বৃষ্টি কাকিমার জন্মদিন
আপনারা অনেকেই জানেন আমাদের কমিউনিটির একজন সম্মানীয় সদস্য বৃষ্টি চাকি। উনার দুই মেয়েকে আমি পাঠদান করি। সেই সুবাদে তাদের সাথে সুসম্পর্ক গড়ে উঠেছে,বলা যায় পরিবারের সদস্য হয়ে গেছি।
একদিন পড়াতে পড়াতে হঠাৎ ঐশি বলল,"দাদা সামনে মায়ের জন্মদিন আমি আর অর্থি মিলে মাকে সারপ্রাইজ দিতে চাই।এজন্য আপনার হেল্প দরকার।" বাচ্চারা মাকে সারপ্রাইজ দিতে চায়,যা খুবই ভাল কাজ। আমিও রাজি হয়ে গেলাম।তখন প্ল্যান করা শুরু হল কিভাবে কি করা যায়,কি করলে কাকিমা খুশি হবে।
এরপর ঠিক করা হয় কেক দিয়ে কাকিমা কে সারপ্রাইজ দেওয়া হবে। আর কাকিমার ফুল অনেক পছন্দ তাই সাথে থাকবে ফুল।এই প্ল্যানই শেষ পর্যন্ত ফাইনাল করা হয়।কেক অর্ডার দিলাম আমাদের এলাকার "কেক এন্ড বেক" বেকারি থেকে। কারন তাদের কেক সেরা আর সাথে কাস্টমাইজ কেক ও পাওয়া যায়।
কেকটার জন্য একটু ইউনিক ডিজাইন সিলেক্ট করা হয়েছিল।যদিও রাত ১২টায় অর্থি প্যান কেকের মাধ্যমে কাকিমা সারপ্রাইজ দেয়। আর বড় কেকটি ছিল পরের দিন বিকেলের জন্য। যাই হোক আমাদের প্ল্যান অনুযায়ী বিকেলে কেক কাটার কথা ছিল,কিন্তু রান্নায় দেরি হবার কারনে সেটা পিছিয়ে সাতটায় নিয়ে যাওয়া হয়।
আমি অবশ্য বিকেলেই ফুল আর কেক এনেছিলাম। তারপর সন্ধ্যা নাগাদ পৌছে কাকিমা কে সারপ্রাইজ দেই।তারপ হীরা ভাবিও সেখানে চলে আসেন। ঐশি অর্থি মিলে কেক কাটার প্রস্তুতি নিতে থাকে। তারপর অবশেষে আসে কেক কাটার পালা। সবার সমবেত "হ্যাপি বার্থডে" সংগীতের মাধ্য দিয়ে কাকিমা কেক কাটলেন।তারপর একে একে ঐশি,অর্থি কে খাইয়ে দিলেন।ঐশি অর্থিও কাকিমা খাইয়ে দেয়।
কেক কাটার মুহুর্তে অনেক মজা হয়।এরপর কিছুক্ষণ সবাই মিলে আড্ডা দিলাম। আড্ডার ফাকে ফাকে কিন্তু মুখ থেমে থাকে নি। নাস্তা হিসেবে ছিল পায়েস,নাচোস,ফল।সবাই গল্প ব্যাস্ত থাকলেও আমি দুই দিকেই সমান মনযোগ দিয়ে রেখেছিলাম। ফলে গল্প খাবার দুইটাই সমান তালে পেটে গেছে। নাচোস টা খুবই সুস্বাদু হয়েছিল।
এরপর আড্ডা আরো কিছুক্ষণ চলত কিন্তু হ্যাংআউটের সময় হয়ে যাওয়াতে আড্ডা স্থগিত করা হল।এরপর ডিনারের মেইনকোর্স। মেইনকোর্স হিসেবে ঐশি অর্থি পরবেশন করল বিরিয়ানি।এটা অবশ্য আমার জন্যও সারপ্রাইজ। কারন বিরিয়ানির কথা জানা ছিল না আমারো।
বিরিয়ানী টা অসম্ভব সুস্বাদু হয়েছিল। একটা কথা বলে রাখা ভাল এটাই নাকি ওদের প্রথম বিরিয়ানি রান্না।যদিও বিরিয়ানী খেয়ে মনেই হয়নি এটা ওরা প্রথমবার বানিয়েছে। সবাই পাত পরিষ্কার করে খেলাম আমরা।
এর মাঝেই হ্যাংআউট শুরু হয়ে যাওয়ায় আমি বাসায় চলে আসি। অবশ্য তার আগে ঐশি অর্থি কে ধন্যবাদ দিয়ে আসি এত সুন্দর ডিনার খাওয়ানোর জন্য। ওদের উদ্যোগের জন্যই সন্ধ্যাটা এত সুন্দর ভাবে সবাই উপভোগ করতে পরলাম।সবাই কাকিমার জন্য প্রার্থনা করবেন।
আপুর জন্য রইলো অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আপুর জীবন সুন্দর হোক আনন্দে কাটুক সারাজীবন এমনটাই আশাকরি। আপনি আপুর জন্মদিনের অনুভূতি গুলো খুব সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন। পড়ে খুব ভালো লাগলো। কেকটা খুব সুন্দর হয়েছে।সারপ্রাইজ বিরিয়ানি খুব মজা হয়েছিল খেতে।সবমিলিয়ে খুব সুন্দর সময় কাটিয়েছেন। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য।
আপনাকেও ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আপনার পোষ্টের মাধ্যমে বৃষ্টি চাকি আপুর জন্মদিনের ব্যাপারটি জানতে পারলাম এটা জেনে সত্যি ভীষণ ভালো লেগেছে আমার কাছে। আপনারা তিনজনে মিলে প্ল্যান করেছিলেন কি দিয়ে উইশ করা যায় ওনাকে। উপহার হিসেবে ছিল কেক এবং ফুল। সে সাথে অনেক ধরনের নাস্তা তৈরি করেছিল। তারপরে দেখছি আপুর দুই মেয়ে বিরিয়ানি রান্না করেছিল। সব মিলিয়ে মুহূর্তটা খুবই ভালোই উপভোগ করলাম আপনার পোস্টের মাধ্যমে পড়ে। খুবই ভালো মুহূর্ত কাটিয়েছিলেন সেখানে, দেখেই বুঝতে পারছি। সম্পূর্ণটা পড়ে ভালো লাগলো।
ধন্যবাদ ভাইয়া উৎসাহমূলক মন্তব্য করার জন্য।
বৃষ্টি আপু যেমন ভালো তেমনি ওনার মেয়ে দুটোকেও ভালো লাগে। মাকে সারপ্রাইজ দেওয়ার জন্য তারা দারুন আয়োজন করেছে। আপনার সাথে তাদের সম্পর্ক খুবই ভালো বুঝাই যাচ্ছে। ভাইয়া আপনার পোস্ট পড়ে অনেক ভালো লাগলো।
আপনার মন্তব্য পড়ে আমারো অনেক ভাল লাগল। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
শুভ হোক আপুর প্রতিটি দিন । বেশ সুন্দর করে আপনি বৃষ্টি আপুর জন্মদিনের উৎসবের আনন্দময় সময় আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। সম্পূর্ণ অনুষ্ঠানটির বেশ সুন্দর একটি বর্ণনা আপনার পোস্টের মাধ্যমে আমরা পেলাম। ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর ভাবে অনুষ্ঠানটি আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য।
আপনাকেও ধন্যবাদ এত সুন্দর গোছানো একটি মন্তব্যের জন্য।
গুনি মায়ের গুনি মেয়ে হবে এটাই তো স্বাভাবিক। আর তাইতো অর্থি আর ঐশী মিলে আপনার সাথে দারুন প্ল্যান করেছে বৃষ্টি আপুর জন্মদিনে সারপ্রাইজ দেওয়ার জন্য। মায়ের প্রতি মমত্ববোধ ও অগাধ ভালোবাসা সারপ্রাইজের মাধ্যমে জানিয়ে দিয়েছে দুই বোন। সাথে তো আপনি ছিলেন, যার কারণে বৃষ্টি আপুর জন্মদিন খুবই আনন্দমুখর হয়েছিল তা আপনাদের ফটোগ্রাফি দেখে বুঝতে পারছি। জন্মদিনের কেকটা কিন্তু দারুন ছিল ভাই, খেতেও নিশ্চয়ই অনেক অনেক স্বাদ পেয়েছেন। আর বিরিয়ানি তো কতটা অসাধারণ হয়েছে তা আপনি বলে দিয়েছেন। যাইহোক ভাই, বৃষ্টি আপুর জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
শুভ জন্মদিন আন্টি, আপনার জীবনের প্রতিটি সময় প্রতিটি ক্ষণ সুখে কাটুক। কেকটা দেখতে আসলেই অনেক কিউট হয়েছিল দাদা। আন্টির জন্মদিন বেশ ভালোভাবেই উপভোগ করেছেন জেনে খুশি হলাম। সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।
ভাইয়া এটা কিন্তু আমাদের সম্মানিতা মেম্বার বৃষ্টি চাকির জন্মদিন। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
হুম দাদা আপনার পোস্ট পড়েছিলাম। সম্মানিতা মেম্বার বৃষ্টি চাকিকে আমি আন্টি বলি। অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।
আপনার কাকিমার জন্মদিনে অনেক অনেক শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইলো শুভ জন্মদিন। আপুর প্রতিটি মুহূর্ত খুব সুন্দর ভাবে কাটুক এই আশা ব্যক্ত করি
সবাইকে মিলে জন্মদিনের খুব চমৎকার মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। ঘরোয়া পরিবেশে সকলের সাথে চমৎকার কিছু মুহূর্ত কাটিয়েছেন দেখে খুব ভালো লাগলো। বিরিয়ানি দেখে খেতে খুব ইচ্ছে করতেছে । এত সুন্দর পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
আপনাকেও ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
এবারের জন্মদিন আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ জন্মদিন পালন করা।আগে কখনো এরকম ঘটা করে জন্মদিন পালন করা হয়নি।আমার মেয়ে এবং তোমার জন্যই আমি এই সুন্দর দিনটি উপভোগ করতে পেরেছি।তোমাকে আন্তরিকভাবে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই সুন্দর মুহুর্ত উপহার দেওয়ার জন্য।
আপনার জন্যই সব আয়োজন। আপনি খুশি হয়েছেন আমাদের আয়োজন স্বার্থক। আমরাও অনেক খুশি।