কুইজ প্রতিযোগীতা
আমাদের বর্তমান যুগ তথ্য প্রযুক্তির যুগ।তথ্য প্রযুক্তির গুণে দুনিয়াটা চলে এসেছে হাতের মুঠোয়। পৃথিবীটা পরিণত হয়েছে একটি গ্রামে।যাকে গ্লোবাল ভিলেজ বলা হয়।এর যেমন ভাল দিক আছে,তেমনি কিছু খারাপ দিক ও আছে।তবে সব সময় ভাল দিক গুলোও গ্রহণ করা উচিৎ।
GIC বা Gobindaganj information center হচ্ছে একটি ফেসবুক গ্রুপ।এখানে আপনি গোবিন্দগঞ্জ এর যাবতীয় তথ্য পাবেন,বা কোন ঝামেলায় পড়লে সেখানে থেকে উদ্ধার এর যাবতীয় চেষ্টা করা হয়।যে কোন বিপদে আপদে এলাকাবাসীর পাশে দারানোর জন্য সর্বদা সচেষ্ট গ্রুপের মেম্বার রা।
জি.আই.সি প্রতিষ্ঠিত হয় ২০২১ সালে। সেই করোনাকালীন সময়ে।সবাই যখন গৃহবন্দী তখন এলাকার কিছু মেধাবী ও কৃতি সন্তানদের হাত ধরে শুরু করে জি.আই.সি।সেবার তারা অনলাইনে ফটোগ্রাফির প্রতিযোগীতার আয়োজন করে,পাশাপাশি মাস্ক বিতরণ,অক্সিজেন সিলিন্ডার সাপ্লাই সহ নানা রকম সামাজিক কাজ কোন ক্ষেত্রেই তাদের অবদান কম নয়।
সেই থেকে ২বার তারা এলাকার শীক্ষার্থীদের জ্ঞান ও সৃজনশীলতা বিকাশের জন্য কুইজ ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগীতা আয়োজন করে।এবারো সেই আয়োজনের ব্যতিক্রম হয়নি।প্রথম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত ছাত্রছাত্রীদের জন্য যথাক্রমে চিত্রাঙ্কন,কুইজ ও বিতর্ক প্রতিযোগীতার আয়োজন করা হয়েছে।
এসবের সাথে আমার মোটামোটি কোন সম্পর্কই ছিল না। আজ সকালে আন্টি ফোন করে বলল নিমি প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহণ করবে।আর আমার উপর দায়িত্ব পরল ওকে নিয়ে যাওয়ার।ওদের প্রতিযোগীতা শুরুর কথা ১০টা থেকে,তাই ৯.৫০ এর মাঝেই পৌছে গেলাম পৌরসভা ভবনে।
গিয়ে দেখি ছেলে-মেয়েদের আলাদা লাইনে দাড় করিয়ে ভেতরে প্রবেশ করানো হচ্ছে।আর যারা অভিভাবক তাদের জন্য বাইরে বসার ব্যবস্থা করা হয়েছিল।আমি বাইরে বসে রইলাম। পরীক্ষা ৩০মিনিটের কিন্তু এদিকে ১.ঘন্টা৩০মিনিট হয়ে গেল তাও নিমি বের হয়না।তারপর জানতে পারলাম মেয়র সাহেব এখনো আসেন নি।তাই অনুষ্ঠান শুরু হয়নি।নিজেকে বাঙ্গালী হিসেবে গর্বিত মনে হল।
এভাবে মেয়র সাহেব এলেন ১২টায়। ৩০মিনিট বক্তব্য দিয়ে পরীক্ষা শুরু হল ১২টা ৩০মিনিট।অর্থাৎ আসল সময়ের ২ঘন্টা ৩০মিনিট পর।আমি অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করতে লাগলাম বাইরে। এরপর ৩০মিনিট পর পরীক্ষা শেষে নিমি বেরিয়ে আসল।ও বলল বেশ ভাল পরীক্ষা দিয়েছে।তখন একটি দুঃশ্চিন্তা মুক্ত হলাম।
এরপর বাড়িতে আসলাম ১টা ২০ এ।নিমি কে বাড়িতে দিতে গিয়ে আন্টি বলল পিঠা খেয়ে যাও।শীতের দিনে পিঠার দাওয়াত কে না বলা যায় না।তাই গিয়ে বসলাম পিঠা খেতে।আন্টির হাতের গরম গরম পিঠা খেয়ে বাড়ি ফিরলাম।
আমি বৃত্ত মোহন্ত (শ্যামসুন্দর)। বর্তমানে ছাত্র। নতুন কিছু শিখতে, নতুন মানুষের সাথে মিশতে আমার খুব ভাল লাগে। তেমনি বই পড়া আর ঘুরে বেড়ানো আমার পছন্দের কাজগুলোর মধ্যে অন্যতম। মুক্তমনে সব কিছু গ্রহণ করার চেষ্টা করি আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করি,"বিশ্বজোড়া পাঠশালা মোর, সবার আমি ছাত্র"।
অনেক সুন্দর একটি উদ্যেগ নিয়েছে গোবিন্দগঞ্জের সবাই মিলে এতো সুন্দর একটি সংস্থা করেছে ৷ আসলে সারা বাংলাদেশ এমন বিভিন্ন সংস্থা করে সবার পাশে এগিয়ে আসলে দেশ এগিয়ে যাবে ৷ ভালো লাগলো
যা হোক নিমি ভালো করে পরীক্ষা দিতে পেরেছে তাহলে ৷ রেজাল্ট কবে
জি আই সি প্রতিষ্ঠার পর থেকেই দারুণ কাজ করছে এটা জেনে খুবই ভালো লাগলো। কর্মকালীন সময়ে এই ধরনের সেবা প্রতিষ্ঠান অনেক চালু হয়েছিল কিন্তু সবগুলো এখন আর নিজেদের কার্যক্রম ধরে রাখতে পারেনি। এই প্রতিষ্ঠানটি সেই এত সুন্দর ভাবে তাদের কার্যক্রম ধরে রাখতে পেরেছে এটা জেনে খুবই ভালো লাগলো। কি আর করা যাবে বলেন ভাইয়া রাজনীতির ব্যাপার তাদের যে কোন অনুষ্ঠানে আসতে একটু দেরি হয়ে যায়। যাক অবশেষে দেখছি আপনি শীতের পিঠা খাওয়ার দাওয়াত পেয়ে গেলেন।
আমি মনে করি গোবিন্দগঞ্জের মত দেশের প্রতিটি গ্রামে এরকম উদ্যোগ গ্রহণ করা উচিত। ছোট ছোট বাচ্চাদের জ্ঞান বিকাশের অনেক সহায়তা হবে। ফাঁকে তো শীতের দিনে পিঠাটাও খেয়ে নিলেন
এটা জেনে ভীষণ খুশি হলাম জিআইসি প্রতিষ্ঠার পর থেকেই দারুণ কাজ করছে। এরকম ব্যাপার গুলো আমার ভীষণ পছন্দের যা খুবই ভালো লাগে। এই প্রতিষ্ঠানটি তো দেখছি খুবই সুন্দর ভাবে তাদের কার্যক্রম ধরে রেখেছে। আশা করছি এই প্রতিষ্ঠানটি আরো সামনের দিকে খুবই সুন্দর ভাবে এগিয়ে যেতে পারবে। অন্যদিকে তো দেখছি শীতের পিঠা খাওয়ার জন্য দাওয়াত পেয়ে গেলেন। এটা কিন্তু ভালই হলো। যাই হোক ধন্যবাদ সবার মাঝে ভাগ করে নেওয়ার জন্য।
আপনাকেও ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর গোছানো মন্তব্য করার জন্য।
আসলে ভীষণ ভালো লাগলো পড়ে। গোবিন্দগঞ্জের সবাই মিলে দেখছি খুবই ভালো একটি উদ্যোগ নিয়েছে। যা দেখে ভীষণ ভালো লেগেছে। আমাদের দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে যদি এরকম উদ্যোগ নেওয়া হয় তাহলে মনে হয় ভালই হবে। জিআইসি প্রতিষ্ঠার পর থেকেই খুবই ভাল কাজ করছে। ছোট ছোট বাচ্চারা বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞান দিতে পারবে। তাদের জ্ঞানের সহায়তা হবে। এরকম সব বিষয়গুলো সবার কাছে ভালো লাগে। ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ আপু সুন্দর গোছানো মন্তব্য করার জন্য।