভাইয়া।সুন্দর একটি মন্তব্যের মাধ্যমে আমাকে উৎসাহিত করার জন্য।
ফটোগ্রাফি করা একটি শিল্প। আর তা যদি ভালো মানের হয় তাহলে তো দৃষ্টি ফেরানো যায় না। আপনার প্রথম ছবিটা আমার খুবই ভালো লেগেছে। আপনার বান্ধবী নাফির বাগানের ফুলটি ও ভীষণ ভালো লেগেছে।
ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে আমাকে উৎসাহিত করার জন্য।
আপনার রেনডম ফটোগ্রাফি গুলো দারুন লেগেছে ভাইয়া। খুব সুন্দর ক্যাপচার করেছেন। সবগুলো সুন্দর ছিল।১ নম্বর ধানের ফটোগ্রাফিটি দারুন হয়েছে। ধন্যবাদ সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য ভাইয়া।
অনেক ধন্যবাদ আপু।আপনার মন্তব্য থেকে অনেক উৎসাহ পেলাম।
ধানের উপর জমে থাকা শিশির বিন্দু এবং সূর্য উদয়ের দৃশ্যটি সত্যি অনেক ভালো লাগলো। শীতের আগমনে এই সৌন্দর্য প্রকৃতির রূপের অন্য একটি রূপ আপনার প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি চমৎকার ছিল বেশ ভালো লেগেছে আমার কাছে।
অনেক ধন্যবাদ।সুন্দর একটি মন্তব্যের মাধ্যমে আমাকে উৎসাহিত করার জন্য।
সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে হাটাহাটি করার স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকার আর আপনি প্রতিদিন সেই কাজটি করেন জেনে ভালো লাগছে। যাই হোক ভাইয়া সকালবেলা সূর্য উদয় এবং ধানের উপর শিশির বিন্দুর ফটোগ্রাফিটি আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। খুব সুন্দর সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য।
অনেক উৎসাহিত হলাম আপু। অনেক ধন্যবাদ এমন সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে উৎসাহিত করার জন্য।
পরীক্ষা আসলে লেখা এভাবে হিজিবিজি আমার ও মনে হত।পরীক্ষার সময় দিনগুলো অনেক বিরক্তিকর লাগে।পড়তে পড়তে একঘেয়েমি চলে আসে।তাই এভাবে যদি কিছুক্ষণ ঘুরে আসা যায় তাহলে মনটা অনেক ফ্রেশ থাকে।পরে দেখবেন পড়তেও মন চাই।আপনি অনেক গুলো বুনোফুলের ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন।আমার কাছে গ্রাম বাংলার সেই শিশির ভেজা ধান গাছ দেখতে অনেক ভাল লেগেছে।তবে ফুল পছন্দ করি না তা নয়।
আপনার যে পছন্দ হয়েছে তাতেই আমার আনন্দ।অনেক ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে উৎসাহ দেওয়ার জন্য।
ভাইয়া অনেক সুন্দর ছিল আপনার র্যান্ডম মোবাইল ফটোগ্রাফি। সেই সাথে আপনার বর্ণনাও ছিল খবু সুন্দর। হঠাৎ ঘুম থেকে উঠছেন,আর মনে পড়ার ইচ্ছা নেই তাই বইয়ের লেখা গুলোকে হিবিজিবি মনে হয়েছে। চতুর্থ ফটোগ্রাফিটা অনেক সুন্দর ছিল। আমিও আপনার মত দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। আর পঞ্চম নাম্বার ফুলটা হলো সিমের ফুল। আর সর্বশেষ সপ্তম নাম্বার ফুলটা আমরাও ছোট সময় মিষ্টি লাগার কারনে মুখে নিয়ে চুষতাম। ধন্যবাদ ভাইয়া।
একমাত্র আপনি দেখলাম প্রশ্নটি দেখেছেন।পুরো পোস্ট পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।অনেক উৎসাহিত হলাম আপনার মন্তব্যে।
ভাইয়া আপনার ফটোগ্রাফির প্রথম ছবিটি খুব বেশি ভাল লেগেছে। 😍👍পরের ছবিগুলো ও সুন্দর হয়েছে। শিউলি ফুলের ফটোগ্রাফিটা দেখে ছেলেবেলার কথা মনে পরে গেল।অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া শেয়ার করার জন্য।
আপনাকেও ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।