ভাই বোন কে নিয়ে বাইরে খেতে যাওয়া
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগবাসী।আশা করি ভাল আছেন সবাই।পুজা শেষ হয়ে গেছে কিন্তুঘোরাঘুরি খাওয়াদাওয়া পুরোদমে চলছে।
আগামীকাল আপনাদের সাথে চুন্নুর চাপের ব্লগ শেয়ার করেছিলাম।আমরা যখন যাই তখন ছোট বোন ও যাওয়ার জন্য জেদ করেছিল।কিন্তু ফিরতে অনেক রাত হবে তাই ওকে নিয়ে যাই নি।সেজন্য ওর মন খারাপ।
সকাল থেকেই মুখ গোমড়া করে ছিল।অনেকবার জিজ্ঞেস করেও উত্তর পেলাম না।পরে মা বলল যে ওরে নিয়ে যাইনি তাই রাগ করেছে।পরে দীপ বলল যে কাল তো চলেই যাব,চল ওরে নিয়ে বাইরে থেকে কিছু খেয়ে আসি।
তারপর সবাই মিলে ঠিক করলাম এলাকায় যে নতুন বিরিয়ানী হাউস হয়েছে সেখানে যাব।
যেই বলা সেই কাজ ওকে রেডি হতে বলে আমরা একটু বাইরে গেলাম।বাইরে একটু কাজ ছিল।কিন্তু কাজ করতে করতে রাত ৯টা হয়ে গেল।তারাহুরা করে বাসায় এসে বিন্দুকে নিয়ে বের হলাম।কপাল ভাল বিন্দু আগে থেকেই রেডি হয়ে ছিল।
প্রথমেই সবাই মিলে হাটতে হাটতে বিরিয়ানী হাউসে গেলাম।রাস্তায় দীপ বলছিল এত রাস্তা হেটে গিয়ে যদি বিরিয়ানী না পাই তাইলে কেমন হবে? আমরা সবাই মিলে ওকে বকা দিলাম।আর এরকম অলক্ষুণে কথা বলতে নিষেধ করলাম।কিন্তু তখন মনে হয় ভাগ্য দেবতা আড়াল থেকে হাসছিলেন।বিরিয়ানী হাউসে গিয়ে সত্যি দেখি বিরিয়ানী নেই।শুনে তো আমরা সবাই হতাশ হয়ে গেলাম।
এরপর কি করা যায় সেটা আলোচনা করছিলাম,তখন বিন্দু বলল চল ফ্রেন্ডস কিচেনে যাওয়া হোক।তাই সবাই মিলে সেখানেই গেলাম।কারন এলাকার রেস্টুরেন্ট গুলোর মধ্যে এটাই বেস্ট।খাবারের মান যথেষ্ট ভাল।গিয়ে মেনু দেখালাম।কিন্তু এমন সময় গিয়েছি,যেটাই অর্ডার দেই সেটাই নেই।তাই বাধ্য হয়ে সেট মেনু অর্ডার দিলাম।রেস্টুরেন্ট প্রায় বন্ধ হওয়ার আগে আগে আমরা গিয়েছি।আমাদের সেট মেনুতে ছিল ফ্রাইড রাইস,চিকেন ফ্রাই,সালাদ,সফট ড্রিংকস,চিকেন মাঞ্চুরিয়ান,।
যেহেতু রেস্টুরেন্টে ভিড় ছিল না,তাই ১০মিনিটের মাঝেই খাবার চলে আসল।কিন্তু খাবার দেখে পুরাই হতাশ।খাবারের কোয়ান্টিটি অনেক কম। পরে মন কে শান্তনা দিলাম যে হয়ত, খাবারের কোয়ালিটি আরো ভালো করেছে তাই কোয়ান্টিটি তে কম্প্রোমাইজ করেছে।
কিন্তু খাবার মুখে দিয়ে হতাশ হলাম।খাবারের মান আগের তুলনায় খারাপ হয়ে গেছে।তবে একদম খাওয়ার অনুপযোগী যে তা নয়।আস্তে আস্তে খাওয়া শেষ করলাম।খাওয়া শেষে সবারকে ১০ এর মাঝে পয়েন্ট দিতে বললাম।দেখলাম কারো পয়েন্ট ৫ এর উপরে গেল না।এরপর ছোট ভাই ডেজার্ট এর প্রস্তাব দিল।কিন্তু সাহস পেলাম না।তাই প্রস্তাব দিলাম বাইরে গিয়ে আইসক্রিম দিয়ে ডেজার্ট সারার।আর তাই করলামও।
আজ ফ্রেন্ডস কিচেনের খাবার এর মানে খুবই হতাশ হয়েছি।রাস্তায় যেতে যেতে দীপের কাছে অনেক প্রশংসা করেছিলাম।এখন খালি আমার দিকে তাকাচ্ছে আর ব্যাঙ্গর সুরে বলছে,"ভাই এলাকারবেস্ট রেস্টুরেন্ট ।"টাকা তো গেলই সাথে মান ইজ্জত ও গেল।তবে সবাই মিলে ভাল সময় কেটেছে।আশা করি তারা খাবারের মান ভাল করবে।
ফটোগ্রাফার | বৃত্ত,রাঙ্গা(২য় টি) |
---|---|
ডিভাইস | poco x2 |
লোকেশন | ফ্রেন্ডস কিচেন |
ভাই বোন কে নিয়ে বাইরে খেতে যাওয়া সুন্দর মুহূর্ত দেখে অনেক ভালো লাগলো। ভাই বোনের সম্পর্কটা সত্যিই মধুর সম্পর্ক। ফ্রেন্ডস কিচেনে গিয়ে অনেক সুন্দর সুন্দর খাবার খেয়েছেন।যদিও খাবারের মান একটু কম ছিলো। তবে আশাকরি তারা খুব তাড়াতাড়ি খাবারের মান ঠিক করবে। ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া। আপনার পোস্ট ভিজিট করে ভালো লাগলো।
ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
ভাই ও বোনের সম্পর্ক অনেক মধুর সম্পর্ক।আপনাদের এলাকায় অনেক সুন্দর একটি বিরিয়ানী হাউস রয়েছে। বোন রাগ করেছে আর ভাইয়ের কাজ হলো বোনের রাগ ভাঙানো। ফ্রেন্ডস কিচেনে খেতে গিয়ে অনেক মজার খাবার খেয়েছেন যেনে অনেক ভালো লাগল। যাইহোক আপনাদের সেট মেনুতে ছিল ফ্রাইড রাইস,চিকেন ফ্রাই,সালাদ,সফট ড্রিংকস,চিকেন মাঞ্চুরিয়ান,।বেশ মজার খাবার। ধন্যবাদ আপনাকে অনেক সুন্দর মূহুর্ত শেয়ার করার জন্য।
আপনাকেও ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
সত্যি ভাই বোনের সম্পর্ক এতই মধুর। প্রথমে আপনারা বিরানি খাওয়ার জন্য গেলেন তাও ফেলেন না। ব্যাপারটি খুব দুঃখজন। তারপর অন্য একটি নিষ্ঠুর হয়ে গেলেন। যেটি প্রথমে আপনারা অর্ডার করলেন তাও নেই। পরে অন্য কিছু অর্ডার করে খেলেন তাও মান ভালো না। আপনি অনেক সুন্দর করে আপনাদের ঘুরাঘুরি এবং খাওয়ার সবকিছু আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ধন্যবাদ আপনাকে।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য,আপনাকেও ধন্যবাদ আপু
ছোট বোনকে না নিয়ে চাপ খেতে গিয়েছেন ছোট বোন তো রাগ হবেই। বিরানি খাওয়াতে নিয়ে গিয়ে সেখানেও হতাশ হলেন। আবার যে খাবার খাওয়ালেন তাতেও সবাই খুশি হতে পারেনি। সবাইকে খুশি করার জন্য আরেকদিন ট্রিট দিয়ে দিয়েন। যাইহোক খাবার যাই হোক সবাই মিলে অনেক ভালো সময় কাটিয়েছেন তাই অনেক। শুভকামনা রইল আপনাদের জন্য।
হুম আরেকদিন দিতে হবে।তবে আজ ভাইয়েরা চলে যাবে তো।
আসলে এখনের রেস্টুরেন্ট গুলো এমন কেন করে বুঝি না আমিও কিছুদিন আগে কাচ্চি খেতে গিয়ে ঠকেছিলাম।খুব খারাপ লেগেছিল।দারুন উপস্থপনা করেছেন ভাই।
আপনার মত একই অবস্থা আমার একবার বোলপুর শান্তিনিকেতনে গিয়ে হয়েছিল। বন্ধুরা মিলে রাত দশটার সময় বিরিয়ানি খাওয়ার জন্য বাইরে বেরিয়েছিলাম এবং সেটা আমরা যে হোটেলে উঠেছিলাম তার থেকে দশ কিলোমিটার দূরে। কিন্তু গিয়ে দেখি বিরিয়ানি শেষ। আসলে আমাদের কপালই খারাপ ছিল। কারণ ওই দোকানে বিরিয়ানি রাত বারোটা অবধি থাকে।তবে ওই দিন ছিল না। খাবারের রেটিং 5 দিয়েছেন তার মানে যথেষ্ট হতাশা জনক ছিল।
কাল অনেক হতাশ হয়েছি দাদা।আর সাথে ছোট ভাইয়ের খোচা খেতে হয়েছে।আমি বরাবরই দেখেছি শখ করে কাউকে কোথাও খাইতে নিয়ে গেলে,সেদিনই ওই রেস্টুরেন্টের রান্না সব থেকে বাজে হয়।ধন্যবাদ দাদা সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
এরপর থেকে রাগ করে নিয়ে যাবেন। ওই দিন ভালো হবে। হা হা হা...