জ্যাক রায়ান||পর্ব-৩
সংক্ষিপ্ত তথ্যঃ
সিরিজের নাম | জ্যাক রায়ান |
---|---|
জনরা | স্পাই,অ্যাকশন |
অভিনয়ে | জন ক্রাসিনস্কি,দিনা শিলাহিবি,ওয়েনডেল পিয়েরস প্রমুখ |
ভাষা | ইংরেজী |
রিলিজ ডেট | ৩১আগস্ট২০১৮ |
মুভির প্লটঃ(হেভি স্পয়লার)
ওপেনিং সিনে আমরা দেখতে পাই সিরিয়ার একটি পরিবার কে। বাবা,ছেলে আর দাদু কথা বলছে। বাবা তার ছেলেকে তার বাবার কাছে রেখে কাজে যায়। কিন্তু তখনই আমেরিকান বাহিনীর ড্রোন হামলায় সে নিহত হয়। তখন আমরা বুঝতে পারি সে একজন উগ্রবাদী ছিল।
কিন্তু এরপরের সিনে আমরা ড্রোন অপারেটর কে দেখি। সে এসব একদম মেনে নিতে পারছিল না।তার চোখে মুখে আমরা প্রচন্ড মনস্তাত্ত্বিক চাপ দেখতে পাই।তার পাশের অপারেটর তাকে একডলারের একটি নোট দেয় বাজিতে হেরে যাওয়ায়।ড্রোন অপারেটর সেই টাকা নিয়ে বাড়ি ফিরে আসে।তারপর সে বাড়ি এসে টাকার নোট টা একটি দেওয়ালে লাগায়।তখন আমরা দেখতে পাই সেখানে আরো ১০৬টি টাকার নোট লাগানো। অর্থাৎ সে আরো ১০৭ কে ড্রোন এর সাহায্যে হত্যা করেছে।
এরপরের দৃশ্যে আমরা দেখতে পাই জ্যাক রায়ান আর তার সিনিয়র গ্রেয়ার জ্যাক কে সেই পালিয়ে যাওয়া লোকের ব্যাপারে জানতে চায়। তখন জ্যাক বলে সে সুলেমান এর ছোট ভাই। তখন ফ্রান্সের ইন্টালিজেন্স তার সম্পর্কে খোজ নিতে থাকে এবং জানতে পারে সে এর আগে একটি এলাকায় এর আগে থেকেছে। তাই এবারো তার সেখানে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি।আর যেহেতু তার গুলি লেগেছে তাই তার সেখানে যাওয়া আরো প্রায় নিশ্চিত। জ্যাক রা সেখানে যায়।
গিয়ে চারপাশে সবাইকে জিজ্ঞেস করতে থাকে। তখন আমরা জানতে পারি আসলেই সুলেইমান এর ছোট ভাই সেখানে আছে।আর সে যার বাড়িতে আছে সে তার পূর্ব পরিচিত।ডাক্তার তার বুলেট বের করে তাকে রেস্ট নিতে বলে। তখন সুলেয়মান এর ছোট ভাই,একটি গেমের চ্যাট অপশনের মাধ্যমে তার বড় ভাইয়ের সাথে কথা বলে বিস্তারিত জানায়।তখন তার ভাই তাকে একটি নির্দিষ্ট জায়গায় যেতে বলে।এবং কোন সাক্ষী রাখতে নিষেধ করে।
অর্থাৎ ডাক্তার দের ও খুন করতে বলে।তখন আমরা দেখতে পাই সুলেমান এর ছোট ভাই তার মত নিষ্ঠুর না।সে কিছুতেই তার উপকার করা মানুষগুলোর উপর গুলি চালাতে চাচ্ছে না।এরপর আমরা দেখতে পারি রায়ান ও ফ্রান্সের গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন সেই এলাকায় চলে আসে। আর সুলেয়মান এর ছোট ভাই যার নাম আলী তার ছবি দেখিয়ে খুজতে থাকে।তখন এক পিচ্চির থেকে গ্রেয়ার আলীর পিন পয়েন্ট লোকেশন নিয়ে নেয়।
তবে এর আগে রায়ান ফ্রেন্স ইন্টেলিজেন্স এর থেকে জানতে পারে সেখানে ব্যাপক বর্ণ বৈষম্য।ফ্রান্সের বাইরের লোকজন কে সেখানকার স্থানীয়রা পছন্দ করত না।তারা খুব কষ্টে জীবনযাপন করত।যাই হোক রায়ান রা সেই ডাক্তারের বাড়িতে গেলে দেখা যায় ডাক্তার তার ছেলেদের নিয়ে ঘরের এক কোণে বসে আছে।অর্থাৎ আলী তাকে খুন করে নি।তারপর জ্যাক রা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে থাকে।কিন্তু ডাক্তার বলতে থাকে সে কিছু জানে না। সে শুধু তাকে একটি গাড়ি দিয়েছে।তখন রায়ানরা সেই গাড়ির জিপিএস হ্যাক করে তাকে ট্র্যাক করতে থাকে।এবং পুরো দল সহ তাকে ধরার জন্য শেষ পর্যন্ত শুধুই পিছু করতে থাকে।
এরপর আমরা দেখি সুলেইমান এর বউ তার কার্যক্রমে ভীত হয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে যাওয়ার জন্য গোপনে তার ও তার সন্তানদের জন্য পাসপোর্ট বানিয়ে নেয় এবং বাড়িতে এনে লুকিয়ে রাখে।কিন্তু সুলেমান এর দলের একজন দেখে ফেলে এবং সুলেমান কে বলে দেয়।সুলেমান তার বউকে ধরে জানরে চায় কেন সে তার সাথে বেইমানি করল এবং এরপর সে পাসপোর্ট গুলো পুড়িয়ে দেয়।
কিন্তু সুলেমান এর বউ যার নাম হানি সে সেই রাত্রেই পালিয়ে যায়।তার তিন সন্তানের মাঝে ২জন কে সাথে নিতে পারে।কিন্তু তার ছেলে তার সাথে যায়না।সে তার বাবাকে সব জানিয়ে দেয়।তখন সুলেমান তাদের পেছনে ২জন লোক পাঠিয়ে দেয়।এদের মাঝে একজন সেই লোক যে হানি কে সাহায্য করেছিল পাসপোর্ট বানাতে।
তারা ২জন খুব শীঘ্রই হানি ও তার সন্তানদের ধরে ফেলে এবং সুলেমান এর মেয়ে দুজন কে গাড়িতে বেধে ফেলে।হানি কে যে সাহায্য করেছিল এর আগে সে হানিকে বলে চুপচাপ চলো আমি সু্যোগ বুঝে অপরজন কে খুন করবে।কিন্তু তার আগেই অপরজন সেই লোকটিকে খুন করে। এবং হানি কেও খুন করতে নিয়ে যায়।
এসব কিছুই আমেরিকান ড্রোন অপারেটর দেখছিল।সে তার সুপিরিয়র অফিসার কে বলে আমরা ড্রোন দিয়ে মহিলাটিকে বাচাতে পারি।কিন্তু সুপিরিয়র অফিসার তাকে নিষেধ করা সত্বেও সে ড্রোন হামলা করে হানি কে বাচিয়ে দেয়।এতদিন পর একটি ভাল কাজ করতে পেরে অপারেটর তার অতীতের স্মৃতি কিছুটা হলেও ভোলে।এখানেই দ্বিতীয় পর্বের সমাপ্তি।
ব্যক্তিগত মতামতঃ
এই পর্ব থেকে আমরা উন্নত বিশ্বের লোকজনের বর্ণবাদ এর অন্ধকার দিক সম্পর্কে জানতে পারি।আর জানতে পারি কিভাবে আমেরিকা সবার উপর নজরদারি চালাচ্ছে।আর পর্বে বেশ কিছু ১৮+ সিন আছে।তাই একটু সতর্কতা অবলম্বন করবেন।
ট্রেইলারঃ
আমি বৃত্ত মোহন্ত (শ্যামসুন্দর)। বর্তমানে ছাত্র। নতুন কিছু শিখতে, নতুন মানুষের সাথে মিশতে আমার খুব ভাল লাগে। তেমনি বই পড়া আর ঘুরে বেড়ানো আমার পছন্দের কাজগুলোর মধ্যে অন্যতম। মুক্তমনে সব কিছু গ্রহণ করার চেষ্টা করি আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করি,"বিশ্বজোড়া পাঠশালা মোর, সবার আমি ছাত্র"।
ভাইয়া এই পর্বটা পড়ে আমি চিন্তা করতেছি আমেরিকা কিভাবে মুভিটি মুক্তি দিলো। আবার এক দিক দিয়ে ঠিকই আছে। আমেরিকার অনেক তথ্য প্রকাশ করেছে। যা অজানা মানুষ জানতে পারলো। সব মিলিয়ে ধারুন মুভি, ধন্যবাদ ভাইয়া।
আমেরিকা অনেক বাক স্বাধীন দেশ ভাই। ওখানে আপনি মুক্তভাবেই সব কথা বলতে পারবেন,আপনাকে কেউ কিছুই বলবে না।ধন্যবাদ ভাই সুন্দর মন্তব্যের জন্য।