মহাসপ্তমীর ঘোরাঘুরি ও ফটোগ্রাফি

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago

হ্যালো আমার বাংলা ব্লগবাসী।আশা করি সবাই ভাল আছেন।আমি তো দারুন আছি।আজ মহাসপ্তমীর ঘোরাঘুরি শেয়ার করব আপনাদের সাথে।

পুজা মানেই ঘোরাঘুরি,প্রতিমা দেখা আর খাওয়াদাওয়া।তবে আমি আবার একা ঘুরে মজা পাইনা।বন্ধুদের সাথে অথবা ভাইব্রাদার দের সাথে না হলে মজা হয়না।

IMG_20221002_115654.jpg
লোকেশনঃগাংনগর,শিবগঞ্জ

ছবি টি আমার মামার বাড়ির বারোয়ারি মন্দিরের।গতকাল বিকেলে মামা বাড়ি গিয়েছিলাম।কিন্তু ব্যস্ততার জন্য মন্দিরে যেতে পারি নাই।সেজন্য আজ সকাল সকাল মন্দিরে গিয়েছিলাম।গিয়ে আরতির পর ছবিটি তুলেছিলাম

আজ দুপুরে মামার বাড়ি থেকে ফিরে আসি কারন কাজিন এর আসার কথা।কিন্তু আসার পর থেকে শুয়ে বসে।কারন কাজিন আসার কথা ছিল ১২টার মাঝ,সে আসতেছে ও না আবার ফোন ও ধরে না।মেজাজ খারাপ।তারপর দুপুর ১২টায় ফোন দিয়ে বলতেছে দাদা আমি মাত্র ঘুম থেকে উঠলাম,রেডি হয়েই আসতেছি।এরপর কাজিন আসল বিকাল ৫টায়।বন্ধুদের ফোন দিয়ে রেডি হতে বললাম।এরপর আমিও রেডি হলাম। তারপর শুরু হল বন্ধুদের কল দেওয়া। মেয়েরাও মনে হয় এত সময় নেয় না রেডি হতে।

IMG_20221002_234920.jpg

বের হবার কথা ছিল ৬টায় সেখানে বের হতে হতে বেজে গেল রাত ৮টা।৮টায় সবাই মিলে একজায়গায় হয়ে একটি অটোভ্যান ঠিক করলাম।আমাদের গন্তব্য ছিল মহিমাগঞ্জ।মহিমাগঞ্জ অল্প একটু জায়গার মাঝেই অনেকগুলো পুজো হয়।তবে সব গুলো পুজোই পারিবারিক পুজো।তাই বড়পরিসরে পুজো হয়না সব ছোট খাট পুজো।আমাদের প্রতিবারের পুজোর জার্নি শুরু হয় এখান থেকে।

IMG_20221002_221349.jpg

যাই হোক পৌছাতে পৌছাতে রাত ৯টা বেজে গেল।যেহেতু অধিকাংশ পুজোই পারিবারিক তাই অনেক গুলোই আমরা পৌছাতে পৌছাতে মন্দির বন্ধ করে দিয়েছিল।বাকি গুলোতেও নাচানাচি চলছিল।ফলে লাইটিং এর জন্য ছবিই নিতে পারছিলাম না।যেরকম এই প্রতিমা টা বেশ সুন্দর হয়েছে কিন্তু লাইটিং এর জন্য ছবির এই অবস্থা।

তারপরেও কিছু ছবি নিয়েছি।যদিও ছবি গুলো ভাল আসে নাই।আর তারপরে কপাল আজ এত খারাপ যে,শেষের দিকের মন্দির গুলোর সব কিছু মোটামুটি ঠিক ছিল কিন্তু আমরা যেতেই লোড শেডিং।যেহেতু পুজার কয়দিন মন্দিরে লোডশেডিং হওয়ার কথা নয় তাই আলাদা করে জেনারেটর এর ব্যবস্থাও করা হয়নি।ফলে যা হবার তাই হল ছবি তুলতেই পারলাম না।তারপরেও যে কয়টা তুলেছি সে কয়টাই আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম।

IMG_20221002_220026.jpg

IMG_20221002_232750.jpg

এই ছবিটি মহিমাগঞ্জের একটি বারোয়ারি মন্দিরের। এটাই একমাত্র মন্দির যেখানে সব কিছুই ঠিকঠাক ছিল।

IMG_20221002_220930.jpg

IMG_20221002_220539.jpg
এই মন্দিরগুলো পারিবারিক মন্দির।আমরা পৌছানোর আগেই মন্দির বন্ধ হয়ে গেছে।তাই মা কে দূর থেকেই দেখেই ফিরে এসেছি।

IMG_20221002_221228.jpg

IMG_20221002_214846.jpg
এই মন্দিরের তোরণ টি অনেক সুন্দর হয়েছে।তবে তোরণটি ফোনের স্ক্রিণে ফিট করছিল।তাই বাকা করে তুলেছি।মায়ের প্রতিমা টাও সুন্দর ছিল।এছাড়াও আরো কয়েকটা পুজো দেখেছিলাম কিন্তু বিদ্যুত না থাকায় ছবি তুলতে পারি নাই।আপনারা কেমন মজা করছেন জানাবেন।

ফটোগ্রাফারবৃত্ত
লোকেশনমহিমাগঞ্জ
ডিভাইসপোকো এক্স২

বিঃদ্রঃসব গুলো ছবিই মহিমাগঞ্জের তাই আলাদা করে লোকেশন না দিয়ে তাই একসাথে লোকেশন দিলাম।

Sort:  
 2 years ago 

দুর্গাপূজা মানেই আনন্দ উৎসব। আর আপনি মহা সপ্তমীর দিনে অনেক সুন্দর সময় কাটানো পাশাপাশি অনেক সুন্দর ভাবে ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন।
আপনার জন্য শুভকামনা রইল

 2 years ago 

আপনাকেও ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।শুভ কামনা রইল আপনার জন্যও

 2 years ago 

শারদীয়ার শুভেচ্ছা জানাই ভাইয়া❤️মনের মতো করে কাটান সময়টা।
ফটোগ্রাফিগুলো খুব সুন্দর ছিল। শুভ কামনা রইলো 💖

 2 years ago 

অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।আপনার জন্যেও শুভ কামনা রইল।

 2 years ago 

শুভ শারদীয় শুভেচ্ছা দাদা। বেশ দারুণ এবং সুন্দর সময় উপভোগ করেছেন। প‍্যান্ডেলে প‍্যান্ডেলে ঘুরে বেশ চমৎকার ফটোগ্রাফি করেছেন। ধন্যবাদ আমাদের সঙ্গে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।।

 2 years ago 

আপনাকেও ধন্যবাদ দাদা সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

 2 years ago 

জি দাদা আপনি সত্যি বলেছেন কেউ যদি মোবাইল না ধরে আরজে কারণ তৈরি হতে মানে সাজুগুজু করতে বেশি সময় নেয় তখন খুব মেজাজ টা গরম হয়। তবুও আপনার এই মানসিকতা আমাকে মুগ্ধ করেছে আপনি বন্ধুবান্ধব ভাই ব্রাদার ছাড়া চলাফেরা করতে সুন্দরবন করেন না।

 2 years ago 

ভাই ব্রাদার ছাড়া ঘোরায় কোন মজাই নেই।সবার সাথে মজা করা টাই ঘোরার আসল মজা।ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

 2 years ago 

সপ্তমী তে অনেক দারুন ভাবে ঘুরাঘুরি করেছেন এবং ফটোগ্রাফি করেছেন দারুন হয়েছে ভাই ধন্যবাদ শুভ কামনা রইলো।

 2 years ago 

ধন্যবাদ ভাইয়া।আপনার জন্যও শুভ কামনা রইল।

 2 years ago 

পুজা মানে মনে আনন্দ আর প্যান্ডেল ঘুরে
দূগাপুজা দেখা।প্যান্ডেল্টা অনেক সুন্দর হয়েছে। দাদারা সবাই মিলে সপ্তমদিন অনেক আনন্দ উপভোগ করছেন। সপ্তমী পুজো আনন্দ মুহুর্ত শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ দাদা।

 2 years ago 

ধন্যবাদ দিদি।সুন্দর মন্তব্য করেছেন।নিমন্ত্রণ রইল পুজার।

বন্ধুদের সাথে মজা করা, এক প্যান্ডেল থেকে আরেক প্যান্ডেলে দৌড়ে বেড়ানো এটাই তো পূজার মজা। অনেকদিন পর মহিমাগঞ্জের নাম দেখলাম। আমিও একদম ছোট বেলায় একবার গিয়েছিলাম ঐ দিক টায়। এভাবেই সকলকে নিয়ে আনন্দ আর মাস্তি করে কাটুক এবারের পুজো। পরের দিনের অপেক্ষায় থাকলাম।

আপনি ঠিকই বলেছেন পুজোতে ঘোরার আসল মজা তখনই হয় যখন বন্ধু-বান্ধব সাথে থাকে। বেশ ভালো কিছু ফটোগ্রাফি দেখলাম। তবে পুজো মন্ডপে লোডশেডিং হয় এটা আবার কেমন কথা। জেনারেটরের ব্যবস্থা তো অবশ্যই রাখা রাখা উচিত।
তবে এই সব কিছু বাদ দিয়ে যদি আমি শুধু ফটোগ্রাফির দিকে নজর দিই তাহলে বলব বেশ সুন্দর হয়েছে এবং খুব সুন্দর একটা সময় কাটিয়েছেন আপনি বন্ধুদের সাথে।

 2 years ago 

হ্যা দাদা কাল আসলেই সুন্দর কেটেছে। অনেক ধন্যবাদ দাদা সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

 2 years ago 

মহা সপ্তমীতে ঘোরাঘুরি করে বেশ অনেক গুলি মায়ের প্রতিমা দর্শন করেছেন। সাথে বেশি এনজয় করেছেন। এবারে আমার বাহিরে প্রতিমা দর্শনের সুযোগ হচ্ছে না দাদা। এবার বাড়িতেই পুজো তাই। আপনার মাধ্যমে মায়ের কিছু অপূর্ব প্রতিমা দর্শন করতে পারলেন। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।

 2 years ago 

আপনার জন্যেও অনেক শুভ কামনা রইল দাদা। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

Coin Marketplace

STEEM 0.19
TRX 0.16
JST 0.033
BTC 64105.03
ETH 2757.74
USDT 1.00
SBD 2.66