অনিশ্চিত জীবন
বেশ ভালই বৃষ্টি হচ্ছে আজকাল, যার কারণে নদ-নদী, খাল-বিলে নতুন পানির আগমন। পানিতে কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে গিয়েছে সর্বত্র।
সদ্য কলেজ পড়ুয়া শিহাব তার বন্ধুদের সঙ্গে প্রায়ই গোসল করতে যায় বাড়ির পাশের খালে। হয়তো নতুন পানির আগমনেই দুরন্ত কিশোরদের মাঝে, খালে গোসল করার প্রবণতা এখন বেশ বেশি।
ঐ যে কলেজ থেকে ফিরেই ফুটবল নিয়ে ফাঁকা মাঠে গিয়ে নিজেদের মতো করে খেলাধুলা করে তারপর সবাই মিলে খালের পানিতে গিয়ে ডোবাডুবি। এরকমভাবে গোসল করার আলাদা একটা মজা আছে। হয়তো যারা শৈশবে এভাবে সময় কাটিয়েছে, তারাই জানে এমন মুহূর্তগুলো কতটা আনন্দঘন হয়।
তবে অতিরিক্ত আনন্দ মাঝে মাঝে বিষাদে পরিণত হয়। এইতো সেদিন কেবল কলেজ থেকে ফিরেছে শিহাব। এলাকার ছেলেরা মেঘাচ্ছন্ন আকাশ দেখে বলেই ফেলল,হয়তো একটু পরেই বৃষ্টি নামবে। চল ফুটবলটা নিয়ে মাঠে যাই, অতঃপর যেমন সিদ্ধান্ত তেমন কাজ।
আসলে এই বয়সটাই এমন,কোন কিছুতেই যেন মন বাধা মানতে চায় না। প্রতিনিয়ত যেন অস্থিরতা কাজ করে সকলের মাঝে। অবশেষে সবাই মিলিত হয়ে ফুটবল মাঠে গিয়ে দীর্ঘ সময় ফুটবল খেলা, তারপর যখন শরীর ক্লান্ত হয়ে গিয়েছে, তখন আবারো সেই খালের পাড়ে এসে ক্লান্ত শরীর নিয়ে নতুন পানিতে গা ভেজানো। যে যেভাবে পারছিল লাফালাফি ঝাঁপাঝাপি করে গোসল করছিল।
একবার চিন্তা করে দেখুন, ১৪-১৫ জন কিশোর যখন একত্রে হয় তখন আসলে সেখানকার পরিস্থিতি একটু ঘোলাটে হওয়া স্বাভাবিক। এদিনও তাই হয়েছে, সবাই সাঁতার পারে তারপরেও হঠাৎই বিপদের আগমন। সবাই যখন ফুটবল খেলে ক্লান্ত শরীর নিয়ে ক্রমাগত এসে খালের পানিতে লাফ দিচ্ছিল আর সাঁতরে বেড়াচ্ছিল, তখনো যেন একেকজনের মাঝে অন্যরকম উত্তেজনা কাজ করছিল।
শিহাব ঠিক একই রকম ভাবে অন্যদের মতো করে খালের পানিতে লাফ দিয়েছিল, তবে এক্ষেত্রে শিহাব আর পানির উপরে ভেসে ওঠেনি। সে আসলে খালের মাঝে বিছানো জালের সঙ্গে পেঁচিয়ে গিয়েছিল। মৃত্যু কার কখন কিভাবে হবে, তা বলা মুশকিল।
মুহূর্তেই একটা নবীন প্রাণ সকলের চোখের সামনেই ঝরে গেল। কেউ কোনভাবেই শিহাব কে বাঁচাতে পারলো না। বুঝে ওঠার আগেই শিহাবের মৃত্যু হয়েছিল। জীবন কত অনিশ্চিত তাই-না , একটু আগেও যে ছেলেটা সকলের সঙ্গে ফুটবল খেলে আনন্দ উল্লাসে সময় কাটাচ্ছিল আর একটু পরেই খালের পানিতে ঝাঁপ দিয়ে গোসল করতে নেমে, জালের সঙ্গে পেচিয়ে তার প্রাণ চলে গেল।
মুহূর্তেই শোকের ছায়া নেমে এসেছে পুরো এলাকাতে। শিহাবের পরিবারের অবস্থার কথা আর না বলি। ওর পরিবারের লোকজনের আহাজারিতে যেন পুরো এলাকা আরও ভারী হয়ে উঠেছে। মৃত্যু সকলেরই হবে, এটা ভীষণ স্বাভাবিক। তবে কিছু অপ্রত্যাশিত মৃত্যু মেনে নেওয়া ভীষণ কষ্টদায়ক।
ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
ভাইয়া শিহাবের ঘটনাটা সত্যিই হৃদয়বিধায়ক। কিছুক্ষন আগে ফুটবল খেলেছে কে জানতো এই খালের মাঝেই তার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করতে হবে। জীবন সত্যি অনিশ্চিত। কখন শেষ হয়ে যাবে কেউ জানে না। ধন্যভাদ।
কার জীবনে কখন মৃত্যু আসবে তা বলা যায় না। তারপরও আমাদেরকে সাবধানে থাকা উচিত। এরকম তরতাজ একটি ছেলে যদি এভাবে মারা যায় তাহলে কি মেনে নেয়া যায়। তার বাবা-মার বা কিভাবে মেনে নিবে। বন্ধুরা সবাই মিলে এত সুন্দর মজা করছিল তার মাঝে হঠাৎ করে কি হয়ে গেল। খুবই খারাপ লাগলো গল্পটি শুনে।
https://twitter.com/sharifShuvo11/status/1690662410183671808?t=Aw7TV_MALSvr42r1cIrDFw&s=19
ঠিক ভাইয়া কিছু মৃত্যু আসলে মেনে নেওয়া কষ্ট। শিহাব সাঁতার জানে তারপরেও এই হলো তার শেষ পরিনতি।এতো অল্প বয়স মা-বাবা কি করে মানতে পারে।সত্যিই খুব খারাপ লাগলো।
এই ধরনের ঘটনা কিন্তু আমাদের সমাজে প্রতিনিয়ত ঘটে যে জলে ডুবে মৃত্যু। বিশেষ করে ছেলেপেলেরা যখন ফুটবল খেলে বৃষ্টির জলে তারপর নদীতে বা পুকুরে স্নান করতে যায় তখন এরকম অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে। তবে এই বয়সে ছেলেটার মৃত্যু আসলে তার বাবা-মায়ের কেন কারোরই মেনে নেওয়া সম্ভব না। বেশ দুঃখজনক একটা ঘটনা শুভদা।
আমি নিজেও বেশ মর্মাহত ভাই, ঘটনাটা শোনার পর থেকে অনেকটাই মন খারাপ হয়ে আছে।
একেবারে ঠিক কথা বলেছেন ভাইয়া জীবন অনিশ্চিত। একটু সকলেরই হবে। কিন্তু এরকম মর্মান্তিক মৃত্যু কিন্তু মেনে নেওয়া যায় না। কি দুরন্ত পানায় না কাটছিল তাদের সময়টুকু। হঠাৎ এরকম হবে এটা কেউ জানতো। কষ্ট হচ্ছে শিহাবের পরিবারের জন্য। কিভাবে মেনে নিবে তার মা শিহাবের হারানোর বেদনা। সুন্দর একটি গল্প শেয়ার শেয়ার করলেন।
জীবন সত্যিই অনিশ্চিত, কখন কার কি হবে, তা বলা বড্ড মুশকিল। এমন মৃত্যু মেনে নেওয়া বেশ কষ্টদায়ক।
গল্পের শেষটা খুব খারাপ লাগছিল শুভ ভাই। এই বয়সে শিহাবের মৃত্যু কারোর পক্ষে মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। আর বৃষ্টির জলে যখন বন্ধু-বান্ধব মিলে একসাথে নদীতে স্নান করতে যায় তখন তাদের আসলে ওই সেন্সটা থাকে না যে কোন দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। আর ছেলেটার মা-বাবার কথা কি বলবো তারা তো অবশ্যই কষ্ট পাবে।
ঘটনাটা আসলে আমাকেও বেশ ব্যথিত করেছে,আপু।
আসলেই জীবনটা একেবারে অনিশ্চিত। কখন কিভাবে কার মৃত্যু লেখা আছে, সেটা একমাত্র সৃষ্টিকর্তাই জানেন। তবে কিছু কিছু অস্বাভাবিক মৃত্যু মেনে নেওয়া যায় না। একসময় বৃষ্টির মধ্যে প্রায়ই ফুটবল খেলতাম। তবে সাতার পারতাম না বিধায় পুকুর বা নদীতে গোসল করতাম না। শিহাবের মৃত্যুটা আসলেই হৃদয়বিদারক। যাইহোক পোস্টটি শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
হুট করে মুহূর্তেই একটা তাজা প্রাণ নিভে গেল, ভাবা যায়! আসলেই জীবনটা বড্ড অনিশ্চিত।
সত্যি ভাইয়া আপনার ঘটনাটি পড়ে খুবই খারাপ লাগলো । এরকম ঘটনাগুলো সত্যিই মেনে নেওয়া যায় না । এটা খুবই অপ্রত্যাশিত মৃত্যু ।এটা মেনে নেওয়া খুবই কষ্টকর । না জানি শিহাবের পরিবার কিভাবে সহ্য করছে । এরকম একটি তাজা প্রাণ ঝরে গেলে সত্যিই ভীষণ খারাপ লাগে ।বেশ হৃদয়বিদারক লাগলো ঘটনাটি।ধন্যবাদ।
আসলেই ঐ পরিবারটার কথা যখন ভাবছি, তখন যেন নিজের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়ে যাচ্ছে।
শিহাবের এরকম মর্মান্তিক মৃত্যুর কথা শুনে সত্যিই খুব খারাপ লাগছে ভাইয়া। একদম উঠতি বয়সের একজন ছেলের তরতাজা প্রাণ এভাবে হারিয়ে গেল ঘটনাটি আসলেই মেনে নেয়া যায় না। না জানি শিহাবের বাবা-মা তার ছেলের এমন অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যু কিভাবে মেনে নিয়েছে। মহান আল্লাহ তায়ালা তার বাবা-মাকে ধৈর্য ধরার তৌফিক দান করুক। আর এরকম মর্মান্তিক ও অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা কারোর জীবনে যেন না আসে এই প্রত্যাশা করছি।
ব্যাপারটা আসলেই অনাকাঙ্ক্ষিত ও অপ্রত্যাশিত।