শায়ান বাবুর জন্মদিন
জন্মদিন সবার জন্যই স্পেশাল একটি দিন। প্রায় সবাই অপেক্ষায় থাকে জন্মদিনের। তবে ছোট বেলায় জন্মদিনের প্রতি যে আগ্রহ থাকে বয়সের সাথে সাথে তা কিছুটা ফিকে হয়ে যায়৷ কিন্তু তাই বলে একবারে যে হারিয়ে যায় তা কিন্তু নয়। তবে অনেকেই আছে যারা জন্মদিনের দিনে মুখ ভার করে গম্ভীর হবার নাটক করে।তাদের ভাষ্য হল জন্মদিন মানে জীবন থেকে এক বছর হারিয়ে যাওয়া।এটা সেলিব্রেট করার কি আছে?
আমার কথা হল সুখ দু:খ সব সাময়িক,তাই সুখ গুলো কে খুব ভালভাবে উপভোগ করা উচিৎ আর দু:খ গুলো কে ইগনোর করা উচিৎ। তাইলেই জীবন টা সুন্দর হয়ে উঠবে। গত ২৮তারিখ ছিল আমাদের প্রিয় শায়ান বাবুর জন্মদিন।অবশ্য শায়ান এর এখনো জন্মদিন নিয়ে উৎসুক হবার বয়স আসে নি।
গত ২৬তারিখ ঐশিদের পড়াতে গিয়েছি এমন সময় হীরা ভাবি এসেছিলেন ঐশীদের বাসায়। তিনি ঐশীদের দাওয়াত দিলেন।কারন শায়ান এর সাথে ঐশি অর্থির দারুন সখ্যতা। সেই সাথে আমিও দাওয়াত পেলাম।দাওয়াত পেয়ে আমি যার পর নাই খুশি। কারন আমি মানুষটা বেশ আমুদে। আড্ডা,অনুষ্ঠান আমার দারুন লাগে। ভাববেন না খাওয়ার জন্য।খাওয়াটা আমার কাছে ফোর্থ সাবজেক্ট। মজা টাই মেইন উদ্দেশ্য।
যাই হোক গভীর আগ্রহ নিয়ে বসে থাকলাম ২৮তারিখ এর জন্য। অবশেষে ২৮তারিখ আসল। বিকেলে দাওয়াত। এখন সমস্যা হল গিফট কেনা নিয়ে।শায়ানের যে বয়স তাকে কি গিফট দেওয়া যায় সেটা ভেবে বের করাটা বেশ দু:সাধ্য।কারন ও দ্রুত বড় হচ্ছে। আজ যেটা ভাল লাগবে কাল সেটা নাও লাগতে পারে। যাই হোক অনেক ভেবে একটা বুদ্ধি বের করলাম।
এর মাঝেই বিকেল চলে আসল। আমি মোটামুটি প্রস্তুত হয়ে চলে গেলাম দাওয়াত এর জায়গায়।আয়োজন করা হয়েছিল আমাদের এলাকার বিখ্যাত একটি চাইনিজ রেস্টুরেন্ট চাটনি তে।রেস্টুরেন্টটি বেশ ছিমছাম আর সুন্দর সব থেকে বড় কথা রেস্টুরেন্টির খাবার এর মানে কোন আপস করে না,ব্যবহার ও অমায়িক।যাই হোক গিয়ে দেখলাম মেহমান দের অনেকেই চলে এসেছে।
আমি সবার সাথে কুশল বিনিময় করার পর,শায়ান কে জন্মদিনের উইশ করলাম, তারপর তার জন্য দোয়া করলাম।এরপর বসে পড়লাম। অনুষ্ঠান শুরু হতে একটু বিলম্ব হচ্ছিল, কারন তখনো কিছু গেস্ট আসা বাকি। একটু পরেই সবাই চলে আসল।তখন শুরু হল ফটোসেশন। ফটোগ্রাফারের দায়িত্ব কিন্তু আমাকেই নিতে হয়েছিল।
একটু পর সবাই চলে আসলে সবাই মিলে কেক কাটা হলো।শায়ান বাবু বেশ আনন্দেই ছিল। কেক কাটার পর সবাই মিলে শায়ান কে কেক খাইয়ে দেওয়া হল। শায়ান কেকটা খুব পছন্দ করেছিল। কেক খাওয়া,খাওয়ানো শেষে, সবাই মিলে খেতে বসা হল। খাবারের আইটেম টি বেশ ইউনিক ছিল।ইউনিক এজন্য বলছি আপনি কোন চাইনিজ রেস্টুরেন্ট এ পাবেন না।
আইটেম টি হল:ঝরঝরে খিচুড়ি,জলপাই এর আচার,ডিম পোচ ও ঝাল মুরগীর মাংস। রান্না এত ভাল হয়েছিল যে শেফ কে স্পেশাল ধন্যবাদ দিয়েছিলাম আর সেই সাথে শুভ ভাইকেও এত সুন্দর আইটেম এর আইডিয়া শেফ কে দেওয়ার জন্য।পেটপুরে খাওয়া দাওয়া শেষে আবার শায়ান বাবুকে উইশ করে সবার থেকে বিদায় নিয়ে বাড়ি চলে আসলাম।
আমি বৃত্ত মোহন্ত (শ্যামসুন্দর)। বর্তমানে ছাত্র। নতুন কিছু শিখতে, নতুন মানুষের সাথে মিশতে আমার খুব ভাল লাগে। তেমনি বই পড়া আর ঘুরে বেড়ানো আমার পছন্দের কাজগুলোর মধ্যে অন্যতম। মুক্তমনে সব কিছু গ্রহণ করার চেষ্টা করি আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করি,"বিশ্বজোড়া পাঠশালা মোর, সবার আমি ছাত্র"।
শায়ান বাবুর জন্মদিন উপলক্ষে আপনি সেখানে গিয়েছিলেন জেনে ভালো লাগলো। খাবারের মেনুটা আমারও ভীষণ ভালো লেগেছে ভাইয়া। ছোট বাচ্চাদের উপহার দিতে গেলে অনেক কিছুই ভাবতে হয়। যাই হোক আপনার এই পোস্ট পড়ে অনেক ভালো লাগলো ভাইয়া।
ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
শায়ান বাবুর জন্মদিনের অনেক অনেক শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন জানাই - শুভ জন্মদিন। শায়ান বাবুর উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করি যেন মানুষের মতোন মানুষ হয়ে পিতা মাতার মুখ উজ্জ্বল করতে পারে। শায়ান বাবুর জন্মদিন বেশ সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। ফটোগ্রাফির মাধ্যমে সবাইকে দেখতে পেয়ে খুব ভালো লাগলো। জন্মদিনের এত চমৎকার মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
আরে আপনারা তো যাবেন এটা আমি জানি। তাই তো ভাইয়া আর ভাবীর পোস্টে আপনাদের কে খুজ করতে ছিলাম। কিন্তু পেলুম না। যাই হোক আপনি সায়ান বাবুর জন্মদিনে গিয়েছেন এবং সবার সাথে আনন্দ করেছেন এটাই অনেক। সকলে মিলে আরও অনেকগুন ভালো থাকেন।
প্রথমে জানাই শায়ান বাবুকে জন্মদিনের অনেক অনেক শুভেচ্ছা। আপনি জন্মদিনে গিয়েছেন জেনে অনেক ভালো লাগল। সত্যি বলেছেন বাচ্চাদের জন্মদিনের গিফট কিনা অনেক ঝামেলার কাজ। যাইহোক খাবারের মেনুটা বেশ ভালো ছিল। নিশ্চয় অনেক মজা করে খেয়েছে সবাই। এমন দিন বারবার ফিরে আসুক সেই দোয়া করি।
প্রথমেই শায়ান বাবুর জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাই। জন্মদিনের দিন সকলেই অনেক বেশি পরিমাণে মজা করে থাকে৷ তেমনি আপনিও অনেক মজা করেছেন দেখছি৷ সকলে মিলে একসাথে কেক কাটতে দেখে খুবই ভালো লাগলো ৷ একই সাথে যে খাবারের মেনুটি ছিল সেটিও খুবই লোভনীয় দেখা যাচ্ছিল ৷
জন্মদিন তো আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। কেননা সেই দিন পাওয়া যায় প্রচুর গিফট ও খাওয়া দাওয়া। তবে শায়ান বাবুর জন্মদিন উপলক্ষে আপনি বেশ আনন্দ করেছেন মনে হচ্ছে। শায়ান বাবুর জন্মদিনে অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল ।