হ্যালো আমার বাংলাব্লগ বাসী।আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন এবং সুস্থ আছেন।ব্যস্ততার কারনে জ্যাক রায়ান সিরিজের বাকি পর্ব গুলো দিতে পারছিলাম না।আজ মোটামুটি ফ্রি ছিলাম।তাই আজ একটি পর্বের এক্সপ্লেনেশন দিচ্ছি।

স্ক্রিনশট ফ্রম মিডিয়া প্লেয়ার

সংক্ষিপ্ত বিবরণ

সিরিজের নাম	জ্যাক রায়ান
জনরা	স্পাই,অ্যাকশন
অভিনয়ে	জন ক্রাসিনস্কি,দিনা শিলাহিবি,ওয়েনডেল পিয়েরস প্রমুখ
ভাষা	ইংরেজী
রিলিজ ডেট	৩১আগস্ট২০১৮

আগের পর্বে:

আগের পর্বে আমরা দেখেছি একটি গীর্জায় সন্ত্রাসবাদীরা হামলা করে। সেখানে গ্যাস হামলা করা হয়।

বর্তমান পর্বে:

প্রথমেই গীর্জার গেট খুলে দেখা যায় অনেক মানুষ মৃত অবস্থায় পড়ে আছে।আর ফোনের রিংটোনের পুরো ঘর গমগম করছে।কারন তাদের প্রিয়জনরা, তাদের খোজ নেওয়ার জন্য কল করছে। সব শেষে গুণে দেখা যায় প্রায় ৩০৫ জন লোক মারা গেছে।আর সুলেমান সেই হামলার দায় স্বীকার করে নেয়। সেই সাথে সে সব সন্ত্রাসবাদীদের তার সাথে যোগ দেওয়ার অহ্বান জানায়।

স্ক্রিনশট ফ্রম মিডিয়া প্লেয়ার
রায়ান অফিসে বসে এসব সংবাদ দেখছিল আর নিজেকেই দোষ দিচ্ছিল।কিন্তু রায়ান এর বস তাকে মোটিভেট করতে থাকে।বলেন যে অনেক কিছু চাইলেও আটকানো সম্ভব হয়না তাই নিজেকে দোষ দিও না।

স্ক্রিনশট ফ্রম মিডিয়া প্লেয়ার
এরপর আমরা দেখতে সুলেমান এর স্ত্রী ও দুই মেয়ে তুরস্কের একটি শরণার্থী শিবিরে চলে আসে।সেখানে সে ইউরোপে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করে।কিন্তু কতৃপক্ষ জানায় এখন ভিসা লিমিটেড।যারা শুধু কোন ইনফরমেশন দিয়ে সাহায্য করতে পারবে তারাই ভিসা পাবে।

স্ক্রিনশট ফ্রম মিডিয়া প্লেয়ার
এরপর আমরা দেখি মুসা তার অতীতের দিনগুলো নিয়ে ভাবছিল।সে একজন বড় অর্থনীতী বিদ ছিল।কিন্তু শুধু একটি বিশেষ গোত্রের হওয়ার কারনে তাকে উপেক্ষা করা হয়েছে বারবার।এরপর সে নাপিতের কাজ নেয়।আর তার ছোট ভাই পড়াশোনা করতে থাকে।কিন্তু একবার তার ছোট ভাইকে তার এক বন্ধু একটি পিস্তল রাখতে দেয়।তখনই পুলিশ তল্লাশি চালায়। ছোট ভাইকে বাচাতে গিয়ে সুলেইমান গ্রেফতার হয়।আর জেলখানা তেই সে সন্ত্রাসবাদীদের সাথে জড়িয়ে পড়ে।

স্ক্রিনশট ফ্রম মিডিয়া প্লেয়ার
এরপর রায়ান একটি প্ল্যান করে।আমরা আগেই দেখেছি সুলেইমান আর তার ভাই আলী একটি গেমের মাধ্যমে যোগাযোগ করে।আবার এদিকে আলী যে মারা গেছে তা কেউ জানেনা।তাই রায়ান আলী হয়ে গেমের মাধ্যমে যোগাযোগ করতে চায়। তার উর্ধতন কর্তৃপক্ষ এতে রাজি হয়।

স্ক্রিনশট ফ্রম মিডিয়া প্লেয়ার
এরপর আমরা দেখি সুলেমান এর বউ ক্যাম্পের আমেরিকান কর্তৃপক্ষ এর সাথে যোগাযোগ করে ভিসার জন্য।তখন তাকে আবার কোন মূল্যবান ইনফরমেশন জানাতে বলা হয়।তখন সুলেমান এর বউ হানিন জানায় সে সুলেমান এর স্ত্রী।যে সুলেমান প্যারিসে হামলা করেছিল।তখন তারা প্রমাণ চায়। কিন্তু হানির কাছে আসল আইডি ছিল না।তাই সে বলে আমি এখানে এসে ভুল করেছি।এই বলে সে পালিয়ে যায় সেখান থেকে।সেই ভিসার এজেন্ট রায়ানের অফিসের একজন কে ফোন দিয়ে এই খবর জানিয়ে দেয়।সে জ্যাক কে জানায়।কিন্তু জ্যাক প্রমাণের অভাবে বিশ্বাস করতে পারেনা।

স্ক্রিনশট ফ্রম মিডিয়া প্লেয়ার
এরপর আমরা দেখি সুলেমান সেই কিডন্যাপ করে আনা ডাক্তার দের দলনেতা কে নিয়ে আসে।এবং তার থেকে জানতে চায় তাদের কি কি প্রয়োজন তার যেন একটি লিস্ট করে দেয়। তখন ডাক্তার একটি ঔষধ দেখিয়ে জানতে চায় সুলেমান এর ছেলের ডায়াবেটিকস কত দিন থেকে।তাকে যদি কিছু পরীক্ষা করতে দেওয়া যায় তবে খুব সহজেই সে তার অসুখ সারিয়ে দেবে।কিন্তু সুলেমান তাকে হ্যা বা না কিছু না বলে তাকে বিদায় নিতে বলে।

স্ক্রিনশট ফ্রম মিডিয়া প্লেয়ার
এরপর আমরা দেখি সেই ড্রোন অপারেটর কে।যে কতৃপক্ষের নির্দেশ অমান্য করে ইয়াজিদ এর উপর ড্রোন হামলা করেছিল।এর আগে সে একজন সন্ত্রাসীবাদীকে ড্রোন হামলা করে মেরে ফেলে।কিন্তু পরে সে বুঝতে পারে তারা ভুলে একজন নিরাপরাধ মানুষ কে হত্যা করেছে।

স্ক্রিনশট ফ্রম মিডিয়া প্লেয়ার

এতে সে ভেঙ্গে পড়ে। সে তার উর্ধতন দের উপর রেগে যায়।তখন তার সহকর্মি তাকে মোটিভেট করতে থাকে।কিন্তু কিছুতেই সে শান্ত হতে পারছে না।সর্বশেষ তাকে দশ দিনের ছুটি দেওয়া হয়।

স্ক্রিনশট ফ্রম মিডিয়া প্লেয়ার

জ্যাক সুলেমান এর সাথে গেমে যোগাযোগ করে। এর আগে টিভিতে প্রচার করা হয় পুলিশ আলীকে এখনো খুজছে।এতে সুলেমান এর আশা জেগে ওঠে।এরপর সে তার লোকজন কে রেডি থাকতে বলে। জ্যাক আলী হয়ে সুলেমান এর থেকে সাহায্য চায়,আর বলে সে আঘাতপ্রাপ্ত।তাই তার লোক প্রয়োজন।একপর্যায়ে সুলেমান এর সন্দেহ হয়। তখন সে কিছু প্রশ্ন করে যার উত্তর সে আর আলী ছাড়া কেউ জানত না।এখন জ্যাক কি পারবে সুলেমান এর প্রশ্নের উত্তর দিতে?

স্ক্রিনশট ফ্রম মিডিয়া প্লেয়ার

এরপর আমরা হানি কে দেখি একজন স্মাগলার এর সাথে যোগাযোগ করে।সে তাকে আর তার দুই মেয়েকে চোরাপথে আমেরিকায় নিয়ে যাবে।এমন সময় আমরা দেখতে পাই ইয়াজিদ যার ড্রোন হামলায় মারা যাওয়ার কথা সে মারা যায় নি। সে হানি আর তার ২মেয়ের ছবি নিয়ে সরাসরি সেই স্মাগলার এর কাছে হাজির হয়। তবে কি হানি পালাতে পারবে না? ধরা পড়বে ইয়াজিদ এর হাতে?

স্ক্রিনশট ফ্রম মিডিয়া প্লেয়ার

জানতে হলে দেখে ফেলুন দুর্দান্ত ওয়েবসিরিজটি।

ব্যাক্তিগত অভিমত:

এই পর্ব থেকে আমরা বুঝতে পারি কিভাবে সন্ত্রাস ছড়ানো হয়। কিভাবে আস্তে আস্তে আস্তে মানুষের ব্রেইনওয়াশ করে ছড়ানো হয় সন্ত্রাসের ক্যান্সার।এছাড়া আলী আর সুলেমান এর গভীর ভাতৃত্ববোধ ও পরিষ্কার বোঝা আয়।আর কেন সুলেমান পশ্চিমাবিশ্বের উপর এত রেগে আছে তার কিছু কারন বুঝতে পারি।আর একজন যোদ্ধার মনের ভাব কেমন হয় শত্রুকে হত্যার পর তাও বুঝতে পারি।

ট্রেইলার